পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি ডালিয়া মুখার্জী এর কবিতা "ইচ্ছে গুলো এলোমেলো"

ছবি
ইচ্ছে গুলো এলোমেলো  ডালিয়া মুখার্জী আজ আবার কবিতা লিখতে ইচ্ছে হয়, ইচ্ছে হয় নতুন করে বাঁচতে,  ইচ্ছে হয় আবার মেঘ পাহাড়ের ঘন কুয়াশা তে মিশে যেতে, ইচ্ছে হয় পৃথিবীর গন্ধটা বুক ভরে নিতে, ইচ্ছে হয় শিমুল বনের রাঙা রাস্তা ধরে হাঁটতে, ইচ্ছে হয় বৃষ্টির প্রতিটি ফোটতে নিজেকে ভিজিয়ে নিতে ইচ্ছে হয় পাহাড়ের সূর্যাস্ত দেখতে, শেষ বিকেলে ঘরে ফিরে যাওয়া পাখিদের কলকলানি শুনতে, ইচ্ছে হয় একভাবে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীর গান শুনতে ইচ্ছে হয় নীল আকাশে রাতের ধ্রুব তারা দেখতে, বসন্তের হাতছানিতে নিজেকে খুজে নিতে।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৬১ অনিন্দিতার বাচ্চা মমতা রায়চৌধুরী ও বাপরে বাপ আমি কিছুতেই পারছিনা। কি হলো? হলো টা কি? আর আমার মান্থলি টিকিট কার্ড পাচ্ছি না। দেখ ওখানে আছে তোমার যে ভুলোমন। তুমি কি ব্যাক চেঞ্জ করেছিলে? 'হ্যাঁ করেছিলাম। তাতেও নেই।' নেই মানে টা কি ? মনোজ তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে বেসিনে হাত ধুয়ে ঘরে গিয়ে ড্রয়ার টা খুলল। ভালো করে জিনিসপত্র সরিয়ে সরিয়ে দেখলো, তারপর বললো "এই দেখো ,বলেই কার্ডটা রেখার  কাছে নিয়ে গিয়ে দেখালো।' রেখা বলল 'আশ্চর্য আমি তো ড্রয়ার টাও খুঁজলাম।' "ঠিক আছে, চলো ট্রেন পাবে না কিন্তু  এর পর ।আমি তোমাকে ড্রপ করে দিচ্ছি।' "তোমার লেট হয়ে যাবে না।" "না,না, আমার পরের  ট্রেনে গেলেও হবে আজকে।" Ok "ঠিক আছে তুমি গাড়িটা বের করো আমি দরজা লাগিয়ে আসছি।" মনোজ গাড়ি বের করতে করতে চিৎকার করে বলল" আসার সময় বিস্কিট নিয়ে এসো, না হলে কিন্তু ছাড়া পাবে না ওদের কাছ থেকে।".  রেখা হাতে করে বিস্কিট এনে আগে বাচ্চাগুলোকে দিল, মিলিকেও দিল।" তারপর মনোজ রেখাকে  নিয়ে গাড়ি করে স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৮

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস   শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৮) শামীমা আহমেদ   শিহাব খুবই ঠান্ডা মাথায় একমনে রোমেলের কথাগুলো  শুনে নিলো। সে বুঝতে পারছে না এর মাঝে কতটা সত্যতা আছে বা আদৌ তা সত্য কিনা। বেশ কিছুদিন যাবৎ রোমেল শিহাবকে ভীষণভাবে  অনুসরণ করছে আর রিশতিনারকে নানান বুদ্ধি পরামর্শ  দিয়ে যাচ্ছে।  সে খুবই চেষ্টায় ছিল তার আর রিশতিনার দুরত্বটা মিটিয়ে দিতে  কিন্তু শিহাব আর রিশতিনার মাঝে যে বোঝাপড়া হয়েছে তাতো  রোমেলের অজানা ।  রিশতিনা বিনা আপত্তিতেই  চলে গেছে। হ্যাঁ,সে স্বেচ্ছায় এসেছিল কিন্তু নানান পারিপার্শ্বিক কারণে শিহাবের তাকে গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। আজ যদি সে  কোন সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেটা সে তার নিজ দ্বায়িত্বেই নিবে। এব্যাপারে শিহাব মোটেই উদ্বিগ্ন হলো না। আর হয়েও কোন লাভ হবে না। শায়লার কথা রিশতিনা জেনেছেও। খুব দ্রুতই শিহাব রিশতিনাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়ে শায়লার সাথে বিয়েটা সেরে নিবে। শায়লাকে নিয়ে আজ সে যতদূর এসেছে সেখান থেকে সে আর ফিরে যাবে না। আর এজন্য যা ফেইস করতে হয় নির্বিঘ্নে তা করবে। আর শায়লার  প্রতি তার ভরসাও আছে। সে তাকে কোনদিনই ভুল বুঝবে না।রাহাত আর বুবলী শিহাবের দিকে তাকিয়ে

কবি মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা "অন্তিম গন্তব্য"

ছবি
অন্তিম গন্তব্য মোঃ ইসমাঈল   রুহ পাখি উড়ি-উড়ি একদিন জমাবে ঠিক আকাশ পাড়ি। এই ধরনী নয়তো কারোর জন্য চিরস্থায়ী ঠিকানা চিরস্থায়ী থাকার জায়গা হলো কেবল মাটির বিছানা।  নাহি থাকতে পারবে আর এই ধরনীতে চলে যেতে হবে ঐ নির্জন ঘর কবরেতে। নতুন জায়গা নতুন যাত্রা নতুন বিছানা উপরেতে থাকবে দেওয়া বাশের সামিয়ানা। থাকবে পরে একা আর নিবে না কেউ খবর এরই নাম জীবনের অন্তিম গন্তব্য কবর।  আসবে ফেরেশতা করবে প্রশ্ন যদি হয় নসিব ভালো  তবে কবর এবং আখিরাত জীবনে জ্বলবে সুখের আলো।

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা "নারীর নেই বাড়ি"

ছবি
নারীর নেই বাড়ি শিবনাথ মণ্ডল এই জগতে নারী পুরুষ এখন সমান সমান খাতা কলমে তাইতো আজ দিয়েছে তার প্রমান। বিয়ের আগে মেয়েরা সব থাকে বাপের বাড়ি বিয়ের পরে নারীদের ঠাঁই হয় শ্বশুর বাড়ি। নারী ছাড়া এই দুনিয়া  হয় যে অন্ধকার নারীর কোথায় নিজের বাড়ি  তাই খুঁজি বার বার। মেয়েরাতো মা  বোন  স্ত্রী হয় গৃহের লক্ষীরুপা নারী এত গুন থাকতেও নারীর নেউকো নিজের বাড়ি।।