পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০০ রেখার মনের গলিগুপচি মমতা রায় চৌধুরী সারারাত ঘুম আসছে না বলে রেখা ভাবল কত কত লেখা জমে রয়েছে, পত্রিকার জন্য পাঠাতে হবে ।বসে বসে বরং তাতে কিছু কথাকে গল্পের পাতাতে রূপ দান করলে কাজে দেবে। আচ্ছা সুমিতাকে নিয়ে   লিখলে কেমন হয় ।আপন মনেই উত্তর পেয়ে গেল ভেরি গুড ।তা বেশ সুমিতা আজ রেখার মনের গলি গুপচির আজকের গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ওযে ভেতরে ভেতরে কতটা ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত তাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবে। টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে মোবাইল স্কিনে  dox ফাইল বের করে টাইপ করে যেতে লাগলো। লিখতে লিখতে ভোর হয়ে গেল। এবার চোখটা জড়িয়ে আসছে। মাথা রেখে কখন টেবিলের উপরে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতেই পারেনি। ঘুম ভেঙেছে কলিং বেলের আওয়াজে। রেখা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছে সাড়ে ছয়টা বাজে। বাপরে কত বেলা হয়ে গেছে ।বড়ো করে একটা হাই তুলল রেখা। মনোজ কি সুন্দর অকাতরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তুতু ও ঘুমিয়ে আছে। তবে তুতু রেখার পায়ের কাছে ঘুমিয়ে  আছে ।রেখা তুতুকে একটু আদর করে দিল। তারপর দরজা খুলতে গেল ।দরজা খুলতেই দেখলো কোন ফাঁকে আবার তুতুও উঠে পড়েছে?/ তুতু  সোজা গেট খুলতেই বাইরে বেরিয়ে গেল তারপর হিসু

কবি দেবব্রত সরকারের কবিতা "অপার্থ"

ছবি
অপার্থ দেবব্রত সরকার বেকার মেরে মোহের ঘরে দেদার টাকা ডালছে আজকে সে যে প্রাক্তন তিনি মন্ত্রী ছিলেন কাল যে  অর্পিতা নয় সর্পিতা নয় গরিব পার্থ একলা অপার ঘরে টাকার চূড়া তাকিয়ে রাজ্য দেখ্লা উনীই হল মশাই মুন্ত্রী উন্নয়নের বক্তা আছেন দিদি সামলে নেবে এটাই যেনে পক্তা  আসল খেলা গরিব মেরে দলের ভোটে ঢালছে আজকে সে যে প্রাক্তন তিনি মন্ত্রী ছিলেন কাল যে  ভাঙছে জেলা নিজের স্বার্থে সিলমোহরে ডাকলে জানেন তিনি আফ্রিকা নয় শুনতে পাবে  হাঁকলে বোঝায় কাকে বলুন দেখি একার মতে সবটা চালান করে খরচা পাতি লিখেছে বই কয়টা অনেক প্রশ্ন দালাল বলে রাজনীতিতে ধর্ম চেয়ার দেব বছর ঘুরে দেখাও দেখি কর্ম  আসল কথা জলের মত মানুষ মেরে কুর্শি মারছে তুলে মাছের মতো ধর্ম নামক বর্শী একাই তিনি সামাল দেন বিশেষ কিছু দপ্তর এটাই তিনি পারদর্শী অবাক করে সত্ত্বর সে সব কোথা পড়ছে ঢোলে নজর রাখে এফ  রে আজকে সে যে প্রাক্তন তিনি মন্ত্রী ছিলেন কাল রে।

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা "আত্মা জন্ম"

ছবি
আত্মা থেকে রুকসানা রহমান আমি যখন ভ্রমণ করি তোমার ভিতরে তখন আমার আত্মা থেকে জন্ম হয় এক- একটি অনবদ্য কবিতার। তখন  আরো বেশি কমনীয় হয়ে উঠি এই- আমি  তোমারই ভিতর।

কবি বানীব্রত এর কবিতা "ভরা থাক স্মৃতি শুধায় "

