পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সানি সরকার এর কবিতা

ছবি
একশো আটটি পদ্মের দিব্যি  কী করতে পারি এ মুহূর্তে  অন্ধ হয়ে যাব  একজন অন্ধ কতবার অন্ধত্ব গ্রহণ করতে পারে  আমার বাগানে একটিই ফুল গাছ  শীতের শিশির মেখে ঠাণ্ডায় কাঁপছে শব্দ করছে  অথচ  এক্ষুণি ছুটে গিয়ে খুব আস্তে  যাতে আঘাত না লাগে  ওঁর পাপড়ির ওপর মাথা রাখব কীভাবে  কষ্ট হচ্ছে খুব      হৃদিপদ্ম কাঁপছে বারবার, তবুও   আমার ফুল আমাকে বলেছে,              চুপ, কান্না করবে না  তুমি কাঁদলে আমার ভেতর ভেঙে যায়  এই হাতে ধরেছি হাত  এই ওষ্ঠ ছুঁয়েছে গভীর যতটা  এই হৃদয় মিশে গিয়েছে হৃদয়-বায়ুতে  ওঁর একশো আটটি পদ্ম ছোঁয়া আদেশ  আমি অমান্য করব সে সাধ্য আমার কোথায়  আমি কী করব এখন  আমার কী করা উচিৎ  গুহার ভেতর যাওয়া হবে না  বরফের চাদরের ওপর যাওয়া হবে না  তরঙ্গের মধ্যিখানে এত ঢেউ, মৃত্যুর মতন  অনন্তকাল তোমার কোলের ওপর মাথা রেখে  গান শুনব, গাও

রেওয়ার বর্ষপূর্তি উৎসব ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান

ছবি
অজিতেশ মঞ্চে রেওয়ার   সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন স্বপ্নসিঁড়ি : এক জাঁকজমকপূর্ণ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ৫ ডিসেম্বর সোমবার সোমবার দমদমের অজিতেশ মঞ্চে পালিত হল রেওয়ার বর্ষপূর্তি উৎসব। রেওয়ার কালচারাল প্রেসিডেন্ট মণিদীপা চক্রবর্তী, কালচারাল সেক্রেটারি জয়িতা বল চ্যাটার্জী এবং সম্পাদক নির্মাল্য বিশ্বাসের সুচারু পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনায় এক সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা উপহার দিল সাহিত্য- সংস্কৃতি- বিনোদনমূলক পত্রিকা রেওয়া। সাহিত্যের সাথে সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছে রেওয়া। অনুষ্ঠানে ছিল তারই কিছু ঝলক।  সাহিত্য জগতের প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের পাশাপাশি সঙ্গীতজগতের স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র।  এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক অজিতেশ নাগ, কবি শ্রী সদ্যোজাত এবং পুরপিতা দেবরাজ চক্রবর্তী। নাচ, গান, কবিতাপাঠের পাশাপাশি ছিল গুণীজন সম্মাননা।  সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রেওয়া সারস্বত সম্মাননা পেলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নূপুরছন্দা ঘোষ। মানবসেবা ও জনসচেতনতা সম্মাননা পেলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও

সাকিল আহমেদ

ছবি
চাঁদ কাঁচের একটি টুকরো পড়ে আছে তোমার ছাদের কার্নিশে।আমাদের প্রতিবেশী ছাদ।ছাদ বাগান।চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে বাখুলের উঠোন।সন্ধ্যা মালতি ফুটেছে ছাদ বাগানের টবে। আবার কবে দেখা হবে চাঁদ  ? তুমি তো চাঁদের উপমা।দুটো বাড়ি এখন হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। কাঁচের টুকরো থেকে বের হচ্ছে যেন হীরক দ্যুতি।মনে হচ্ছে তোমার ছাদে ফেলে যাওয়া নাকছাপি আমাকে চকিতে ডাকছে ইশারায় ।আসলে মনের সব ইশারা গুলো যেন ফ্রেম বন্দি। লক ডাউনের পর কতবার হৃদয়ে  ডাউনলোড করেছি তোমার অপলক চেয়ে থাকা।তারপর মেগা বাইট আর জিগা বাইটে ভাগ করেছি ভালবাসার এমবি।জানিনা কত জিবি তে দাঁড়িয়ে আছে হৃদয়ের পারদ। চাঁদ জানে কতটা ছল আর ছলনা ঘুমিয়ে থাকে রাতে।তোমার খোলা চুলের ইশারায় কতবার অন্ধকার এঁকেছি বুকে।সে অন্ধকার জ্বলছে যেন রাত নিশুতির বৈভব।একবার স্বপ্নে তুমি নেমে এসো চাঁদ, আমার ভালবাসার কলঙ্ক ঘোচাতে। তুমি আমার চাঁদ, চাঁদের উপমা।ছাদ বাগানের জুঁই, বেলি, কনকচাঁপা আমাকে ডাকছে।আমি তাদের বেদনার গান শোনাবো।তুমি হিংসে করোনা না চাঁদ। আমাদের রাত নিশুতির তারায় তারায় জ্বলছে তোমার মন জয় করবার নেশা।

