পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র উপন্যাস "টানাপোড়েন"৮

ছবি
অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবার মতো আকর্ষণীয়  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" পড়ুন ও অপরকে পড়তে সহযোগিতা করুন   ।                                                                  টানাপোড়েন ( পর্ব- ৮   )                                                                     চেনা-অচেনা গল্প                                                                        রে খা আজ ক মাস পর একটু স্বাভাবিক । দীপ্তিদির মারা যাবার পর ক্রমশই মনের ভেতর একটা ভয় কাজ করত ।সব পুরুষই প্রায় একইরকম। রেখাকে  কাউন্সিলিং করানো হয়েছে ।এখন রেখা আগের মতো স্কুলে যাচ্ছে। একি কাণ্ড যতসব ঘটনা কি রেখার সামনেই ঘটতে হয়।দীপ্তিদির মেয়ে ঋদ্ধিমা কি বাবার গুণটাই পেল?লাজ -লজ্জার মাথা খেয়ে কখনো স্টেশন চত্বরে একটা ছেলের কাঁধে মাথা রেখে গল্প করতে পারে। জানে তো যে ,মাসিমনিরা এখান থেকে ট্রেন ধরে ,দেখতে পেলে কি হবে? আজকালকার মেয়ে সে সব ধর্তব্যের মধ্যে নেই। রেখাও  রিম্পাদি একসঙ্গে রিক্সায় আসে যায় ।  রিম্পা দি বলল  'রেখা এসব ধরতে যেও না তো। দীপ্তিদিদি থাকলে কষ্ট পেত ।সঙ্গে আমরাও।' এমন সময় ফোন বেজে

জামান আহম্মেদ রাসেল

ছবি
এর শেষ কোথায় পাবি শুরু থেকে তুই আর আমি এর শেষ কোথায় পাবি, রতিকা করতে হবে সাধন নদীর গভীরতা জেনে করো বিচরণ, সে নদীর জল যে করে বহু রূপ ধারণ কোথায় আবার ডুবতে আছে যে বারন, ভেবে দেখ রে মন এটাই মূল কারণ  ।

সজল কুমার মাইতি

ছবি
শান্তি   শান্তি কোথায় আছে, শান্তি কোথায় পাবি? শান্তি যে আজ নিজেই শান্তি খোঁজে। যুদ্ধের পরে শান্তি খুঁজি, শান্তি কি তাতে আছে? শ্মশানস্তব্ধ নীরবতায় শান্তি কি সত্যি আসে! শান্তি খুঁজে যুদ্ধ করি, দেহ মনে ক্ষত শোষনতন্ত্রের পালাবদল দুঃখ শত শত। অধীনতায় শান্তি আসে, প্রতিবাদে বেজায় চটে জন সেবায় মানুষ খুশি, শান্তি বজায় বটে! অধিকারের কথা ব'লে, শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটে  তোষামোদে বরফ গলে, নিন্দুকে বদনাম রটে। রাজা আসে রাজা যায়, শান্তির পারাবার  প্রজারা শুধু নিরুপায় কড়ি নেই পারাপার।

আয়শা সিদ্দিকা

ছবি
আপন অসময়ে ছেড়ে গেল যে জন সেই তো বড় আপন যে পাশে থাকলে ভালো থাকতো মন হ‍্যাঁ সেই মানুষটাই আপন যার উপস্থিতিতে পাল্টে যায় দিন কাল ক্ষণ  সেই তো আপন হাজার মন খারাপ,অভিমান,অভিযোগ,অনিয়ম মানিয়ে নেওয়ার নামই তো আপন বুঝালো পৃথিবীর সবাই একরকম  সেই তো আপন  অসময়ে পাশে পাই না যাকে মন  দিনশেষে তাকেই ভাবে চির আপন অসময়ে চেনালো পৃথিবী যে  আপন তো আসলেই সে।

মোজাহিদুল ইসলাম ধ্রুব

ছবি
যদি কোনদিন যদি আবার  কখনো দেখা হয়..! কোন অবেলার প্রান্তরে। যদি আবার  কখনো বায়না ধরি হাতে হাত রেখে  রাত্রি বেলায়, পুকুর পাড়ে। জলের ধারে সিঁড়ির কোণায় চুপটি করে বসে। চাঁদ দেখার জন্য  তখন কি চাঁদ দেখবেন  আমার সাথে ?  প্রশ্ন থেকেই যায়? আপনি যে কাছে থেকেও দূরের থেকে দূরের মানুষ হয়ে আছেন। কাছে আসার নাম গন্ধ টুকুও নেই !