ছবি
ভরা থাক স্মৃতি শুধায়  বানীব্রত   সেদিন সূর্য ঢলে পড়েছিল পশ্চিমাকাশে গোধুলির আলো পড়েছে মোহরকুঞ্জে নিয়নের আলো জ্বলেছে নন্দন চত্বরে  সেই আলো বিদির্ন করে তোমার আগমন।  সামনে ঘোষকের সুরেলা কন্ঠ সুবোধ বাবুর মঞ্চে আনাগোনা সাহিত্যের ভাষনে হাততালির কলতান সেল্ফির বহর চলে চার দিকে। শুধু দৃষ্টি বিনিময় ঠোঁটের কোনে হাসি সময় বয়ে চলে রাত গাঢ় হতে থাকে ঘরের ফেরার পালা সবার, তারই মাঝে বিদায়ী করমর্দন।  এরপর কফি হাউসের নিরালা বিকেলে কল কোলাহলের মাঝে ছুঁয়ে দেখা কফি কাপ হাতে  ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু দুজনে কুজনে সুজনে।  কোনো এক তাপিত দুপুরের হাতছানিতে দুটি মনের আকুল আর্তি নিরালায় কাছে পাওয়া  সুখের চাদরে মুহূর্তে ডুবে যাওয়া। ভালোবাসার ছোঁয়ার স্পর্শ  ওষ্ঠের উষ্ণ অভ্যর্থনা  কতো ভালো লাগা নিবিড়  বাধনে বাঁধা। তবুও হয়ে গেল ভুল মনের দ্বিচারিতায় অনিচ্ছাকৃত পেলে কষ্ট  ভাষা হারালো  ভালোবাসার কাছে।  আজও আছে মনের অতলে কষ্টের চাদরের নিচে, অনুতাপের অনলে  ক্ষমা করো তারে অন্তর হতে।।।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৯ বোবা কান্না মমতা রায়চৌধুরী রেখা তৈরি হচ্ছিল প্রোগ্রামে যাবার জন্য ভেতরে ভেতরে যে টানটান উত্তেজনা আর আনন্দের উচ্ছ্বাস বয়ে যাচ্ছিল মনের চোরাস্রোতে সেটা অনেকটাই থমকে যায় মাসির কাছে সুমিতার কথা শুনে ।তবুও রেডি হয়ে বেরুতে যাবে ঠিক তখনই তুতু দেখছে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ।আসলে রেখা যখনি কোথাও বের হয় বা পোশাক-আশাক পরতে দেখলেই তুতু বুঝতে পারে যে কোথাও বেরোচ্ছে  রেখা তুতুকে কাছে টেনে নিয়ে আদর করল বলল  "আমি তো বেরোচ্ছি এক জায়গায় ,তুমি লক্ষী সোনা হয়ে থাকবে কেমন। দুষ্টু দুষ্টু করবে না যেন।" তারপর রেখা ঘড়ির দিকে তাকালো ঘড়িতে ঢং ঢং করে ছটা বাজলো।   মাসি অলরেডি কাজ করে চলে গেছে। এখন ছটা বাজে সাড়ে ছয়টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু এখনই বেরোতে হবে ।তার আগে ভাবলো একবা র পার্থকে ফোন করে ব্যাপারটা জানিয়ে রাখবে ।যদি আসতে দেরি হয় তাহলে পার্থ তো ওদের খাবারগুলো দিয়ে দিতে পারবে। সেন্টুদা  কে তো আর রাত্রিবেলায় পাওয়া যাবে না। পার্থকে ফোন লাগাল পার্থর ফোন রিং হয়ে গেল ধরল না।" মনোজকেই ফোনটা করলো ও ভেবেছিল মনোজ অফিসে আছে ওকে বিরক্ত করবে না কিন্তু উপায় নেই কি আশ্চ

কবি মামুন তালুকদার এর কবিতা "তোমাকে মনে পড়ে"

