পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন   ৩৫ চোখের বালি                                                           সা রারাত জ্বরে কাতরিয়েছে রেখা। কাশিটাও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। মনোজ সেই যে ফোন নিয়ে অশান্তি করলো ,তারপর ওষুধগুলো কাছে রেখে দিয়ে কোথায় যে আছে কে জানে? রেখার খুব জল তেষ্টা পেয়েছে ।কোনরকমে উঠে দেখছে টেবিলের ওপর জলটা আছে ।গ্লাস টেনে নিয়ে ঢকঢক করে জল খেয়ে নিল। শরীরটা প্রচন্ড উইক লাগছে। বাথরুমে যেতে হবে। কোনরকমে উঠল রেখা ।উঠে বাথরুমে গেল। এসে আবার খাটের উপর বসে পড়লো ।বসে বসে ভাবতে লাগল  'মনোজ কোথায় গেল,?রাতে কি তবে এই ঘরে শুতে আসে নি। ' রেখা ভাবতে ভাবতে আবার শুয়ে পড়লো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল পাঁচটা বাজে। ভোর হয়ে গেছে। রাস্তা দিয়ে মর্নিংওয়াক করা পথচারীরা কথা বলতে বলতে যাচ্ছে।  তাহলে মনোজ কোথায় গেল? না ,সত্যি কালকে রেখার ফোন ধরাটা উচিত হয় নি। মনোজ সাধারণত রাগ করে না কিন্তু এবার যে কি হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। ৫ .৩০তে কলিংবেল বেজে উঠল&q

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২০

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায় ( পর্ব ২০ ) রাস্তার ঘটনাটা তৃষ্ণাকে খুব ভাবিয়ে তুললো কি হচ্ছে এসব,সামান্য এক ড্রাইভার এতোটা সাহস কোথা থেকে পায়, কারা ওরা? হঠাৎ মায়ের ডাকে ভাবনা ছুটে গেলো - তৃষ্ণা খাবিনা মা রাগ প্রায় দশটা বাজতে চললো তখন থেকে দেখছি বাসায় ফিরে কি ভাবছিস তৃষ্ণ- চলো খাবো কিছু ভাবছিনা মা, অযথা চিন্তা করোনা। খাওয়া শেষ করে দেখে সারে দশটা বাজে অপু এখনো ফোন করছেনা আজ নিজেই কল করে অপুকে সারপ্রাইজ দেবে এই ভেবে ফোন করলো। অপু- সরি তৃষ্ণা একটু রাত হয়ে গেলো জানি প্রতিক্ষায় ছিলে। তৃষ্ণা- মোটেই তা নয়, এমনি ফোন দিলাম আজ। অপু- সত্যি বলতে লজ্জা পাচ্ছো,তাহলে রেখে দেই। তৃষ্ণা- না রেখোনা, অপেক্ষা করিতো, রাত হয়ে গিয়েছে ফোন করছোনা, শরীর খারাপ হলো কিনা জানার জন্য। অপু-আমি দিব্যি ভালো আছি, যাক তাহলে আমার জন্য তোমার চিন্তা হয়। তৃষ্ণা- এবার কিন্ত আমি লাইন কেটে দিবো। অপু- না মহারানী

নওশাদ আলম

ছবি
মানবপূজা মানবপূজার সেরা মন্দিরে ঢুকছে মানুষ দলে-দলে, চামচামি আর চাটুকার হয়ে ঈমান হারায় ছলেবলে। জানোয়ার রূপে সম্মান পেতে সামনের সারি করে ভারী, কুলষের নীড়ে শিরক জমিয়ে বিবেক করছে মনোহারি। সবখানে দেখি ব্যক্তির পূজো শিরক হচ্ছে ছড়াছড়ি, খাদ্য জ্বালায় মরছে মানুষ ধূলোর বিছানায় গড়াগড়ি। মানবপূজারি তারাতো কখনো দেখায় না কেউ মানবতা, স্বার্থের দোর দিবানিশি খুঁড়ে গরিবের বুকে দেয় ব্যথা কুর্ণিশে তার নেই সংকোচ পদোন্নতির পেলে চিঠি, পায়ের ময়লা চেটেপুটে খায় ভেবে অমৃত মাখা পিঠি। স্কুল-কলেজ অফিস কাছারি সবখানে দেখি একরেশ স্বাধীনতা সব করেছে হরণ, পশুতে চালায় যেই দেশ। স্বার্থপ্রেমিক আমলার কাছে প্রতারিত হয় দেশবাসী, বংশের ছাঁইয়ে মাখন মাখিয়ে "দিবস" তৈরি করে রাশি। রাজস্বখাতে লালবাতি জেলে মানবপূজাকে করে জয়, দেশের কপালে দুর্দশা দেখে দেশবাসী মনে পোষে ভয়। মুসলিম দেশে মানবপূজারি তারাকি পড়েনি কোরআন? কুরআনহীন মানব শরীরে বসত করে যে শয়তান। মানবপূজারি শয়তান থেকে মুক্তির রাহে পথধরো কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে শিরকমুক্ত জীবন গড়ো।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১৬

