পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অলোক দাস

ছবি
মুক্তিযোদ্ধা   স্বাধীনতা যে কি, তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ বাংলাদেশ I মুজিবর না থাকলে সোনার বাংলা স্বাধীন হোতো না I একাত্তরের মিছিল ময়দানে I মঞ্চে মুজিব ও ইন্দ্রিরা I শুধু কালো মাথা I আমার আসন সবার পেছনে I একটাই আওয়াজ মুজিবের, আমরা হাতে নয়, ভাতে মারবো I আজ স্বাধীন বাংলাদেশ I পঞ্চাশ বছর পার I যাদের মাতৃভাষা একটাই বাংলাভাষা I বিশ্ব কবির ও নজরুলের বাংলা আজ স্বাধীন I দুই বাংলা একদিন এক হবেই I বেড়াটা আর নয় I একটাই সুর সোনার বাংলা I চলো যাই বাংলাদেশ I যেথা মোদের মাটির টান I

মমতা রায় চৌধুরী /৭০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭০ প্রতারণা মমতা রায় চৌধুরী                                                            শিশির ভেজা সিক্ত সকাল, সোনালী রোদ্দুর,  ঘাসের আলতো নরম ছোঁয়া -এ ভাবনা শহরে হবে না ,শুধু ফ্লাটের ব্যালকনিতে বসে বসেই ভাবা ছাড়া কিছু নয় । রয়েছে শুধু ক্লান্তি, দূষণ ,ব্যস্ততায় মোড়া  শহর। সেখানে কোথায় চেনা মানুষের সেই আবেগ জড়ানো কন্ঠ, কোথায় রয়েছে সেই নদীর কুলুকুলু শব্দ ,কোথায় পাওয়া যাবে বিজনে বসে অরন্যের একরাশ সবুজ স্নিগ্ধ ভালোবাসা। তবু এরমধ্যেই থাকা। এই ভাবনার ভেতরেই আলোড়ন তোলে ফোনের রিংটোন'যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা, তোমায় জানাতাম।' হঠাৎ মনোজ 'রেখা রেখা' বলে ডাকার পরেও  সাড়া না দেওয়াতে বারান্দায় এসে রেখার কে ধাক্কা দিয়ে বলল' কি ব্যাপার তুমি শুনতে পাচ্ছ না? তোমাকে ডাকছি।' রেখা বলল-কেন কি হয়েছে? মনোজ বলল' তোমার ফোন বাজছে।' রেখার কানেও আওয়াজটা একবার এসেছে কিন্তু রিংটোনটাতে এতটা নিমগ্ন হয়েছিল যে ,ফোনের  কাছে যাবার প্রয়োজন বোধ করে নি। মনোজ বলল"এ রিংটোন আবার তুমি কবে লাগালে?' রেখা বলল 'কেন তোমার ভালো লাগছে না?' মনোজ

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
উকুনের জ্বালা আগের দিনে শিক্ষকরা ছিলেন ভীষণ কড়া শিক্ষকদের ভয়ে ছাত্রছাত্রীরা করতো ভালো  পড়া স্কুলেপড়া নাহলে শিক্ষকরা মারতো বেতের বাড়ি কখনো আবার স্কুল থেকে দিত বারকরি। এখন শিক্ষকরা মারেনা বেত দেয়না কান মুলে ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইল  ঘেঁটে পড়াযায় ভুলে। শিক্ষক বলে তোরমাথায় কিস‍্যুনেই ক্লাশথেকে দেবো বারকরে ছাত্রিটি রেগে মাথা থেকে  উকুন দিলোছুরে। ঝাঁকড়া চুল মাষ্টারের  মাথায়  উকুন গিয়ে পরে অনেক  চেষ্টা করেও উকুন পড়লনা ঝড়ে। শিক্ষককের কথারভুলে ঘটল এমন বিপদ বাড়ির সবার মাথার মধ‍্যে ঘুরছে এই আপদ। অনেক চেষ্টা করেও উকুন তবু নাপালাই বাড়ি ভর্তিলোক জ্বলে মরছে উকুনের জ্বলায়।।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান/৮ম পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌ন হাই‌তি‌তে গমন  ( ৮ম পর্ব )  মোঃ হা‌বিবুর রহমান সা‌র্জেন্ট এ‌সেই শু‌ভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে তার ব্য‌ক্তিগত ফি‌রি‌স্তি তু‌লে ধর‌লো এবং সে যে দা‌য়িত্বপ্রাপ্ত হ‌'য়ে গন্তব্যস্হল পো‌র্টোরি‌কো আন্তর্জা‌তিক বিমান বন্দর পর্যন্ত আমা‌দের‌কে দেখভাল ক'র‌বে সে‌ কথাটা এক নিঃশ্বা‌সে জা‌নি‌য়েই আমা‌দের‌কে সা‌থে সা‌থে প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্য‌মে জান‌তে চাই‌লো যে, আমা‌দের তরফ থে‌কে তার নিকট এমূহু‌র্তে কোন জিজ্ঞাস্য আ‌ছে কিনা? আমরা কোন রকম অযথা বাক্য ব্যয় না ক‌'রে শুধ‌ুমাত্র তার দরাজ গলার ছোটো-খা‌টো একটা বক্তৃতা কানে শ্রবণ ক'রলাম মাত্র।  বলাবাহুল্য, ভূ-পৃষ্ঠ হ‌'তে এই ৪০ হাজার ফুট উপ‌রে এমআরই (MRE)এর কিন্তু অভাব নেই। ভাল না লাগ‌লেও খে‌তে হ‌'চ্ছিল কারণ, পৃ‌থিবীর সব‌চে‌য়ে জল্লাদ ও চামার ব্য‌ক্তিটি‌কে মানা‌নো গে‌লেও দে‌হের সব‌চে‌য়ে স‌ক্রিয় অংশ পেট নামক চামড়ার যন্ত্র‌টিকে অদ্যাবধি কেউ তার ক্ষুধা নামক একমাত্র চ‌া‌হিদাটি পূরণ না ক'রে এই সুন্দর দু‌নিয়ায় দীর্ঘ‌দিন টি‌কে থাক‌তে পারে‌নি।  পা‌নি আর কতক্ষণ খে‌য়ে  থাকা যায়? তাই আবার এমআরই এর দি‌কে নজর গেলো। ‌কিন্তু এমআরই এর প্যা