ছবি
তোমাকে মনে পড়ে   মামুন তালুকদার  অলস দুপুরে ঘুম ঘুম চোখে তোমাকে মনে পড়ে, মুষল ধারে বৃষ্টিতে একলা ছাতা মাথায় দিয়ে  তোমাকে মনে পড়ে।  কারণে-অকারণে মনে পড়ে, যখন তখন একশো বার মনে পড়ে।  ক্লান্তিময় কর্তব্য শেষে পথের মোড়ে মোড়ে তোমাকে মনে পড়ে।  রবি ঠাকুরের শেষের কবিতায়  তোমাকে মনে পড়ে।  পিচ ভেজা রাস্তায় হুড খোলা রিকশায়, তোমাকে মনে পড়ে।  পূর্ণিমার জ্যোসনায় রাজহংসী নৌকায় তোমাকে মনে পড়ে।  সমুদ্র কল্লোলে কেমন হাহাকার জাগানিয়া শব্দে তোমাকে মনে পড়ে, খুব মনে পড়ে। গোধুলির স্নিগ্ধতায় চুল ওড়া বাতাসে তোমাকে মনে পড়ে,  উদাসীন বিকেলে ঢেউ তোলা চায়ের কাপে  তোমাকে মনে পড়ে।  পাহাড় চুড়ায় মেঘের ছোঁয়ায় তোমাকে মনে পড়ে। জোনাক জ্বলা পাহাড়ী রাতে  তোমাকে মনে পড়ে, ভীষণ মনে পড়ে।  কথার খইয়ে তুরি মেরে উড়িয়ে দেয়া বিরক্তিকর যানযটেও তোমাকে মনে পড়ে।  অকারণে একশো বার যখন তখন মনে পড়ে, তোমাকে মনে পড়ে।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৮

ছবি
টানাপোড়েন ১৯৮ সুমিতার হঠকারিতা মমতা রায় চৌধুরী রেখা আজ স্কুল থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরেছে।বড়দিকে আগেই বলেছিল। বড়দিও ছেড়ে দিয়েছেন। আর দেবেনই না কেন?রেখাকে যখন যে অবস্থাতে যে কাজ করতে বলেছেন যেখানে যেতে বলেছেন ,সে ছুটে গেছে ।কাজেই একটা কৃতজ্ঞতাবোধ বলেও তো কাজ করে.। আজ একটি ক্লাসিক্যাল ডান্স প্রোগ্রাম সিডিউল ছিল অর্থাৎ"Inauguration of festival,6.30 p m এটা রেখার কাছে ছিল একটা লোভনীয় প্রোগ্রাম কারণ  ওর ক্লাসিক প্রোগ্রামগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে আর সেখানে যদি সে আমন্ত্রিত হয়ে যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই। ভারতনাট্যম প্রেজেন্টেশন বাই দা ওয়ার্কসপ এটেন্ডেস এন্ড স্টুডেন্ট অফ নিত্য তরঙ্গিনী। ভারতনাট্যম বিখ্যাত নৃত্যশিল্পীUTtiya Barua., Odissi  Reebdhita barua এবং kuchipudi  বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী Biraj Roy এবংSandip Kundu  ভিতরে ভিতরে একটা উত্তেজনা কাজ করছিল কতক্ষণে সেই প্রোগ্রামের যেতে পারবে কতক্ষণে সেই আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যেতে পারবে এসব ভেবেই রেখা কেমন রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ল। বাড়িতে এসেই ঝটপট ফ্রেশ হতে যাবে ঠিক করছে ঠিক তখনই তুতু ,মিলি পাইলটরা চেঁচিয়ে উঠলো । রেখা ভাবল" কি

কবি মাহাবুব টুটুল এর কবিতা "না দুঃখ না প্রেম"

