পোস্টগুলি

এপ্রিল ১১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মোঃ লিকসন আহম্মেদ

ছবি
ঋত ও প্রকৃতি - বসন্ত আর চৈত্রৈর অবসানে- গ্রীষ্ম আসে বৈশাখের নিমন্ত্রণে! চৈত্রৈর খরা শেষে, বৈশাখী ঋতু হাসেঁ-! প্রকৃতির প্রয়োজনে, গ্রীষ্মের আয়োজনে- নিলর্জ্জের মতো সে-  থেকে যায় বহুদিন! বহু ঝড় আর বৃষ্টিতে, একাকার করে রাত্রীদিন।

রিনা দাস

ছবি
আজব শহর কলিকাতা  ছিল কলিকাতায় ব্যাঘ্রবাহিনী ছিল বাঘের বাসা বাঘের মতো ছিল যারা  ছিল যাওয়া আসা ৷ কালের নিয়ম অনুসারে হলো তাদের অস্ত উচ্ছৃঙ্খলতার রাজনীতিতে সবাই এখন ত্রস্ত ৷ নেই এখন কলিকাতায় সেই আভিজাত্য নেই কুলের ঠিকঠিকানা এক্কেবারে ব্রাত্য ৷ নেই এখন কলিকাতায় দখিন হাওয়ার সন্ধ্যা নেই এখন শ্যামল তরু প্রকৃতি প্রায় বন্ধ্যা ৷ মুখোশধারী কলিকাতা  পশুদের তুল্য সৎ মানুষের নেই সাহস নেই কোন মূল্য ৷ আজব শহর কলিকাতা বর্ননার নাই শেষ ধন্য ওহে কলিকাতা  আছ তুমি বেশ ৷

আরিফ রেজা

ছবি
ধর্ষিতা আমার মা একটা দুঃস্বপ্ন -- অতপরঃ ঘুম ভেঙে গেল লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। মানুষ পোড়ার গন্ধ নাকি বারুদ গন্ধে কন্ঠনালী আবদ্ধ!  বুঝ আসেনা কিছুতেই।  মানুষের উপর প্রভুত্ব করতে করতে গ্রহ উপগ্রহকে খাচ্ছি নাকি গিলে! মুক্তির মিছিলে নির্যাতিতের শ্লোগানে মুখরিত হচ্ছে বাঁচার মন্ত্রপাঠ, ইতিহাস নাকি যুদ্ধ নাকি মহাযুদ্ধের ঘোষণা ? কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ঘরের ভিতরে বিচলিত আমি। জানালার আর্শিতে চোখ মেলে দেখি, হৃদয় আঙ্গিনা বিধ্বস্ত,  পৃথিবী হচ্ছে খন্ডিত। ভাঙনের ভারে কাঁপতে কাঁপতে দু'চোখে জল এসে গেল। এ কোন সভ্যতা? দিগম্বর শরীরের দিকে কি তাকিয়ে আছে  জড়বাদীরা? সহসা চোখে আঁধার ভেদ করে বারংবার পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখি, পৃথিবী তো ভালো নেই। পৃথিবী খেয়েছে মানুষ, নাকি মানুষ খেয়েছে পৃথিবী?  ওরে কাপুরুষের দল, লক্ষ কোটি প্রতিবাদী কি আজ মরে গিয়ে মাটিতে গেছে মিশে? এবার তোরা ঘুরে দাঁড়া! আর মূঢ়তা নয়। মোর প্রশান্ত পারেও কত মহাজীবনের শান্তি আজি আক্রান্ত  নব নব সৃষ্টিতে দৈত্য দানবে করে নিষ্ঠুর আঘাত অবিশ্রান্ত....