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "  বনফুল                              ( ১৬ তম পর্ব )  জুঁই ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে কতো কি ভাবছে,প্রথম দিনের হঠাৎ দেখা, তারপর থেকে আজকে রেস্টুরেন্টের বিল মেটানো।  পলাশের পরিক্ষার দিনগুলোর কথা। ঐ দিকে পলাশও জুঁইয়ের কথা ভাবছে পড়ার টেবিলে। তারই ফাঁকে তিথিও শিমুলের পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিল সে। এমন সময় পলাশের ফোন বেজে উঠল, পলাশ বন্ধু সৈকতের ফোনে আনন্দে আত্মহারা.... রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সৈকত," দোস্ত কেমন আছিস? "  উত্তরে পলাশ বললো ভালো, দোস্ত তুই কেমন আছিস?  ভালো, কিন্তু পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সময় কাটছে না।  পলাশ বললো দোস্ত এক কাজ করতে পারিস, তুই ঢাকা চলে আয় মজা করে সময় কাটানো যাবে। সৈকতের বাড়িও ঢাকায় বাড্ডা তে। স্কুল থেকে কলেজ এক সাথে পড়াশোনা... সৈকতের বাবার বদলি হয়ে যাওয়ায় সৈকতে আর ঢাকা ভার্সিটিতে পড়তে পারেনি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে পড়তে হলো। সৈকত বাবা-মার একমাত্র ছেলে।  যেই কথা সেই কাজ ব্যাগে কিছু জানা কাপড় গুছিয়ে সকালের ট্রেন ধরে চলে এলো সৈকত।  পলাশের

নূরুজ্জামান হালিম

ছবি
অপেক্ষা  প্রজার স্বপ্ন ভঙ্গের পরেও বিশ্বাসঘাতক রাজা পাশাতেই ব্যস্ত। নিরুপায় মধ্যবিত্ত  আলু, পটল অথবা ধান গমে নিরাশ বারোমাস,  স্বচ্ছলতা নেই কোথাও কানাকড়ি।  প্রেমে একলা চল নীতি একেবারেই মূল্যহীন  ন্যূনতম দুজনকে চলতে হয় হাতে হাত রেখে। কেউ কেউ পা চাটা কুকুর পোষে কেউ কেউ পা চাটা কুকুরও হতে চায় উচ্ছিষ্ট ক্ষমতার লোভে। উন্নয়ন অনেক হয়েছে,  উন্নয়নের রোশনাই ঝলমল করছে চতুর্দিকে,  তবুও বৃদ্ধ বাবা- মা অবহেলায়  বীতশ্রদ্ধ হয়ে চলে যাচ্ছে অসীম আকাশে। প্রজারা কাতর রাষ্ট্রীয় অ্যাজমায়। একটি ঘুড়ি হাতে অবোধ বালক বসে আছে মৃয়মান সবুজ দিগন্তে আকাশে বাতাসের বালাই নেই তবুও নিরন্তর অপেক্ষা রোজ।

কাউসার আলী ( সিডনি অষ্ট্রেলিয়া )

