২৬ জুলাই ২০২১

মধুমিতা রায়



মন পথের গল্প...


যে সমস্ত কিছু আমার বলে জমিয়েছিলাম

আজ শমন এল সেসব কিছু আমার নয়।


অথচ কী গভীর বিশ্বাস ছিল!

বিশ্বাস ছিল সেই প্রিয় নামের বর্ণগুলো 

অন্তত আমার আছে।


অন্ধকার ভোরে উঠোনে নেমে দেখি

সমস্ত বর্ণগুলো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে

চারিদিক।


প্রয়োজন ফুরালে ব্যস্ততার শহর জাগে

আলো গুলো ছিঁড়ে খুঁড়ে ঝমঝম শব্দে

ব্রীজ কাঁপিয়ে পিষে দেয় পথের গল্প।


পথের ধুলো মেখে গাছ ভাবে

কেউ তো ফিরুক

কেউ তো কাছে বসুক দুদন্ড

বলুক... ছিলাম তো। তুমিই বুঝতে পার নি।



শ্যামল রায়


 জুঁইফুল কি বলবে?


শূন্যের ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে

নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছি যেন সব সময়

জুঁইফুল তুমি কি বলবে?

শখ করে রোল খেতে গিয়ে

কান্নার রোল শুনে আয়ু কমছে

তবুও শূন্যতার ভেতর

খুঁজে পেতে চাইছি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত

বর্ণমালার ভেতর ভালোবাসার শব্দগুলো।

জুঁইফুল তুমি কি বলবে?

যতসব শর্তগুলো ছুড়ে ফেলে দাও

বিবর্ণ অসুখের ভেতর, মায়া আছে

একটু খুঁজে নিলে দীর্ঘপথ হবে তুমি

যেখানে স্বপ্ন আছে,আছে বেঁচে থাকার শব্দগুলো

ওত পেতে আছে সবুজতার দিকে দুচোখ

জুঁইফুল তুমি কি বলবে?

রাধার শরীরটা জড়িয়ে দাও

বন্দর গড়ব, শুধুই ভালোবাসার বন্দর হবে

তোমার ভেতর জুড়ে ফুল ফুটবে

আমার তোমার জন্য ছায়া দেবে রোজ।

শুধুই দীর্ঘ পথে হবে ভালোবাসার জন্য 

জুঁইফুল তুমি কি বলবে?

রাকিবুল হাসান উন্নিদ্র


সুন্দর তুমি


তুমি সুন্দর

প্রত্যুষে বিকশিত 

নির্ঝঞ্ঝাটে গোলাপের লালাভার চেয়েও তুমি সুন্দর

তুমি সুন্দর আরও সুন্দর 

ওই সিঁথিতে দোলন্ত লাল সিঁথি পাটি।


তুমি সুন্দর

রক্তাভ নবোদিত সূর্যের চেয়েও তুমি সুন্দর 

তুমি সুন্দর আরও সুন্দর

মৃদুগামী অধর হাসি।


তুমি সুন্দর

পূর্ণিমা তিথির পুষ্করিণীর চেয়েও তুমি সুন্দর

তুমি সুন্দর আরও সুন্দর

ঔজ্বল্য দু'টি কাজল আঁখি।


তুমি সুন্দর

দ্যুতিময় ধৌতশিশির বিন্দুর চেয়েও তুমি সুন্দর

তুমি সুন্দর আরও সুন্দর 

আকর্ষক ওই নাসিকায় উদ্বেলিত নথ।


তুমি সুন্দর

আরও সুন্দর তোমার দুরন্ত অলক

ফের হারালাম পলক

প্রাণবন্তক লাবণ্য ওই মুখশ্রীর স্পর্শ পেতে

আমি এক তৃষিত চাতক।




হাসি যেন তার মায়াময় জোছনা

সৌভিক দুটি আঁখি

ঠোঁট দুটি তার বর্ণোজ্জ্বল

যেন নব্য ফোটা গোলাপ পাপড়ি।


চাঁদ বাকা ভ্রু ওই

রংধনুর টান

সে যেন অতন্দ্রি কবিতার

এক সতেজ প্রাণ।


বেশ মানিয়েছে ঠিক

ওই কপালের কালো টিপ

আর চমকানো কর্ণের দুল

সে যে বিশ্ববিধাতার গড়া উত্তমা ফুল।


মুখ যেন তার

ফাল্গুনী আকাশের ঔজ্জ্বল্য চাঁদের গড়ন

মাথা ভরা মেঘ কালো কেশে

সে যে গন্ধ বিলায় সারাক্ষণ।

হুমায়ুন করির সিকদার




স্বর্ণালী ক্ষণ


বর্তমানকে নিয়ে ভেবেছি অনেক, 

অনেক করেছি গল্প

তবুও তাতে পাইনি খুঁজে 

অতীতের বিকল্প ।


ডিজিটালের মেশিনে উঠে 

দেখেছি ওজন মেপে

বেড়ে গেছি অনেক বেশি -

ভুগছি স্নায়ু চাপে।


গাড়িতে - বাড়িতে পথে-প্রান্তরে 

কোথাও নেই সুখ

কখন কোথায় কী ঘটে তাই নিয়ে 

 জনতার উৎসুক।


স্বর্ণালী ক্ষণ আজ হারিয়ে গেছে

অন্তরে তবু তারই হাহাকার --

জনতার ভাষা কার আছে মন 

থেকে বুঝবার?


তাইতো আকুল হয়ে সহসাই

গেয়ে ওঠে মন 

খুঁজে ফেরে হারানো স্বর্ণালী ক্ষণ।