পোস্টগুলি

মার্চ ২৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধরাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪২ আনমনে বিয়ে বাড়ি মমতা রায়চৌধুরী ঘরটা কেমন গুমোট লাগছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে কল্যাণের কল্যাণের। খোলা জায়গায় যেতে পারলে খুব ভালো হতো, এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না ।সানাইয়ের সুরে আনন্দের বন্যায় ভেসে যাওয়ার কথা ছিল। এই দিনটার জন্যই  চির আকাঙ্খিত ছিল মন প্রাণ । যে দিনটার প্রত্যাশায় এতগুলো দিন গুনেছে। অথচ কেমন যেন একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে ভেতরে ভেতরে। কল্যান ভাবছে 'তবে কি  শিখাকে চায় নি? এখনও কি মনে মনে   প্রভাকেই চায়। এরপর  পাগল হয়ে যাবে। অথচ প্রভা ও তার জীবনটাকে নিয়ে খেলেছে ।বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে নি। যে দুরন্ত ঝরনার বেগে এসেছিল। সেই গতিতে কল্যান ও ভেসে গেছিল। আজকে কেন এসব কথা মনে করছে, এটা তো একদমই ঠিক হচ্ছে না। বিয়ের পরপরই যেতে হবে চেন্নাই ।ফ্লাইট এর টিকিট কাটা হয়ে গেছে। গলাটার কিছু একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে। ঘরেতে মন টিকছে না। বিকেল বেলায় ছাদে পায়চারি করে আসি। সারা বাড়ীতে লোকজন ভর্তি কোথাও একটু একা থাকার উপায় নেই ।আজকে বড্ড একা থাকতে ইচ্ছে করছে। এই কথা ভাবতে ভাবতে কল্যাণ তরতর করে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে এমন সময় সরজু বলল"আরে এই সময় কো

কবি ইকবাল বাহার সুহেল এর কবিতা "ইলাময় প্রমের ডায়েরি থেকে" 

ছবি
ইলাময় প্রমের ডায়েরি থেকে   ইকবাল বাহার সুহেল  ( ইংল্যান্ড )  ‘চন্দ্র কথা’ কি জানি  হঠাৎই কাল রাতে জানি না কেনো নিজের ছায়া পড়লো চাঁদের উপর  বিগলিত তুমি রাতের গভীরে আমন্ত্রণ জানালে ‘চন্দ্র কথা’ তোমার জোস্না পাণে কেনো জানি ,জানি না ‘শরাবী হলাম’ বললে পাণিগ্রহণ করে যেনও হাত রাখি বুকে   জড়িয়ে গেলে মাতাল করে চুষে চুষে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে , ‘চন্দ্র কথা’ নদীতে জল ছিল অনেক তবুও আবদার করলে জল ঢেলে ভরিয়ে দিতে তাই হলো ঝরণার জল নদীতে মিশে কখন যে সাগরে মিশে গেলো বলতে পারি না !

কবি মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা "মা"

ছবি
মা  মোঃ ইসমাঈল   মা শব্দটির মধ্যে জড়িয়ে আছে পৃথিবীর সকল সুখ জীবনের সকল ঝড় -ঝামেলা যায় যে ভুলে দেখলে মায়ের মুখ।  মা মানেই সন্তানদের জন্য বিশাল এক বটবৃক্ষ যেখানে আছে প্রশান্তির ছায়া,  মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমালে চলে যায় সারাদিনের ক্লান্তি।  মা মানেই নতুন স্বপ্নের আশা বিধাতার কি বন্ধন মা-সন্তানের ভালোবাসা। যে সম্পর্কে নেই কোনো চাওয়া- পাওয়া।  দশ মাস আর দশ দিন কতনা কষ্ট সহ্য করে রেখেছিলেন গর্ভে, কি আছে প্রাপ্তি আর কি আছে অর্জন, এত বেদনা সহ্য করার ?  প্রাপ্তি যে শুধুই ঐ টুকু সন্তানের মুখ থেকে ডাকটা শোনার।  কতনা কষ্টে লালন করে বড় করে সন্তানদের জীবনকে উৎসর্গ করে দেন সন্তানদের জন্য নিজেদের। নিজে সয়ে যান সকল বেদনা, লাঞ্চনা, দুঃখ, কষ্ট সন্তানদের জন্য সন্তানের কিছু হলে হোন দিশেহারা।  নিজে না খেয়ে খাওয়ায় সন্তানদের সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে গড়ে তুলেন সুন্দর জীবন আমাদের। মা প্রত্যেক সন্তানের কাছেই মহান মায়েদের দোয়ায় প্রত্যেক সন্তান মহীতে আজ মহীয়ান।