ছবি
না দুঃখ না প্রেম মাহাবুব টুটুল  অনুভূতি জড়ানো দুহাতে হাত রেখে  সকাল কিনতাম ইচ্ছের দামে, অবারিত সময়ের পরাগ মেখে  মেলে ধরতাম ভাবনার আকাশ । নির্লিপ্ত মেঘের চোখে দেখেছি অনন্ত পিপাসার শিহরণ । পাহাড় ধসের মত সময় ঢলে পড়ে পশ্চিম দিগন্তের শেষপান্ত বিন্দুতে  তবু আকাংখা প্রজাপতির প্রলেপ মাখায়  মনের সংগোপনে। বিকেলের পরাগ রেণু ছুঁয়ে ছুঁয়ে  বন্ধনকে দৃঢ় করে কংক্রিটের আবরণে  জিঘাংসার পায়রা উড়তেই সন্ধ্যা নেমে আসে । রাত্রিতে ভাবনায় জড়ানো জিঘাংসার প্রতিধ্বনি  আন্দোলিত করে প্রতি মুহুর্তে, কিন্তু না দুঃখ, না কান্না, না প্রেম নাকি অন্য কিছু  বুঝে ওঠার ছলে মেঘের ভূকটি মেলে ধরি প্রাণের জড়িত শিহরণে তখন,দুচোখ ভরে ভালবাসার নির্যাসে।

মো: আবদুল্লাহ আল মামুন রুনু এর প্রবন্ধ "ব্বইয়ের অনুভূতি"

ছবি
প্রবন্ধ  নব্বইয়ের অনুভূতি মো: আবদুল্লাহ আল মামুন রুনু লোকে বলে প্রথম সবকিছুই স্পেশাল। আমার জীবনে অনেকগুলো প্রথম আছে  নব্বই দশকে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিত গণ্ডির বাইরেও যে কারো জন্য বুকের ভেতরটা জ্বালা করে সেই প্রথম উপলব্ধি করা। নিঃশর্ত ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অস্তিত্ব সম্পর্কেও প্রথম অবগত হওয়া। জীবনে প্রথমবার রিল লাইফের কারো জন্য চরম কষ্টে চিৎকার করে কাঁদা (কোথাও কেউ নেই'তে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি)। জীবনে প্রথম রিল লাইফের কারো আনন্দে অভিভূত হয়ে খুশির কান্না (দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'র শেষ দৃশ্য)। প্রথম প্রেমপত্র লেখা! আসলে তখনকার সবকিছুর মধ্যে আমি মিশে আছি। সত্যিকার আমি তাই ঘুরে ফিরে শুধু সেই সময়েই ফিরে যাই। কবি হলে বলতাম "আমি বারবার নিজেরে হারায়ে খুঁজি সেথায়""! নব্বই দশকে ‘সেরাম’, ‘প্যারা’, ‘বিএফ’, ‘ব্রেক আপ’, ‘ক্রাশ খাওয়া’ এসব শব্দ ব্যবহৃত হতো না। তবু হৃদয়ের কথা সুন্দর করে বলা হতো। সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না কিন্তু সম্পর্কগুলোতে অন্য ধরনের গভীরতা ছিল। সেলফি তোলা হতো না অথচ ক্যামেরার ওই ৩৬টি ছবি হাতে পাওয়ার আনন্দ অপরিসীম মনে হতো। পকেটে বা ব্যাগে আইফোন ছিল না

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৭ সুমিতার জীবন মমতা রায় চৌধুরী এমনটা কখনো ভেবেছিল কি সুমিতা ,জীবনটা সেই কোঠীঘরের মতোই আবার হয়ে যাবে? সেই জীবনের দগদগে ঘা শুকানোর আগেই একি হয়ে গেল। আজ মাটির ঘরে বসে বসে সেটাই ভাবছে। আজ সমস্ত মুখখানা যেন সিদ্ধ করা ডিমের মতোন ফ্যাকাশে। কি ভেবেছিল আর কি হলো ?বিয়ের দু'বছরের মধ্যেই তার জীবনের সমস্ত রস নিংড়ে ছোবড়া করে দিয়ে চলে গেছিল জীবন। অন্য কোন মাধবি লতা বা সুমিতার খোঁজে। তাকে রেখে গেছিল অন্ধকারে। তাতে আর সুখ নেই ,স্বাদ নেই ,তার সবকিছুতেই যেন অরুচি ধরে গেছে।  হঠাৎ করেই একদিন ফাগুনের রাত ।সেই রাত তার কাছে অনেক মধুর মিষ্টি রসে টইটুম্বুর হওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু না, তাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু'মাসের মধ্যে ফিরে আসার কথা বলে সেই  যে গেছে ,তার আর কোন পাত্তা  নেই। ঠিক দুমাস পরে বনোয়ারি তার জীবনে এসেছে ।এর মধ্যে দু বছরে তার সন্তানও হয়েছে। বনোয়ারিলাল এর কাছে শোনা যায় যে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। সে এক মরদ বটে তার কো ঠী ঘরেও এরকম মরদ জোটেনি। প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি  বনোয়ারিলাল এর মতলব। সকালে বাসি উঠোনটা ঝাঁট দিচ্ছে তার আগেই মেয়েটাকে সাবু ফুটিয়ে  খাইয়

