পোস্টগুলি

নভেম্বর ২২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"১৭

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ১৭ )     শামীমা আহমেদ                                                           অ ফিস থেকে বেরুতে বেরুতে  শিহাবের সন্ধ্যে হয়ে গেলো।এরই মধ্যে বন্ধুদের কয়েকবার কল চলে এলো।'সন্ধ্যার চা' অর্থাৎ  ইভিনিং টি  পানের নিমন্ত্রণ।বুঝে গেলো শিহাব আজ আর এদের হাত থেকে তার নিস্তার নেই।এখুনি বাসায় ফেরা হচ্ছে না।হাতের কাজগুলো গুছিয়ে নিয়ে নিজেকে একটু ফ্রেশ করে নিল।এমনিতেই সারাক্ষনই বন্ধুদের টিপ্পনী  শুনতে হয়।শিহাব নাকি মেয়েদের পটাতে ওস্তাদ।কিন্তু এটা সম্পূর্ণই ওদের ভুল ধারণা। মেয়েরা নিজে থেকেই শিহাবের দিকে আকৃষ্ট হয়।তার লুক,বিহেভিয়ার, আইডোলজি কেয়ারিং এটিটিউট,কঞ্জারভেটিভনেস এ মেয়েরা,এমনকি অনেক  মহিলারাও ভীষণ দূর্বল হয়ে পড়ে। শিহাব তাই খুবই সংযত হয়ে চলাফেরা করে। একটু সরলতায় কথা বললে অনেকেই সেটা দূর্বলতা ভেবে নেয়। এই জীবনে রিশতিনা এসেছিল খুবই অল্প সময়ের ভালোলাগায় আবার হারিয়েও গেছে খুব দ্রুত সময়ে।তার পর

আমির হাসান মিলন

ছবি
প্রশান্তি     তোমাকে যখন দেখি ,  আমার বুকের প্রশান্তে প্রবল ভু-কম্পন সৃষ্টি হয়  হৃদয় ছিটকে গিয়ে চাঁদের মতোন  পৃথিবী মঙ্গল এর মাঝে স্থবিরতা প্রাপ্ত হয় ।  তোমাকে না দেখে,  আমার ভিতর কোন এক সুদুর সুখের অব্যক্ত ব্যথায়  শীতের সন্ধ্যার তারার মতো লাস্যময়ী হয়ে উঠে  নিজেকে পেয়ে খুঁজে পাই হারানো সুর ।  তোমাকে যখন দেখি ,  হৃদপিণ্ড থেকে আমার উল্কা বৃষ্টি শুরু হয়  হৃদয়ের অনু ছিঁড়ে ছিঁড়ে  পাকস্থলীতে ভস্মের মহাস্তুপ সৃষ্টি করে ।  তোমাকে না দেখে, আমার দুটি চোখ চৈতি পৃথিবীর মতো খর হয়ে উঠে সেখানে দুঃখের অশ্রু প্রতিহিংসার তাপে  বাষ্পীভূত হয়ে লীন হয় ।  অসামান্য রূপের আলোক ছটায়  আলোকিত না হয়ে , ডুবে থাকি আরাধনায় ।

সাফিয়া খন্দকার রেখা

ছবি
রঙচঙা এক মৃত্যু নিয়ে শহরময় হাঁটিস পাথর সমান ভারি যখন মেঘ চোখে তখন বাঁধনহারা বেগ, যখন আমার শ্বাসরুদ্ধ অভাব তখন তোর বেহায়াপনা স্বভাব।  ইচ্ছে হলে টগবগিয়ে হৃদপিণ্ড ফোটে তোর আকাশে হাজার শত অলি এসে জোটে, দাড়িয়ে থাকি দূরে দেখতে থাকি তোকে ভুল করে তুই ঢুকে পরিস নিত্যনতুন শোকে। প্রেম নিয়ে তুই খেলতে থাকিস কাটাকুটি খেলা  যেনো মোমের পুতুল নাচতে থাকে প্রেমযমুনায় ভেলা। অভাব ঠোঁটে চুমু খেয়ে টলতে থাকিস নেশায়  নষ্ট প্রেমের হাওয়া এসে উম্মাদনা মেশায়। উম্মাদ তুই ভাবতে থাকিস এইতো মহা সুখ  আকড়ে ধরে জাপটে তোকে মস্ত এক অসুখ।  পরগাছারা শেকরবিহীন তৃষ্ণা নিয়েই বাঁচে নিজে পোড়ে পোড়ায় হৃদয় মিথ্যা প্রেমের আঁচে। দূর থেকেই তাকিয়ে দেখি নষ্ট একটা তুই তোর আঙিনায় কেমন ছিলাম ভালোবাসার ভুঁই। ফিরিয়ে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফিরিয়ে নিয়ে মায়া পেছন ফিরে দেখি তুই এক অমাবস্যা কায়া।  রঙচঙা এক মৃত্যু নিয়ে শহরময় হাঁটিস  পুষে রাখা দগদগে দাগ হাড়গোড় সব চাটিস। মনেপ্রাণে ভাবছিস তুই পেলবতা মাখিস! এই দরোজায় ঐ দরোজায় হৃদয় ছুঁয়ে থাকিস!! অপগণ্ড মূর্খ তুই হৃদয় পোড়া ছাই খুঁজে দেখ তোর জন্য কারো মায়া নাই, আদ্যোপান্ত তোকে জানিস নিত্য আমি পড়ি ঘৃণার এক বিষবৃক

