পোস্টগুলি

আগস্ট ২৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্ত্রী কি শুধুই একজন স্ত্রী,

ছবি
স্ত্রী কি শুধুই একজন স্ত্রী ( প্রবন্ধ )   মোঃ হা‌বিবুর রহমান এ যেন এক অপূর্ব লীলা‌খেলা সৃ‌ষ্টিকর্তার। কোথাকার এক ছে‌লে আর কোথাকার এক মে‌য়ে জোড়া দি‌য়ে গ‌ড়ে‌ছে সংসার। হ‌'য়ে গে‌ছে যেন দুজ‌নে দুজনার। এ সম্পর্ক বা বন্ধন স‌ত্যিই মধুর ও স্বর্গীয়ও ব‌টে। পশু পা‌খি‌দের সংসার আনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে খুব একটা দৃশ্যমান না হ‌লেও কিন্তু সৃ‌ষ্টির সেরা জীব না‌মে খ্যাত মানু‌ষদের স্বামী-স্ত্রীদের ম‌ধ্যে এই সম্পর্ক বা স্বর্গীয় বন্ধনটি সারা বি‌শ্বেই ‌কিন্তু কম‌বেশী চালু বা বিদ্যমান আ‌ছে। আল্লাহ্পা‌কের কি এক অপূর্ব ম‌হিমায় এই বন্ধন‌টি টি‌কে থা‌কে একটানা বছ‌রের পর বছর, যু‌গের পর যুগ এমন‌কি আজীবন ও একদম আমৃত্যু পর্যন্ত। ‌ কি যেন এক অদ্ভূত আর অভূতপূর্ব এক মায়া আর মো‌হে দু‌টি ভিন্ন আর বিপরীত লি‌ঙ্গের স্বত্মা‌ধিকারী মানব-মানবী জু‌টি ক‌'রে ঘর বেঁধে সুন্দর সংসার সাজায়। আর অতঃপর তা‌দের উভ‌য়ের রক্ত দ্বারা সন্তান-সন্তানা‌দি ক‌লিজার টুকরার মত অ‌তি আদ‌রের পরম ধন জন্ম গ্রহ‌ণের পরপরই তা‌দের সম্প‌র্কের সেতুবন্ধন আরও দৃঢ় থে‌কে দৃঢ়তর হ‌য়। সৃ‌ষ্টিকর্তার এই দেওয়া বিধান স‌ত্যিই অপূর্ব!  অথচ, প‌রের ঘ‌রের মে‌য়ে এ‌সে‌ছে সম্

মিতা নুর

ছবি
  এক টুকরো নিশ্চুপ পাথর                        কি সুখ পেলে তুমি এমন করে...? আমি যে প্রতি মুহূর্তে পুড়ে ছাই হচ্ছি তোমার জন্য,  তবুও কোনোদিন তোমাকে অভিশাপ দেবোনা।  আমার প্রাণের ঘরে যে আগুন তুমি  জ্বালিয়ে দিলে!  ঐ আগুনে পুড়ে ছারখার হচ্ছে আমার কলিজা, যে কলিজায় তোমায় রেখেছি.....!  আমার খুব  ইচ্ছে ছিল !  তোমার আমার  স্বপ্নে  ঘেরা সংসার হবে,  সেখানে থাকবে ভালোবাসা পরিপূর্ণ...  আমার অধিক বিলাসিতার  ইচ্ছে ছিলো না,   ছিলো না টাকা পয়সার লোভ, আমি চেয়েছিলাম ভালোবেসে সুখী হতে। আজ সব আবেগের  কৌটা বন্ধ ঘরে  আটক হলো,  ভালোবাসা   জানালা দিয়ে পালিয়ে গেল,  আজ নিজেকে মনে হচ্ছে....  যেন হাজারো অভিযোগের ভীড়ে,আমি' এক টুকরো নিশ্চুপ পাথর !!