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা ""বদেহ

ছবি
শবদেহ সেলিম সেখ বাতাসে মিশে গেছে পোড়া লাশের গন্ধ, বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেনো হয়েছে কি তারা অন্ধ? চারিদিকে খুনোখুনির রাজ  চলছে বাংলার বুকে, শান্তির এই বাংলায় অশান্তি গেছে ঢুকে। বাংলার মানুষ দেখল অগ্নিদগ্ধ কত শব, চোখেতে অশ্রু মোর জমেছে অনেক ক্ষোভ। ঘৃণ্য রাজনীতির বলি তরতাজা কত প্রাণ, এমন দৃশ্য দেখল দেশ থাকল কি রাজ্যের মান। রাজনীতির করালগ্রাস আনছে ডেকে মরণ, একে অন্যের নিচ্ছে প্রাণ এটাই কি রাজনীতি ধরন?  কত যন্ত্রণায় গিয়েছে প্রাণ ভাবলে কষ্ট হয়, করছে যারা এমন কাজ তারা কি মানুষ নয়! মানব হয়ে মানব হত্যা কত যে ঘৃণ্য কাজ, বুঝলে এমন পাপে  লিপ্ত হত না আজ।  রাজনীতি হোক শান্তি প্রিয় ঝরুক শান্তিধারা,  জাগ্রত হোক মানবপ্রেম কেউ যাবেনা মারা।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭৭

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৭) শামীমা আহমেদ  অফিসে নিজ রুমে পৌঁছাতে  শিহাবের প্রায় সকাল এগারোটা বেজে গেলো। শিহাব দ্রুতই তার মেইল চেক করতে বসে গেলো। গতকাল বেশ কিছু বায়ার ফ্যাক্টরী পরিদর্শন শেষে  মেইলে তাদের মতামত জানাবে বলে বিদায় নিয়েছে।আর এর সাথে শিহাবের ফ্যাক্টরির  জন্য অনেক অর্ডার প্লেস হওয়াও জড়িত। শিহাবের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল তাদের স্যাটিসফাই করার। দেখা যাক,তাদের কেমন রেস্পন্স আসে। তবে এখনো কোন মেইল ইন করেনি। শিহাব অপেক্ষায় রইল। কবির এসে নাস্তার কথা জেনে গেলো। শিহাব নান রুটি আর বুটের ডাল আনতে বলে একটু রিল্যাক্স ভঙ্গিতে  চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো। শিহাব নিজের জীবনের সবকিছু খুব গভীরভাবে ভাবছে। শায়লা  আর রিশতিনা, অতীত আর বর্তমানের মাঝে শিহাব নিজেকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে। এই একার জীবনের অবসান ঘটাতে চাইছে। নাস্তা আনার আগে কবিরকে এক কাপ কফি দিয়ে যেতে বললো। কবির কফি রেডি করে সামনে দিতেই শিহাব জানতে চাইলো, আচ্ছা কবির তুমি কি আমাকে বলবে জীবনটা কি সহজ না জটিল ? মাঝে মাঝেই শিহাব কবিরের কাছে এমন ভাবনার কথাগুলোর মতামত নেয়। শিহাব জানে,যারা স্বল্প আয়ের মানুষ  তাদের

কবি নাসিমা মিশু এর কবিতা "ভালোবাসি"

ছবি
ভালবাসি নাসিমা মিশু ভালবাসি- তোমার তুমির তুমিকে। ভালবাসি- তব না দেখা বিস্মৃতির অতলের তলে  ডুবে থাকা তোমাকে দেখব বলে । ভালোবাসি-  তব জীবন ধারায় অন্য সুরের মূর্ছনা এসে  সুখ সুধায় তোমাকে জড়িয়ে নিবে তাতে নয়ন  জুড়িয়ে নিব বলে । ভালোবাসি-  তোমার তুমিকে নিয়ে দারাপরিবার সহ সুখ বাসরে  স্থুত তা দেখে তৃপ্ত হবো বলে । ভালোবাসি-  তব সকল আনন্দ ধারায়  আনন্দে তুষ্ট হবো বলে । ভালোবাসি-  তব জীবনীশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে পৃথিবী আলোকিত  হবে তার দিপ্তী দেখব বলে । ভালোবাসি-  তোমার তুমি তোমরা সুখী গৃহবাসী তার বিচ্ছুরিত বিকশিত বিকিরণ দেখব বলে।  ভালোবাসি-  তব ভালো লাগায় ভালোবাসাসম মানস সৌন্দর্যের  পরিপূর্ণতার পরিস্ফুটন দেখব বলে । ভালোবাসি-  তব অন্ত গহীন হৃদয়ের অব্যক্ত যে আবেগ তার দরদী  গভীরতায় কতটা গভীর তা অনুভব করব বলে । ভালোবাসি-  তব দেখার যে মমতা মাখা দৃষ্টি আমার তাতে শুধু  ভালোবাসার অনুভবই অনুভূত হবে বলে । এ নয় বাড়াবাড়ি,  এ পরিশুদ্ধ পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছ এক আবেগ । এক অস্তগামী অদৃশ্য মানবের আকুতি ।

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা

ছবি
অথচ রৌদ্রের ঘ্রাণ  আমিনা তাবাসসুম  খুবলে খুবলে স্বপ্ন খাও তুমি বাতাসের চিৎকার ফুলের চিৎকার হরিণীর চিৎকার আগুনের আঁচে চেটেপুটে রোদ শুষে  রোজ এখানে রূপের রহস্য রাঙা কই মাছ এবং সমস্ত পৃথিবীর প্রাণে          সেসবের ঘ্রাণ লেগে থাকে রাত কেঁদে ওঠলে ঈশ্বর ভুলে যান ইরা এবং ইরকের কথা তখনও আমার চোখে অশ্রু থাকে আর এখনও সেসব          মিশে আছে চোখের চুমুকে