পোস্টগুলি

মার্চ ১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি শরিফুর রহমান এর কবিতা

ছবি
চলো গাঁয়ে ফিরি শরিফুর রহমান ফিরে যেতে ইচ্ছে করে গাঁয়ে ভাল্লাগেনা স্বার্থপর -এ শহর,  মেঠো পথে হাঁটবো খোলা পায়ে মন টেকে না অট্টালিকার 'পর। সোঁদা মাটির গন্ধ ভালো লাগে ভাল্লাগেনা কালো বিষের ধোঁয়া, সবুজবীথি হৃদয় মাঝে জাগে মন স্বাধে না স্বপ্ন অাকাশ ছোঁয়া। গাঁয়ের মানুষ বড্ড সরল মনা  ভাল্লাগেনা মুখোশ পরা আপন, পল্লী মায়ের বুকে ফলে সোনা মন চাহে না শহরঘ্যাষা যাপন। চলো ফিরি নীল-সবুজের কোলে ভাল্লাগেনা হাজার সিঁড়ির তোপে, গাঁয়ের স্মৃতি প্রাণে দোদুল দোলে মন থাকে না ইট-পাথরের খোপে।

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১৭ ভালো থেকো মমতা রায়চৌধুরী সবদিক থেকে একটা কালশিটে পড়া চাপা কষ্ট  যেন অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ছিল ।যেমন করে বেগুন পোড়ালে উপরটা কালশিটে পড়ে যায় আর ভেতরটা নরম। মনোজের ঘরে সকালবেলা উঁকি দিয়ে ফোনের কথাবার্তাগুলো ভাসা-ভাসা রেখার কানে এসেছিল। স্কুলে গিয়ে সারাদিন সেই কথাগুলো তার মনের আকাশে উঁকি দিয়ে গেছে ।একটা অদম্য কৌতুহল যেনো কাজ করেছে ,ঠিক যেমন করে সামুক যখন ঢাকা খোল থেকে বেরোয় ঠিক তেমন। স্কুলে কাজ করেছে ঠিকই মন বসাতে পারেনি। বারবার শুধু মনে হয়েছে দাম্পত্য জীবনের রসদগুলো কি এভাবেই ফুরিয়ে যায়? টেবিলে গাদাগুচ্ছ প্রোজেক্টের খাতা জমেছে।  বেশ কয়েকটা খাতা দেখার পর আর মনেই হচ্ছে না খাতাগুলো দেখে। বারবার মনের ভেলায় পাড়ি দিচ্ছে বেখেয়ালি মন।কর্তব্যনিষ্ঠ শিক্ষিকা হিসেবে সুনাম আছে তার স্কুলে। সারাদিন হয় বই, না হয় ক্লাস, কিছু-না-কিছু বিদ্যালয় সংক্রান্ত কাজ রেখা করতেই থাকে। এজন্য  সারাদিন কাজের শেষে বাড়িতে ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে ফেরে। ফিরে কিন্তু সে ঘাড়ের ব্যথাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়। বাড়িতে এসে তার কর্তব্যের কোন অবহেলা হয়না ।রেস্ট বাদ দিয়ে সাংসারিক কাজকর্ম করে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১৬ মনের হদিস কে বা জানে? মমতা রায় চৌধুরী ভোরের দিকে সবেমাত্র চোখটা লেগেছে অমনি ফোন বেজে উঠলো।ফোনের আওয়াজে রেখার বুক ধড়ফড়ানি শুরু হল। আশ্চর্য হয়ে ভাবলোএত সকালে কে করবে? আর কি কারণেই বা প্রথমেই যতসব অশুভ কথাগুলোই মনে আসতে থাকে। তবুও ভয়ে ভয়ে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করে। ভাল খারাপ যাই হোক । তার তো সামনাসামনি দাঁড়াতেই হবে । কাজেই বিলম্ব না কোরে ফোনটা তুলে বলে ''হ্যালো'।  প্রথম দিকটা একটু চুপ থাকে তারপর যখন আবার বলে 'হ্যালো '। তখন অন্য পক্ষ উত্তর দেয়' দিদি আমি' সমু' বলছি।' হঠাৎই সোমদত্তার ফোন আসে রেখার কাছে। একটু অবাক হয়ে যায়। এতদিন পর ফোন  করেছে, কি ব্যাপার? ভেতরে একটা কৌতুহল থেকেই যায়। একেবারে বিছানায় উঠে বসে রেখা। ঠিক শুনলো তো গলাটা। সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে বলল কে সমু? একটু নীরব থেকে উত্তর দেয় ', হ্যাঁ, দিদি।' 'এত সকাল বেলায় ফোন করছিস? সব ঠিক আছে তো? কি হয়েছে? কাকু ,কাকিমা ঠিক আছে?'  যদিও কালকে কাকু কাকিমার সঙ্গে কথা হলো রাত্রের মধ্যে আবার কি হলো মনে মনে ভাবল। ' হ্যাঁ ,সবাই ঠিক আছে।  'তাহলে হঠাৎ ফোন

কবি মিতা নূরের কবিতা

ছবি
শুধুই ভুল বুঝে গেলে মিতা নূর শুধুই ভুল বুঝে গেলে তুমি আমার না পাওয়া গল্প হয়ে রয়ে গেলে ,  কেমন যেন নিঃস্ব লাগে, শূন্য লাগে সব,  বুকের ভেতর, একটা কষ্ট কষ্ট অনুভূতি হয়,  অনুভূতি টা ঠিক কষ্টেও না,বেদনারওনা, কেমন যেন একটা চিনচিন অনুভূতি!  সেই অনুভূতিতে সূক্ষ্ম একটা আফসোস জড়িয়ে আছে,  অবশ্য এইসব অনুভূতিতে কারোর জীবন থেমে থাকেনি,  আচ্ছা একটু বলবে আমায়,কি অপরাধে ভুল বুঝে চলে গিয়েছিলে?  ভেঙে চুরমার করে গুছিয়ে রাখা সপ্ন গুলো! তুমি সেদিন পেরেছিলে চলে যেতে, কিন্তু আমি পারিনি যেতে,  আমি চাইনি তোমার থেকে দূরে যেতে,চাইনি এভাবে আমাদের  বিচ্ছেদ  ঘটে যাক। সেদিন তুমি দিব্যি চলে গিয়েছিলে, একবারও চোখে পড়েনি তোমার,  আমার চোখের বর্ষন, অথচ এই চোখে সামান্য জল টুকুও তুমি সইতে পারতে না।  তুমি চলে যাওয়ার পর আমি একটু ভেঙে গিয়ে ছিলাম, ঠিক একটু নয়,  অনেকটাই ভেঙে গিয়ে ছিলাম, তবে বিশ্বাস করো তুমি, কাউকে বুঝতে দেইনি আমি, আমি যে ভেঙে যাওয়া ভাঙাচোরা একজন।  প্রতি সকালের আকাশে তোমায় খুঁজতাম, শিশির ভেজা চোখে,  তোমার মুখটা ভেসে উঠতো কুয়াশার ভীড় ঠেলে,  তখন আকাশের ডানাভাঙা পাখির মতো ছটফট করে মরতাম। এমন করে কতটা ভোর কাটিয়েছি, তো