পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী /৮৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮৫  আঘাত মমতা রায়চৌধুরী গতকাল রাতে একটা উত্তেজনার ঘোর ছিল রেখার মনে ।অনিন্দিতার বিয়ে। তাহলে শেষ পর্যন্ত অনিন্দিতার বিয়েতে যেতেই হবে। রিম্পাদি কায়দা করে গিফটা আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। বড়দি সরাসরি নিজের বাড়ি থেকে যাবেন, নিজের গাড়িতে। শুভ্রা, আমি রিম্পাদি , অনুরাধাদি এক গাড়িতে যাব। রিম্পাদি গাড়িটা নিয়ে আসবে অনুরাধাদিকে তুলবে ,তারপর আমাকে, তারপর শুভ্রাকে এই পর্যন্ত কথা হয়েছে। কে কি সাজগোজ করবে সেই প্রস্তুতি চলছে। রিম্পাদি গতকাল পার্লারে চুলের হেয়ার স্ট্রেটনিং করিয়েছে। শুভ্রা লেয়ার কার্ট ,সঙ্গে স্ট্রেটনিং করেছে। শুধু আমি চুল কাটাতে পারি নি। যাব কিনা সেটা নিয়েই তো প্রথম থেকে ডিসিশন নিতে পারি নি। যাক গে যা হবে হবে ।সবার মাঝে না হয় একটু নিষ্প্রভ থাকবো। ভাবতে ভাবতেই ওয়ারড্রব খুলে শাড়িগুলো সিলেট করছে কোনটা পড়বে। রেখা সব শাড়িগুলো ঘাটার পর মনে মনে ভাবছে"ওপারা সিল্ক  পড়ব, নাকি কাতান সিল্ক ?' ভেবে যখন কোনো ডিসিশন নিতে পারল না তখন দুটো শাড়ি নিয়ে গিয়ে মনোজকে দেখাল। মনোজ তখন ল্যাপটপ খুলে একটা কাজ করছিল মনোযোগের সঙ্গে।ঠিক তখনই রেখা ঢুকলো শাড়ি দ

কবি মোঃ ইমরান হোসেন এর কবিতা

ছবি
খোল শিক্ষাঙ্গন মোঃ ইমরান হোসেন দুঃখজনক হলেও সত্য  এটাই দেশের হাল  সবই ঠিকঠাক চলছে শুধু  শিক্ষা টালমাটাল । অন্ন দেবে দেবে সাইকেল  দেবে মোবাইল  রাখবে শুধু দেশটাকে আজ  শিক্ষাক্ষেত্রে নীল।  ক্লাস না হলেও থাকছে খোলা  সমস্ত পাঠশালা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক গন  শ্রেণী কক্ষে তালা।  খোলা থাকছে  পানশালাটা মাতাল হবে দেশ  মদের টাকায় আমলারা সব  আয়েশ করবে বেশ ।  ক্লাস না হলেও ক্রমোন্নত  হবে পদোন্নতি  রেজাল্ট হবে মার্কশিটে হাই  বাস্তবে হীনয্যোতি।  উচ্চতর ডিগ্রি থেকেও থাকবে শিক্ষাহীন চক্ষু থেকেও দেখবে আঁধার থাকবে দৃষ্টিহীন।  কর্মক্ষেত্রে গিয়ে এরা  ভাঙবে দন্ত নিজ সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেবে মুর্খতারই বীজ।  রাজনীতি তো অনেক হল  দেখালে আস্ফালন এবার একটু বন্ধ কর খোল শিক্ষাঙ্গন।

