ইউএন মিশনে হাইতিতে গমন শেষ পর্ব
মোঃ হাবিবুর রহমান
পোর্টোরিকোর স্হানীয় সময় তখন বিকেল পাঁচটা। যতদূর মনে পড়ে সেদিন ছিলো ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ সাল।
টানা দু'ঘণ্টা উড়ার পরও কোন খবর নেই, ব্যাপারটা কি? ছোট প্লেইন তাই এর জানটাও ছোট। আমাদের সব লাগেজ ও সামরিক সরঞ্জামাদিতে সেদিন সমস্ত এয়ার ক্র্যাপ্টটাই অনেকটাই জ্যামপ্যাক্ট হ'য়ে গিয়েছিলো।
আগেই বলছি, মার্কিনীদের দেখে আমরাও প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে বেশ কিছুদিন ধ'রেই যেন বোতলে পানি খাওয়ার একটা বড় অভ্যাস খুব ভালভাবেই রপ্ত ক'রে ফেলেছিলাম। কিন্তু এই ভাল অভ্যাসটিই সেদিন আবার আমাদের জন্য কিছুটা কাল হ'য়ে দাঁড়িয়েছিলো। তিন ঘণ্টা পার করলাম, তাহ'লে হাইতির রাজধানী ভূ-পৃষ্ঠের মানচিত্র থেকে কি কোথাও উধাও হ'য়ে গেলো?
আমি অনোন্যপায় হ'য়ে সরাসরি ককপিটে পাইলটকে জিজ্ঞাসা ক'রে পরিস্কার হ'লাম যে, বাহামা দ্বীপপুঞ্জে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার দরূনই যত এ বিপত্তির কারণ। তাই পাইলটকে এখন বাহামা দীপপুঞ্জ বাইপাস ক'রে ফিদেল কাষ্ট্রোর দেশ সুদুর কিউবা হ'য়ে ডিটোর মেরে পূণরায় ঘুরে হাইতিতে ঢুকতে হ'চ্ছিল।
এদিকে, হাইতিগামী যাত্রীদের প্রাতঃক্রিয়া দারুনভাবে অনুভূত হওয়ায় খুব একটা মুস্কিলে পড়েছিলো প্রায় সবাই। আসলে গাদাগাদি ক'রে সরঞ্জামাদি রাখার দরুনই টয়লেট ঢেকে যাওয়া হেতুই এই কঠিন সমস্যার উদ্ভব।
অবশেষে, দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা পর যুদ্ধ বিধস্ত হাইতির রাজধানীর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আমরা সেইফ ল্যান্ড ক'রলাম, আলহামদুলিল্লাহ্।
অগ্রগামী দলে পূর্ব হ'তেই আমার বন্ধু মেজর সিরাজ হাইতিতে আগমণ করায় সে এবং তার দলের সদস্যরা আমাদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্হা ক'রে রেখেছিলো। তবে সেদিন রাতে হাইতির পুরা আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা এবং ল্যান্ড করার বেশ পূর্বেই তুমুল বর্ষণ হ'য়েছিলো।
অবশেষে, যুদ্ধ বিধস্ত দেশ হাইতির আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, পোর্ট অব প্রিন্সের ঠিক অনতি দূরেই সারিভাবে স্হাপিত তাঁবুর দিকে আমরা ছুটলাম। তখনও মিশন শেষ হবার কিন্তু ৩৫০ দিন বাকী।
বিঃদ্রঃ আপনাদের সবার একান্ত অনুপ্রেরণায়ই সম্ভব হ'য়েছে শত ব্যস্ততার মধ্যেও কিছু সময় যোগাড় ক'রে বেশ কয়েকটি পর্ব লিখে সময় মত আপনাদেরকে পোষ্ট করা। ভুলত্রুটি মার্জনা ক'রে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সে বিশ্বাস আমি রাখতেই পারি, কি বলেন ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much