পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা

ছবি
  রীতি মোঃ ইসমাঈল  আহা কতই না সুন্দর দেখতে ফুল চোখ আসে জুড়িয়ে হয়ে যায় ব্যাকুল।  যখনই নাকে আসে ফুলের ঘ্রাণ পরম শান্তিতে জুড়ায় এ মন ও প্রাণ।  মৌমাছিরা ফুল থেকে করে মধু আহরণ তোমারই মনের গহিনে আমি করিবো বিচরণ। ফুল ফুটে বসন্তের ঋতুতে আমি হারিয়ে যাবো কেবল শুধু তোমাতে। ফুল ফুটে ফল ধরিয়ে যায় সে ঝড়ে মানুষ অভিনয়ের মাঝে যায় যে মরে। অবশেষে হয়ে যায় ফুলের ইতি অপরদিকে মানুষের বেঁচে থাকে শুধুই স্মৃতি।

মমতা রায়চৌধুরীর পত্রিকা

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ১১৫ থাকো জাজ্জ্বল্যমান হয়ে মমতা রায়চৌধুরী টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টির পর শীত প্রভাতের কাঁচা সোনালী রোদ্দুর যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে ।পথের ধারে নির্জীব গাছগুলোর শিশির চাকচিক্যে ভরিয়ে দিয়েছে ।তবে বাতাস একটু  কড়া আছে ।বেলা বাড়ছে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ,যাতায়াত ,পথিক সংখ্যাও বেড়ে  চলেছে ।শীতকালে কাশ্মীরি কোম্পানির নানা রঙের শাল , রেপার এবং নানা রংয়ের বালাপোষ পথচারীরা শরীর ঢাকাতে  রবির ছটা যেন আরো বেশি বর্ণ বহুল হয়ে উঠেছে। রেখা অনেকদিন পর ছাদের অনুচ্চ আলিশার ধারে দাঁড়িয়ে এই সব দৃশ্যগুলো দেখছিল। এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি আজ স্কুলে যাবে কিনা। তবে শরীরটা তো সাথ দিচ্ছে না  রান্না তো এখনো বসায় নি। না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।মাসি এসে কাজ করছে। এই মাসিকে বেশি কিছু দেখানোর নেই। মাসিকে একবার বুঝিয়ে দেয়াতে , সব বুঝে গেছে। এমন সময় রেখার ভাবনা পাশের বাড়ির  দিকে ।নজরে আসলো শূন্য বাড়িটার বাইরের দিকে তাকিয়ে ,একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলল।' বেশ কয়েকদিন হল চৈতির মা নেই। রেখা শুনেছি মেয়ের বাড়ি থেকে একটু বাবার বাড়ি হয়ে আসবে কেমন শূন্যতা ঘিরে আছে যেনো বাড়িটাকে অথচ এ

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা

ছবি
  ভাষা সেলিম সেখ  বাংলা মোদের গর্বের ভাষা পেয়েছি শত কষ্টে, সেই ভাষাই শুনবে তুমি সকল বাঙালীর ওষ্ঠে। বাংলা ভাষা শুনে মোদের প্রাণ ধড়ে তে ফিরে, বাংলা ভাষার অপমানে প্রাণ যে যায় ছিঁড়ে। পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়েছে আজ এই বাংলা ভাষা, বিদেশীরাও পড়ছে বাংলা বলছে দেখো খাসা। বাঙালির রক্তে মিশে আছে মোদের বাংলা ভাষা, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তায় সপ্তম স্থানে আসা। এই ভাষাতেই পড়ি লিখি এই ভাষাতেই গাই গান, বাংলা ভাষা না বললে বাড়বে কীভাবে মান।

