০১ অক্টোবর ২০২১

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস"৫

নতুন  ধারাবাহিক "কালো ক্যনভাস "
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  







                  কালো ক্যনভাস

                                                                              (ম পর্ব)



                                      জ্জায় লাল হয়ে পর মুহূর্তেই ভয়ে শিউরে উঠেছিল নীলা। কেউ দেখে ফেললে কি হতো ?  তের বছরের কিশোরী হলেও এটা সে ভালই বুঝেছিলো   যে এটা খুব খারাপ  কাজ। এর পর থেকে ইশতিয়াক  স্যার  প্রায়শই  সুযোগ পেলেই  নীলার সাথে অশোভন আচরণ করতে লাগলো। একসময় স্যারের প্রতি  একটু প্রেম তৈরী হয়েছিলো কিন্তু ক্রমে তা বিরক্তিতে রূপ নিল।
 নীলার  সপ্তম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল  এমন সময় নীলার নানা  অসুস্থ  হয়ে পড়লেন। নীলার মা হাসপাতালে গেছেন  নয়নকে নিয়ে। নীলা বাসায় একা। ইশতিয়াক  পড়াতে এলেন। যথারীতি  বই খাতা নিয়ে পড়তে বসল নীলা। ইশতিয়াক। নীলার হাত মুঠোয় নিয়ে বলল
- আজকে পড়া থাক নীলা, চলো আজকে  আমরা মজা করবো।
জড়োসড়ো হয়ে নীলা বলল
- আমার তো কালকে পরীক্ষা।
- ঠিক আছে  রাতে পড়ে নিলেই হবে। পরে  আন্টি চলে এলে আর সুযোগ পাবো না
 ছোট হলেও ইশতিয়াকের  ইশারা বুঝে গিয়েছিলো নীলা সে  সজোরে মাথা নাড়তে লাগলো
- না না না  ইশতিয়াক ততক্ষনে নীলাকে জরিয়ে ধরে  চুমু খেতে শুরু করেছে। নীলাকে সে পিষে  ফেলতে চাইছিল  তার  দুই হাত নীলার  সারা শরীর হাতরে বেড়াতে লাগল।  একসময়  ইশতিয়াক কে  ভয়ংকর  দানব মনে হলো নীলার কাছে। নীলাকে বিবস্ত্র  করে তার উপর চেপে বসল ইশতিয়াক। নীলা শুধু অনুভব  করল  তার তলপেট  প্রচন্ড  ব্যাথায় ফেটে  যাচ্ছিল  সে প্রানপনে  একবার শুধু বলল,  
- আমাকে ছেড়ে  দিন স্যার।
ভয়ে  উত্তেজনায়  জ্ঞান হারাল নীলা।  যখন  জ্ঞান ফিরল  নিজেকে  আবিস্কার করল  হাসপাতালের কেবিনে। মা আর বাবা দুজনে বসে আছে তাঁর দু পাশে উৎকন্ঠিত  চেহারা নিয়ে। অস্ফুটে  একবার শুধু বলল, স্যার প্লিজ স্যার  ছেড়ে দিন।
পানিভর্তি  চোখ নিয়ে নীলার মুখের উপড় ঝুকে পড়ে  মা বললেন
- নীলা  মা আমার  এইযে আমি , ভয় নেই মা।
শরীরের  নীচের অংশের ব্যথায়  বিকৃত হয়ে গেল নীলার মুুখমন্ডল।  
                                              



                                                                                                                                  চলবে ,, ,,,,, ,,,, ,,,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much