পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সজল কুমার মাইতি

ছবি
ভয় মূল রচনা  - খলিল জিব্রান অনুবাদ  - সজল কুমার মাইতি কথায় বলে  নদী সাগরে মিলনের আগে  ভয়ে কাঁপতে থাকে। ফেলে আসা পথ ফিরে ফিরে দেখতে থাকে  সেই পাহাড়ের চূড়া থেকে। এ সেই গাঁয়ের মধ্য দিয়ে  বনরাজির মধ্যে এঁকে বেঁকে চলা এক সুদীর্ঘ পথ। তারও সম্মুখে  এক বিশাল মহাসাগরে মিলে  অদৃশ্য হয়ে যায়। এছাড়া তো নদীর আর কোন পথ নাই ফিরে যেতে পারে না। কেউ কখনও  ফিরে যেতে পারে না  সম্ভব ও নয়। নদীকে তাই জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি  নিতেই হয়। সাগরে মিলন কেবল আশঙ্কার অবসান হয়তো ঘটবে তাই। নদী জানতে পারবে সাগরের সাথে মিলনই তো মহাসাগর সৃষ্টি করে। [ খলিল জিব্রানের জন্ম হয় 1883 সালে লেবাননে। তার জীবনের অনেকটা সময় আমেরিকায় কেটেছে। তিনি একজন লেখক ও শিল্পী। আরবি ও ইংরেজিতে তার অনেক সাহিত্যকৃতি রয়েছে। 1923 সালে তার বিখ্যাত রচনা  ' দি প্রফেট' এর জন্য তিনি খ্যাতির শিখরে পৌঁছন। 1931 সালে তার মৃত্যুর মাধ্যমে এক বিরল প্রতিভার অবসান হয়। ] মূল কবিতা  Fear Khalil Gibran It is said that before entering the sea a river trembles with fear. She looks back at the path she has traveled, from the peaks of the mountains, the long windi

অলোক কুমার দাস

ছবি
মা  গোপনে তুমি হৃদয় মন্দিরে কে দিলো এত সৌরভ , এতো প্রাণ, এর সন্ধান পাইনে, কে এলো এই গভীর রাতে? সবই তো ঠিকি আছে             শুধু তুমি নেই । আছো বিস্মৃতির অন্তরালে । দেখি তোমার মুখ খানি। লাল পেড়ে শাড়িতে  কপালে সেই টিপ,             হাসিটাও একই রকম । তবে কি আমার মনের বয়স কমে গেলো ?  চশমা চোখে ভাবি । না, তুমি আমার হৃদয়ে ...!

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৫২

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...   টানাপোড়েন ৫২ ভাবনা                                           স কাল থেকেই মনটা খুবই খারাপ লাগছে। মনের কি দোষ? সব সময় একটা টানাপোড়েন চলতে থাকে। কি সংসারে, কি অফিসে ,কি বন্ধু-বান্ধব সর্বত্র। ঘুম থেকে উঠে মনোজ এইসবই ভেবে চলেছে। গতরাত্রে ভালো করে ঘুম হয় নি। সারারাত ফোনে ডিস্টার্ব করেছে তিথি। রেখার সাথে সেভাবে কথা বলা হয় নি। রেখাটা না থাকলে সংসারটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে ফেলল। ঠিক তখনই মিলি আর তার বাচ্চারা চিৎকার করে উঠল। মনোজ তড়িঘড়ি করে ঘড়ি দেখছে ' এই যা খেতেই দেয়া হয় নি।'  সিগারেটটা ফেলে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটলো। একটা পাত্রে দুধ গরম বসিয়ে দিল। অন্য দিকে মিলির জন্য একটু খাবার বসিয়ে দিল। ঘরেতে ক্রিম ক্রেকার বিস্কিট ছিল, সঙ্গে সঙ্গে ৬বিস্কিট নিল। গরম দুধে  বিস্কিটগুলো ফেলে দিল। তারপর একটু হাওয়া করে ঠান্ডা করলো ,ঈষদুষ্ণ গরম অবস্থায় নিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালো। বাচ্চাদের খাওয়াতে খ