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৬ অস্তিত্বের লড়াই মমতা রায় চৌধুরী বিদ্যালয়ে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী উৎসব মোটামুটি ভালোভাবেই পালিত হয়েছে ।যদিও সেই দিনটা ছিল ঝড়ো মেঘলা দিন। ঝোড়োমেঘলা দিনের গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য গুরুদেবের গান  দিয়েই "আজ ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে"স্নিগ্ধা"অপূর্ব গাইল। রাজশ্রী কবিতা আবৃত্তি করল "আফ্রিকা'। 'অনবদ্য কবিতা আবৃত্তি। সোহিনী তার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রবি ঠাকুরের অনবদ্য রচনা "গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে…।' নৃত্যের মধ্যে দিয়ে । আরো যারা ছিল মিত্রা ,দেবাংশী প্রত্যেকে খুব সুন্দর পারফর্ম করেছে। সবার শেষে বিদ্যালয়ের সিনিয়ার দিদি ঘোষণা করলেন আমার নাম। তিনি বললেন একজন লেখিকা আর তার নিজের স্বরচিত  কবিতা আবৃত্তি না শুনলে আজকের দিনটার আনন্দঘন শ্রদ্ধার্ঘ্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।তাই শুনবো না এটা কখনো হতেই পারে না ।সত্যিই দিনটা এমন ছিল মনের ভেতরে গুনগুনাচ্ছিল রবি ঠাকুরের প্রতি আমার প্রাণপ্রিয় গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব। তাই রেখা আর কালবিলম্ব না করে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনাল "অপেক্ষার বৃষ্টি হয়ে ফিরে এসো রবি ঠাকুর। "অনবদ্য কবিত

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৫ অভিনয় মমতা রায় চৌধুরী নারী যেন নদীর মত আপন বেগে প্রবাহিত হতে চায় কিন্তু তার গতি রুদ্ধ করে দেয়া হয় ।একদিকে যদি ভরাট হয়, অন্যদিকে ভাঙ্গন  ।তাই দুই কুলকে  সযত্নে রক্ষা করে চলতে হয়  নারীকে ,আর সংসার প্রবেশ করলে তো কথাই নেই ।একদিকে সংসার অন্যদিকে তার নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই। এই দুটো দিক সযত্নে যখন ব্যালেন্স করে রাখা যায় বা চলা যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই নারী সংসারে তত বেশি প্রতিষ্ঠা, প্রতিপত্তি, সুনাম। মাধুরী বরাবর এটা ব্যালেন্স করে চলেছে। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে তা নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যেতে বসেছে ,কখনো স্বামীর মন রক্ষা করা ,সেখানে তার অভিনয়টা খুব পাকাপোক্তভাবে করতে হয় ।কখনো বা সন্তানদের ক্ষেত্রে কখনো বা   শাশুড়ির সঙ্গে। তবে এ ক্ষেত্রে তার নিজের শাশুড়ি নেই । এখন সবই পিসি শাশুড়িদের সঙ্গে। এই তো শিখার বিয়ের পর থেকে মেজো পিসি শাশুড়ি রয়েছেন ,তার আবার শরীর খারাপ একটুতেই অভিমান।  সব দিকে মাধুকে নজর রাখতে হয় ,বিরক্ত হলেও সে বিরক্তিভাব প্রকাশ থাকে না ।সব সময় হাসিমুখে চলে, সর মাধুর্যে একটা আলাদা চমক আছে। এইতো গত পরশুদিন শিখা ফোন করেছিল বলেছিল বৌদি

