পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি ঋতবৃতা মুখোপাধ্যায় এর গুচ্ছ কবিতা

ছবি
ছবি        যখন ঠিক সন্ধ্যে হয়ে আসে  যখন শেষ বেলার গোধূলির রং রাঙিয়ে দিয়ে আকাশ বলে, "দ্যাখ.. আজ তোর প্রিয় রঙে সেজেছি", যখন ক্লান্ত পাখিরা ফিরে আসে নীড়ের টানে - তখন কেন কান্না পায় জানিনা তখন বড়ো মন কেমন করে। আচ্ছা... মন কেমনের রঙ কেমন হয় বলতো..? কালো, ধুসর না বাদামি? নাকি অন্য কিছু..! আমাকে একটা মন কেমনের ছবি এঁকে দিবি?                  ভালোবাসা       ভালোবাসা গন্ধ-রুমাল বুকের খাঁজে রাখা ভালোবাসা বেলের কুঁড়ি পাতার ঘোমটা ঢাকা। ভালোবাসা হারিয়ে আবার নতুন করে পাওয়া ভালোবাসা মন-কেমনের গল্পে ডুবে যাওয়া।  ভালোবাসা স্বপ্ন-উড়ান বৃষ্টি-মাখা ভোরে ভালোবাসা আঁকড়ে ধরা উথালপাথাল ঝড়ে।   ভালোবাসা আদর-গভীর অনুভূতির ভাষা ভালোবাসা কষ্ট পেয়ে চোখের জলে ভাসা।  ভালোবাসা গলার কাছে আটকে থাকা ব্যথা ভালোবাসা কাজল-চোখের নিঃশব্দের কথা। ভালোবাসা বিষম জ্বরে মায়ের শীতল হাত ভালোবাসা আকূল আবেগ জীবনভরা সাথ।                                           তুমি ছুঁয়ে দিলে ...             তুমি ছুঁয়ে দিলে আগুন হয়ে যাই, ইচ্ছে করে, যা কিছু খারাপ সব পুড়িয়ে ছাই করে দিই। সমাজের দুর্গন্ধময় ক্লেদ, অবজ্ঞা, অ

মমতা রায়চৌধুরী ৬৪

ছবি
টানাপোড়েন ৬৪ মন কাড়া উৎসব                                                         জী বন নদী পারাপারে কত বাধা-বিপত্তি সংগ্রাম ,টানাপোড়েন এ তো চলতেই থাকে। জীবনটাই যেন যুদ্ধক্ষেত্র। তবুও মানুষ এসব ভুলে গিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে।রেখার ভাবনায় আলোড়ন তোলে রেখার জা। সাতসকালে রেখার জা রীতা হঠাৎই চিৎকার"আরে বাবা গুরুদেব আসবেন ।আর সিঁড়ির অবস্থা যদি এরকম থাকে। ' রেখা জানলাগুলো বন্ধ করে দিতে লাগলো। মনোজ অবাক হয়ে বলল''জানলা বন্ধ করছো কেন?' রেখা বলল' যাতে কোনো চিৎকার কানে না আসে?' মনোজ বলল' এটা তো নিত্যকালের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের ঝামেলাটা কে করছে জেঠিমা ?নাকি তার ছেলের বউ?' রেখা বলল 'তোমার সাধের বৌদি ভাই।'' মনোজ বলল 'এতে কি লাভ আছে বলো তো? কে যে ক'দিন থাকে পৃথিবীতে ?তার আবার লড়াই?' রেখা বলল' যাই দেখে আসি কেন চিৎকার করছে?' রেখা মনোজকে বলল 'গরম জলের ভ্যাপারটা নেবে?' মনোজ বলল 'না আগে তুমি দেখে এসো ।' রেখা বললো 'তাহলে এসে দেবো কেমন?' মনোজ একটু হাসলো। রেখা বেরিয়ে গেল। রেখা মিলিদের ওখানে গিয়ে দেখল দ

শান্তা কামালী ৩৫ পর্ব

ছবি
বনফুল   ৩৫ পর্ব শান্তা কামালী জুঁই য়ের শরীর টা ভালো যাচ্ছে না কয়েক দিন ধরে। দুদিন বাড়ি থেকে একদম বের হয়নি।পলাশ বাড়িতে এসে খবর নিয়েছে।  সেদিন সকালে হঠাৎ জুঁই য়ের ফোন পলাশ কে।তখন সকাল মাত্র ছয়টা বাজে। এ সময় তো জুঁই ঘুম থেকে ওঠে না!  পলাশের মনে কু ডাকে। ফোন তুলে গুড মর্নিং বলতেই, ওপাশ থেকে কান্না ভেজা গলায় জুঁই বলে উঠলো, তুমি একবার শীঘ্রি এসো, উউহ কি ব্যথা.....  কি হয়েছে জুঁই?  বলো.... পলাশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে।  সুইট হার্ট,আমি পড়ে গেছি,হাতে খুব লেগেছে কাঁধের কাছে যন্ত্রণা হচ্ছে, আমি কি করবো জানি না....  একটু অপেক্ষা করো,আমি এক্ষুনি আসছি, এই বলেই পলাশ দ্রুত তৈরি হয়ে জুঁইদের বাড়িতে পৌঁছে যায়। গিয়ে দেখে জুঁই য়ের বাবা মা ডাক্তার ডেকে এনেছেন। সবাই ঘরে উপস্থিত। জুঁই তখন ডাক্তারবাবু কে বলছে, ঘুম থেকে উঠে ওয়াস রুমে যাবো, এমন সময় মাথা টা একটু কেমন চক্কর দিলো, পড়ে যেতে গিয়ে কিছু ধরবো বলে হাত টা বাড়িয়েছি,অমনি  পা টা হড়কে গিয়ে চিৎ হয়ে পড়লাম বিছানা ঘেঁষে একদম  মাটিতে। খাটের সাইডে কাঁধ টা লাগলো খুব জোরে। আর ডান হাতটা মাটিতে।এখন দুটো কাঁধেই খুব ব্যথা করছে,আর ডান হাতের কনুই তেও খুবই....  ডাক্তার সব দেখে বললেন

