পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কংকা চৌধুরী গুপ্তা ( ইংল্যান্ড )

ছবি
নীরবতা       মৌনতা ছুঁয়ে যায় — নিবিড় প্রেমের আলিঙ্গনে তোমার পায়ের শব্দ শুনি  নিশীথের নীরব দ্বারে।   শব্দরা আজ নিস্তব্ধ নিঝুম রাতে স্বপ্নরা আগোছালো নির্ঘুম রাতে অবাক করা এই পৃথিবী  অনন্ত প্রশ্নের জবাব খুঁজে। তুমি আজ ও নিশ্চুপ ব্যস্ত জীবনে হারিয়ে যাওয়া সেই মুহূর্ত  নিরুদ্দেশে হারিয়ে গেছে  জীবন মরুর মাঝখানে। হটাৎ ঝড়ো হাওয়ায়  মনের দরজাটা খুলে যায়  প্রতিধ্বনিত হয় অনুচ্চারিত শব্দের নীরবতাই হোক সম্পর্কের জয়।          কংকা চৌধুরী গুপ্তা

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৩০

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল ( ৩০ তম পর্ব )                                                        জুঁ ই সাজগোজ করে নিচে নেমে এলো।  জুঁইয়ের আম্মু জানতে চাইলো,জুঁই মা তুমি কি কোথাও বেরোচ্ছ ?  জুঁই উত্তরে বললো হ্যাঁ আম্মু আমি আর পলাশ আজ বাইরে লাঞ্চ করবো, তাই একটু তাড়াতাড়ি না বেরোলে জ্যামে পরে যাবো। জুঁই অনেকটা আগে বেরিয়ে যথারীতি পলাশকে পিক করে নিলো..... ড্রাইভার জুঁইয়ের পছন্দের রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল। দুজনের পছন্দের খাবারই অর্ডার করলো জুঁই.. …..। সৈকত বাসায় পৌঁছতে তিনটা বেজে গেল।বাবা-মা দুজনেই সৈকতের আসার অপেক্ষায় উদগ্রীব হয়ে ছিলো। সৈকতের রেজাল্টে বাবা-মা দুজনেই ভীষণ খুশি সৈকত ও যে ফার্স্টক্লাস পেয়েছে।  সৈকত ব্যাগ রেখে ওায়াশ  রুমে ঢুকে শাওয়ার নিয়ে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে এসে পাঁচ মিনিট নিজের ঘরে বসে।তারপর  বাবা-মারের সাথে  বসে লাঞ্চ করে নিজের রুমে ঢুকে অহনাকে ফোন দিলো।  অহনা ফোন ধরে জানতে চাইলো রাস্তায় কোন সমস্যা হযনি তো?  সৈকত বললো এই ট্রেনে সচরাচর কোনো রকম সমস্যা হয় না। আমি ঠিক ভাবে পৌঁছে শাওয়ার 

রিটন মোস্তফা

ছবি
হবে কি সময় তোমার একটু হবে কি সময় তোমার, আমার জন্য?  আমাকে আপন ভেবে খুব যত্নে ভালোবাসবার? বুকে রাখবার? দু'একটা স্বপ্ন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার? হবে কি সময় তোমার, ব্যস্ত প্রহরে একটু সময়? এই আমাকে বুক পাঁজরে চিরস্থায়ী আবাস দেবার? ফাল্গুন হয়ে আগুন জ্বালাবে কি অন্তরে? অথবা বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে ভেজাবে শুষ্ক বুক?  আঁকাবাঁকা নদী হয়ে দেখাবে কি জীবনের মুখ? একটু অবসর হবে কি তোমার? ভালোবাসার? ভালোবেসে বড্ড আবেগে খুব যত্ন করে জড়িয়ে ধরার? হবে কি একটু ফিরে দেখা? পেছনের পথিকেরে কে আছে  এক আকাশ প্রম দু'হাতে তুলে তোমাকে দিতে? যদি একটু ইচ্ছে হয়, মনটা গলে, তবে ভালোবেসে তুমি ডেকো আমায় আবেগে, পাশে নিও, সাথে নিও  আসবো আমি, পৃথিবীর তেপান্তরের বিশৃঙ্খলা উপেক্ষা করে....

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৫৩

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন ৫৩ মায়ের রূপ সবেমাত্র মনোজের ফোনটা রেখা কেটেছে, তখনই ভোলা কাকা এসে বলল" ছোট বৌদি বুলু বৌদির পাগলামিটা আবার বেড়েছে।' কাকিমা বললেন  'কেন রে হঠাৎ করে আবার বাড়লো মাঝে তো বেশ একটু মনে হচ্ছে ঠিক হয়েছিল?' ভোলা কাকা বলল  'কি জানি, কিছু বুঝতে পারছি না ।এখন তো বাড়িতে যাওয়া আসায় অনেক বিধিনিষেধ হয়েছে ।ফলে ভেতরে কি হচ্ছে ,না হচ্ছে কিছুই জানা যায় না।' কাকিমা বললেন ' হ্যাঁ ,তা যা বলেছিস ,।বাড়িটা কত সুন্দর ছিল ‌পঞ্চা'দা  মারা গেলেন বুলুদিও কেমন যেন হয়ে গেলেন।' ঘরের ভেতর থেকে কাকা বললেন ' কি হয়েছে রে ভোলা ?কি হয়েছে?' কাকিমা  ভোলাকে একটু রেগে বললেন  'কথাটা একটু আস্তে বলতে পারিস না  হতচ্ছাড়া।জানিস তো একজনের কান কতটা খাড়া। এবার নাও ঠ্যালা বোঝো?' ভোলা বলল ' হ্যাঁ, ছোটবৌদি ভুল হয়ে গেছে। আসলে ওই কথাটা শোনার পর,  আর উত্তেজনা চেপে রাখতে পারি নি।' কাকিমা বললেন

