পোস্টগুলি

মার্চ ১১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সানি সরকারের কবিতা

ছবি
পোড়া পাখি সানি সরকার আমার জ্বর হয়েছে। পুড়ে যাচ্ছি  অতঃপর, দেখলাম  আমাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল  গলিয়ে ফেলা হল ধাতুর মতন...  আমার কান্না পেল না  আমার শুধু দেখতে ইচ্ছে হল  তোমাকে  পাখিটি ডাকছে?  পাখিটি ঘুমিয়ে পড়েছিল?  ঘুম ভাঙার পরে পাখিটি ডাকছে আবার?

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৩০ পরান বীণা সুরে সুরে ভরে যাক মমতা রায় চৌধুরী যাক বাবা শেষ পর্যন্ত রাজি করানো গেল।এবার শুভস্য শীঘ্রম। শেষ পর্যন্ত পরিণতি পাক এটাই প্রার্থনা। আজকে পার্থ কত খুশি ছিল ।সত্যিই তো তাই। মনের মানুষকে যদি কাছে পায়,আরো আপন করে পায় । তার চেয়ে সুখী আর কে আছে। রেখা মনে মনে বারবার বলতে থাকলো  'ভগবান ওদেরকে সুখী করুন। ওদের দাম্পত্য জীবন মধুর হোক,সুখের হোক ,আনন্দের হোক,বিশ্বাসের হোক ,বন্ধুত্বের হোক। এভাবে ওদের পরান বীণা সুরে সুরে ভরে যাক। এসব ভাবতে ভাবতে বাড়িতে ঢুকছে। বাড়ির দরজা হাট করে খোলা।কে এসেছে রে বাবা। রেখা আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকলো। ঘরে ঢোকার মুখেই শুনতে পেল মনোজের মগজ ধোলাই হচ্ছে। 'এত আস্কারা দিস না বউকে।একে তো চাকরি করে, তারপর সব ব্যাপারে যদি সাপোর্ট করিস বুঝতে পারছিস??' মনোজ বললো 'ওএমন কিছু করে না তো যার জন্য ওকে সাপোর্ট করবো না?' ', মা ভাইকে বুঝিয়ে কোন লাভ নেই। ওর ভালো ও বোঝে না। ওরে আমরা কি তোর  শত্রু।' 'কি বলব বলো তো?' 'এই যে পাড়া-প্রতিবেশী যে যখন ডাকছে অমনি তাকে চলে যেতে দিস ।পাড়া-প্রতিবেশীরা ওর মাথা খেতে পারে না ?'

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১২৯ মনের হদিশ কে বা জানে মমতা রায়চৌধুরী রেখার গোধূলি বেলা আজ শুধু অন্য ভাবনায় কেটেছে। সন্ধ্যেবেলাটায়  রয়ে গেল তার রেশ। একরাশ টাটকা বাতাস এসেছিল বহুরূপী নৃত্য প্রদর্শনে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকার সময়  হঠাতই বেখেয়ালি মনে আসে ঢাকঢোল পেটানোর আওয়াজ ,ভাবনা চলে যায় অন্য  জগতে ।তাড়াতাড়ি উঁকি দিয়ে  দেখতে থাকে কি হচ্ছে। মিলি, চুনু,কটা ওরা এত জোরে চেঁচাচ্ছে  বাধ্য হয়েই তাকাতে হল ,ব্যাপারটা কি ,দেখার জন্য। 'ও বাবা কতদিন পর বহুরূপী।' এই সব শিল্পীদের কদর কোথায়? হারিয়ে যেতে বসেছে। বহুরূপ  ধারণ করে কিছু টাকা উপার্জন করে তারা যেভাবে  মানুষের মনোরঞ্জন করছে, উপরী পাওনা হিসেবে মানুষের মনের খিদেটা উপশম হয় বটে কিন্তু যারা বহুরূপী সেজে মনোরঞ্জন করল তাদের ভাড়ারে কি থাকলো? এটা আমরা কেউ চিন্তা করিনা। দু এক টাকা দিতেই হাত কেঁপে ওঠে। রেখার ইচ্ছে হয়েছিল কিছু টাকা ওদের দেয় কিন্তু টাকা বের করে নিচে নামতে নামতে ই বেরিয়ে যায়। 'একজন '' আরেকজন' পার্বতী 'বেশ দারুন লাগছিল? হঠাৎই শাশুড়িমা আর মনোজের চিৎকারে রেখার ধান ভাঙ্গে। রেখা ব্যালকনি থেকে কান খাড়া
ছবি
তুই নামুক অসুখ - মিতা নূর যদি আমি সব ব্যথা ভুলে যাই.....    যদি ভুলে যাই তোর দেওয়া আঘাত....  তবে প্রতি রাতে তোকে ভেবে, শিশির চোখে কাঁদবে কে?  যদি ভুলে যাই তোর দেওয়া, তোর প্রিয় নাম যদি পুড়িয়ে ফেলি জমিয়ে রাখা,স্মৃতিদের খাম তবে দিন শেষে একাকীত্বের ভার সইবে কে?  যদি ঢেকে দেই হৃদয়ের আয়নায় রাখা, তোর প্রিয় মুখ... যদি বেছে নেই ফের, নতুন কোনো সুখ... তবে আমার মতো করে, তোকে ভালোবাস কে, শত বকুনি খেয়েও হাসবে কে..?  তার চেয়ে ভালো, আমার ভেতরই থাকুক... খুব করে , তুই নামুক অসুখ !!