জাবেদ আহমেদ

ছবি
মায়া লিখবো কি পদ্য কবিতা  চুল তোমার বাহ্, ঐ মুক্তা চোখ তোমার চোখ নয় যেন উপন্যাস, ঐ ঠোঁট ঐ রুপ যেন বৃন্দাবন,  মন চাই হতে কানায় দিবানিশি বঁশি বাজায়, অনামিকা সুহাসিনী  ভাষা এখনো শোনিনী মনে হয় সুভাষিণী  সাহিত্য মনার হৃদ মাঝারে থাকো তুমি উপন্যাসের পান্ডুলিপি তুমি তুমি কবিতার শব্দ,  তুমি অনন্যা তুমি কবির প্রেরণা তোমার স্বপ্নে  কবি লিখে সহস্র কবিতা।

শামরুজ জবা

ছবি
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা তুমি, বীর বাঙ্গালীর কাঙ্ক্ষিত ফসল, শরতের জোছনা ভরা রাতে আলোর ঝলমল।  স্বাধীনতা তুমি, বীরাঙ্গনা মা- বোনের ইজ্জ্বতের আবরণ, বঙ্গজননীর  মায়াভরা আবেগি দৃষ্টির চাহুনি ছলছল। স্বাধীনতা তুমি,  লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত লালসূর্য,  লড়াকু বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের রণতূর্য।  স্বাধীনতা তুমি,  পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির প্রতীক,  শত্রু হননে, মুক্তি পাগল বাঙালির বীর গাম্ভীর্য।  স্বাধীনতা তুমি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ লালিত দেশ গড়া স্বপ্ন,  বেদনাহত বাংলা মায়ের মুখে  বিজয়ী দীর্ঘশ্বাস। স্বাধীনতা তুমি, মুক্তিসেনার বিজয়ের আনন্দ উল্লাস, অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।  স্বাধীনতা তুমি,  গাঢ় সবুজের মাঝে লালবৃত্ত খচিত পতাকা, বাংলার রক্তিম সীমারেখা - বিশ্ব মানচিত্রে আঁকা। স্বাধীনতা তুমি  ষোড়শী কন্যার কৌশলী বীরাঙ্গনায়,  নিজেকে মেলেধরা, শত্রু কপোকাতে হাসির লাল ঠুঁট বাঁকা। স্বাধীনতা তুমি  অথৈজলে নববধূর অবাধ সাঁতার,  পড়ন্ত বিকেলে কুটিরে বসে, উদাস মনে গুণগুণ গান। স্বাধীনতা তুমি  আবাল-বৃদ্ধের বাঁচার সমঅধিকার, দেশ শাসনে আলোচনা- সমালোচনা, গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠায় কথা বলা মুক্ত প্রাণ।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান / ৩য়

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন ৩য় পর্ব মোঃ হা‌বিবুর রহমান                                               মা র্কিনীরা যে প্র‌ক্রিয়াজাত খাবার প্যা‌কেট ক‌'রে রাখে তা অবশ্য অ‌নেক‌দিন ধ‌'রেই খাওয়া যায়। এটা‌কে ব‌লে এমআরই (MRE অর্থাৎ 'Meal Ready to Eat'). এমআরই খাওয়ার বিড়ম্বনা হ'ল যে, দু'-‌তিন রক‌মের এমআরই এর ম‌ধ্যে কোনোটা‌ শুধুমাত্র বিফ কিংবা বা গরুর মাংশ আবার কে‌ানোটা‌তে পুরোটাই পর্ক বা শুক‌রের মাংশ মেশা‌নো আবার কোনো-কোনোটা‌তে বি‌ভিন্ন রক‌মের মিশ্রণও আ‌ছে। তাই ম‌নে প্রগাঢ় বিশ্বাস নি‌য়েই খে‌তে হ‌বে। অ‌নে‌কেই ব‌লে "বিশ্ব‌াসে মেলায় বস্তু ত‌র্কে বহুদূর"। সবই ঠিক আ‌ছে কিন্তু খাওয়াদাওয়ার উপর আমার বিশ্বাস বেশ আ‌গের থে‌কেই কম।  একবার শ‌ুনে‌ছিলাম ঢাকার কে‌ান এক হো‌টে‌লে না‌কি কাষ্টমার‌দের‌কে কুকু‌রের মাংশ দি‌য়ে আপ্যায়ণ করা হ'য়ে‌ছি‌লো। তাছাড়া, ফা‌র্মের মুরগী দে‌শে আসার পর মরা মুরগী সমা‌ধিস্হ না ক‌'রেই সৃ‌ষ্টির সেরা জীব মনুষ্যজা‌তি‌কে আপ্যায়ণ হা‌রের আ‌ধিক্য‌টি না‌কি বহুলাং‌শে বে‌ড়ে গেছে। এটাই না‌কি আমা‌দের বাংলা‌দে‌শের রী‌তি হ‌'য়ে দাঁ‌ড়ি‌য়ে‌ছে। এরা ‌