gds

LOVE

মমতা রায়চৌধুরী ৬২

ছবি
টানাপোড়েন ৬২ আবার আসিব ফিরে                                                                  ঘু ম থেকে উঠেই আজ রেখার একরাশ ক্লান্তি ,চিন্তা হেরাফেরি করতে লাগলো। সূর্যের লাল আভা আজ তার মনকে কেড়ে নিতে পারল না। নগরজীবনের ক্লান্তি যেন তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ভাবতে ভাবতেই রেখার ফোন বেজে উঠলো। রেখা উদ্বেগগ্রস্ত ভাবে রিসিভ করে বলল ' হ্যালো'। পার্থ বলল 'বৌদি।' রেখা বলল ' কি হয়েছে?' পার্থ একটু আমতা আমতা করে বলল' না মানে দাদার জ্বরটা কিন্তু কমছে না ।  রেখা বলল 'কি বলছ গো?' পার্থ বলল 'হ্যাঁ বৌদি ।একটা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে?' রেখা বলল' কিরকম?' পার্থ বলল' দাদা বলছে মুখে কোন টেস্ট নেই। এমন কি কোনো গন্ধ পাচ্ছে না?' রেখা আতঙ্কগ্রস্থ ভাবে বলল' সে কি?' পার্থ বলল'আমি কিছু ভেবে পাচ্ছি না বৌদি। আপনি তাড়াতাড়ি আসুন।' রেখা বলল 'ডাক্তার কাকাকে ফোন করেছো?' পার্থ বলল 'হ্যাঁ এবং উনি কতগুলি টেস্ট করাতে বলেছেন ।' রেখা বলল আজকে ওগুলো টেস্ট হবে তো? পার্থ বলল' হ্যাঁ বৌদি।' রেখা বলল'পার্থ ভাই তুমি গাড়ি পাঠাচ্ছ

শান্তা কামালী

ছবি
বনফুল ( ৩৪ পর্ব )  শান্তা কামালী ময়না গিয়ে দেখে জুঁই তখনও আধঘুমন্ত অবস্থায়, ময়না কাছে গিয়ে  কপালে হাত দিয়ে আস্তে করে ডাকলো আপা.... জুঁই ময়নার দিকে তাকালো, ময়না বললো আপা পলাশ দাদাবাবু এসেছেন খালাম্মা বলছেন আপনাকে নিচে আসতে।  জুঁই বললো ময়না তুমি যাও আমি আসছি।  জুঁই চোখে মুখে কয়েক ঝাপটা পানি দিয়ে টাওয়েলে মুখ মুছে নিচে নেমে এলো। জুঁই হেসে বললো তুমি?  কই সকালে বলোনি তো তুমি আসবে!  পলাশ বললো  তুমি যখন বললে তোমার শরীরটা ভালো না তখন থেকেই মনটা অস্থির হয়ে ছিলো.... যত সময় যাচ্ছিলো খারাপ লাগা বেড়ে যাচ্ছিলো, তাই অপেক্ষা না করে.....  চলে এসে কি ভুল করেছি?   জুঁই বললো আমি কি তোমাকে তাই বলেছি?  পলাশ বললো না মানে এভাবে চলে এসে কাজটা ঠিক করছি কি না বুঝতে পারছি না....! জুঁই বললো একদম ঠিক করেছ।হঠাৎ জুঁই খেয়াল করছে ওর পরনে টিশার্ট টাওজার, এই ড্রেসে পলাশের সামনে একটু লজ্জা পাচ্ছে৷ সে ….।  পলাশ অবাক হয়ে দেখছে আজ যেন জুঁইকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে...!  পলাশ জুঁইয়ের কপালে হাত দিয়ে দেখতে পেলো হালকা জ্বর আছে, জুঁই তুমি তো সকালে যখন কথা হলো বললে না তোমার জ্বর!   আরে আমি তো এখনোও বুঝতে পারছিনা যে আমার জ্বর......।  

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ২৫) শামীমা আহমেদ  সারাদিন নানান ব্যস্ততায় কেটে গেলেও ভেতরে ভেতরে শিহাবের কোথায় যেন একটা চাপা ব্যথা। অপ্রকাশিত অভিমান। কিছু হারিয়ে যাওয়ার উৎকন্ঠা,যেন ভেতরে বয়ে চলেছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা,চারিদিক শোকে মুহ্যমান। সন্ধ্যা ছুঁইছুঁই লগ্নে শিহাব যাবতীয় দ্বায়িত্ব সেরে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলো।বেরুনোর আগে মোবাইলে আরো একবার চোখ বুলিয়ে নিলো।নাহ! কোন মেসেজ নেই। বুঝা গেলো শায়লা খুবই অভিমানে আছে। শিহাব দোষটা, দায়টা নিজের উপরেই নিলো। শায়লাকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না,শায়লাকে অপেক্ষায় রেখে তার ভেতরেও কেমন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে। না, এভাবে দিনদিন একটু একটু করে সম্পর্কটা কোনদিকে এগিয়ে যাচ্ছে? শেষটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? শায়লা বিবাহিতা,একজনের জীবনসঙ্গী।এভাবে তাকে, তার মনকে এখন শিহাবের দিকে ফেরানো মোটেও কোন যুক্তিযুক্ত কাজ হচ্ছে না। শিহাব নিজেকে চিনতে পারছে না।নাহ! সেতো কখনো এমন অসংলগ্ন কাজ করেনি। পরিবারে সে যথেষ্ট দ্বায়িত্ববান একটি ছেলে তার এমন দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করা ঠিক হচ্ছে না।কিন্তু তার জীবনে শায়লার এই সহসা আগমন, কথায় কথায় এতটা জড়িয়ে যাওয়া যেমন একটা পূর্ণতা এনে দ

