পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গল্প - নির্মলেন্দু কুণ্ডু

সম্পর্ক  —"কী রোজ রোজ ঐ পাগলটার কাছে যাও,ভালো লাগে না এসব!কতবার বারণ করেছি না!" —"ও-ও যে আমায় মা বলে ডাকে বাবা,মা হয়ে সন্তানের ডাকে সাড়া না দিই কি করে!"কোনরকমে কান্না গিলে কথাগুলো বলেন নীলিমা দেবী৷ আর পাঁচটা মেয়ের মতো নীলিমা দেবীর যখন বিয়ের কথাবার্তা চলছে,তখন থেকেই সবাই সাবধান করে দিচ্ছিল সাংসারিক নানা ব্যাপারে৷শাশুড়ীর কথা শুনে চলা,স্বামীকে দেবতাজ্ঞান করা,বাড়ির কাজকর্ম মুখ বুজে করে যাওয়া এরকম হরেক উপদেশ আর পরামর্শে বিয়ের আগে থেকেই শ্বশুরবাড়ি সম্বন্ধে একটা অজানা ভীতি কাজ করছিল নীলিমার মনে৷কিন্তু বিয়ের পর নিজেই অবাক হয়ে গেল নীলিমা৷কোথায় শাশুড়ীর দজ্জালপনা!তিনি যে মায়ের থেকেও আপন৷কথায় কথায় বলতেনও,নীলিমাকে এনে উনি ওঁর মেয়ের শখ পূর্ণ করেছেন৷স্বামীটিও দিলদরিয়া মানুষ৷রাশভারী অধ্যাপকের বর্ম পরে থাকলেও স্ত্রীর সাথে রঙ্গ-রসিকতায় কম যেতেন না৷নীলিমাও বুঝতেন,স্বামী তাঁকে প্রচন্ড ভালোবাসেন৷তাঁদের সেই ভালোবাসারই ফসল অনিন্দ্য,ওঁদের ছেলে৷অনিন্দ্য হওয়ার পর আনন্দটা যেন আরও বেড়ে গিয়েছিল নীলিমার সংসারে৷কিন্তু এত সুখ বোধহয় বিধাতার সহ্য হলনা৷শাশুড়ির মৃত্যুর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম মিটতে

সুব্রত হাজরা

ব্যথার সম্পর্ক  তোমার সাথে আমার একটিই  সম্পর্ক  তা হলো ব্যথার। যেখানে যেখানে  ব্যথারা ঘুরপাক খায় সেখানে সেখানে তোমায় খুঁজে পাই।  তোমার কথার মধ্যেই আমি আছি। বিশ্বাস না হলে পরখ করো বুকের ওপর হাত দিয়ে দেখো  সকল ধুকপুকানিতে সেই 'তরুণ'- এলোমেলো চুল,ঘোলাটে স্বপ্নিল চোখ  অবহেলার পোশাকে বড়ই পাগলাটে  যাকে তুমি আদর করে বলতে - কেয়ারলেস বিউটি।  আজ ২৬ শে সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর দিন দেবব্রতর কথাতে কলম ধরা। কিন্তু বারবার তোমার ছবি কেন ভেসে আসছে তুমি কি আমায় মনে করছ? ব্যথারা এখন কথা হয়ে কোথায় উড়ে যায় পিপাসু ঠোট , তোমার লিপগ্লসের গন্ধে  বড়ই  উচাটন  করে। তুমি কি আমায় ভাবছ? তুমি কি কাঁদছ? এ ব্যথার বিন্দু বিন্দু  রেণু আমায় ভিজিয়ে চলেছে আমি ভিজছি। আমি কাঁদছি।  না পেয়েও হারানো ব্যথারা আমায় ঋদ্ধ করে চলেছ  মামমাম, তুমি কত দূরে অথচ কত কাছে?