সজিব আল হাসান

ছবি
পথিক ও প্রেমিকের গল্প আমারে ছেড়ে দিয়ে একটা সংসার পেয়েছো ঠিকই, কিন্তু যৌবনের প্রথম কালে আমার সাথে একসাথে রাস্তায় ঘুরার অনুভূতি গুলা আর পাইলা কই!! আমারে ছেড়ে যাওয়াতে আমি যতটা নিঃসঙ্গ হয়েছি তার থেকে বেশি একাকিত্বে আছে চিরচেনা রাস্তাটা! রাস্তাটা মাঝে মাঝে অভিমান করে বলে উঠে- ইস আরেকবার যদি মানুষ দুইটা আবার এসে দেখে যেতো আমায়! আর কত চলে যাওয়ার পর ,কারো থেমে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়!কারো জীবনে কেউ থেকে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। আমার চেয়ে বেটার অপশন পেলে কেউ থেকে যায় না। দুজন মানুষ রোজ একই পথে চলতে চলতে কেমন জানি পথটাকে আপন করে ফেলে! ওই রাস্তাটার প্রতিটা ধূলোকণার সাথে কেমন জানি একটা মায়া বসে যায়! চিরচেনা রাস্তার সাথে সম্পর্ক খুব গভীর পর্যায়ে চলে যায় ঠিকই, কিন্তু কেন জানি মানুষ দুটোর ভেতরে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়! যতদিন যেতে থাকে ততই একজনের সাথে আরেকজনের হৃদয়ের বন্ধন ছিন্ন হতে শুরু করে! মানুষ বাস্তবতার দোহাই দিয়ে চলে যায় কিন্তু আসলে তারা নিজের স্বার্থের জন্য দূরে সরে যায়! ইচ্ছে করলে তারা থেকে যেতে পারতো! পথটা পথিকে ঠিকই ভালোবেসে ফেলেছে, তুমি মানুষ হয়ে কিভাবে চলে গেলে?

ফিরোজ আহমেদ জুয়েল

ছবি
  প্রিয়তমা তুমি জানো কি না,জানিনা, আমার নিরব চোখের ভাষা; তুমি বোঝো কি না,বুঝিনা, সুপ্ত হৃদয়ের না বলা কথা; তবুও ভালোবেসে যাবো অন্তবিহীন, করে যাবো তোমার আমি,শুভ কামনা। আমার নিরব ভাষার সাক্ষি, প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা- গাছ পালা আর পশুপাখি; নদীর ঢেউ এর সাথে মিতালি করে, জানাবো আমি,মনের অভিব্যক্তি; তবুও তোমায় বলবোনা কখোনো, সদা একরাশ আমি ভালোবাসি।  আমার মনের ফুলদানিতে আছে, তোমার সৌরভেরই ছোঁয়া; রেশমি চুলের সুবাসে হৃদয়, ব্যকুল মাতওয়ারা; তুমি জানবেনা কোনদিন,জানতেও পারবেনা; কি ছিলো আমার মনে, তোমার প্রতি অপ্রিতিম ভালোবাসা। ভয় হয় যদি তুমি,ভুলবুঝো আমায়, নিরবে বলে যায় ভালোবাসি তোমায়; যেটুকু পেয়েছি আমি স্মৃতি হয়ে রবে, অবসরে একাকি না হয়, স্বপ্নে মিশে যাবে।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
আনমনে একটু স্পর্শ,মিষ্টি হাসি, আর - আধফোঁটা মুখ নিঃসৃত শব্দগুলো, বদলে দিয়েছিল আমাকে, ভুলিয়ে দিয়েছিল,প্রিয়াহীনের অদৃশৃ যন্ত্রণা,আবছা হচ্ছিল স্মৃতি। ডেকে সে ছাড়াতো শয্যা, হয়তো বলতে চাইত - "ওঠো খেয়ে নাও", "বেরোতে হবে", কর্ম জীবনের দৈনিক রুটিনে। ভরসা যোগাত, আশ্বস্ত করত, জীবনের প্রতি ক্ষণে, প্রতি মুহূর্তে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেই, তার দর্শনে দুর হত সমস্ত ক্লান্তি, চিন্তা,অবসন্নতা। পাশে এসে বসে শোনাত, সারাদিনের অভিযোগ,অনুযোগ,আর - শেষে চলত তার মান-অভিমান, ভাঙ্গানোর পালা, আদরের পালা। এমনি করেই কাটছিল,আনন্দের দিনগুলি, আর চলছিল অতীত বিয়োগ যন্ত্রণার উপর প্রলেপ। হঠাৎ একদিন নিয়তির ডাকে অকালে, সে ও, কন্যা ও চলে গেল, আর আমি হয়ে পড়লাম,একা সম্পূর্ণ একা,প্রকৃত একা, আর - আজ ও খুঁজে বেড়াচ্ছি, তাদের নিজেরই আনমনে, অজানা জগতে, যদি একটিবার, অন্তত একটিবার, স্ব-বিলীন এর আগে, কোথাও দেখা পাই।