পোস্টগুলি

অক্টোবর ১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শকুন্তলা সান্যাল

ছবি
শ্লথ দিবস একটা গোটা দিন কেমন কেন্নোর গতিতে হেঁটে গেলো একটা সিলিং ফ্যান সারাদিন ঘুরে চললো কেন্নোর পায়ের জলছাপ শুকিয়ে গেলো  গলার ভেতর তেষ্টা তেমন করে জলও পেল না । এমন সময় একটা পাথরেরও  আকার পেয়ে যাওয়ার কথা। এমন সময়ে মহাভারতের একটা পর্বও শেষ হওয়ার কথা। এমন সময়ে জল  সাবান কাচায়  বাসন মাজায়  ঘর মোছায়  শরীর বৃত্তে ,কতো কতো চক্কর কাটে। এতো বৃষ্টি হয়েছে আজ  গঙ্গাও তেমন করে বইতে পারেনি জল। অথচ টিভি র খবরে জানা গেলো  একটি পরিবারের মাথার ওপর বাড়ি ভেঙে পড়েছে।  আর তাতে একটি বৃদ্ধা একটি শিশু মারা গেছে , এবং একটি শিশু জন্মেছে..

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "৭

ছবি
ধারাবাহিক ভাবে  প্রকাশিত  হলো  লেখক জাফর রেজার  ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত  "  মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান।                          ক্ষণিক বসন্ত                                                                                   (  শেষ পর্ব )                                    নী রবতা ভাঙল বুলা। __ বাবা, মা ফোন করেছিল, আমাকে দেশে চলে যেতে হবে, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি বুলা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম, মনে হলো সব কিছু যেন থেমে গেছে, চারপাশের হাজারো মানুষের এমন কি বুলার অস্তিত্বও অনুভব করছিলাম না। বুলাই বলল__ এখানে আমার এক মাসীর কথা বলেছিলাম না, সেই মাসী বাড়িতে জানিয়েছেন, এখানে আমি এক মুসলিম ছেলের সাথে প্রেম করছি, সবসময় এখানে সেখানে দেখা যায়। আমি বাবা,মাকে যা বলার বলেছি, কিন্তু ওনাদের দৃষ্টিতে আমি পাপ করে বেড়াচ্ছি। আমি কিছু বলতে পারছিলাম না তবুও অনেক কষ্টে জিজ্ঞেস করলাম __ যেতে কি হবেই ? __ হ্যা আমি যাব, আমার পরিবারকে আত্বীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীর কাছে ছোট করবোনা, তাছাড়া আমিতো কোন অন্যায় করিনি, এই কথাটাও ওদের বোঝার প্রয়োজন আছে, বুলা বেশ কঠিন ভাবেই

জারা সোমা

ছবি
ব্যথা সকালে আকাশের মুখভার হলে উদাসীনতা বন্ধক রাখে ছুৎমার্গ ব্যথার সঙ্গে সমুদ্র ভ্রমণে যায় আরেক ব্যথা  মেঘ ছুঁয়ে যায় আকাশের বুক    আরও জমাট হয় গোপন দাগ  বাউন্ডুলে জীবনের অভ্যাসী সংলাপ    অন্তর্লীনে দেয় জ্যামিতিক মোচড়  ঢেউয়ের কথায় উঠে আসে ভাসান-বিগতশোক।   নোনাজলে ডুবতে থাকা নিঃসঙ্গতা   কখনো বোঝেনি সুদূর-বসতের ছায়াসঙ্গীর ব্যথা।।  

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"১২তম পর্ব (ধারাবাহিক মুক্তগদ্য)

ছবি
সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা                                                                                ( ১২ তম ,শেষ পর্ব) প্রত্যক স্ত্রীই তার স্বামীর কাছ থে‌কে ভালোবাসা আশা ক‌রে। স্বামীর উচিৎ হ‌বে, স্ত্রীকে ভালোবাসা ও তার প্রতি সহানুভূ‌তি প্রদর্শন করা। সকল স্ত্রীরাই স্বামীদের কাছ থেকে ভালোবাসার বহির্প্রকাশ দে‌খে আনন্দ পায়, দারুন খু‌শি হয়। কা‌জেই স্বামী‌দের‌কে এ বিষয়টি‌কে গুরুত্ব দেয়া খুবই জরুরী। স্বামীর উ‌চিৎ হ‌বে স্ত্রীর প্রতি‌টি কাজে প্রশংসা করা ও উৎসাহ প্রদান করা। স্ত্রী‌কে কথায় ও কা‌জের মাধ‌্যমে ভা‌লোবাসা প্রকাশ করতে হবে আর বিষয়‌টি যেন স্ত্রী এভা‌বে বু‌ঝে যে, তার স্বামী তা‌কে প্রতি‌টি ক্ষে‌ত্রে য‌থেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। সাংসা‌রিক কাজক‌র্ম ও উন্নয়ন বিষয়ক ‌বি‌ভিন্ন বিষ‌য়ে স্বামী‌কে স্ত্রীর সা‌থে শেয়ার করাটা খুবই জরুরী। স্বামীকে কা‌জে-ক‌র্মে, ব‌্যবহার ও আচর‌ণে বুঝা‌তে হ‌বে যে, সে তা‌কে শুধুমাত্র রাঁধুনী কিংবা দৈহিক আনন্দের উপকরণ ভাবছে না বরং স্ত্রীকে সে তার জীবনসঙ্গী হি‌সে‌বে তার প্রধান সহযোগী, তার সন্তানের মা, বিপদে আপ‌দে সে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অ‌তি আপনজন ভাব‌ছে। এসব করা বা প্রদর্শ

