পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি শারমিন সুলতানা'র কবিতা

ছবি
হয়তো একদিন   শারমিন সুলতানা   আমিও মানুষ আমারও মন খারাপ হয় তাই বেশি ভালোবাসি বলেই হয়তো বেশি কষ্ট পাই। তোমাকে পাবো আশ্বাসে বিশ্বাসে এ টুকুইতো চাওয়া ছিলো রাই কষ্টে ভরিয়ে দিবে জানি তবুও ইচ্ছে করেই তোমাতে হারাই। অবহেলার বিনিময়ে খুব করে ভালোবাসি  একা আমারই যেনো দায়, হয়তো একদিন বুঝবে ঠিকই তখন দেরি না হয়ে যায় দুর অজানায় হারিয়ে যাবো  সবকিছু ছিন্ন করে হায় তেপান্তরে পারি জমাবো চিরতরে  খুঁজবে শুধু এই আমায়। সকল সুখ হোক যে তোমার ভালো থেকো প্রাণের সই এক বুক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে না হয় আমিই মাটির বহরে পরে রই।

মমতা রায় চৌধুরী /৭৭ পর্ব

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৭ রেখার স্কুল যাবার পথে মমতা রায় চৌধুরী পার্থ একেবারে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে মনোজদের বাড়ির দরজায এসে কলিং বেল বাজালো 'জয় গনেশ ,জয় গনেশ, জয় গনেশ দেবা... ।'বেশ কয়েকবার কলিংবেল বেজে গেল। লিলি ,পাইলটদের ভৌউ ভৌউ গলা শোনা যাচ্ছে।  পার্থ ভাবছে 'কি ব্যাপার বৌদিরা দরজা  খুলছে না কেন?' এবার পার্থ জোরে জোরে ডাকতে লাগল 'ও মনোজদা ,মনোজদা .আ.আ ,মনোজদা...। রেখা বাথরুমে ঢুকেছিল আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি বাথরুম থেকে বেরোতে গিয়ে দরজায় এমন জোরে ধাক্কা লাগল , জান মনে হচ্ছে বেরিয়ে যাবে।শীতকাল তো খুব কষ্ট হচ্ছে । যন্ত্রণাগ্রস্থ অবস্থায়  এসে দরজাটা খুলল। দরজা খুলেই রেখা বলল 'ও পার্থ তুমি?' পার্থ বলল' কি বৌদি কখন থেকে আপনাদের ডাকছি।' রেখা বলল ' আর বোলো না ভাই, আমি একটু বাথরুমে ছিলাম বেরোতে পারছি না। দরজার কলিংবেলের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি কিন্তু কি করবো বলো?' পার্থ বলল' মনোজ দা কোথায়?' রেখা বলল 'আজকে একটু বলল ওর এক বন্ধুর বাড়িতে যাবে।তাই সকাল সকাল একটু বের হল?' রেখা বলল ' দরজায় দাঁড়িয়ে কথা কেন ?ভেতরে এসো।' পার্থ ভে

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন শেষ পর্ব  মোঃ হা‌বিবুর রহমান পো‌র্টো‌রি‌কোর স্হানীয় সময় তখন বি‌কেল পাঁচটা। যতদূর ম‌নে প‌ড়ে সে‌দিন ছি‌লো ২০ সে‌প্টেম্বর ১৯৯৪ সাল।  টানা দু'ঘণ্টা উড়ার পরও কোন খবর নেই, ব্যাপারটা কি? ছোট প্লেইন তাই এর জানটাও ছোট। আমা‌দের সব লাগেজ ও সাম‌রিক সরঞ্জামা‌দি‌তে সে‌দিন সমস্ত এয়ার ক্র্যাপ্টটাই অ‌নেকটাই জ্যামপ্যাক্ট হ‌'য়ে গি‌য়েছি‌লো। আ‌গেই ব‌লছি, মা‌র্কিনীদের দে‌খে আমরাও  প্র‌য়োজ‌নে কিংবা অপ্র‌য়োজ‌নে বেশ কিছু‌দিন ধ‌'রে‌ই যেন বোত‌লে প‌া‌নি খাওয়ার একটা বড় অভ্যাস খুব ভালভা‌বেই রপ্ত ক‌'রে ফে‌লে‌ছিলাম। কিন্ত‌ু এই ভাল অভ্যাস‌টিই সে‌দিন আবার আমা‌দের জন্য কিছুটা কাল হ‌'য়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছি‌লো। তিন ঘণ্টা পার করলাম, তাহ‌'লে হাই‌তির রাজধানী ভূ-পৃ‌ষ্ঠের মান‌চিত্র থে‌কে কি কোথাও উধাও হ‌'য়ে গে‌লো?  আ‌মি অ‌নোন্যপায় হ‌'য়ে সরাস‌রি কক‌পিটে পাইলট‌কে জিজ্ঞাসা ক‌'রে প‌রিস্কার হ'লাম যে, বাহামা দ্বীপপু‌ঞ্জে সামু‌দ্রিক ঝড়ের সৃ‌ষ্টি হওয়ার দরূনই যত এ বিপ‌ত্তির কারণ। তাই পাইলট‌কে এখন বাহামা দীপপুঞ্জ বাইপাস ক‌'রে ফি‌দেল কা‌ষ্ট্রোর দেশ সুদুর কিউবা