দেবযানী বসু

সলিলা হও গো সাগরমমতা ছিল দিঘি তোর. মহাঘোষ অন্তরে. দিঘি-দিদিদিদিদি.... খুন্তি হাতা দিয়ে নেড়ে দি ৫.৫ মিলিয়ন বছর বয়সে তোর. হারিয়ে যাওয়া বর্ষাবর্ষ গুনতে গুনতে. মা হারা মেছো নৌকোরা শুখো কোল জাপ্টে. মা মরা মা মড়া. বীরপুরুষ জাহাজেরা পড়ে পড়ে ঘুমোয় আর বালি খায়. চোরাবালি চুরি করে খায়. এখন পেয়েছে তোকে লবণবাতিকে. বুকে পাতা রেললাইনে খেলা করে মাছ. আমি মহাসচিব আসি তোর কাছে. পালাতে পারি নি. পারি নি. আমারও আশ্রয় উল্টোনো জাহাজ পাঁচ মিলিয়ন বছরের. 

মোনালিসা রেহমান

জলজ  একটু বৃষ্টি হলেই জল  জমে  মাটির শরীরে নরম মাটির দেয়াল ঘেঁষে বেড়ে ওঠে  চারাগাছ শ্যাওলা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে  দেওয়াল ফেটে চৌচির দুয়েকটা ইট হাড় জিরজিরে.... ডানা ভাঙা পাখি। ইমারত ভাঙার শব্দ ক্ষীণ কারুকার্য খচিত রাজপ্রাসাদে আজ নান্দনিকতা বেমানান উত্তরআধুনিক প্রেক্ষাপটে স্রষ্টা  নিজেই দিকবিশূন্য প্রদোষকালে পাখিদের ডানা ঝাপটানো কিসের ইঙ্গিত! রাত্রিকালে এক পক্ষকাল নির্ঘুম স্বপ্নদোষ........

উদার আকাশ

ছবি
একরামূল হক শেখ রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় 'উদার আকাশ' পত্রিকার 'ঈদ-শারদ উৎসব সংখ্যা-১৪২৪'  উদ্বোধন করেন । 'মানবজমিন' নামক কালজয়ী উপন্যাস, জনপ্রিয় 'ফটিক' চরিত্রের স্রষ্টা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়  উদার আকশ পত্রিকার বিষয় বৈচিত্রের পাশাপাশি সম্প্রীতি ও সৌহার্দের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। তিনি আরও বলেন, সমাজের বৌদ্ধিক বিকাশে সাহিত্য-সংস্কৃতির  বেশি বেশি চর্চা খুবই জরুরি। উদার আকাশ পত্রিকার তরুণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, চারদিকে ভেদাভেদ আর অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে। এই সময় সাহিত্য-সংস্কৃতিই  মানবিকতার জয়গান গাইতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে আমাদের। তিনি আরও বলেন, এর আগে উদার আকশ পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা এবং উদার আকাশ প্রকাশনের গ্রন্থ  নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মোস্তাক হোসেন, জয় গোস্বামী, দীপক ঘোষ, আবুল বাশার, সুনন্দ সান্যাল, নজরুল ইসলাম, প্রভৃতি বরেণ্য বাঙালি উদ্বোধন করেছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন আমার অন্যতম প্রিয় কথাসাহিত্যিক শীর্ষে

অর্ণব মণ্ডল

ফানুস উড়ানোর ইতিহাস খুঁজে তুমি জীবন দেখো নি.....! দেখেছো- ফানুস ওড়ানো সমারোহ, পূর্ণিমার নিষ্ক্রিয় দূষণ ক্যামেরা বন্দি আতস বাজীর উচ্ছাস অ্যালকোহলের বিসার্জন! ছুঁয়েছ- ব্যাস্ত কি-বোর্ড কামনার শীৎকার, গুপ্ত কোনো নিরোধক রক্তের দাগ, কাটাছেঁড়া মুক্তি! বুঝেছ কি- কেন ঈশ্বর? কেন মহাভিনিষ্ক্রমণ? কেন ফানুস? শিখেছ- অবৈধ আবদার নীল তিমির আঁচড়, বিস্তৃত সুখে 'চাহিদা' মূল্যহীন প্রতিকার! যদি বুঝে জানতে চাও জীবন... শেখো তবে সাহিত্যের দর্পণে 'নিমিত্ত আধুনিকতা' ফানুস উড়ানোর ইতিহাস খুঁজে ।