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২

ছবি
উদাসী মেঘের ডানায়                                                                          (পর্ব দুই )                             অ পু যথা সময়ে রেষ্ট হাউজে এসে তৃষ্ণা কে নিয়ে এলো,অপু গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বললো -সাদা শাড়িতে খুব নির্মল লাগছে তোমাকে।  তৃষ্ণা হেসে বললো - আর বুঝি কথা খুঁজে  পেলেনা অপু-সত্যি বললে বুঝি দোষ, কতকাল পরে তোমাকে শাড়ি পড়া দেখলাম, সমুদ্রের জল ছোঁয়া আধো ভেঁজা শাড়িতেও তোমাকে অপূর্ব লাগছিলো তখন। ঃএখন পছন্দ হচ্ছে নাতো সালোয়ার কামিজে এটা    সরাসরিই বলো। ঃনা, মানে ঃথাক খুব হয়েছে সায়মনে এসে গাড়ি পার্ক করে ওরা রুমে ঢুকলো তৃষ্ণা বিশাল কাচের জানালার সামনে এসে দাড়িঁয়ে বললো- বাহ রাতের সমুদ্র কি অপরুপ লাগছে চাঁদের আলোয় এক মায়াবী খেলায় মেতেছে জল। ঃ হুম,আমি এলে এখানেই উঠি, একা, একা দেখি আর একজন কে ভাবি। ঃবউ কে খুব মিস করো না? ঃ না, একজন কে করি, সে পালিয়ে বেড়ায় আমার কাছ থেকে। ঐদিকে গর্জন করে আছরে পড়ছে সমুদ্রের  ঢেউ আর কাচের জানালা ভেদ করে তচনচ হচ্ছে দুটো মন কেউ কথা বলছেনা কেবলই দেখছে যতদুর দৃষ্টি যায় পাড়ে আছরে পড়া ঢেউয়ের আকুতি, তৃষ্ণার মনে হলো এতো রাগ কিসের সমুদ্রের, কি চায় সে...? হঠা

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৭

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                  টানাপোড়েন (পর্ব- ১৭ )                                                                                     স্বপ্নচারিনী                                   সৌ রভের কথাটা তৃপ্তির মনে দাগ কেটে যাচ্ছে। সত্যি একটাই তো জীবন। এই জীবনে যা যা কিছু পাওয়ার আছে, কেন পাবে না সে? যদি স্কোপ থেকে থাকে ,কেন পড়ে থাকবে শেখরের সঙ্গে? না কিছুতেই না। মনে মনে এসব ই  ভাবছে গোধূলি লগ্নে সূর্যের আলোটা যেন কামরাঙ্গা রং এর মতো নতুন রূপ ধারণ করেছে। সূর্যের কামরাঙা রং  যেন চোখে মুখে মেখে নিতে চাইছে তৃপ্তি।।জানলার কাছে দাঁড়িয়ে পিংক কালারের সার্টিন এর পর্দাটাকে ধরে ,ফিরে গেল সেই কলেজ লাইফে ।সৌরভের সেই হলুদ খামের চিঠি পেয়ে তৃপ্তি খুব অবাক হয়ে গেছিল । চিঠিতে লেখা ছিল  'একটু ভাবো ,শুধু তোমার জন্য।' আজকে সেই কথাটাই বারবার মনে পড়ছে ।তারপর কি হল ?সৌরভের কিছু ডেপোমি ভালো ‌লাগে নি তৃপ্তির।তখন তার সামনে যেন শেখরের