কবি সৈয়দ আহম্মদ আশেকী এর কবিতা

ছবি
পালাব কোথায় সৈয়দ আহম্মদ আশেকী তোমাদের ছেড়ে আমি পালাব কোথায় ? এ মমতাময়ী প্রেম-ভালোবাসা মাখা মিশে আছে আমার প্রাণ। আমার শত জনমের পূর্ব পুরুষেরা এইখানে ঘুমায়ে আছে, আমার বাবা ,আমার দাদা তাঁর বাবার বাবা,দাদার দাদা তাঁদের স্পর্শ পাই সর্বত্র। মমতাময়ী মাটির পরতে পরতে বৃক্ষের কান্ডে,ডালে,পাতায় মুকুলে, ফুলে বাতাসের গন্ধে,সুস্নিগ্ধ নদী-ঝিলের জলে পাখির কলতান,আলো,বৃক্ষ ছায় তাঁদের ছেড়ে আমি পালাব কোথায়? এইখানে মাটির ঘ্রাণে মিশে গেছেন নবাব সিরাজ জন্মভূমি ছিলো যার বক্ষের পাঁজর, দরাজ মুক্তি কন্ঠের ঢেউ শেখ মুজিবুর রহমান, বহমানকালে শেরে বাংলা ফজলুল হক, দেশ প্রেমের উপমা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, শুদ্ধ মানব মাওলানা ভাসানী, উদ্যমী প্রাণ পুরুষ জেনারেল উসমানী স্বপ্ন সিঁড়ি-চুড়ায় স্বপ্ন ছিল; মেঘের ফাঁকে ফাঁকে ধবল চাঁদ উঠে হেসেছিল মায়ায় মায়ায় তাঁদের ছেড়ে আমি পালাব কোথায় ? টলমল নদীজল, সুনির্মল বায়ু দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ,সবুজের হাসি। এইখানে আমার ঘর,গ্রাম,নগর,বন্দর আমার স্বজন,প্রিয়জন,স্বপ্ন-কোলাহল।  রাধারমণ,বাউল করিম,হাছন,লালন ধানের শিষে কৃষকের আনন্দকেতন ঢেউ খেলে আঁকাবাঁকা হাওয়ায় এত সুখ রেখে আমি পালাব কোথায় ? এ মাটি আমা

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৪ পর্ব

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১৪ তম পর্ব  মনি জামান জিকুর মৃত্যুর পরে আসমা খুব ভেঙ্গে পড়েলো ঠিক মত ঘুমায় না ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না,ছেলেটাকে ও কাছে পেতনা সব সময় শাশুড়ি মোমেনা বেগম নয়নকে কাছে রেখে দিতো,আসমা নয়নকে কাছে ডাকলে মোমেনা বেগম আসমার কাছে আসতে দিতোনা ছেলেকে।ছেলে নয়ন ও দাদী মোমেনা বেগমের কাছে থাকতে থাকতে মা ছাড়া দাদীর কোলে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো,মা আর ছেলের দুরত্বটা বাড়ানোর জন্য মোমেনা বেগম মনে মনে সেই প্রথম দিন থেকে সুদুর প্রসারি এই কৌশল অবলম্বন করে সে সফল,যাতে মা আর ছেলের দুরাত্ব বেড়ে যায় কারণ মোমেনা বেগম মনে মনে চায় ছোট লোকের বাচ্চা আসমাকে এ বাড়ি থেকে বের করে দিতে। আজ হোক কাল হোক মোমেনা বেগম সেই সুদর প্রসারি যড়যন্ত্রের ফসল মা ছেলের এই দুরত্ব সৃষ্টি।জিকুর মৃত্যু আজ দেড় বছর হয়ে গেলো এই দেড় বছরে আসমার জীবনে নেমে এল চরম নির্যাতনের এক ভয়ংকর অধ্যায়,জিকুর মৃত্যুর পর মোমেনা বেগম আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো আসমা উপর এখন এই ছোটলোকের মেয়ে আসমা তার বাড়ির বোঝা হয়ে গেছে, তাই নিষ্ঠুর সব কৌশল একের পর এক প্রয়োগ করতে শুরু করছে। আসমার কোন কাজে ত্রুটি না পেলে ও অহেতুক আসমাকে গালাগালি মার ধোর শুর