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৪ মনোজের মৌউল নেশা মমতা রায়চৌধুরী মনোজ আজ অফিস থেকে বাড়ি ফিরল প্রায় রাত্রি নটার পরে।  ক্লান্ত শ্রান্ত মন নিয়ে যখন সে তার কলাপসিপল গেট খুলে ঘরে ঢুকলো তখন মনে হল সে বেশি বড্ড ক্লান্ত হয়ে  পড়েছে ।তাড়াতাড়ি কোনরকমে আলোটা জ্বাললো । জোরালো আলো আরও বেশি ক্লান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে , তাই মৃদু আলো জ্বাললো।ওদিকে পুবের জানালার শার্সি দেয়া ছিল তার ভেতরে প্রচুর চাঁদের আলো এসে পড়েছে ঘরের  মধ্যে ,ঘরের প্রায় সবকিছুই আবছা দেখা  যাচ্ছে কোন অসুবিধাই হচ্ছে না দেখতে lনিজের প্যান্ট, শার্টটা খুলে আলনায় টাঙিয়ে রাখল তারপর এক এক করে ঘরের জানলাগুলো  খুলে মনে মনে ভাবছে  "কি ব্যাপার আজকের জানলা গুলো বন্ধ? রেখা কি এখনো বাড়ি ফেরেনি ?কি হতে পারে? কোথায় গেল ভাবতে ভাবতেই সোফায় গিয়ে নিজের শরীরটাকে এলিয়ে দিলো। "এইসময় রেখা থাকলে, এক কাপ কফি হলে মনটা ফুরফুরে হয়ে যেত ।আজকে এত ক্লান্ত লাগছে কেন ?মনে মনে ভাবছে  তারপর চোখটা বুজে আসলো। এরমধ্যে দেখা গেল তুতু এসে মনোজের পাশটাতে বসে" কিউ কিউ" আওয়াজ করছে ।মনোজ চোখ বন্ধ করেই বললো " কি ব্যাপার ,তোর আবার কি হলো ?তোর মালক

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৩ উন্মত্ত খেলা মমতা রায়চৌধুরী আজ ছুটির দিন এইমাত্র সূর্য অস্ত গেল । পশ্চিম দিক জানলার সামনে দাঁড়িয়ে মনোজ সিগারেটের পর সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে আর সন্ধ্যারানীর লজ্জা বনত রক্তিম মায়াটুকু দেখার জন্য উৎসুক  । কিছুক্ষণ আগেও রেখা মনোজের পাশে ছিল রেখা আর আকাশের এই অস্থিয়মান সূর্য। দু'জনকেই   যেন অস্পষ্ট মনে হচ্ছে ।সমস্ত রং যেন আকাশের চোখ  থেকে মুছে যাচ্ছে। কেমন যেন একটা বিবর্ণ চেহারা এত আকাশের। তবুও অস্পষ্ট বেড়াজাল অতিক্রম করে মনোজের মনে স্মৃতির অ্যালবাম থেকে বেরিয়ে আসে কিছু অজানা তথ্য ।সেদিনও এভাবেই তারা দুজন পাশাপাশি বসেছিল । শুধু পাত্রী পাল্টে গেছে জায়গা পাল্টে গেছে, পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।সেদিন কারো  মুখে কোন কথা ছিল না। শুধু পরস্পরের সান্নিধ্য আর অন্ধকার রাত্রিতে তারার চাকচিক্য যেন মনে হচ্ছে রঙের খেলা চলছে আকাশের বুকে ।যখন এই রঙের খেলা চলে তখন তো অপূর্ব লাগে। তখন মনোজের হৃদয় আকাশে শুধু তিথি সবই ভালো লাগে। মনোজের চোখ যখন তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে নিমিলেষ নেত্রে। তখনও মনোজ চোখের ভাষা বোঝেনি । তাছাড়া কখনো বুঝে উঠতে পারেও নি ।তিথি যেন ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। কখনো ম