দেবাশিস সাহা

ছবি
চুলদানি অমরত্বের লোভ দেখিয়ে এ কোন চুলদানিতে নিয়ে এসে রাখলে দয়াল?  কামিনী কাঞ্চনের ম ম নাচ,চোখ ফেরালেই অজস্র হাত।যাদের ভাতা আছে ভাতার নেই।ভিক্ষাশ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার দেশ।মল আছে ত্যাগ নেই।গাছ কাটা কসাই পরিবেশবান্ধব। বায়বীয় সম্পর্ক শুধুই কাগজের ফুল।গন্ধ বললেই ভেসে ওঠে সারি সারি পোড়া লাশ।টাকার ঢিবি করার নেশায় সময় রঙের মানুষ শুধুই ছুটছে। ছুটতে ছুটতে নিজের গন্তব্য পেরিয়ে চলে যাচ্ছে অন্য এক চুলের দেশে।সেখানে কোনো ফেরা নেই।এক ভাদুরে দম্পতি রাস্তা আটকিয়ে প্রেম শেখায়।কেউ কিছু শেখেনা।ভুলে যাওয়ার ভান করতে করতে ভুলে যায় সেও একদিন মানুষ ছিলো। 

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
অপরূপা পৃথিবী এক  সুন্দরী নারী। তোমারে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই রুপময় জগতে            শত শত মনুষ্য থাকে। তোমারীই রুপের প্রেমপূজারি আমি। চাহিলানারে তাহার দিকে  বাসিলানারে ভালো তারে  কেন!রে অপরূপা সুন্দরী। এই রুপময় মায়ার সংসারে মোরে ছিন্ন করছো কেনো গো তুমি! পৃথিবী এক সুন্দরী নারী।। তোমারীই রুপ দেখিয়া পাগলের বেশে ঘুরি আমি।   চাহিলানারে তাহার দিকে  বাসিলানারে ভালো তাকে  কেন!রে অপরূপা সুন্দরী

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস"৫

ছবি
নতুন  ধারাবাহিক " কালো ক্যনভাস  " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                      কালো ক্যনভাস                                                                               ( ৫ ম পর্ব)                                       ল জ্জায় লাল হয়ে পর মুহূর্তেই ভয়ে শিউরে উঠেছিল নীলা। কেউ দেখে ফেললে কি হতো ?  তের বছরের কিশোরী হলেও এটা সে ভালই বুঝেছিলো   যে এটা খুব খারাপ  কাজ। এর পর থেকে ইশতিয়াক  স্যার  প্রায়শই  সুযোগ পেলেই  নীলার সাথে অশোভন আচরণ করতে লাগলো। একসময় স্যারের প্রতি  একটু প্রেম তৈরী হয়েছিলো কিন্তু ক্রমে তা বিরক্তিতে রূপ নিল।  নীলার  সপ্তম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল  এমন সময় নীলার নানা  অসুস্থ  হয়ে পড়লেন। নীলার মা হাসপাতালে গেছেন  নয়নকে নিয়ে। নীলা বাসায় একা। ইশতিয়াক  পড়াতে এলেন। যথারীতি  বই খাতা নিয়ে পড়তে বসল নীলা। ইশতিয়াক। নীলার হাত মুঠোয় নিয়ে বলল - আজকে পড়া থাক নীলা, চলো আজকে  আমরা মজা করবো। জড়োসড়ো হয়ে নীলা বলল - আমার তো কালকে পরীক্

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  আজ থেকে শুরু হলো    লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস "বনফুল"                                                                            বনফুল                                                                                                  ১ ম পর্ব                            জুঁ ইয়ের আজ ভার্সিটির প্রথম দিন, বেশ পরিপাটি হয়ে মাকে বললো, মা আমি যাচ্ছি ।মা বললো এসো। সাবধানে যেও।জুঁই গাড়িতে উঠে বসতেই ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট  করলো। জুঁই মনেমনে অনেক খুশি, কতদিন এই দিনটির জন্য অপক্ষা করছে। জল্পনা কল্পনা করতে করতে কখন ভার্সিটির গেইটে গাড়ি এস থামলো, জুঁই গাড়ি  থেকে নেমে হাটতে হাটতে দু চারটে মেয়ে একসঙ্গে যেতে দেখে জিজ্ঞেস করলো ফার্স্ট ইয়ার ক্লাস কোন দিকে?   দোতলায় বাম পাশের দিকটায়, হন হন করে সিঁড়ি বেয়ে দু তলায় উঠার সময় দেখতে পেলো পলাশকে, পলাশের ও চোখ পড়লো জুঁইয়ের দিকে।  পলাশ সিঁড়িতে কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে ভাবলো এই মেয়েটাকে এর আগে কোনো দিন ভার্সিটিতে দেখিনি তো !   ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে, হবে হয়তো, যাকগে এসব নিয়ে আমার ভাবার

jbh

LOVE

addcf

LOVE