রাবেয়া পারভীন/৮ম পর্ব

ছবি
স্মৃতির জানালায়  (৮ম পর্ব) রাবেয়া পারভীন                                                    মা হতাবের  মাথার মধ্যে শিপলুর কথাটা ঘুরতে লাগলো, " আপাকে দেখতে এসেছে, পছন্দ হলে আপার বিয়ে হবে। "  সে অলস পায়ে দোতলায় উঠে এলো।  শবনমের মামা মামী এসেছেন।  শবনম সম্ভবত  নিজের ঘরে। ওই ঘরে উঁকি দিয়ে  একবার শবনমকে   খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু উচিৎ  হবেনা  ভেবে ইচ্ছেটাকে  দমন করল। সোজা হেঁটে চলে গেল রান্নাঘরের সামনে। ভিতরে শবনমের মা এবং মামী  দুজনেই আছেন। কাজেম থালাবাটি পরিস্কার করে  ধুয়ে খাবার ঘরের টেবিল সাজাচ্ছে। রান্না ঘরের দরজায়  দাঁড়িয়ে মাহতাব ডাক দিল  - খালাম্মা স্যারর আমাকে পাঠালেন  প্রস্তুতি কতটুকু হলো দেখতে  মাহতাবকে দেখে এগিয়ে এলেন শবনমের মা বললেন বাবা মাহতাব তুমি বুঝি এতোক্ষনে এলে ? -জ্বী খালাম্মা !    শবনমের মা কাজেম কে ডেকে বললেন - কাজেম , মাহ্তাবকে শরবত আর মিস্টি দে,  বলেই  আবার মাহতাবকে বললেন -  - তুমি এক কাজ কর, এগুলু খেয়ে  তোমার  স্যারকে জিজ্ঞেস করে এসো  মেহমানদের খাওয়া আগে হবে নাকি মেয়ে দেখা আগে হবে!   ঘাড় হেলিয়ে কোনরকমে শরবতটা খেল সে, তারপর ছুটল  নীচ তলায়। শবনমের বিয়ে হব

শামীমা আহমেদ ২৬

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ২৬) শামীমা আহমেদ  ঢাকা এয়ারপোর্ট রোড ক্রস করতেই শিহাবের রাত পৌনে দশটা হয়ে গেলো। শায়লা অপেক্ষায় আছে ভাবতেই শিহাব বাইকের স্পীড  বাড়িয়ে দিলো। ভাগ্যিস যানজট নেই! শিহাব বাইক দ্রুত চালিয়ে আজমপুর দিয়ে উত্তরায় ঢুকল। একপাশে বাইক থামিয়ে শায়লাকে মেসেজে জানালো আমি আর দশমিনিটের মধ্যেই আসছি! শায়লাদের বাসার রোডটা শিহাবের চেনাই আছে। প্রায়ই কুশল সেন্টারের ওর অফিস থেকে বেরিয়ে সেক্টর সাত দিয়ে  এই পথেই শিহাব নিজের বাসায়  ফেরে। শুধু বাসার নম্বরটা মিলিয়ে নিতে হবে। ফোনে শায়লার সেই কান্না জড়িত কন্ঠ এখনো শিহাবের কানে ভাসছে।আজ শায়লসর সাথে দেখা করে তবেই বাসায় ফিরবে। নয়তো রাতে তার কিছুতেই ঘুম হবে না।। শিহাব আজমপুর রোডে ঢুকে রোড নম্বর মিলিয়ে বাইক ঢুকালো। একে একে বাড়ির নম্বরগুলো দেখে এগুচ্ছে।  আজ সন্ধ্যাবেলায় শিহাবের ফোনে শায়লা কেন যে এতটা আবেগী হয়ে উঠেছিল! সে কথা ভাবতে এখন লজ্জাই লাগছে।শিহাব কথা দিয়েছে আজ দেখা করে যাবে। এতে শায়লা ভীষণ পুলকিত! আর শিহাব যখন বলেছে তখন সে আসবেই।শায়লার সে আস্থা শিহাবের উপর আছে। কোনদিন কথা দিয়ে কথা রাখেনি তেমনটি হয়নি। শায়লা বারবার ঘড়ি দেখছিল।কতদূর এগিয়ে

trssg

LOVE

fdgs

LOVE