সম্পর্ক
—"কী রোজ রোজ ঐ পাগলটার কাছে যাও,ভালো লাগে না এসব!কতবার বারণ করেছি না!"
—"ও-ও যে আমায় মা বলে ডাকে বাবা,মা হয়ে সন্তানের ডাকে সাড়া না দিই কি করে!"কোনরকমে কান্না গিলে কথাগুলো বলেন নীলিমা দেবী৷
আর পাঁচটা মেয়ের মতো নীলিমা দেবীর যখন বিয়ের কথাবার্তা চলছে,তখন থেকেই সবাই সাবধান করে দিচ্ছিল সাংসারিক নানা ব্যাপারে৷শাশুড়ীর কথা শুনে চলা,স্বামীকে দেবতাজ্ঞান করা,বাড়ির কাজকর্ম মুখ বুজে করে যাওয়া এরকম হরেক উপদেশ আর পরামর্শে বিয়ের আগে থেকেই শ্বশুরবাড়ি সম্বন্ধে একটা অজানা ভীতি কাজ করছিল নীলিমার মনে৷কিন্তু বিয়ের পর নিজেই অবাক হয়ে গেল নীলিমা৷কোথায় শাশুড়ীর দজ্জালপনা!তিনি যে মায়ের থেকেও আপন৷কথায় কথায় বলতেনও,নীলিমাকে এনে উনি ওঁর মেয়ের শখ পূর্ণ করেছেন৷স্বামীটিও দিলদরিয়া মানুষ৷রাশভারী অধ্যাপকের বর্ম পরে থাকলেও স্ত্রীর সাথে রঙ্গ-রসিকতায় কম যেতেন না৷নীলিমাও বুঝতেন,স্বামী তাঁকে প্রচন্ড ভালোবাসেন৷তাঁদের সেই ভালোবাসারই ফসল অনিন্দ্য,ওঁদের ছেলে৷অনিন্দ্য হওয়ার পর আনন্দটা যেন আরও
বেড়ে গিয়েছিল নীলিমার সংসারে৷কিন্তু এত সুখ বোধহয় বিধাতার সহ্য হলনা৷শাশুড়ির মৃত্যুর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম মিটতে না মিটতেই এক গাড়ী দুর্ঘটনায় স্বামী প্রমথেশবাবুও প্রাণ হারালেন৷সেই থেকে তাঁর পেনশনের কিছু টাকা আর কয়েকটা টিউশনি—এভাবেই বড় করে তুলেছেন নীলিমা দেবী তাঁর ছেলেকে৷কোনদিনও অভাব বুঝতে দেননি৷সাধ্যের বাইরে গিয়েও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করিয়েছেন৷ছেলে যখন নামী সংস্থায় চাকরী পেল,গোটা পাড়ায় মিষ্টি বিলিয়েছেন৷
সেই একই পাড়ায় এক বটতলায় হঠাৎই এসে উপস্থিত হয় এক জটাওয়ালা যুবক৷গালের দাড়ি,উস্কোখুস্কো চুল,নোংরা পোশাক দেখে সবাই এক মুহূর্তেই বুঝতে পারে লোকটা রামপাগল৷দুয়েকবার তাড়াবার চেষ্টাও করে,কিন্তু পাগলটা রে-রে করে তেড়ে আসায় সেই চেষ্টায় ক্ষান্ত হয় পাড়ার লোকে৷কয়েকজন অতি-উৎসাহী তখন হাতের কাছে পড়ে থাকা ইঁট ছুঁড়তে থাকে পাগলটাকে লক্ষ্য করে৷মন্দির থেকে ফেরার পথে দৃশ্যটা দেখেই রুখে দাঁড়ান নীলিমা দেবী৷
—"এই কি করছো কি তোমরা?থামো,থামো বলছি!"
—"সরে যান জেঠিমা৷ও একটা পাগল৷এক্ষুনি কিছু একটা ক্ষতি করে দেবে আপনার৷"
—"কে পাগল নয়,বাবা!এই দুনিয়ায় প্রত্যেকেই তার নিজের নিয়মে পাগল৷আর ক্ষতি,রাখে হরি মারে কে!"
নীলিমা দেবীকে পাড়ার ছেলেপুলেরা একটু মান্য করে৷তাই ইঁট ছোঁড়া ছেড়ে আস্তে আস্তে চলে যায় জায়গাটা ছেড়ে৷নীলিমা দেবী এবার পাগলটার দিকে ঘুরে তাকান৷লোকটা এতক্ষণ ভয়ে কুঁকড়ে ছিল৷তিনি এগিয়ে গিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন—"তুমি কে বাবা?"
