একটা সার্টিফিকেট দিও
কোনটা সাদা আর কোনটা রঙিন
সেটা বুঝতেই যার কেটে যায়
অনন্তকাল;
কাব্যিক প্রণয়ের বৃত্তে গোলক রহস্য
সে চিনে ফেলবে অতি সহজেই,
সে ভাবনা নিছকই ভ্রমাত্মক ধুম্রজাল!
তবুও আজ একটা কবিতা লিখতে চাই;
তোমাদের বাদুলে আলাপচারিতায়,
তোমাদের চরণালঙ্কের ডংকায়,
তোমাদের জলদর্চি কালিমায়।
এ চিন্তন অতি আদিম, অতি প্রাচীন।
এর ছন্দ অতি অবয়ব, তীক্ততার প্রাচীর।
তবুও লিখে যেতে চাই একটা কবিতা-
অথবা, দু'একটি পর্বের শিথিলতা।
যার প্রতিটি পরতে পরতে খুঁজে
পাবে নাম মাত্রই মনুষ্যত্বের জয়গান,
যার প্রতিটি পঙক্তিতে আভাস
মিলবে নিছকই যশ, মান, খ্যাতির টান।
তবুও তোমাদের পড়ে যেতে হবে
আমার হাতের লেখা এ ডায়েরির কান্না,
কারণ তোমারও নিছকই পড়ে যেতে
অভ্যাস্ত সাহিত্যের বোবা, বাকরুদ্ধ তামান্না।
আমি লিখে যায়
আপণ স্বার্থের মোহে,
আর তোমারা পড়ে যাও-
তোমাদের নেশার মোহে!
শুধু এক আকাশ অপূর্ণতা নিয়ে মুখ থুবড়ে
পড়ে থাকবে আমার কবিতার-
বিপ্লবী, বিদ্রোহী, জাগরণী, নিষ্ঠার আবেদন,
তারমাঝেই তৃপ্ত কবি আর পাঠকের মন।
দিনশেষে আমার মস্তিষ্ক চকিত লেখনীই
তোমাদের; তন্দ্রাদূতের সক্রিয়তার কারণ।
এ লেখায় বাস্তবতার ঘনঘটা,
কালিমার অতি কাঙ্খিত আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা,
সে তো নিছকই সর্পরাণীর শূন্যে পদপাত।
এত সহজেই যদি সব সেরে ওঠে ক্ষত
তো; আমার পরবর্তী প্রজন্মের কলমগুলো
যে- রয়ে যাবে অচল, কর্মহীন আর অবিক্রিত!
তাই কবিতার কথাগুলো কবিতাতেই থাকুক।
আমায় শুধু একটা সার্টিফিকেট দিও।
আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমি এভাবেই
লিখে যাবো তোমার মনের খোরাক জোগাতে-
বছরের পর বছর; যুগের পর যুগ।
তোমরা শুধু আমায় একটা; সার্টিফিকেট দিও।