পোস্টগুলি

মার্চ ১০, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি রেহানা বীথি'র কবিতা

ছবি
বিরহের বেহাগ  রেহানা বীথি  দাঁড়িয়ে থেকো না  মৃত শীতের অশ্লীল শব্দোচ্চারণে ভেঙে যাচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে  কলসির গল্প  পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে  রোদ আর কুয়াশা  একটু বোসো  না-হয় আধশোয়া হয়ে  চিবুকে তর্জনি রেখে একটু ভাবো  দুপুর, ভোর, সন্ধেবেলার গণিত  অতঃপর শবাসন  শিথিল...  পীড়িত মানুষের কাছে  জ্যোৎস্না চেয়ে বিরক্ত কোরো না  শবাসন থেকে উঠে বসে বিরহ চাও তার কাছে  দু'হাত খুলে দেবে   

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২৮

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১২৮ মনের মানুষ থাকুক মনের মন্দিরে মমতা রায় চৌধুরী রেখা  হঠাৎ ই অন্যমনস্ক হয়ে গেল। পার্থ যে টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। রেখা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছে। কতটা কষ্ট হয় প্রিয় মানুষের সঙ্গে মিল না হলে। শৈশবকালে রেখা নীলকে হারিয়েছে। সেই ক্ষত এখনো টাটকা আছে। জ্বালা, যন্ত্রণা কিছুটা উপশম কাজের মধ্যে ভোলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু অতীত স্মৃতি ইতিহাসের পাতার মতো জ্বলজ্বল করে। পাতা উল্টাতে উল্টাতে ভিড় করে আসে মনের আরশিতে। এর মধ্যেই জীবনে ঘটে গেছে কত কিছু। স্বপ্নীল এসেছে জীবনে সেও অতীত। এটা হবারই কথা ছিল। বিবাহিত জীবনে পরকীয়া এটা কেউ মেনে নেবে না। কিন্তু মন তো অনেক কিছু চায়। মনের ক্রাইসিস কে দূর করবে? প্রকৃত বন্ধুর দরকার। প্রকৃত বন্ধুকে সবকিছু বলা যায় নিজের স্বামীকে বলা যায়না। তাহলে সে প্রকৃত বন্ধুটা কে? প্রকৃত বন্ধু সেই যে কখনো বন্ধুকে ছেড়ে কোথাও যায় না হ্যা হয়তো সবসময় তাকে কাছে পাওয়া যায় না কিন্তু তার মানে এই নয় তার দুঃখে তার অবসাদে তার কষ্টে সে শামিল হবে না ।দুঃখ বিমোচনে পরামর্শদাতা হবে না? সবাই ছেড়ে গেলে ও বন্ধু ছেড়ে যাবে না। সেরকমই বন্ধু পেয়েছিল স্বপ্নীল

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২৭ ঢেঁকি  গেলেও ধান ভানে মমতা রায়চৌধুরী দুটো দিন টানা কিছু খেতে পারেনি রেখা যাও বা খেয়েছে সবই বেরিয়ে গেছে ।প্রচন্ড উইক লাগছে কিন্তু বাচ্চাগুলোর কাছে তো যেতেই হবে। না দেখলে যেন প্রাণ আনচান করতে থাকে। ওদের আদর-ভালোবাসা সবথেকে বেশি মূল্যবান বলে মনে হয় ।মিলি যেন রেখার মাতৃত্বটাকে তার বাচ্চা দিয়ে ভরিয়ে দিলো। ঈশ্বরের অশেষ  আশীর্বাদ ।থ্যাংকস গড বারবার জানায় রেখা। হঠাৎ  মনোজ এসে বলল'জানো রেখা।' রেখা মনেজের দিকে উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকায়। "তোমার পাইলট কি করছে দেখেছো?' রেখা বললো কি? মনোজ হাত দুটোকে গেট ধরার মতো করে দেখিয়ে বলল 'গেটটাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর ডাকছে?' আমি কাছে গেলাম ।লেজ নাড়ল। তারপরও ডেকে যাচ্ছে।' কেন? 'তুমি যাওনি আজকে ওদের কাছে।'' 'অনেক আগে কিন্তু আদর করিনি।' "ও বাবা ওই জন্যই বোধহয় ... যাও যাও একবার দেখা করে আসো, আদর করে আসো। রেখা বলল 'ঠিক আছে, যাই।" 'সত্যিই তো ওরাও তো প্রত্যাশা নিয়ে থাকে, হয়তো "মনটা খারাপ হচ্ছে।' "হ্যাঁ যাও ,ওদের কাছে যাও।' রেখার ননদ রেখার শাশুড়ির

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর ছড়া

ছবি
মাকে পেলেই শিশু খুশি শিবনাথ মণ্ডল জন্মেই পেয়ে গেলাম মায়ের শীতল কোল আদর স্নেহ দিয় মা সর্বদা দেয় দোল। মা,যে আমার দেবীর সোমান বড়ো করে তোলে বুকের সুধা দিয়ে বাঁচায় সব ব‍্যাথা ভুলে। সব কষ্ট ভুলে যায় মা দেখলে শিশুর হাসি মাকে পেলেই ভুলেযায় শিশু আদরের মাসি। শিশুর কাছে মায়ের মত নেইকো কিছু আর হতোভাগি হয় শিশু নেই মা যার। বড়ো হয়ে মাকে যেন কেউ যেওনা ভুলে মায়ের স্নেহ মাথায় করে রেখো সবাই  তুলে।।