১৩ জুলাই ২০২১

মুন চক্রবর্তী




মুক্তির খোঁজে 



 কাটাকুটি খেলা শেষে দাঁড়াতে চায় মন্দির প্রাঙ্গণে

দুর্বাশার অভিশাপ ভয় মুক্তির প্রার্থনায় দেবতার আয়োজন।

চারিদিকে রুগ্ন শিরায় বয়ে চলছে এক বিশাল ট্র্যাজেডি

মৃত্যু লগ্নে দাঁড়িয়ে বাঁচার আনন্দে 

স্রোতস্বিণী কবিতার ধারায় বহুদূরের সূর্য কে প্রণাম

শত যোজন পার করে ছুঁয়েছে গভীর অরণ্য প্রণয় প্রত্যাশায়

কাজল টিপে তুলে রেখেছে মুক্তির খোঁজ স্নেহের কঠিণ সময়ে।

সব দিতে চাইছে দীর্ঘশ্বাস, নিস্পাপ পরে আছে 

কবিতা উচ্চারণে --দেবতাসনে। 

জয়িতা বর্ধন




স্বপ্নসন্ধানী


স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে 

একটা নীল আকাশ দেখতে চাই, 

যে আকাশ চেতনার রঙে রঙিন.....

 সজীবতার আলোয় অন্তহীন ,

 ভালোবাসার কোমলতায় পেলব

 জীবনবোধে চির উজ্জ্বল |

 এমন একটা আকাশ দিতে পারো ?

পারো কি দিতে 

যে আকাশে নেই স্বার্থান্ধতার কলুষতা।

যেথায় আছে কেবল

 স্বপ্নের বিনিসুতোর আলাপচারিতা।


শর্মিষ্ঠা মাজি




 রবীন্দ্রনাথ



ভোরের আকাশ প্রভাতি সুরে

জাগিয়া উঠিলো বিশ্বভুবন,

শঙ্খ ধ্বনি আকাশে বাতাসে 

সুরের মাধুরি  পঁচিশে বৈশাখে ।


যত শুনি তোমার কথা

তত জুড়ায় প্রাণের ব্যাথা,

স্নেহে প্রেমে মান অভিমানে

জেগে আছো গীতাঞ্জলীর গুনে ।


সবার রবি সবার কবি

তোমায় গেঁথেছি মনে, 

গল্প ছড়া উপন্যাস 

কবিতা আর গানে।


তোমার বিরহে পাই যত জ্বালা

তত জাগে আশা মোহ ভালোবাসা,

প্রাণের সাধনা মনের বাসনা

মুছে যায় যত মরিচিকা আশা।

প্রদীপ গিরি




 জীবনের টানে


তোমর জন্য অপেক্ষা করেছি,

কত দিন নিদারুন প্রত্যাশা করেছি!

আজ রাতটা কাটুক তবে আদ্র ভোরের টানে । যে

শতাব্দীর নৃশংস মহামারী পেরিয়ে যখন আমি

প্রত্যাশার ব্যার্থতায় প্রাচীর তুলে দাঁড়াবো

তোমার সম্মুখে,

লজ্জা নিবারণের কোন আবরণ দিয়ে ঢাকতে মুখ আমার সম্মুখে ,

 কি শাস্তি মাথাপেতে নেবে নিজের অপরাধের, কিভাবে মানবে নিজের হাতের মুঠোয় থাকা সময় কে হারানোর আফসোস।

সময় থাকতে তুমি যে হাত ধরলে না আপন মনে, প্রবল প্রতিকূলতার সময় যে তুমি

আলিঙ্গন করতে মুখ ফিরিয়েছো সন্ধে- সকালে।

খেয়ালি বালখিল্লোতায় বুঝলেনা

সঠিক সময় প্রিয়জন আর প্রয়োজনের

সরলরেখার সামানুপাত।


কবিতা হালদার



 তুলির  টানে


মধ্য গগনে নীল নীলিমায় এঁকেছি তোমায় মনের গহনে

কি করে বল ভুলি গো তোমায়

পায়ে পায়ে পথ চলা মধুময় জীবনে!

কত মান অভিমান কত সুখ দুঃখ সহেছি গোধূলি বেলায়

পড়ে আছি একা নদীর ঘাটে

দিনান্তের ক্লান্ত রবি যায় জে পাটে।

যাবার বেলায় একে দিয়ে যাব কত স্মৃতি কথা,

ছবি হয়ে যাবে মনোবীণায় হৃদয়ের ব্যথা।

এক দিন এই পৃথিবী নতুন করে জন্ম নেবে 

হয়তো সেদিন, থাকবো না আমি এই-ভাবে!

শ্যামল রায়




 ইচ্ছে করে রোজ


ইচ্ছে করে রোজ ঘাসের উপর

তোমার ছড়ানো আঁচলে

আকাশী রং হয়ে উঠি

ভালোবাসার গল্প কবিতায়।

কথা বলতে বলতে নতুন শব্দ

সাদা পৃষ্ঠা জুড়ে হিজিবিজি করি

রং তুলিতে আঁকি তোমার ব্যস্ততা।

তুমি আর ব্যস্ততা দেখিয়ো না

সারাদিন ভাবতে ভাবতে নিঃশ্বাস ফেলি

গেয়ে উঠি নানান কথায় শুধু গান।

তুমি মনের মধ্যে দুচোখ জুড়ে আছো

তাই অন্য কিছু ভাবতে পারিনা

শুধুই ভাবি তোমার কথা তোমাকে নিয়ে

রোজ ভাবি প্রতিটি মুহূর্তে।

অবিকল একটা সকাল বেলার মতো

তুমি থেকো আমার হৃদয় জুড়ে

শুধুই বেঁচে রাখতে আমাকে

শুধুই কবিতার পংক্তি জুড়ে

বাঁচিয়ে রাখতে শুধুই আমাকে।