গোলাম কবির

ছবি
একজীবনে  চাইলেই কি একজীবনে সবকিছু  পাওয়া যায়? কেউ সারা জীবন  কেবল ভাল থাকার আশায়  কষ্টের নুড়ি পাথর কুড়ায়  কষ্ট তাড়াবে বলে, কেউ আজীবন সংগ্রাম করে দারিদ্র্যতা ঘুচাবে বলে  অথচ হয় না দুর, দারিদ্র্যতা তাকে আরো আঁকড়ে  ধরে থাকে লাউ এর ডগার মত।  কেউ চায় ধনী হতে সেরা  কিন্তু সেরা ধনী আর হয়ে  ওঠা হয় না তার।  কেউ চায় একটা সুন্দর ঘুমে  একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখবে বলে  অথচ তার ট্যাবলেট খেয়ে ও ঘুম আসে না,  ঘুম তার কাছে অধরাই থেকে যায়। কেউ চায় হয়তো নিবিড় রাতে  প্রিয়ার বুকে মুখ লুকিয়ে গান শুনতে শুনতে  আর নানা রকমের স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে  ঘুমাবে অথচ তার প্রিয়াই হলো না কেউ।  কেউ আবার না চাইতেই  সব কিছু পেয়ে যায়,  যার মূল্যই বোঝে না সে।

আবদুস সালাম

ছবি
  ফুটপাতের ভাষা আত্মহত্যার ভিতরে খেলা করে অসমাপ্ত দিন  বাতাসের ইশারায় অনুবাদ হয় অন্ধকার অপেক্ষারা নিয়মিত ফুটপাতের ভাষা পড়ে  নৈবেদ্য সাজায়  কালো  জলে ছায়া ফেলে প্রাচীন অন্ধকার  আমাদের রক্তপাত শেখায় স্বার্থপরতার নিবিড় পাঠ  সাদা কফিনে ছড়িয়ে  দিই হাহাকারের খই  অনিয়ন্ত্রিত পায়ে   আসি  অবক্ষয়ী বাঁকে ফেলে আসি সময়ের অভাব পরিচয় পরিচয়ের আড়ালে লিখি  হত্যার সহবাসকথা   লিখি  ব্যক্তি ছায়ার অনবদ্য সহবস্থান   অন্ধকার সিমানায় আয়োজিত হয় আতঙ্ক রঙের উৎসব  বিপন্ন অস্তিত্বের দেওয়ালে আঁকি সভ্যতার আস্ফালন  আত্মহত্যার দলিলে লিখে দিলাম মৃত্যু আর ধ্বংসের গল্প 

আনোয়ারুল ইসলাম

ছবি
বায়না                      কার কুমন্ত্র পেয়ে যে তার সুমিষ্ট মন তিতা হয়ে যায়,    সুকল্পিত সাম্পানে ভেসে উচ্চাভিলাষের ঢেউ    তীরের বালুর বাসর টপকে তাকে    পৌঁছে দেয় পাহাড় সিংহাসনে!     আমিও আজকাল জিদের নেশায় ধ্যান করে চলেছি    অলোকের শব্দ,ধ্যানীর তপস্যার চোখবোঁজা জাগরণ,    মেনেছি স্বর্গ যেন মুগ্ধবশ্য যীশুর খুন মাখা    বাহিত খাটের আসমানি এক যাত্রা...!    করোনাক্রান্ত পৃথিবীর অবচেতনার মাঠেঘাটে    পাখিদের কোলাহল, মানুষের চলচ্ছায়া    পথপাশে ডাঙায় ; ফুটেছে তো শরতের     অজস্র শ্বেতোজ্জ্বল কাশ:    অপেক্ষায় আছি আমি যদি কোনো দেবদূত এসে    নিয়ে চলে যায় আমার লাশ !

গৌরীশংকর মাইতি

ছবি
আকাশ মাথার উপর বিশাল ছাদ নীল রং মাখা আকাশ; শরতে সাদা মেঘের ভেলা আনে পুজো আভাস। আষাঢ়ে ঘন কালো মেঘ নীল আকাশের কোলে; বৃষ্টি ঝরে অঝোর ধারায় হৃদয়ে ঢেউ তোলে। গ্রীষ্মের আকাশ ঝলমলে রোদের ভীষণ তাপ; গরমে পরাণ করে আইঢাই কালবৈশাখী কমায় উত্তাপ। মাথার উপর বিশাল আকাশ তবুও মাটিতে পা রেখো; ধনী গরীব সব ধর্মের মানুষজন আত্মীয়জ্ঞানে একত্রে থেকো। এক আকাশের নিচে সবাই এক পৃথিবীর সব মানুষ বিরোধ, বিদ্বেষ সবকিছু ভুলে ফিরুক শান্তি, ফিরুক হুঁশ।