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৮

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৪৮) শামীমা আহমেদ     রাহাত অফিসের জন্য বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে কথাটা জানাতে হবে। নয়তো বিশাল এক কেলেঙ্কারি ঘটে যাবে!মা ভীষণ অপ্রস্তুত হবে। এমনটি ভেবে শায়লা দ্রুতই ঘুম থেকে উঠলো। সকালের নাস্তার আয়োজন শেষে রাহাতকে ডাইনিং টেবিলে রেখে শায়লা মায়ের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখে নিলো।মা বিছানায় নেই।তার মানে মা জেগে গেছেন।ওয়াশ রুমে আছেন।এই ফাকে শায়লা কথাটি রাহাতকে জানালো।  গতকাল শিহাব আমাকে বাসার গেটে নামিয়ে দেয়ার সময় আমার পিছনে রিকশায় নিচ তলার রুহি খালা ছিল।সে শিহাবকে দেখেছে।আমি বাইক থেকে নামছিলাম,বিস্ময়ে তার চোখ ফেটে যাচ্ছিল। এখন কি করা যায়। তুমি অফিসে বেরিয়ে গেলেই রুহি খালা আসবে।আর মাকে শুনিয়ে শুনিয়ে যখন সব বলবে মাতো বিশ্বাসই করতে চাইবে না।আর যখন বুঝবে এটা সত্যি তখন মা যতটা আঘাত পাবে তা কিভাবে সামাল দিবো! শায়লা এই ভেবে অস্থির হয়ে উঠছে।রাহাতের কাছে এর সমাধানের উপায় বের করে দিতে বলছে। সবকিছু শুনে রাহাত কিছুটা ভেবে নিলো।শিহাব ভাইয়া তোমার নিরাপত্তার কথা ভেবে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেছে এটা ঠিক কিন্তু এই যে পাড়া প্রতিবেশীরা তা দেখে ফেললো এটা তো একটা বিরাট ঝামেলা হবেই। তুমি একট

কবি শ্রী স্বপন দাস এর কবিতা

ছবি
কেহ কম নহে: শ্রী স্বপন দাস প্রকৃতি হয়ে যাচ্ছে বেসামাল ভাইরাস হয়ে উঠেছে বদ্ধমাতাল। প্রবল রূপে হয়েছিল আগুয়ান আয়লা যশ আম্ফানের উৎপীড়ন, পাশাপাশি মারলো ধাক্কা, করোনা এক দুই তবুও হয়নি শান্ত, আবার দুরন্ত রূপে এল অমিক্রন। বাঁধাহীন রূপে করেই চলেছে সমগ্র বিশ্বে, প্রাণনাশ সহ লাগামহীন আক্রমন। সারা বিশ্বে যাচ্ছে দেখা, বিশ্ব ধ্বংসের এক পূর্বাভাস, প র প্রজন্মের স্বার্থে রবে, পৃথিবী ধ্বংস লীলার এক ইতিহাস।। রিজেন্ট পার্ক টালিগঞ্জ কলকাতা

শান্তা কামালী/৫৭ তম পর্ব

ছবি
বনফুল (৫৭ তম পর্ব )  শান্তা কামালী সকাল আটটার মধ্যে সৈকতের বড় মামা মামানি চলে এসেছেন। সৈকতের বাবা গতকালই হোটেলে অর্ডার করে রেখেছেন, সকালে কি কি নাস্তা আসবে, বারটায় কি রিচুয়াল স্পেশাল ডিশ.....।  বেলা এগারোটায় সৈকতের ছোট মামা, দুই চাচা এসেছেন, এর কিছুক্ষণ পরে সৈকতের ছোট বেলার বন্ধু  আসিফ সাথে তিনটা ছেলে কয়েক ব্যাগ ফুল আরো কিসব...  নিয়ে এলো।গতকালই অহনার বাড়ি থেকে ফার্নিচার এসেছে, আসিফ সৈকতকে নিয়ে ওর রুম থেকে বেরিয়ে এসে অন্য রুমে বসেছে।  সাড়ে বারোটায় সৈকতের ফুলসজ্জার খাট সাজিয়ে এসে আসিফ কাকে যেন উদ্দেশ্য করে বললো বরের সবকিছু বের করে দেন, বরকে সাজিয়ে আমাদের ছুটি। বেলা ঠিক একটার দিকে সাজানো গোছানো ডিশ নিয়ে এলো হোটেল বয়েরা। সৈকতের বাবা বললেন আসিফ তোমাদের মামানি সাহায্য করবেন খাওয়ার ব্যাপারটা শেষ করো, আমরা বেরোবো। নিয়ম মেনে সৈকত খাবারের ডিশে হাত রেখে নিজের অজান্তেই চোখ অশ্রুতে ভরে গেল....  আজ মা সুস্থ থাকলে পাশে বসে ছেলের মাথায় আশির্বাদ করতেন।  মামানি বুঝতে পেরে বললো আমি  তোমার মায়ের হয়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি, বলে উনি সৈকতের মুখে এক লোকমা ভাত তুলে দিলেন, আসিফ ও  খেলো সামান্য। হাত ধুয়ে সৈকত মায়ের ব