পাগলটা বোবা অর্থহীন দৃষ্টিতে নীলিমা দেবীর দিকে তাকায়৷বোধহয় বোঝার চেষ্টা করে ইনি ওর বন্ধু,না শত্রু৷
—"ভয় পেয়ো না,বাবা!আমি তোমায় মারবো না!তোমার খুব খিদে পেয়েছে,না?এই নাও,এই মিষ্টিগুলো খাও৷এখন আমি আসি,কেমন!তুমি কিন্তু কোথাও যেও না!কারো কোন অনিষ্টও করো না৷"
উনি উঠে একটু এগিয়েছেন,হঠাৎ—"মা!"
চমকে ঘুরে তাকালেন নীলিমা দেবী৷আঃ,কতদিন তিনি এ' ডাক শোনেননি৷যে ছেলেকে এত কষ্ট করে মানুষ করলেন,সেও যেন কেমন পাল্টে যাচ্ছে৷আগে অফিস থেকে ফিরে নানা কথা বলতো৷ধীরে ধীরে সেটুকুও বন্ধ হয়ে গেল৷এখন কথা বলতে 'খেতে দাও','দরজা বন্ধ করে দাও' ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ৷মা ডাকটাও তাই অনেকদিন শোনেননি নীলিমা দেবী৷তাই আজ হঠাৎ এই অপরিচিত পাগলটার মুখে 'মা' ডাক শুনে সেই ফল্গুধারার মতো বয়ে চলা মাতৃত্বস্নেহধারা যেন নতুন গতিমুখ পেল৷সেই থেকে পাগলটাকে রোজ খাবার,অনিন্দ্যর পুরনো জামাকাপড় দিতে লাগলেন৷পাগলটাও কেমন যেন মা-নেওটা হয়ে উঠল ধীরে ধীরে৷পাড়ার অন্য কাউকে কিছু বলে না৷কেউ মারতে বা খোঁচাতে এলে খেঁকিয়ে ওঠে ঠিকই,কিন্তু কখনোই কাউকে মারতে যায়না৷ও অবশ্য মায়ের এই ভালোবাসাটুকু সেই গাছতলায় বসেই উপভোগ করতো৷কখনো নীলিমা দেবীর বাড়ি যায়নি৷নীলিমা দেবীও তা মেনে নিয়েছিলেন৷কারন অনিন্দ্য যখন থেকে পাগলটার কথা জানতে পেরেছিল,তখন থেকে মায়ের সাথে দূরত্বটা যেন আরও বড় হয়ে উঠেছিল৷মায়ের কাজে অসন্তোষও প্রকাশ করতো প্রায়ই,এমনকি গলাবাজিও হত মাঝে মাঝে৷পাড়ার লোকেরাও ওর এরকম ব্যবহারে অবাক হত,কিন্তু নাক গলাতো না৷
হঠাৎ একদিন সকালবেলায় দেখা গেল পাগলটা নীলিমাদেবীর বাড়িতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা মারছে৷পাড়ার লোকেরা সেই শব্দে বেরিয়ে এসছে৷অনিন্দ্য তখন অফিসের কাজে বাইরে গেছে৷পাড়ার লোকেরা পাগলটার এরকম আচরণে অবাকই হল,কারন এত দিনে এই প্রথম পাগলটা এরকম করছে৷তাছাড়া নীলিমা দেবীই বা কোথায়!উনিই পাড়ায় সবার আগে ওঠেন৷অথচ এত আওয়াজেও ঘুম ভাঙছে না!পাগলটা প্রতিবেশীদের দেখতে পেয়ে ছুটে গেল ওদের কাছে৷মুখ দিয়ে বিচিত্র আওয়াজ করতে লাগলো,আর বারবার আঙুল দিয়ে নীলিমা দেবীর বাড়ির দিকে দেখাতে লাগলো৷দুয়েকজন কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গেল সেই বাড়ির দিকে৷নিজেরাও ধাক্কা দিল দরজায়৷কিন্তু শব্দ না পেয়ে অজানা আশঙ্কায় দরজা ভেঙে ঢুকে দেখলো খাটে পড়ে আছে নীলিমা দেবীর নিথর দেহ৷
ছেলেকে খবর পাঠানো হল৷ছেলে বিকেলেই ফিরে এল৷এসেই জিজ্ঞেস করলো—"বডিটা কখন দাহ হবে?আমাকে আবার ফিরতে হবে৷একটা ইমপর্ট্যান্ট মিটিং সারতে হবে!"ছেলের এই মনোভাবে প্রতিবেশীরা যারপরনাই বিস্মিত হল৷পাগলটা কিন্তু তখনও বাইরে বসে অঝোর ধারায় কেঁদেই চলেছে৷
পরের দিন সকালে দেখা গেল সেই বটতলায় পাগলটা মরে পড়ে আছে!