ছবি
অনুভবের অনল  কত দুরের পথ, তবুও পথ চলা, শ্রান্ত নয়নে চেয়ে থাকা । আঁকা বাঁকা মেঠো পথ, মস্তিস্কের কুটিলতায় বিরামহীন অপেক্ষা ! আঁটসাঁট বাঁধি মন, যৌবনের ঝাউবন জৌলসতার। আবৃত্তে ঝলসানো সাটার খুলে অপলক, দেখি তেল চিটচিটে গহীন সুখ রুদ্ধ!! ফুল ফোটাবো সন্তে মার্চের হানাদার, কালো আঁধারের প্লাবিত শুষ্ক কপল।  তবুও ভাঙে না বাঁধ- দুকূলের পাঁড় বেশ পুরু! এলোবাতাসে উড়ছে পরাজল, চুষে নিয়ে হয় ঝিঙ্গেল। কায়ার মাঝে হিয়া, হিয়ার মাঝে পাষাণ, জল বিনে জানি নিভেনা অনল; জল অনলে হৃদয় দহন!! রবি শসির খেলার মাঝে চোখ ধাঁধানো, রঙিন চশমা বিহনে- অদ্য উন্মোচিত ভূ-মন্ডলের মরিচিকার থুপ্পা।। যতকাল বুনিছে হৃদয় বাবুই পাখির বাসা, অতি যত্নে লালিত পরক্ষণে ঠুনকো নিগুড় ভালোবাসা ফুরাবে না পথ জানি, দিতে হবে দিগন্ত পাড়ি । বটমূলের শীতল ছায়ায় অবসাদের সুখ পেতে- নীলিমার নীলপরী স্বপ্নের বারতায় বুলি দ্ব্যর্থহীন, সময়ের চাহিদা যেখানে মূখ্য !! পবিত্র ভালোবাসা, স্বতীত্ব সেখানে অর্থহীন।

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব ( ইংল্যান্ড )

ছবি
কুলষিত  তাজা ফুলে গাঁজার গন্ধ কেউ পারেনা বলতে ভালো মন্দ বলতে গেলে দেয়না কভু চলতে। সমাজ করে খুব কুলষিত হর হামেশা নিত্যে সত‍্যে কথার ধার ধারেনা থাকে নির্ভীক চিত্তে। লুটতে গিয়ে পয়সা  কড়ি  হয়ে যায় হন্য ভাতের জন‍্য জাত মারিয়া  নিজে হয় ধন‍্য। গলায় ধরে মারে টিপা বুকে পাথর চাপা কষ্ট গুলো যায়না দেখা যায়না কভু মাপা।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৭

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                    (পর্ব ৭ ) শামীমা আহমেদ                                                     আ জকাল মোবাইলের কল্যাণে অনলাইন শপিংয়ের মত অনলাইন বন্ধুও  বেছে নেয়া যায়।তা সে চেহারা দেখে,বা  না দেখেও বন্ধু হবার অনুরোধ পাঠানো যায়, তারপর চলে চেনা জানা, দেখাশুনা, চাই কি তা অনেকের অনেকদূর পর্যন্তও  গড়ায়। তবে শায়লার জীবনে তেমন কোন মিরাকল কিছু ঘটবে না সে ব্যাপারে শায়লা নিশ্চিত। কারণ শায়লা কোন কিছুই সহজে পায়নি। তেমন কোন বন্ধুও পাওয়া হয়নি আজ পর্যন্ত । শায়লাতো তার স্বাভাবিক জীবন থেকে দলছুট হয়ে গেছে।সবার জীবনের মত তার প্রতিটি ধাপ  মেনে চলেনি। আগের যুগের মানুষের, শুরুতে দেখাশুনা হতো,চেনা জানা চলাফেরা তারপর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা। এখন সবই পালটে গেছে।তবে আগের দিনে যে পত্রমিতালী হতো,আজকাল তার ডিজিটাল ভার্সন হচ্ছে টেক্সট, মেসেজ, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ,ভাইবার! বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার কী মানুষের আবেগ বাড়িয়েছে নাকি কমিয়েছে?নাকি ভার্চুয়াল জগতে  মিথ্যের চর্চা চলছে, নাকি অচেনাকে চিনে নিতে সহজ করে দিয়েছে! শায়লার মনের ভেতরের নানান দ্বিধাদ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সেই ছবিটায় "সততা