মতিয়ার মিল্টন

ছবি
ক্যালেন্ডার   ক্যালেন্ডারের বোটা থেকে  প্রতিদিন খসে পড়ছে দিন। সময়ের আঁচল খুলে  খুচরা পয়সার মত  খরচা হচ্ছে বয়স। ক্যালেন্ডার ভর্তি স্মৃতি রেখে উড়ো মেঘের মত উড়ে যাচ্ছে মানুষ। এভাবে উড়তে উড়তে  উজাড় হলে মানুষ; ক্যালেন্ডার কাঁদবে দেয়ালে দেয়ালে।

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব৪০) শামীমা আহমেদ  প্রায় পাঁচদিন পর রাহাত আজ অফিসে যাচ্ছে।আপুকে বাইরে থেকে মোটামুটি সুস্থই লাগছে। যদিও ভেতরের সবটুকু তার জানা নেই।তবুও রাহাত আজ আপুকে রেখে অফিসে যেতে ভরসা পাচ্ছে। আর শিহাব সাহেব যেভাবে নিজ সিদ্ধান্ত দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিলো তাতে তো বিষয়টির বেশ কিছুটা অগ্রগতি  হয়েছে।এখন রাহাতকেই একটা শক্ত স্টেপ নিতে হবে। আইদার অর,, এস্পার অউর ওস্পার! নো ইফ আর বাট! ব্যাপারটা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। দুজনারই আর সময় নষ্ট করার মত সময় নেই। দুজনেরই একাকীত্বে জীবন থেকে অনেকখানি দিন চলে গেছে। আর রাহাতকেই এই অসাধ্যটা সাধন করে দিতে হবে।আর এজন্য এখন আপুর হাতে ফোনটা ফিরিয়ে দিতে হবে।  দুজনায় কথা বলে একটা স্থির সিদ্ধান্তে তাদের আসতে হবে। রাহাত তৈরী হয়ে শায়লার  মোবাইল হাতে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এলো। সরাসরি শায়লার রুমে ঢুকল। শায়লা ঘুম থেকে জেগে বিছানায় বসে সকালের আকাশ দেখছে।নিশ্চয়ই আপুর মনে অনেক কথার ঢেউ।রাহাত শায়লাকে ভীষণভাবে বুঝে।যদিও ছোটবেলায় শুধু আপু অফিস থেকে ফেরার সময় আপু তার জন্য আজ কি আনবে শুধু সেই অপেক্ষায় থাকা হতো।কতই না এমন মধুর স্মৃতি আপুকে নিয়ে!  রাহাত শায়লার কাছে এগ

শান্তা কামালী /৪৯ পর্ব

ছবি
বনফুল (৪৯ পর্ব )  শান্তা কামালী জুঁই শুয়ে এপাশ ওপাশ করে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে টের পায়নি!  আর যখন ঘুম ভাঙ্গলো ঘড়িতে তখন  এগারোটা বেজে গেছে দেখে জুঁই একটু আশ্চর্য হলো.... এতো সময় ঘুমিয়েছি বুঝতেই পারিনি! নিশ্চয়ই আব্বু আম্মুর আমার জন্য অপেক্ষা করে নাস্তা খাওয়া হয়নি আব্বু নাস্তা না খেয়ে ই কাজে চলে গেছে। ওয়াশ রুমে ঢুকে জুঁই ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এলো, মা মনোয়ারা বেগম জুঁইকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, জুঁই তোমার শরীর ঠিক আছে তো? প্রথমে ময়না এসে বলেছে তুমি ঘুমাচ্ছো, ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করে আমি গিয়ে দেখলাম তখনো তুমি গভীর ঘুমে, তাই আমিও ডাকি নি। জুঁই বললো আম্মু অনেক ঝামেলা গেলো তো শরীর একটু  দূর্বল ছিলো মনে হচ্ছে, এখন আমি একদম ফিট্। জুঁই বললো আম্মু তুমি নাস্তা করেছো?  মা মনোয়ারা বেগম বললো তোকে ফেলে আমি কি করে নাস্তা করি বল? ময়না টেবিলে দুইজনের নাস্তা পরিবেশন করলো। জুঁই মাকে নিয়ে নাস্তা খাওয়া শেষ করে ডায়নিং রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছে ময়না এসে কফি দিয়ে গেল। মনোয়ারা বেগম বললেন জুঁই তুমি বসে টিভি দেখ, আমি একবার রান্না ঘর ঘুরে আসি তোমার আব্বু আসার সময় হয়ে যাচ্ছে....।  আজ আর জুঁই নাস্তা খাওয়া শেষ করে নিজের রুমে যায়নি

আব্দুল হাকিম 

ছবি
আরতি   যদি আঁধারের অতলে      পড়ি আমি বিরলে                     তব কৃপায়  নিয়ো তুলে,  সংসারের কোলাহলে        তোমায় যায় ভুলে                    তবু স্মরিয়ো পলে পলে। আমি যে অবোধছলে        কত যে পাতকানলে                      সদা দোহিতেছি জ্বলে, নিষিদ্ধ মোহকুলে                 মম বিচরণ চলে                      পড়ি কুহক কবলে। মোর পদ যুগলে                বেঁধে প্রেম শিকলে                    এ সংসার মহলে, তোমারই অনুকুলে            ফেরাও গো অর্গলে                   তব প্রণয় ছায়াতলে।