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯২ ভাবনারে কি হাওয়ায় মাতালো মমতা রায় চৌধুরী আজ প্রায় সারাটা দিন চলে গেল এই মেয়েদের প্রোগ্রামের লিস্ট করতে, মেয়েদের ফোন কল ওদিকে রাজ্যের কাজ পড়ে রয়েছে। মাসি আসলো না। রেখা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে বুকে চিনচিন করে উঠলো। মাসি এলো  না । মাসি তো না বোলে কামাই করে না।  আগে সমিতা যা মিথ্যে কথা বলতো । সব সময় যেন মা সরস্বতীরকে মিথ্যে কথার ঝুলি তে বন্দি করে রেখেছিল। এই মাসি সে রকম তো নয়। বয়স হয়েছে।মাসির ভিতর  ফাঁকিবাজি কাজ করে না।তবুও ছেলেটা অসুস্থ আছে,নাতি নাতনী দের কথা মাথায় রেখে কাজে নেমেছে। আহা রে এদের আবার  অন্ধের কিবা রাতি কিবা দিন অবস্থার মত। "না।আর ভাবলে হবে না। যাই জামা কাপড়গুলো শুকোয় নি ।এই বৃষ্টি আবার এই রোদ, ছাদে দিয়ে আসি। এখন তো এক চিলতে রোদ্দুর দেখা মিলেছে ।" এই ভেবেই রেখা ছাদে গিয়ে উঠল জামা কাপড় নিয়ে ।ছাদের থেকে চোখ পড়ে গেল আবার সেই চৈতিদের বাড়ির দিকে । "আহা রে ছাদখানা কেমন খাঁ খাঁ  করছে ।বাড়িটাও ঠিক তাই ।লোকজন না থাকলে যা হয় ।" "ছাদ থেকেনেমে গিয়ে একবার চৈতির মাকে ফোন করতে হবে। কি করছে কে জানে?' রেখা এসব ভাবত

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯১ হঠাৎই খারাপ খবর মমতা রায়চৌধুরী ১২.৫.২২ আর ফ্রেশ করে লেখা হল১৩.৫.২২ রাত্রি ৮.১০ গতকাল অনেক রাত হয়ে গেছিল তাই মেয়েদের কে ফোন করে উঠতে পারেনি আজকের দিনটাই সময় পাওয়া যাবে এর মধ্যে ফোন না করলে অ্যারেঞ্জ করা মুশকিল হয়ে যাবে তাই শেভ করার নম্বর থেকে ফোন করলে প্রথমে সোহিনীর নম্বর ডায়াল করলো, রিং হচ্ছে ফোন ধরছে না তখন রেখা মনে মনে ভাবছে সোহিনীকে যদিও বলা ছিল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে যেন নাচ রেডি করে রাখে ।তাই ওকে নিয়ে অতটা চাপ নেই কিন্তু বলে তো দিতে হবে যে প্রোগ্রামটা হচ্ছে ।ভাবতে ভাবতে হঠাৎ অপরপ্রান্ত থেকে ভেসে আসলো হ্যালো' হ্যাঁ আমি ম্যাম বলছি।  হ্যাঁ বলুন দিদি । "সোহিনী কে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী প্রোগ্রাম করতে হবে ।জানি ও মোটামুটি রেডি থাকে ।" "হ্যাঁ রেডি আছে  ।"  "কোনটা করবে সেটা কি আপনাকে পাঠাবো হোয়াটসঅ্যাপে ।" "টেক্সট করে রাখুন, আমি পরে দেখে নেব ।ঠিক আছে তাহলে পরশুদিন প্রোগ্রাম অবশ্যই , ও যেন অবশ্যই আসে।' "এইতো আপনার ছাত্রী কাছেই আছে কথা বলুন।" সোহিনী তোমার মাকে যা বলার বলে দিয়েছি সেইভাবে রেডি হয়েও আর তোমা