মোঃ নাহিদ হাসান মজুমদার

ছবি
চাকর   চাকর শব্দটি শুনতে কেমন জানি লাগে? যারা অঢেল বিত্তশালী অনেকেই গর্ভবোধ করে বলেন, আমার বাড়ির কাজ কর্ম চাকর বাকররাই দেখবাল করে। চাকরের সাথে বাকরও সংযুক্ত হলো।  * আমি তখন প্রাইমারিতে পড়ি।     ঐ সময়টাতে বাবাকে চাকর নিয়ে প্রশ্ন করলাম। যে কাজ করে তাকে চাকর বলে কেনো ? বাবা আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। বাবাকে বললাম তুমি এভাবে তাকিয়ে কেনো আমার দিকে ? কোন অন্যায় করিনিতো ? বাবা বললেন না তুমি কোন অন্যায় করোনি। আমি ভাবছি তোমার প্রশ্নটা নিয়ে। আমি বললাম ভাবার কি আছে। যারা কাজ করে তাদেরকে  কাজের লোক বলবে এখানে চাকর শব্দটি আসলো কোত্থেকে আবার অনেকে চাকরের সাথে বাকরও বলে।   বাবা হেসে বললেন আচ্ছা চাকরের ইংরেজি জানো ? আমি বললাম Servant. বাবা বললেন Thanks.  বৃটিশ যখন আমাদের শাসন করে তখন তাদের ফরমায়েশ পালন করার জন্য আমাদের দেশের তথাকথিত নিম্ন বর্নের লোকদের নিয়োগ দিতেন এবং তাদেরকে  Servant বলতেন। তখনও  servant এর বাংলা অর্থ ছিলো না।   বললাম তাহলে চাকর শব্দটি ? বাবা বললেন বলবার  সু্যোগ দেবেতো?  আচ্ছা বলো বাবা, শোন ইংরেজদের  আমলে সামন্ত বাবুরা জমিদার ছিলেন তাদের ফরমায়েশ যারা করতো তাদের চাকর বলতো। বললাম কেন

শান্তা কামালী/৪২ তম পর্ব

ছবি
বনফুল ( ৪২ তম পর্ব )  শান্তা কামালী জুঁই কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে যায়।মনে বুঝি তার ইচ্ছাপূরণ না হওয়ার বেদনার জ্বালা। পলাশ বললো আন্টি বললেন, অহনা আর সৈকত নাকি কালকে সন্ধ্যা বেলায় আমি চলে যাবার পরে তোমাকে এসে দেখে গেছে, আমাকে বলোনি তো? তোমাকে আর কিচ্ছু বলবো না, তুমি আমাকে একটুও....।  জুঁই য়ের চোখ ভিজে যায়।পলাশ তার পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুছে দিয়ে বলে, পাগলী.....। আমার কি জুঁই ছাড়া আর কোনো বেলী,মালতী রজনীগন্ধা আছে না-কি, যে তোমাকে ছাড়া.... কথা শেষ হওয়ার আগেই জুঁই দুম দুম করে দু-চারটে কিল লাগিয়ে দেয় পলাশের বুকের মধ্যে। পলাশ হা হা হা করে হেসে আবারও বলে পাগলী। এবারে জুঁই ও হেসে ফেলে।  কিছুক্ষণ এভাবে কেটে যায়। পলাশ বলে, ডাক্তার তো বলেছেন,সামনের জুম্মা বারে তোমার ট্রাকশান নেওয়া বন্ধ করে দেবেন। তারপর তুমি যতো খুশী কিল মারতে পারবে।আর আমারও ভিসা ততোদিনে হয়ে যাবে।তারপর, ফ্লাইটের টিকিট পেলেই....। জুঁই পলাশের দুটো কাঁধে শক্ত করে ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলে, এই শোনো না, তুমি আমাকে রোজ ভিডিও কল করবে তো? পলাশ বলে, নিশ্চয়ই করবো। কতোবার করবে, বলো? যতোবার সময় পাবো,ততোবারই করবো।তোমার সাথে ছাড়া আর কারোর সাথে