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৪

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬৪) শামীমা আহমেদ  শায়লার ফোন ব্যস্ত পেয়ে শিহাবের ভেতরে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে।।যেন সাজানো বাগানে আচমকা  কালবৈশাখীর তান্ডব। শিহাব বুঝতে পারছে না সে এখন কি করবে? শায়লার নাম্বারে কি কল দেবে বা দেয়া উচিত  হবে? কিন্তু এমনতো হতে পারে শায়লা তার অনিচ্ছাতেই কানাডায় কথা বলছে।পরক্ষণেই শিহাব ভাবলো, না,শায়লাতো কথা বলতেই পারে। শিহাবের মন  কেমন যেন  দোদুল্যমান হয়ে যাচ্ছে।তবে কি শায়লা অন্য কিছু ভাবছে? তবে যে আজ সারাদিন আমাদের সাথে সময় কাটালো? যদিও রেস্টুরেন্টে তাকে বেশ চিন্তিত লাগছিলো।তবে কি নোমান সাহেব শায়লার সাথে যোগাযোগে আছে? কই শায়লাতো কিছু বললো না?আর এতদিন নীরব  থেকে এখন সে কেন শায়লার খোঁজ করছে।কিন্তু শায়লাতো বলেছে সে আমাকেই ভালবাসে। শায়লাতো বারবার এটাই বুঝিয়েছে।আরাফকে আপন করে নিয়েছে। আরাফও শায়লাকে খুব পছন্দ করেছে।তাহলে কেন এতটা কাছে আসা? তার জন্য এতটা আকুল হওয়া? আবার কি তবে তার জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটতে যাচ্ছে? শিহাবের  বিছানায় আর ভালো লাগছে না। মোবাইল নামিয়ে রেখে সে উঠে বসলো।  এক চাপা উত্তেজনায় ঘরময় হেঁটে চললো।এমন টেনশনের সময় সিগারেট  দরকার টে

কবি রফিকুল ইসলাম এর কবিতা

ছবি
আশাদীর্ণ অনুতাপে রফিকুল ইসলাম নন্দন ভুবনলোকে  আনমনে জাগে  কত স্বপ্ন  এলোমেলো  তৃষ্ণিত পলাতকা মন পরম আত্মীয় প্রিয়জন কত বন্ধু এল-গেলো।।  অনুভূতির সীমানায় কত কল্পনা কত প্রত্যাশার পায়চারী  কখনো অভিমানে পিয়াসী মনে আড়ি । স্বপ্ন বিন্যাসে নিশিদিন নীলকণ্ঠ ফোটে ধূলা মাটির মায়া মালিকায় বেগুনি প্রজাপতি নাচে বাতাসে গায়। ভালোবাসার অরণ্যে মুখ লুকায়  আবেগী বাসর সাজায় পাতার আড়ালে।  শত চুম্বনে অনুরাগে মায়ায় জড়ালে । ঘুম ভাঙা ভোরে ঝরে পড়ে সুখের শিশির  রোদেলা ক্লান্ত দুপুর  অদূরে হাঁসের ছানা জলে ভাসে  ব্যথার দেউলে বসে কত কথা মনে আসে। বিকেলের  সোনা রোদে  হলুদ ঝিঁঙে ফুল মাচায় দোলে প্রণয়ী পায়রা বাকবাকুম মাতে টিনের চালে। অলখ্যে হলুদ রঙে ঝরে পড়ে পাতার আয়ু  আশাদীর্ণ অনুতাপে বিমর্ষ-ম্লান জীবন সন্ধ্যা বিদায় আরতি জ্বালে  আঁধারের  নির্জন পথে।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস ১১৪ পর্ব