গোপাল বাইন

সমুদ্রে হাঙর ছাড়া আর কিছু নেই  হাঙর শুশুকের মত নয় , মানুষের সাথে কিংবা জলচর অন্য প্রাণীদের তার কোন নিবিড় হার্দিক সম্পর্ক আজও গড়ে ওঠেনি l হাঙর ধারাল দাঁতে নৃঃসংশতা আর পেটের আগুনখিদে নিয়ে জীবন যাপন করে হাঙরের খিদে আর নৃঃসংশতার বলি যারা হয় তারা জানে সমুদ্রে হাঙর ছাড়া আর কিছু নেই

সাজিদা ইসলাম

কলকাতার প্রতি  কলকাতা,তুমি কি এই সেই কলকাতা হয়তো যাকে আমি মনের গভীর থেকে দেখতে চেয়েছি, জানতে চেয়েছি,উপলব্ধি করতে চেয়েছি,আসলে তুমি কি? কেন তোমার এত মহিমা,এত গৌরব? রাতের আঁধারে তুমি জোনাকির আলো,ঝি ঝি পোকার গান দিনের আলোয় তুমি সোনালী রোদ্দুর,ব্যস্ত গানের সুর প্রতিটি মুহূর্তে আলো ছড়াও ফুলকি হয়ে । তুমি হয়তো অনেক কিছু দিয়েছো  কিন্তু পারোনি দিতে সেই মহিমা যেখানে বসন্তের সকালে শোনা যায় কোকিলের গান শোনা যায় বাতাসের মর্মর শব্দ, গাছেদের অব্যক্ত কথা ...

ফিরোজ আলি (আবির )

রঙ কার আলোয় বুক মেলা তোর, খেলিস, কার চোখে ফাঁকি... আলোর আলো কত আওয়াজ দিলো তবু,তোর অন্ধকারেই থাকি...।।

শীলা বিশ্বাস

প্রেরণা  ঠিক  আঁকড়ে  ধরা নয় ঠিক  সরিয়ে  ফেলাও নয়               মধ্যিখানে রয়ে  যাওয়া সম্পর্ককে তোমরা  কি নামে ডাকো?  বন্ধু  অথবা প্রেমিক  এই দুই সম্পর্কের মাঝে  হাইফেন হয়ে  ঝুলে থাকা বন্ধুর  মত প্রেমিক অথবা প্রেমিকের  মত বন্ধুকে আমি প্রেরণা  বলে ডাকি ।

মীর রাকেশ রৌশান

হৃদয়সুরের ডাক  জীবনের জৈবরস ফেলে এসেছি নিরোর বেহালায়। ছুঁয়ে দেখো তোমার মধ্যে সুর বেঁচে আছে কি না। সুর অন্তহীন পথ।

সঞ্চিতা দাস

অনিয়ম কয়েক মুঠো নম্র বায়ুমণ্ডল টলতে টলতে চামচে এসে গেছে বলেই কোমল নদী ডানা মেলে না, কাছে এসে অনিয়ম করে ফের দূরে যাওয়ার খেলায় মেতে ওঠে চিরপরিচিত হয়েও ছদ্মবেশে আর কতদিন জলপটি দিতে পারে কেউ .. তবে থাকল না সেই বারান্দার ছায়াচোখ। ইশারার লালচে কাচে লবণহ্রদের বাঁকে মাতোয়ারা সুর সভ্যতার গোল মুখে আলতো আদর দেখে নাম রাখে-  স্বপ্নের চশমা । এছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। স্ক্রিনে ভেসে ওঠে কত অনুতপ্ত ভোর না বলা অনেক কালের কথায়  শুভেচ্ছার গন্ধ বসতেই একঝাঁক বৃষ্টি এলো! বৃষ্টি আসে!

শুভ্র ব্যানার্জী

প্রবাসী  যে ঘর ছেড়েছে সেকি চেনে আসমান? প্রবাসী নদীতে অবগাহনের স্মৃতি নিকানো উঠোন, পুরনো মশারি, বাগান ভুলে যায় গান,একান্ন সম্প্রীতি? চেনা পথ লেখে  অচেনা গ্রহের সন্ধান  স্বপ্ন-উড়ালে বিরহ ক্ষণস্থায়ী ডেকে নেয় পথ  বাতাসে মিশলে  সন্ধা সফল পাখীরা শততই পরিযায়ী!