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
পরখ কর এ আমাকে  এখানে একটুখানি বস চোখের শার্শিতে রাতের পল্লবী হৃদয় ছুঁয়েছে আমার শরীর  ওখানে  হাত রাখ, ছুঁয়ে দেখ  তোমাকে পাবে কত যতনে তোমাকে রেখেছি  শো-কেসে যেমন রাখে প্রিয় প্রসাধনগুলো একটুখানি বসলেই পেয়ে যাবে বাসন্তিক চোখের শালুক,  তোমার চুলের তরঙ্গ নহর আমার অতনু শরীর,   থরে থরে সাজানো  সুগন্ধি ভালবাসার পূর্ণ-পেয়ালা শিশির শিশিরের ভাঁজে ভাঁজে   মুক্তা দানাদের আলোকিত জলমহল । একটুখানি হাত ধরো  অথবা যতটুকু তুমি চাও  ছুঁয়ে দেখ এ আমাকে  দেখ তুমি আছো এ হাতে,  হাতের তালু, তর্জনীতে হৃদয়ে - হৃদয়ে ছুঁয়ে দেখ পরখ কর এ আমাকে যতখানি তুমি চাও আমি তাই আছি কিনা।  এখানে একটুখানি বস  বৈষ্ণবী হাতে ছুঁয়ে দেখ বুকের চৌকাঠ  তোমার প্রতীক্ষায় মন্জিলে মন্থিত চন্দ্রিমা নিলয় আমার।

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৩৩

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  ( পর্ব ৩৩) শামীমা আহমেদ  ---বেশ বেলা করেই শিহাব আজ ঘুম থেকে জাগলো।বাইরে রোদ ঝলমল করছে।ছুটির দিন হওয়াতে চারিদিকে গাড়ি চলাচলের শব্দ খুবই কম।ফেরিওয়ালার হাঁকডাক নেই। ওরাও কি তবে ছুটির দিন কাটায়? যদিও রাতে শিহাবের খুব ভালো ঘুম হয়েছে।তবুও আলসেমিতে বিছানা ছাড়া হয়নি।এপাশ ওপাশ করে ঘুমটা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিয়েছে। ছুটির দিনের আমেজে তার মাঝে আলসেমি ভর করেছে।নিজেকে কেমন যেন  হালকা পালকের মত লাগছিল।মনের অবস্থাটা বেশ ফুরফুরে। অনেকদিন পর শিহাব  নিজেকে ভারমুক্ত ভাবছে। সে মোবাইলে সময় দেখে নিলো। সকাল সাড়ে দশটা। আজ ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার কথা আছে। যদিও লেবাররা কেউ আজ থাকবে না। ম্যানেজার ফারুখ সাহেবকে আসতে বলা হয়েছে। শিহাব যখন উত্তরা থেকে রওনা হবে তখন ম্যানেজারকে ফ্যাক্টরিতে আসতে বলবে। সে গাজীপুরেই একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছে।তার বাড়ি কাপাশিয়ায়।লোকটা বেশ ভালো। খুবই পরিশ্রমী।দুটি বাচ্চা আছে। সে শিহাবকে বেশ সম্মান করে।অবশ্য মালিক বলে কথা! যদিও লোকটি শিহাবের চেয়ে বয়সে বড়ই হবে। হয়তো  শিহাবের জন্য আজ দুপুরে নিজের বাসায় খাওয়ার আয়োজনও করে রাখবে। শিহাবের অনুপস্থিতিতেও ফ্যাক্টরীটা সে ব

শ্রী স্বপন দাস

ছবি
মিষ্টি ডিসেম্বর চির সুন্দর বর্ষ বিদায়ী হে ডিসেম্বর, তোমার প্রতি রইল প্রীতি পূর্ণ শুভেচ্ছা,অভিনন্দন,ভক্তিভর। ভাবিত মন চিন্তা শীল সারাক্ষণ, কখন আসিবে উক্ত মধু সন্ধিক্ষণ। শীতের চাদরে পরিপূর্ণ প্রকৃতি ও পরিবেশ, শিশিরের কনা সবুজ ঘাসের চাদরে জড়ানো,নতুন আবেশ। শুভ্র তুষার বেষ্ঠিত শৈল শিখর, রবির আভায় ঝলকিত রূপের বহর। ক্রিস মাসের কেক বড় দিনের আনন্দ দোলা দেয় মনে, কেহ যায় পাহাড়ে কেহ যায় জঙ্গলে কেহ যায় নদীতে, ভ্রমণের টানে। ভাল মন্দ সুখ দু:খ মিলিয়ে  কেটে গেল পুরো একটি বছর, কত ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল বর্ষ বিদায়ী হে ডিসেম্বর।।