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ১১৪ বি ব্লক এর ২৩ নম্বর মমতা রায় চৌধুরী সারারাত ছটফট করেছে রেখা ।কি যে ভেতরে একটা উত্তেজনা অনুভব করেছে ফোনটা আসার পর থেকে ।কে হতে পারে ?কে হতে পারে? এই ভাবনা বার বার মোচড় দিয়ে উঠেছে তার হৃদআকাশে । একবার এপাশ, একবার ও পাশ করেছে। একটু অবাক হল আবার মনোজ আজও এ ঘরে শুতে আসে নি। অথচ আগে বলতো রেখার পাশে না শুলে নাকি ওর ঘুমই আসে না।  চুলের গন্ধে ওকে নাকি আলাদা একটা মাদকতা এনে দিত। এসব অতীত রেখা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ।একটা সময় পর বোধহয়  এরকমই  হয়  ।দাম্পত্য জীবনের একঘেয়েমি দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। রেখার  ও মনোজের জীবনে তো আরও তাড়াতাড়ি চলে আসলো ।এর কারণ অবশ্যই আছে, তাদের মাঝে সেতুবন্ধন ঠিকঠাক হয়নি ।আজ যদি ওদের মাঝে এক নতুন অতিথি র আগমন হতো, তাহলে কি সব কিছু অন্যরকম হতো। নাকি তিথি এখনো মনোজের মন জুড়ে আছে ।কিছুটা সময় হয় তো রেখার সঙ্গে মোহাবিষ্ট হয়ে জড়িয়ে ছিল ।এজন্যই হয়তো তখন তিথি ছিল নিষ্ক্রিয় । আজ রেখা নিষ্ক্রিয় হতে  চলেছে ।এমনিতেও রেখাকে পছন্দ করে না শাশুড়ি, ননদ ।মনোজের একরাশ ভালোবাসা সবকিছু ভুলে গেছিল কিন্তু আজ যদি ও  মুখ ফিরিয়ে নেয় ,তাহলে রেখার ভালোবাসা

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১৩ স্বপ্নের জগত  মমতা রায়চৌধুরী ফোনটা বেশ কয়েকবার রিং হবার পরে ফোনটা ধরল রেখা। রিম্পা দি বলল'কোথায় থাকিস' জিনিয়াস'? রেখাকে উত্তর দেবার আগেই বলল শোন তোর সঙ্গে অনেক কথা আছে তবে যেটুকু বলার আগে সেটুকু বলি ,সেটা হল তোর লেখা গল্প পড়ে অন্য একজন সম্পাদক তোর ঠিকানা চাইছিল । তোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় লেখা পাঠানোর জন্য।  আসলে প্রথম লেখাটা তো আমার ঠিকানা থেকেই পাঠানো হয়েছিল ওই জন্য বোধহয় আমাকেই ফোনটা করেছেন।আমি কিন্তু হ্যাঁ বলে দিয়েছি। তুই কিন্তু না করতে পারবি না? 'সে তো বুঝতে পারলাম কিন্তু তুমি আমার নামটা হঠাৎ করে জিনিয়াস রাখলে কবে থেকে?' 'বা,বা তোকে জিনিয়াস না বলে উপায় আছে। তাই এই নামটা আমি খুব খুঁজে বুদ্ধি খাটিয়ে  পেলাম ।তোর সঙ্গে এখন এটা খুব যায় ।একগাল হেসে রিম্পা দি বলল। রেখার হাসিতে যেন জোছনা ঝরে পড়ে যত কালিমা সব ধুয়েমুছে চলে যায় কোথায়। 'তা বেশ বেশ জিনিয়াস নাম নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আরেকটা নাম হল সে তো ভালো কথা। তবে নামকরণটা সার্থক হবে  কিনা সেটা একবার ভেবে দেখতে পারতে? শেষ পর্যন্ত দেখো কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন এর মত

