চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
( ১৬ তম পর্ব )
জুঁই ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে কতো কি ভাবছে,প্রথম দিনের হঠাৎ দেখা, তারপর থেকে আজকে রেস্টুরেন্টের বিল মেটানো।
পলাশের পরিক্ষার দিনগুলোর কথা।
ঐ দিকে পলাশও জুঁইয়ের কথা ভাবছে পড়ার টেবিলে।
তারই ফাঁকে তিথিও শিমুলের পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিল সে।
এমন সময় পলাশের ফোন বেজে উঠল, পলাশ বন্ধু সৈকতের ফোনে আনন্দে আত্মহারা.... রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সৈকত," দোস্ত কেমন আছিস? "
উত্তরে পলাশ বললো ভালো, দোস্ত তুই কেমন আছিস? ভালো, কিন্তু পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সময় কাটছে না।
পলাশ বললো দোস্ত এক কাজ করতে পারিস, তুই ঢাকা চলে আয় মজা করে সময় কাটানো যাবে।
সৈকতের বাড়িও ঢাকায় বাড্ডা তে। স্কুল থেকে কলেজ এক সাথে পড়াশোনা...
সৈকতের বাবার বদলি হয়ে যাওয়ায় সৈকতে আর ঢাকা ভার্সিটিতে পড়তে পারেনি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে পড়তে হলো।
সৈকত বাবা-মার একমাত্র ছেলে।
যেই কথা সেই কাজ ব্যাগে কিছু জানা কাপড় গুছিয়ে সকালের ট্রেন ধরে চলে এলো সৈকত।
পলাশের মা শাহানা খাতুন বললেন বাবা এইবার অনেক দিন পরে এসেছো।
সৈকত বললো আন্টি পড়াশোনার চাপ ছিলো তাই আসা হয়ে উঠেনি, তবে যখনি পলাশের সাথে ফোনে কথা হতো আপনাদের সবার খবরাখবর নিতাম।
সৈকত তোমার আব্বু আম্মু ভালো আছেন? জ্বি আন্টি আলহামদুলিল্লাহ।
দুই বন্ধুতে জমিয়ে আড্ডা হচ্ছিল, রাত এগারোটা হয়ে গেছে, পলাশের ছোট ভাই শিমুল এসে বললো ভাইয়া আম্মু তোমাদেরকে খেতে ডাকছে।
শাহানা খাতুন সাধ্য মতো ভালোমন্দ রান্না করেছেন, সৈকত ডাইনিং টেবিলে খেতে খেতে বললো আন্টি অনেক দিন পরে আপনার হাতের মজার রান্না খাচ্ছি।
খাওয়া শেষ হলো, আরো কিছু সময় ধরে গল্পগুজব হলো, শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওরা,ঠিক সেই সময়ে পলাশের ফোন বেজে উঠল।
ওপাশ থেকে জুঁই, হ্যালো কিরছো? আজ যে আমাকে ফোন দাওনি!
জুঁই আমার এক বন্ধুর কথা তোমাকে বলেছিলাম, চট্টগ্রামে থাকে নাম সৈকত,
ও এসেছে আজ সন্ধ্যায়, একটু ব্যস্ত ছিলাম।
স্যরি জুঁই...
জুঁই বললো ঠিক আছে স্যরি বলার কিছু নেই, আমি রাখছি সুইট হার্ট।
পলাশ বললো সেইম টু ইউ।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much