ঝুম্পা দাস হালদার

ছবি
অম্বা আমি  আমি অম্বা, আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিশোধের আগুন,  গঙ্গা পুত্র ভীষ্মের মতো মহাবীর পরাক্রমীর মৃত্যুর ছায়াপথ আমি,  যে ধ্বংস করেছে আমার ভবিষ্যতের আলো, আমার প্রেম,  আমার ভালোবাসার আস্বাদ,  পরিবর্তে দিয়েছে আমায় প্রতিশোধের আগুন,  তাইতো জন্মান্তরেও শ্রীখন্ডীনি রূপে অম্বা আমি, আমিই শক্তি,       আমিই মৃত্যু,             আমিই প্রগতি,                    আমিই নারী।  আজও যুগে যুগে জন্ম নেয় আমার প্রতিশোধরূপী  আত্মা,     জন্মান্তরেও আমার হৃদয়ে জ্বলতে থাকে প্রতিশোধ বহ্নি,  তাইতো, এক মুহুর্তে অস্ত্রহীন, বিকলাঙ্গ করে দিতে পারি আমি ভীষ্মের ন্যায় হাজারো বীর পরাক্রমী শক্তিকে।    তাই, স্তব্ধ হও পৈশাচিক আস্ফালনে উন্মত্ত পিশাচদল,     জেনে রেখো.... বর্তমান নারীশক্তির মূলাধারও,    সেই আমি।      না,মৃত্যু নেই ,  মৃত্যু নেই আমার    যুগে যুগে আবির্ভূতা মৃত্যুর ছায়াপথরূপী              অম্বা আমি ,                 আমিই দামিনী,              আমিই মৃত্যু,                   আমিই প্রগতি,                     আমিই নারী।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন ( ২য় পর্ব )  আব্বা, সহধ‌র্মিনী আর ছোট বাবু‌কে বিদায় দি‌য়েই আকাশযা‌নের দি‌কে অগ্রসর হওয়ার প্রাক্কা‌লে আমার সহধ‌র্মিণী ক্ষু‌দেবাবুর হাত নেড়ে আমা‌কে বিদায় জানা‌লো কিন্তু যে ঘটনা কোন‌দিনই ঘ‌টে‌নি দুর্ভাগ্যক্র‌মে সেই ঘটনা‌টিই ঘ‌টে গে‌লো। আমার আব্বা‌কে আ‌মি এত বড় হ‌'য়ে‌ছি কিন্তু কোন‌দিন কাঁদ‌তে দে‌খি‌নি। সে‌দিন তাঁর চো‌খের এক কোণায় পা‌নি জমা দে‌খেছিলাম।  এই পা‌নির মর্মকথা সে‌দিন বুঝ‌তে না পার‌লেও কিন্তু বুঝলাম এগার মাস প‌রে যে‌য়ে। হয়তবা আমার আব্বা আ‌গেই টের পে‌য়ে‌ছি‌লেন তাঁর শেষ প‌রিণতির কথা। এ ব্যাপারটা প‌রে ব‌লি। যা‌হোক, সবাই‌কে বিদায় দি‌য়ে আকাশতরী‌তে উঠার জন্য অতঃপর ধীর পদ‌ক্ষে‌পে এগু‌তে থাকলাম আর বার বার বউ-বাচ্চার দি‌কে ফি‌রে ফি‌রে তাকাচ্ছিলাম আর ভাব‌ছিলাম প্রাণ‌প্রিয় শ্র‌দ্ধেয় আব্বার কথা। আব্বার তেমন ‌কোন বয়স হ‌'য়ে‌ছি‌লো না। মাত্র ৫৭বছর। যা‌হোক, যাত্রার উ‌দ্দে‌শ্যে ঢুকলাম সেই ঢাউসপ্রমাণ এয়ারক্রা‌ফ্টে। সে যেন এক বি‌চিত্র অ‌ভিজ্ঞতা।  পাঁচ-ছয়শ' মানুষ আমরা, আমা‌দের সাম‌রিক সরঞ্জাম আর ব্য‌ক্তিগত অস্ত্র, সাব মে‌শিনগান নি‌য়ে বসলাম আমরা নিজ নিজ