রেবেকা সুলতানা ( রেবা)

ছবি
স্রষ্টার প্রেমে গড়া দৃষ্টিতে প্রেম ঝড়ে হাসিতে স্নিগ্ধতা  যতই দেখি তারে ঘিরে ধরে মুগ্ধতা।  চোখেতে কামনা সে তো বড় যাতনা ছিলোনা তো মোর কল্পনা। ও চোখের দৃষ্টিতে  প্রেমে পড়ি বারংবার  চোখে যেন আগ্নিঝরে কি করিবো হায়! অভিমান - অনুযোগের মিশিল চোখের পাতায়, অব্যক্ত কথাটা ভাসে চোখের কোনায়, চোখের ভাষারা যেন ঐ হৃদয়ের আরশি। তবুও চোখে জল জমেছে যেন ঝরছে অশ্রুবারী। চোখের পানে তাকিয়ে থাকা দায় চোখে অশ্রুর সঞ্চার ঘটে রোজ।  দিকবিদিকশুন্য  আজও চঞ্চল ঐ চোখ। চোখ নয় যেন দুটি সুখ তারা পলকে পলকে হয়ে যাই আমি  দিশেহারা। ছলনাময়ী চোখ কেড়ে নিলো মোর সবি, ও চোখের গভীরতায় ডুবে যাই রোজ চোখে চোখ রেখে দেখা হয় হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি। তোমার এ চোখ যেন স্রষ্টার  প্রেমে গড়া, তাই তো এতো প্রেম -প্রিতি সোহাগে ভরা চোখ  আজও নেশাতুর তোমাতেই ঝোঁক।

নিপুন দাস

ছবি
অতীত কেমন আছো?          - এইতো আছি।  কোথায় থাকো?          - কাছাকাছি।  বদলে গেছো?           - সবাই বলে।  তারপর সব ?          - যাচ্ছে চলে।  বিয়ে - সাদী?           - লাভ কি শুনে।  কতদিন হলো?           - রাখিনি গুনে।  ছেলে হয়েছে?           - একটি মেয়ে। কোথায় এখন?          - ঘুমালো খেয়ে।  নাম কি ওর?          - 'সোনা মা' ডাকি।  এই নামটা তো.....          - এখন রাখি।  ব্যাস্ত খুবই?           - একটু খানি।  বছর পাঁচেক........          - আমি জানি।  এড়িয়ে যাচ্ছো?          - এমনটা নয়।  মনে পড়ে না?           - পাইনা সময়।  সেদিন যদি........          - থাক সেসব।  ভুলেই গেছো?           - যথা সম্ভব।  থাকতো যদি.......        - থাকবে কি আর ?  ভুলিনি আমি            - যায় আসে কার?  রাখবো এখন?           - কিছু কি বাকি?  ভালো থেকো!!           - ভালোই থাকি।  এত অভিমান ?            - রাখিনি মোটেই।  এখন কাদোঁ??           - অল্প চোটেই? হ্যাঁ, কাঁদো কি??          -না, কাঁদি না। বেণি করো চুল...??          - আর বাধি না।  বৃষ্টিতে ছাদে??         - যাই না এখন।  প্রিয় গানগুলো ?           - শুনি কিছুক্ষন।  কখন

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪৯

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।  টানাপোড়েন ৪৯ আয়োজন                                               হা লকা হালকা শীত ।কুয়াশা ঢাকা আকাশ ।সোনালী রোদ্দুর ।কতদিন পর সকালবেলা আকাশটা এমন করে দেখার সুযোগ পেল। ঘুম থেকে উঠে গেল ছাদে । ছাদের যে জায়গাটাতে মাঝে মাঝে গিয়ে বিয়ের আগে বসতো ,শৈশবের অনেক স্মৃতি যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ।সেই জায়গাটাকে খুঁজে পেতে চাইল রেখা। ছাদের বেশিরভাগ অংশই দেখা যাচ্ছে যে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে ।তবুও যার সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, যত ই পুরাতন হোক না কেন ?সে তো মনের গভীরে থেকেই যায়। ছাদে আগে প্রচুর ফুল গাছ ছিল এখন অনেক কমে গেছে। তবে নীল অপরাজিতা ফুল গাছটা তেমনি আছে । রেখা সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে স্মৃতি রোমন্থন করছিল । সারা দুপুর ধরে শীত পড়তে না পড়তেই বাড়ির মা ,জেঠিমা ,কাকিমারা সব গা গরম করতে থাকতো ছাদে আর ঠাম্মি তো বিকেল না হতেই সেঁধিয়ে যেত তার বিছানায়। এখান থেকে নীলদাকে দেখা যেত। কতদিন রেখা এই ছাদের থেকে নীলের সঙ্গে ইশারায় কথা বলেছে। আজও তো সেই জায়গায