কবি সামরিন শিরিন এর কবিতা

ছবি
বুকপাঁজরেই   সামরিন শিরিন   বুকের ভিতরে তার বাস একেবারে বুকপাঁজরেই।  একটি গভীর মায়ার করস্পর্শ  শুদ্ধস্বর গাঢ় চোখ!  গরবিনী জয়িতা আমার লাবণ্যপ্রভা। অথচ তার হৃদয় জুড়ে ঘন সন্ধ্যার ছায়া,  হতাশার খরতাপ,  অস্থির শূন্যতায় মর্মর ব্যথা বিদ্বেষের শব্দ!  অশোভন, অসুন্দরের আতংকে মুহ্যমান রাত্রিদিন।  উত্তরণের অনিশ্চিত অপেক্ষা... তবু,  তাকেই উৎসর্গ করেছি  এক অনুপম প্রেমকবিতার চিঠি।  সাহসী জীবন্ময় আশাবাদী কথকতা।  সময় আরও একটু সুস্থ্য হোক বা সংযত... হে মহান বিজয়দিন! আপ্রাণ সাক্ষরে, শ্রদ্ধায় আমি তোমাকেই সঁপে যাই আমার স্বদেশী অন্তর।

কবি জাবেদ আহমেদে এর কবিতা

ছবি
লোভী   জাবেদ আহমেদ   লোভ লালসা 'র জাল বুনবি আর কতকাল বাচবিচার নাইরে তোর পোষাক আষাকে মহান। চাপার জোর বড় বেশী  মনে লোভের খনি, হক হালালে মাথাব্যথা  নাইরে তোর ওরে নোংরা। আলাল দুলাল কে ও করিস ফরক। তোর মাটেরই ত ফসল তারা। গরীব পেলেই গোষ্ঠী মারিস যখনতখন ভাঙিস লোভের হাঁড়ি।  মূদ্রা পেলে খুশী সদা হয় যদি হারামে তোর নাই- ভাবনা পাইলে হইছে মূদ্রা। মিছে কথা যখনতখন  ডর ভয় নাইরে মরনের। লোভে ভরা মনরে তোর পরপারের নাইরে চিন্তা।  ওরে লোভী পাপী  আর কত সত্য মিথ্যা  বলে বেড়াবি।  লাটি হাতেও মরনে ভয় না করলি।

কবি শিরিন আক্তার  এর কবিতা

ছবি
অনুশোচনার ক্ষণে   শিরিন আক্তার  বহুকাল পরে সেই অব্যক্ত বাসনা  ভেতর ঘরে জাগায় অসহ্য তাড়না। অনুশোচনার ক্ষণে পিছু মন থাকা অতীত আমায় ডাকে,কতো স্মৃতি আঁকা। উত্তাল তরঙ্গ মাঝে ইচ্ছে ছুঁড়ে দেয়া দূরের গগন দেশে হারিয়ে যাওয়া। অবশেষে বাকি ছিল কিছু গল্প বলা, অনিন্দ্য সুন্দর ছিল; তার ছলাকলা। দোদুল্যমান আজও সে লগন গুলা মনের দেয়াল থেকে তা যায় না ফেলা। পায়তারা দেয় যেন;এক নিত্য ধারা প্রণয়ী আমার!প্রিয় গানের অন্তরা।