কবি শহিদ মিয়া বাহার এর কবিতা

ছবি
ওফেলিয়া গঙ্গা নিতল শহিদ মিয়া বাহার ওফেলিয়া হাতে, বল্লরী রাতে বেঁধেছ বাধন  হ‍্যামলেট নই তবু অকারণ মৌ- শিহরণ, জলে-আলোড়ন  পরিযায়ী চোখে চেয়ে চেয়ে দেখি  বসন্ত -ছায়ার বয়লার দহন।  আকাশ-কুঞ্জে কার  চারু চারু মুখে তার শালবন সঙ্গীত দোলে বাতাসের পলে পলে, ভৈরবী রাগ তুলে  বেজে উঠে বিকেলের একতারা মন হায় উচাটন--- নর্তকী চুলে চুলে  হাওয়ায় হাওয়ায় দোলে মৌতালী চোখের চৈতালী বন। কঙ্কন হাতে, নির্ঝর রাতে  বাজাও তোমার ভায়োলিন সুর কতদূর-- আর কতদূর--- আকাশ মেঘের সীমানা তাহার ? আঁধার যাহার  আরন‍্যক পথে, হেটে যেতে যেতে বন্ধ কপাট খুলে, মন্দিরা চোখ তুলে  কত তারে দেখাবো,কত তারে শেখাবো মেগাবাইট মনের সমুদ্র অতল,  আমি বার বার বহুবার  ছেঁকে ছেঁকে ছুঁয়েছি   তাহার গঙ্গা মোহনা নিতল ।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১৩ তম পর্ব  মনি জামান সন্ধ্যার একটু আগে গাড়ি জিকুদের বাড়ির গেটের সামনে এসে দাঁড়ালো,সবাই গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো।শুধু সাংবাদিক ফিরোজ নিজ বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলো,জিকু ডাকলো ফিরোজকে কোথায় যাচ্ছিস তুই,ফিরোজ বলল,আমার অনেক কাজ আছে জিকু এখন যায় কালকে এসে কথা বলবো বলেই ফিরোজ হাঁটতে শুরু করলো বাড়ির পথে। আজ ফিরোজের কেন জানি আসমার কথা বার বার মনে পড়ছে মোমেনা বেগমের অহঙ্কারী মনোভাব ফিরোজকে কেন জানি খুব ভাবাচ্ছে,প্রশ্ন জাগছে মনে আসমা মেয়েটা ভাল থাকবেতো?আবার এটাও ভাবছে ফিরোজ আসমাকে নিয়ে ভাবনা তার বোধহয় ঠিক হচ্ছেনা কারণ আসমা পরস্ত্রী। সকাল হলো আসমার মা বাবা এসেছে জামাইয়ের বাড়ি নাতি ছেলে দেখতে,কিন্তু বেয়াইন মোমেনা বেগম একবারও ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলো না এমন কি তাদের বসতেও বললো না।আসমা তার মা ও বাবাকে ডেকে ঘরে নিয়ে বসালো,নয়নকে এনে মায়ের কোলে দিয়ে বলল,মা তোমার নাতি,জিকু এসে শশুর শাশুড়িকে দেখে খুব খুশি হলো তারপর শশুর শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলো মা এবং আব্বা আপনারা কেমন আছেন,শশুর শাশুড়ি বলল,ভালো আছি বাবা তুমি কেমন আছো,জিকু বলল,ভালো আছি আমরা।  জিকুর শ

কবি সৈয়দ আহম্মদ আশেকী

ছবি
প্রথম প্রেমের শিরোনাম সৈয়দ আহম্মদ আশেকী বিরহের একেকটি সময়  কতো মহাকাল দীর্ঘ হয় সে টুকুন বিরহানলে প্রজ্জ্বলিত প্রেমিক জানে। সুখ সময়ের সজ্ঞা খুবই ছোট্র হয়, আঁভা ও সুবাস ছড়ায়ে যে ফুল ফোঁটে; কালো ভ্রমর ও রঙিন প্রজাপতির ডানার কম্পনে মাতুয়ারা করে কানন। ফুলের কোমল পাঁপড়িগুলো মনলোভা হারালে একদিন সুখ-মোহের গুঞ্জন ভাঙে,  আনন্দের মন্থন ফুরায়ে যায়। আমার কাননে তুমি মৌসুমী  ফাগুণ হয়ে এসেছিলে। অনিন্দ ভালোবাসার পরশে পরশে মৃদু-মৃদঙ্গে ছুঁয়েছিলে পাঁপড়িদ্বয়, এতো ভাবাবেগ! এতো মায়া-ব্যাকুলতায় আমার হৃদয় কমলে জাগালে চৈতন্য। কম্পন উঠেছিলো প্রতিটি লোমকূপে, দেহের আপাদমস্তক আরশিনগরে, মাইকোকন্ড্রিয়ার উষ্ণাঞ্চলে প্রাণানুভুতির কেতনে পুলকে পুলকে দোল উঠে। ভালোবাসার জন্য বহমান স্রোতধারায় স্নায়ূর প্রতিটি কোষে বিদ্যুতায়িত হয়, স্বর্গানুভুতির বিভোরে সুখের মলাটে আমি শিরোনামে লিখে দিলাম তোমার নাম। সময় গড়িয়ে যায় দিবস-যামির প্রহরে প্রহরে, কতকাল কতদিন চলে গেলো তুমিহীনা সে টুকুন আমি টের পাই ক্ষণে ক্ষণে, জীবনের অনেকটা পথ পার হয়েও হৃদয়ের একাকীত্বে আজও খুঁজি তোমাকে। পঁটে আঁকা ছবিটা শুধুই তোমার, তোমাকে কি করে ভুলবো বলো? তুমি ভালোবে