—"কী রোজ রোজ ঐ পাগলটার কাছে যাও,ভালো লাগে না এসব!কতবার বারণ করেছি না!"
—"ও-ও যে আমায় মা বলে ডাকে বাবা,মা হয়ে সন্তানের ডাকে সাড়া না দিই কি করে!"কোনরকমে কান্না গিলে কথাগুলো বলেন নীলিমা দেবী৷
আর পাঁচটা মেয়ের মতো নীলিমা দেবীর যখন বিয়ের কথাবার্তা চলছে,তখন থেকেই সবাই সাবধান করে দিচ্ছিল সাংসারিক নানা ব্যাপারে৷শাশুড়ীর কথা শুনে চলা,স্বামীকে দেবতাজ্ঞান করা,বাড়ির কাজকর্ম মুখ বুজে করে যাওয়া এরকম হরেক উপদেশ আর পরামর্শে বিয়ের আগে থেকেই শ্বশুরবাড়ি সম্বন্ধে একটা অজানা ভীতি কাজ করছিল নীলিমার মনে৷কিন্তু বিয়ের পর নিজেই অবাক হয়ে গেল নীলিমা৷কোথায় শাশুড়ীর দজ্জালপনা!তিনি যে মায়ের থেকেও আপন৷কথায় কথায় বলতেনও,নীলিমাকে এনে উনি ওঁর মেয়ের শখ পূর্ণ করেছেন৷স্বামীটিও দিলদরিয়া মানুষ৷রাশভারী অধ্যাপকের বর্ম পরে থাকলেও স্ত্রীর সাথে রঙ্গ-রসিকতায় কম যেতেন না৷নীলিমাও বুঝতেন,স্বামী তাঁকে প্রচন্ড ভালোবাসেন৷তাঁদের সেই ভালোবাসারই ফসল অনিন্দ্য,ওঁদের ছেলে৷অনিন্দ্য হওয়ার পর আনন্দটা যেন আরও
বেড়ে গিয়েছিল নীলিমার সংসারে৷কিন্তু এত সুখ বোধহয় বিধাতার সহ্য হলনা৷শাশুড়ির মৃত্যুর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম মিটতে না মিটতেই এক গাড়ী দুর্ঘটনায় স্বামী প্রমথেশবাবুও প্রাণ হারালেন৷সেই থেকে তাঁর পেনশনের কিছু টাকা আর কয়েকটা টিউশনি—এভাবেই বড় করে তুলেছেন নীলিমা দেবী তাঁর ছেলেকে৷কোনদিনও অভাব বুঝতে দেননি৷সাধ্যের বাইরে গিয়েও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করিয়েছেন৷ছেলে যখন নামী সংস্থায় চাকরী পেল,গোটা পাড়ায় মিষ্টি বিলিয়েছেন৷
সেই একই পাড়ায় এক বটতলায় হঠাৎই এসে উপস্থিত হয় এক জটাওয়ালা যুবক৷গালের দাড়ি,উস্কোখুস্কো চুল,নোংরা পোশাক দেখে সবাই এক মুহূর্তেই বুঝতে পারে লোকটা রামপাগল৷দুয়েকবার তাড়াবার চেষ্টাও করে,কিন্তু পাগলটা রে-রে করে তেড়ে আসায় সেই চেষ্টায় ক্ষান্ত হয় পাড়ার লোকে৷কয়েকজন অতি-উৎসাহী তখন হাতের কাছে পড়ে থাকা ইঁট ছুঁড়তে থাকে পাগলটাকে লক্ষ্য করে৷মন্দির থেকে ফেরার পথে দৃশ্যটা দেখেই রুখে দাঁড়ান নীলিমা দেবী৷
—"এই কি করছো কি তোমরা?থামো,থামো বলছি!"
—"সরে যান জেঠিমা৷ও একটা পাগল৷এক্ষুনি কিছু একটা ক্ষতি করে দেবে আপনার৷"
—"কে পাগল নয়,বাবা!এই দুনিয়ায় প্রত্যেকেই তার নিজের নিয়মে পাগল৷আর ক্ষতি,রাখে হরি মারে কে!"
নীলিমা দেবীকে পাড়ার ছেলেপুলেরা একটু মান্য করে৷তাই ইঁট ছোঁড়া ছেড়ে আস্তে আস্তে চলে যায় জায়গাটা ছেড়ে৷নীলিমা দেবী এবার পাগলটার দিকে ঘুরে তাকান৷লোকটা এতক্ষণ ভয়ে কুঁকড়ে ছিল৷তিনি এগিয়ে গিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন—"তুমি কে বাবা?"