রাবেয়া পারভীন এর ছোট গল্প" স্মৃতির জানালায়"৩য়

ছবি
স্মৃতির জানালায়   ( ৩য় পর্ব)     সংসারে উদাসীনতার জন্য রেহানা  মাঝেমাঝে অভিযোগ করে  বলে  - আপনিতো চিরকাল  নিজের কাজ নিয়ে থাকলেন  আমার দিকে তো আর তাকিয়ে দেখলেন না মৃদু হেসে মাহ্তাব  সে সব কথার জবাব দিয়ে দেন। রেহানা বড় ভালো মেয়ে। সহজ সরল। এমন পতি পরায়না স্ত্রী  খুবই বিরল। কিন্তু তারপরও কি মাহ্তাব সুখি হয়েছেন ?  যখনি রেহানার কথা ভাবেন  তখনি বিদ্যুৎ  ঝলকের মত  তার চোখে ভেসে উঠে অনেক দিন আগে হারিয়ে যাওয়া এক নারীর মুখ। ব্যাথায় টন্ টন্ করে উঠে বুকের বাম পাশটা।  একটা দীর্ঘশ্বাস  পড়ল  সমস্ত  বুক কাঁপিয়ে। শবনম!  এক অসাধারণ নারীর নাম। উচ্চশিক্ষিতা  ব্যাক্তিত্বসমন্না অপরূপ সৌন্দর্য, কি ছিলোনা তার!  চমৎকার গানের গলা।  খুব ভালো কবিতা লিখতো  সে।  প্রতিটা কবিতা কাগজে ছাপতে দেয়ার আগে মাহতাবকে পড়ে শোনাত । মন্ত্রমুগ্ধের মত  তাঁর কাছে বসে কবিতা শুনত মাহতাব আর মুগ্ধ  হয়ে সেই কবিতা পাঠরতা অসাধারণ রমনীর  মুখাবয়বের দিকে চেয়ে থাকত। কবিতা পড়া শেষ হবার পরেও দৃষ্টি  ফিরতোনা। মিষ্টি  লাজুক  হাসি হেসে শবনম বলত - এমন করে তাকিয়ে  আছো কেন ?  কবিতাটা কেমন হয়েছে বলবে না?  কি বলবে মাহ্তাব,  বলার ভাষা যে হারিয়ে যেত। আহা শ

শাহীন রহমান

ছবি
ফিরে এসো ব্যথারছলে কুসুম বীথি ভরবে যেদিন,আকুল হয়ে ফাগুন বনে,  সেদিন 'প্রিয়' ফিরে এসো, ফুলেল পথে আমার ঘরে।  উঠোন জুড়ে জ্বলবে সখা,রঙবেরঙা মোমের আলো, শুন্য গৃহ রাখবো আমি, গভীর ভালোবাসা'য় ভরে।  অনেক দিনের বিরহ'তে,পথটা তোমার হয় যদি ভুল, ধুলোয় ঝরা পলাশ ফুলে,বাড়িয়ে দিয়ো রাঙা চরণ।  ডাহুক যুগল গান শোনাবে,জোনাকি'রা দেখাবে পথ, জোছনাধোয়া কোমল রাতে,শেফালী'রা করবে বরণ।  গল্প হবে অনেক সখা,হারিয়ে যাওয়া সেসব দিনের,  শাওন রাতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ভেজা টিনের চালে  অশ্রু ঝরা কপোল খানি ভাসিয়ে নিতো ঝুম বরষায়, নীড়হারানো বেজোড় ঘুঘু,ভিজতো বসে কদম ডালে।  ওই দূরের ঘাটে খেয়ামাঝি হাকতো বসে,কে পার হবা ?  আকাশ ছোঁয়া ব্যথা নিয়ে,গুড়গুড়িয়ে ডাকতো দেয়া।  স্বজন হারা একলা বুড়ী,ক্ষুধায় কাতর জাগতো নিশি, এমনি করেই হারিয়ে যেতো,এই জীবনে কালের খেয়া।  সখা,ফিরে এসো ফিরে এসো,এসো 'প্রিয়' আমার ঘরে,  এই বিরহীনি একলা জাগে,কপোল ভেজে অশ্রুজলে।  কত ফাগুন পেরিয়ে গেলো,শিউলি ঝরা ভোরের মত, ফিরে এসো প্রাণের দোসর,ফিরে এসো ব্যথার ছলে।