শামীমা আহমেদ  এর ধারাবাহিক উপন্যাস পার্ব ৬৩

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৬৩) শামীমা আহমেদ  সন্ধ্যার চা পর্ব শেষ করে গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে শায়লা নিজের ঘরে চলে এলো।নানান রকম খবরে কেমন যেন  মন বিষন্ন করা অনুভবে বিছানায় বসলো। ভাবনায় দুই বিপরীতমুখী মনের চলন! সারাদিন যেমন একটা অনন্য সুখের আবেশে ভেসেছিল এখন যেন ঠিক ততটাই  বেদনার সাগরে ভেসে চলা।সে জানে না এই ভেসে যাওয়া তাকে কতদূর নিবে।প্রতিটা মূহুর্তে শিহাবের অনুভুতি অনুভব তাকে আবেগী করে তুলছে আবার নোমান সাহেবের পিছুটান আশংকা হয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কেন জীবন আজ দুই দিকে দাঁড় করালো।নোমান সাহেব কেন এতদিন নীরব রইলেন?কেনইবা শায়লাকে আপন করে নেয়ার কোন আগ্রহই দেখাননি? শায়লাতো বয়সের ব্যবধানকে তুচ্ছ করেছিল।ভেবে ছিল মনটাই আসল। যদি তার সাথে মনের বন্ধন হয়ে যায় তবে আর বয়স কোন বাধা হবে না। তবে শায়লাকে নোমান সাহেবের বিয়ে করার প্রকৃত কারন যখন সে জেনেছে তখন তার প্রতি একরাশ ঘৃনাই জন্মেছে।মিথ্যে দিয়ে ঢেকেছে তার উদ্দেশ্য। দুজনার জীবনের শুরুটাই যদি এমন হয় তবে সেখানে আর কোন বিশ্বাস অবশিষ্ট থাকে না। বিয়ের পর তিনটি রাত তাদের একসাথে কাটলেও নোমান সাহেব কোন কিছুতেই এগিয়ে আসেননি। শায়লা বিছানার এক কোনায় একপাশ হয়ে