পাগলটা বোবা অর্থহীন দৃষ্টিতে নীলিমা দেবীর দিকে তাকায়৷বোধহয় বোঝার চেষ্টা করে ইনি ওর বন্ধু,না শত্রু৷
—"ভয় পেয়ো না,বাবা!আমি তোমায় মারবো না!তোমার খুব খিদে পেয়েছে,না?এই নাও,এই মিষ্টিগুলো খাও৷এখন আমি আসি,কেমন!তুমি কিন্তু কোথাও যেও না!কারো কোন অনিষ্টও করো না৷"
উনি উঠে একটু এগিয়েছেন,হঠাৎ—"মা!"
চমকে ঘুরে তাকালেন নীলিমা দেবী৷আঃ,কতদিন তিনি এ' ডাক শোনেননি৷যে ছেলেকে এত কষ্ট করে মানুষ করলেন,সেও যেন কেমন পাল্টে যাচ্ছে৷আগে অফিস থেকে ফিরে নানা কথা বলতো৷ধীরে ধীরে সেটুকুও বন্ধ হয়ে গেল৷এখন কথা বলতে 'খেতে দাও','দরজা বন্ধ করে দাও' ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ৷মা ডাকটাও তাই অনেকদিন শোনেননি নীলিমা দেবী৷তাই আজ হঠাৎ এই অপরিচিত পাগলটার মুখে 'মা' ডাক শুনে সেই ফল্গুধারার মতো বয়ে চলা মাতৃত্বস্নেহধারা যেন নতুন গতিমুখ পেল৷সেই থেকে পাগলটাকে রোজ খাবার,অনিন্দ্যর পুরনো জামাকাপড় দিতে লাগলেন৷পাগলটাও কেমন যেন মা-নেওটা হয়ে উঠল ধীরে ধীরে৷পাড়ার অন্য কাউকে কিছু বলে না৷কেউ মারতে বা খোঁচাতে এলে খেঁকিয়ে ওঠে ঠিকই,কিন্তু কখনোই কাউকে মারতে যায়না৷ও অবশ্য মায়ের এই ভালোবাসাটুকু সেই গাছতলায় বসেই উপভোগ করতো৷কখনো নীলিমা দেবীর বাড়ি যায়নি৷নীলিমা দেবীও তা মেনে নিয়েছিলেন৷কারন অনিন্দ্য যখন থেকে পাগলটার কথা জানতে পেরেছিল,তখন থেকে মায়ের সাথে দূরত্বটা যেন আরও বড় হয়ে উঠেছিল৷মায়ের কাজে অসন্তোষও প্রকাশ করতো প্রায়ই,এমনকি গলাবাজিও হত মাঝে মাঝে৷পাড়ার লোকেরাও ওর এরকম ব্যবহারে অবাক হত,কিন্তু নাক গলাতো না৷
হঠাৎ একদিন সকালবেলায় দেখা গেল পাগলটা নীলিমাদেবীর বাড়িতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা মারছে৷পাড়ার লোকেরা সেই শব্দে বেরিয়ে এসছে৷অনিন্দ্য তখন অফিসের কাজে বাইরে গেছে৷পাড়ার লোকেরা পাগলটার এরকম আচরণে অবাকই হল,কারন এত দিনে এই প্রথম পাগলটা এরকম করছে৷তাছাড়া নীলিমা দেবীই বা কোথায়!উনিই পাড়ায় সবার আগে ওঠেন৷অথচ এত আওয়াজেও ঘুম ভাঙছে না!পাগলটা প্রতিবেশীদের দেখতে পেয়ে ছুটে গেল ওদের কাছে৷মুখ দিয়ে বিচিত্র আওয়াজ করতে লাগলো,আর বারবার আঙুল দিয়ে নীলিমা দেবীর বাড়ির দিকে দেখাতে লাগলো৷দুয়েকজন কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গেল সেই বাড়ির দিকে৷নিজেরাও ধাক্কা দিল দরজায়৷কিন্তু শব্দ না পেয়ে অজানা আশঙ্কায় দরজা ভেঙে ঢুকে দেখলো খাটে পড়ে আছে নীলিমা দেবীর নিথর দেহ৷
ছেলেকে খবর পাঠানো হল৷ছেলে বিকেলেই ফিরে এল৷এসেই জিজ্ঞেস করলো—"বডিটা কখন দাহ হবে?আমাকে আবার ফিরতে হবে৷একটা ইমপর্ট্যান্ট মিটিং সারতে হবে!"ছেলের এই মনোভাবে প্রতিবেশীরা যারপরনাই বিস্মিত হল৷পাগলটা কিন্তু তখনও বাইরে বসে অঝোর ধারায় কেঁদেই চলেছে৷
পরের দিন সকালে দেখা গেল সেই বটতলায় পাগলটা মরে পড়ে আছে!