রুকসানা রহমান

ছবি
নীলহংসী শূণ্যে পাল টানে দুঃখের আড়ালে কেশদাম উড়িয়ে সোনালী কাঁচুলি বেঁধে, নীলহংসী শূণ্যে পাল টানে কিসের আহব্বানে। আবেগী,স্বপ্নের কি সীমারেখা আছে।  কেন জ্বলে উঠেছিলো ঝলসানো রৌদ্রময়তা তাবুতে ? যে অনিঃশেষ মোহমায়া বন্ধনে,স্লেজ ঠেলে নিয়তির পোষ্টারে এঁকে গেছে দহন... তবুও কিসের আসায় রাত্রি ভাষায় খোঁজে অমৃত প্রেম ? ভুলের হাহাকারে পড়ে থাকে মন ছেঁড়া শূণ্যপালে।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত" পর্ব ২০

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ২০ )     শামীমা আহমেদ                                                       স ন্ধ্যায়  লক খুলে শিহাব ঘরে ঢুকেই সোফায় বসে পড়লো। শরীরে রাজ্যের ক্লান্তি! কত যে দৌড়াদৌড়ি গেলো সারাটাদিন!  মোবাইলটা  হাতেই ধরা ছিল। কোন দ্বিধা না করেই সে শায়লাকে মেসেঞ্জারে কল দিল।  যেন সারাদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শায়লাকে জানাতেই হবে। শায়লা মায়ের সাথে  ড্রয়িংরুমে সন্ধ্যার  চা নিয়ে বসেছে  সাথে মুচমুচে পাপড় ভাজা । সামনে টিভি চলছিল।  মেসেঞ্জার কলে শিহাবের মুখ ভেসে উঠল।  শিহাবের নাম দেখে  শায়লা দ্রুত মায়ের কাছ থেকে উঠে নিজের ঘরে চলে এলো।রিসিভ করতেই শিহাব জানতে চাইলো, সকালে ভালোভাবে বাসায় পৌছে ছিলেন তো? শায়লা সারাদিনে সকালের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। মনে পড়তেই বলে উঠলো, আরে হ্যাঁ হ্যাঁ,এখান থেকে এখানে, এতো চেনা পথ। আপনি কখন এলেন?চা খেয়েছেন? এইতো সবেমাত্র ঘরে ঢুকেছি।সেই যে সকালে বেরিয়েছি নানান সব কাজ সেরে মাত্র ফিরলাম।

শামরুজ জবা

ছবি
ভুল প্রেম কত প্রাণ দেখলাম এ ধরায়  কত বিরহে, কত আনন্দে  কত বসন্তে- বৈশাখে- বরষায়,  সুখে- দুঃখে কত হাস্য- লাস্য উপমায়!  এ এক আশ্চর্য  সম্পর্ক- স্বপ্নে- গন্ধে অপরূপ মধুরিমায়। প্রেমিক যে জন বেসেছে ভাল দেখেছি দিনশেষে- চোখে তার ঘন রাতের কালো কখনো আবার বিপুলা অশ্রু রাশি রাশি,  কখনো অকারণ জীবনের বলিদান; আস্থা- অহম রুগ্ন- শীর্ণ পরবাসী- কোন এক অচেনা মোহনায় জানিনা এর শেষ কখন কোথায়। কখনো অজান্তে- ঋষিবর প্রেমিকের অবুঝ চোখের জলে  আমার দুটি চোখ ভেসেছে ব্যথায় জ্বলেছে বুনো আগুন কোমল বুকের তলে।  ভেবেছি একা-- কোন সে মোহ মায়ায় নিরন্তর ভাসা এই ভালবাসায়! মাঝে মাঝে মনে হয়-- বহু মানবের প্রেম দিয়ে ঢাকা,  বহু দিবসের সুখে- দুঃখে আঁকা এই প্রেম প্রেম খেলার করি প্রতিবাদ; আবার ভাবি গোপনে নিরালায়-- কেন মিছে এত ক্রোধ, এত দ্রোহ? যার যা আছে থাক না তা থাক- ধীর পায়ে নেমে আসা শুদ্ধতায়।  আজ বলি আপনার মনে একা- থেমে যাক ভুল প্রেম, ব্যথা- ক্রন্দন সত্যালোকে ভরে থাক জীবন  ছিঁড়ে যাক মরীচিকাময় মিছে বন্ধন।