কবি গোলাম কবির এর কবিতা

ছবি
স্বপ্নের ভিতরে জীবনানন্দ দাশকে দেখে  গোলাম কবির       এই তো সেদিন-   ঘুমের ভিতরে দেখলাম ফার্মগেটের কাছেই    স্বপ্নের কবি জীবনানন্দ বাবু একাএকা   হেঁটে যাচ্ছেন আমাদের নির্মীয়মান   মেট্রোরেলের পথের ওপর দিয়ে,    তাঁকে দেখে হঠাৎ চমকে উঠে  জিজ্ঞাসা করলাম, " কেমন আছেন প্রিয় কবি? "    বললেন ভালো নেই খুব, ওখানেও তাঁকে খুব জ্বালাচ্ছে সুরঞ্জনা, বনলতা সেন ও লাবণ্যদাশ।   ওখানেও বাংলার নদীমাঠ, ভাঁটফুল,  ধানসিঁড়ি নদী, কীর্তনখোলা আর  সন্ধ্যানদীর মায়া, গাঙশালিকের দলের  কথা ভুলতে পারছেন না কিছুতেই,   তাছাড়া আবার যে ফিরে আসবেন  এই বাংলায় কিশোরীর রঙিন ঘুঙুর   নাঙা পায়ে পরে হয়তো মানুষ নয়, শঙ্খচিল  কিংবা শালিকের বেশে সেই সুযোগও   আর এলোনা বলে কষ্টে আছেন খুব!  এটুকুই আলাপ শেষে কোথায় জানি   তিনি হারিয়ে গেলেন সেদিনের মতো!  অথচ আমি তাঁকে আবার ঘুমের ভিতরে  দেখবো বলে, আরো অনেক না বলা কথা  বলবো তাঁকে, তাঁর এতো অদ্ভুতসুন্দর  কবিতা লিখার রহস্য জানবো বলে  অপেক্ষার কুয়াশা ঢাকা মেঘের দিনে অপেক্ষা করতে করতে আবার ঘুমিয়ে পড়ছি প্রতিদিনই।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১২ ছুঁ কার মেরে মনকো মমতা রায় চৌধুরী রেখার আজ অলস বিকেল কাটছে শুধু ওদেরকে নিয়েই ।মিলি আগের থেকে স্টেবল হয়েছে ওষুধ খাওয়ানোর পর  কিন্তু পাইলটের অবস্থা এখনো ঠিক হয়নি ।বিকেলবেলায় ওদের আদর করতে করতে হঠাৎ করে নজর পড়ে পাইলটের দিকে । রেখা খেয়াল করল'ও পটি করল কিন্তু পটিটা ভীষণ পাতলা । তখন সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে মনোজের  ঘরে ।রেখার ভেতরটা যেন পাইলটের জন্য কেমন দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। যে বাচ্চাটি সবসময় এত উচ্ছ্বসিত থাকে রেখাকে দেখলে তো রক্ষে নেই ।আগে রেখাকে ধরবে জড়িয়ে দুই হাত  দিয়ে । তারপর ওর গালে ঠোঁটে অসংখ্য অসংখ্য আদর করতে থাকে। তারপর ওকে রেখা যখন নিজে আদর করবে ভালো করে কোলে নিয়ে ,তখন ও শান্ত হয় ।আজকে এরকম নিস্তেজ অবস্থা দেখে রেখার চোখ ফেটে জল আসে। তবু ওকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। এঅবস্থাতেও কোনরকমে রেখার গালে চুম্বন এঁকে দেয়।  রেখা আর রিক্স নিতে পারে না। ছুটে আসে মনোজের ঘরে।  মনোজ তখন অলস বিকেল, মেঘলা দিনে বিছানা নিয়েছে। বিছানায় ঘুমিয়েছে কিনা বুঝতে পারছে না দরজায় নক করার প্রয়োজন মনে করেনি সরাসরি ছুটে গেছে।  গিয়ে ডাকছে 'কিগো শুনছো? শুনছো ? সাড়া ন

কবি মিলাদ হোসেন এর কবিতা

ছবি
একুশে ফেব্রুয়ারী   মিলাদ হোসেন  মাতৃভাষা বাংলা আমার  সকল ভাষার সেরা রক্ত দিয়ে এনেছি মোরা তাইতো সবার সেরা।  ভয় করেনি টিয়ার গ্যাস  দামাল ছেলের দল  চুয়াল্লিশ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় নামে ঢল।  মায়ের ভাষা কেড়ে নিবে এমন সাহস কার?  জীবন দিয়ে রক্ষা করে  সালাম রফিক জব্বার।  ২১ শে ফেব্রুয়ারী নয় শুধু  স্মরণীয় এক দিন রক্ত দিয়ে এনেছে যারা স্মরণীয় চিরদিন।

কবি সালমা খান এর কবিতা

ছবি
ছায়া সালমা খান  ঘোর সন্ধ্যায় হাঁটছি নদীর  পাশ ঘেঁষে,  আমার ছায়া যাচ্ছে পিছু  নিয়ে , মায়াবিনী ছায়া পড়েছে  আমার মায়ায়। আমার ছায়া পথে পথে   আমায় শাসায়, আমার ভঙ্গিমা নকল করে  আমায় আগলে রাখে । পিছন ফিরে ছায়ায়  বলি, করিস কেন বাহাদুরি ? জানা আছে তোর  জারিজুরি।  ঐ চেয়ে দেখ, আকাশ   পানে। একটু করে চাঁদের আলো চেয়ে,  গন্ধ গায়ক যাচ্ছে গান গেয়ে । চাঁদ তখন মেঘের  আলিঙ্গনে  ঢেকে মুখ আলগোছে  আনমনে। অন্ধ ভাবে চাঁদের সঙ্গ জোছনা বুঝি ধুইয়ে  দিচ্ছে অঙ্গ ।  জানেই নাতো আচ্ছা  বোকা অন্ধ , কখন যে চাঁদের দুয়ার  হলো বন্ধ।  তখন সে ভাবলো, এটাই তার অন্ধকার, এটাই আশীর্বাদ অন্ধতার।  ঠিক ছায়া তোর ও নেই, কোনো অধিকার ।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ১২ তম পর্ব 