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
প্রতীপদর্শিনী নির্ভরতার আশ্রয়ে,  বিভীষিকাময় তপ্ত হৃদয়ে, সভ্যতার শৃঙ্খলে, বিমূর্ত এক নাম "নারী" ধ্বংসস্তপের মিছিলে,  ছেঁড়া মানচিত্রের বীরাঙ্গনা বেশে, কখনো তমু,কখনো বা নুসরাতের পাঁজর ভাঙ্গা আর্তনাদে অভিমানি এক প্রতিচ্ছবির নাম " নারী" প্রত্যাখানের বিষাদ অনুরাগে, ব্যাকরণের জটিল সমীকরণে, হত্যাযজ্ঞের তান্ডবলীলায়, ঘাত-প্রতিঘাতের বিচূর্ণ এক নাম "নারী" অসীম ব্যবধানে, সংকটের কংক্রিটে, মূমুর্ষু শহরের নাগরিক কোলাহলে, পুতুলরুপী আলোকসজ্জার নাম "নারী"। মিথ্যামায়াজালের গার্হস্থ্যনীতিতে, অবহেলিত কঙ্কাল মূর্তি অবয়বের আরেক নাম"নারী।  তীব্র দহনে দগ্ধ হয়েও যে জ্বলে উঠেছো দীপ্ত আহ্বানে, পুষ্পিত ভালোবাসায় সিক্ত ও ত্যাগের মহীমায় আলোকিত করেছো এই জগৎ সংসার,,,, সেই হলো মহীয়সী এক নারী। সমস্ত ব্যবধান  ভোলে আজ প্রজন্ম হোক সমতার,অধিকার পাক সমস্ত প্রতীপদর্শিনী।

নাসিমা জোহা চৌধুরী

ছবি
উৎকণ্ঠা     প্রিয়তম, মরুগোলাপ পামিরা পাঁপড়িশূন্য হয়ে —  মরাডালে লটকে আছে,  প্রজাপতিরা আজ পামিরা বিমুখ!  তুমিও কি পামিরার ভাগ্যবরন করতে যাচ্ছো? পামিরার পাখিরা ফেরেনি আর ; তুমিও কি পাখিশূন্য হতে যাচ্ছো?  বাজপাখি উড়ছে চক্রাকারে — সোল্লাসে মেতে ওঠে শকুন, শেয়াল।  বিহ্বল চিত্তে দিকবিদিক ছুটা হরিণশাবকের মতো ; তুমিও কি কেবল হারাচ্ছো পথ? প্রিয়তম,  'সময় গেলেে সাধন হয় না '

মাসুদ করিম

ছবি
ইতি    আর নয় অপেক্ষা নয় পথ চেয়ে থাকা,         আর নয় ভালোবাসা         নয় মিছে স্বপ্ন দেখা। আর নয় প্রেমের কথা নয় কোন মিছে আশা।         আর নয় রাত জাগা         নয় নিরবে অশ্রু ঝরা, আর নয় কবিতা নয় কোন গান শুনা।         আর নয় কাছে আশা         নয় আর ছবি আঁকা, ইতি টানলাম আজি হলাম শুন্য সব ঝেড়ে।         মিছে সব প্রেম,         মিছে ভালোবাসা।

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
গোলাপি মানুষ    হে ত্রিভুবনের মানুষ  ভাবিয়া করছোটা কি! দাঁড়িয়ে যাও একটু খানি দাঁড়িয়ে আছো যে ত্রিভুবনে। ভাববার সময় কি নি,তাকে নিয়ে, কি অপরাধ এই ত্রিভুবনের! ভাববার সময় কি নি তাকে নিয়ে? জীবনকে গড়ে তুলুন গোলাপের মতো সৌন্দর্য করে।।

মমতা রায় চৌধুরী'র

ছবি
  গল্প ' পরশপাথর' ( পবিত্র শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লেখা ) আজ দিশার মনটা চৈত্র মাসের মাটির মতো বুকফাটা চৌচির হয়ে গেছে। সে ভাবতে পারে নি তার সাথে এমনটি  হবে। আজকের দিনটা এমনিতেই দিশার কাছে ছিল খুবই স্পেশাল। আজ ৫ ই সেপ্টেম্বর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন। পবিত্র শিক্ষক দিবস। ভুলবেই বা কি করে? আজ তার জীবনে যা কিছু সবকিছুর মূলে রয়েছে তার সেই প্রাণপ্রিয়া শিক্ষিকার হাত। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে দিশা মাতৃত্বের স্বাদ খুঁজে পেয়েছে তার শিক্ষিকার মধ্যে। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে তার বাবা মেধাবী মেয়েটির পড়াশোনার জন্য খুবই আগ্রহী কিন্তু যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখনই তার বাবা মারা যায়। জেঠিমা জ্যাঠামশাই এর দয়া-দাক্ষিণ্যে লাথি-ঝাটা খেয়ে সে বড় হতে থাকে। তাই যেদিন অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য বিদ্যালয়ে আসে তখন তার কাছে বেশি টাকা ছিল না। জ্যাঠামশাই বলেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি কিছু কম করেন তাহলে মেয়েটি পড়াশোনা করতে পারে।  ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষিকারা শুনে বললেন -'পুরো টাকা না দিতে পারলে তো ভর্তি নেয়া যাবে না। তাছাড়া আজ বড়দি আসেন নি। তাই ভর্তি নেয়া হবে না। 'কথা শুনে জ্