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস "অলিখিত শর্ত" পর্ব ১৯

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত"  ভুল করে ২০ তম পর্ব প্রকাশ হয়ে যায় ।   ১৯ তম পর্ব  আগে না প্রকাশ হবার জন্য সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি পত্রিকার পক্ষ হতে , সম্পাদক দেবব্রত সরকার।  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ২০ )     শামীমা আহমেদ                                                                  শা ওয়ার থেকে বেরিয়ে শিহাব দ্রুত তৈরি হয়ে নিলো।সারাদিনের কাজের ম্যাপটা একবার এঁকে নিলো মনে মনে। শায়লার সাথে দেখা করা, হসপিটালে যাওয়া, কুরিয়র অফিসে গিয়ে আবার বাসায় ফেরা তারপর গুলশানে যাওয়া। আপাতত দিনের প্রথম ভাগে যা যা করণীয় তার ছক কেটে মাথায় বসিয়ে নিল ।শিহাব কোন কিছুই ঝোঁকের মাথায় করে না।খুব ধীর স্থিরভাবে ভেবে চিন্তে করে। রিশতিনাকে নিয়েও তার কোন তাড়াহুড়া ছিল না কিন্তু কিভাবে কি ঘটে গেলো!  আজ তাই  পরিস্থিতি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলো। পোষাকের ব্যাপারে ভীষণ চুজি শিহাব, বাইকে লং ড্রাইভে যেতে হলে ধুলাবালি এড়াতে জিন্সের ভারী শার্ট প্রেফার করে। শার্ট আয়রন কর

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
হাঁদার ব্যামো  পচা হাঁদার পেট খারাপ  গিয়েছিল ডাক্তার বাড়ি  ডাক্তারবাবু ওষুধ দেন     গোটা কয়েক বড়ি।  ডাক্তারবাবু আদেশ দেন  হালকা খাবার খেতে  পচা হাঁদা ভাবতে লাগল  পথে যেতে যেতে।  ভাত রুটি তরকারি  সবই তো ভারী  হালকা খাবার কী খাব   চিন্তা করে মরি!  হালকা খাবার খেতে আমার  বুদ্ধি এল মাথায় সোনপাপড়ি আর পাপড় ভাজা  কিনব পাব যেথায়।  হালকা খাবার খাচ্ছি যত  পাচ্ছি ততো কষ্ট  পেটের মধ্যে হড় মড় হড় মড়   কাপড় হচ্ছে নষ্ট।  ডাক্তারকে বলছে হাঁদা আর কত খাব বড়ি  জলের মতো পাতলা হচ্ছে  বাড়িময় ছড়াছড়ি।।

জয়তী কাঞ্জিলাল

ছবি
বাবা,তোমাকে... এই চলে যাওয়া কতটা সহজ বলো এখনও কি সেই সহজিয়া গান গাও স্নেহ লেগে থাকা বাসা জুড়ে কান্নার... বিষাদ মাখানো ভায়োলিন বেজে যাও।  ছায়ারা যখন মুছে যায় চিরতরে  পুড়ে যেতে হয় নিদারুণ বেদনায়  অসহায়, বড়ো অসহায় এক মন পুরনো দিনের স্মৃতি আজও বয়ে যায়।।

পৃথা রায় চৌধুরী

ছবি
স্পন্ডাইলোসিস অ্যাক্সেন্টেড বাংলা, প্রচুর পারফিউম ফ্রম প্যারিস,  জার্মান চকো রাম দাদার গায়ে গায়ে বসি  এখনও এই মধ্য চল্লিশে ভেসে আসে এক্কাদোক্কা গন্ধ আর ওদেশের বিয়ার শ্যাম্পু চুলের থেকে  পেখম মেলে দেয় তুলো তুলো মন্দিরমাঠ বিকেল পাড়া জুড়ে কেমন ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশী পাড়া ষাটের মায়ের হাতে ভার  স্পেশাল গেজেটস... বালাই ষাট্‌! সব লেপটে যায় দু দশকের তিল তিল অবহেলায় বৃদ্ধ বাবার ঘাড়ে ভার স্পেশাল ফাইবারের বালিশ ঝলমলে ছানি চোখ হাসে,  দুই দশকের ক্রমশ ঝুঁকে যাওয়া ঘাড়ের, ঘুমোতে ঠেকনো লাগে না।

চৈতালী ব্রহ্ম

ছবি
চাওয়া  হাতে আছে ঈশ্বরের হাত,  মগ্ন আমি আমাতে দেখেছো? পরিপূর্ণ  সমর্পণের পরে দুটি বিন্দু অশ্রুকে রেখেছো বিষণ্ণতা মুছে দেবে বলে। ঘন করে কাজলে লুকালে হাসির  আড়ালে থাকা চোখ।   আর কি কি আছে সে আড়ালে? কাছে এসো, জীবনের ঘ্রাণে  দুটি দণ্ড তীব্র বেঁচে নাও। সঙ্গী করো আকাশের তারা,  যেদিকে ইচ্ছে চলে যাও। উত্তর আকাশে চেয়ে দ্যাখো,  প্রিয়তম নক্ষত্রের দল ফুটে আছে কাছে নেবে বলে,  মৃগশিরা নক্ষত্রের জল আমারো দুচোখে নেমে আসে। ভরণী কৃত্তিকা ডাকে এসো, কে বলেছে কেউ কাছে নেই? ঐ তারাটির পাশে বোসো। দ্যাখো আজ আর দুঃখ নেই। সব ভেসে গেছে প্রতিপদে।  স্থির অমা অপেক্ষাও করে, ফিরে পাবে তাকেও প্রচ্ছদে।