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১২ তম পর্ব  মনি জামান গাড়ি চলছে জিকু আর আসমা দুজন পাশাপাশি সিটে বসে,নয়ন দাদী মোমেনা বেগমের কোলে ফিরোজ পিছুনের সিটে মোমেনা বেগমের পাশে বসে ভাবছে এক মনে,আজকে যে ব্যবহার আসমার সাথে করেছে শাশুড়ি মোমেনা বেগম তা রীতিমত ভাবনার বিষয় সে নিজ চোখে দেখেছে ঘটনাটা,কিন্তু বন্ধু জিকু সেটা লক্ষ্য করেছে কিনা জানে না ফিরোজ তবে বিষয়টি জিকুকে বলা কি উচিত হবে আবার ভাবলো না বিষয়টি বলা ঠিক হবে না কারণ এটা তাদের পারিববারিক বিষয়। গাড়ির ড্রাইভার জিকুকে জিজ্ঞেস করলো,ভাই ঐ সামনে মোড় দেখা যায় মোড় থেকে কোনদিকে যাবো,জিকু ড্রাইভারকে বলল,আপনি মোড়ে গিয়ে তারপর ডানে ঘুরে সোজা ঐ যে রাস্তা ওটায় যাবেন,ড্রাইভার বলল,আমি কখনো এই রাস্তায় আসিনি তাই জিজ্ঞেস করলাম ভাই কিছু মনে করবেন না ভাই,জিকু বলল না না কেন কিছু মনে করবো আপনি তো এই রাস্তা চিনেন না আমি জানি। নয়ন প্রস্রাব করেছে দাদী মোমেনা বেগমের কোলে,মোমেনা বেগম বৌমা আসমাকে না ডেকে ফিরোজকে বলল,নয়নকে জিকুর কাছে দাও দাদু ভাই প্রস্রাব করে দিয়েছে আমার কাপড়ে বলে ফিরোজের কাছে নয়নকে দিয়ে বলল জিকুকে দাও। ফিরোজ নয়নকে নিয়ে আসমাকে ডেকে বলল,ভাবি নয়ন প

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬২

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬২) শামীমা আহমেদ  অপ্রত্যাশিতভাবে আগত নোমান সাহেবের মিসড কল দেখে শায়লা সেখানেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। বোধহীন হয়ে কতক্ষন যে সেভাবে দাঁড়িয়ে রইল তা হয়তো সময় ঘড়িই বলতে পারবে! ভেজা চুলে আলুথালু বসনায় একেবারে বেখেয়াল হয়ে রইল। ওয়াশরুমে শাওয়ার ঝরছে অবিরল ধারায়। একেবারে কানে তালা লেগেছে নয়তো সে শব্দও কোন চেতনা আনছে না কেন?আবার মোবাইল রিং হতেই শায়লা একেবারে চমকে উঠলো! মোবাইল স্ক্রিনে তাকাতে বুকের ভেতর কেঁপে উঠছে!ফোনের শব্দটা যেন তার ভেতরে আতংক হয়ে বেজে উঠলো। যেখানে  এতদিন এই রিংটোন কতইনা কাঙ্ক্ষিত ছিল। আজ নোমান সাহেবের মিসড কলে শায়লা একেবারে জড় কাঠের মত হয়ে গেছে।নোমান সাহেব ফোন করলে তাকে কি বলবে? কেমন করে সে বুঝাবে কানাডায় যাওয়ার এতটুকুও ইচ্ছে তার নেই। কলটা কি রিসিভ করবে না আগে রাহাতকে জানাবে?শায়লার ভেতরে অস্থিরতায় পায়ের তলায় ভেজা কাপড়ের জমে থাকা জলের ধারা বইছে। শায়লা বুঝে উঠতে পারছে না সে এখন কি করবে? একটানা অনেকক্ষন কল হয়ে  থেমে গিয়ে আবার কল শুরু হতেই শায়লা বিছানায় রাখা মোবাইলটির দিকে খুবই ভয় মিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকাতেই যেন তার ঘাম দিয়ে জ্বর ছ