পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

kjuh

LOVE

lkjkgk

LOVE

jhgl

LOVE

hfgfrd

LOVE

asdfhj

LOVE

kh

LOVE

vjvjv

LOVE

uhgkg

LOVE

hgfg

LOVE

dxzgd

LOVE

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন   ৩৫ চোখের বালি                                                           সা রারাত জ্বরে কাতরিয়েছে রেখা। কাশিটাও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। মনোজ সেই যে ফোন নিয়ে অশান্তি করলো ,তারপর ওষুধগুলো কাছে রেখে দিয়ে কোথায় যে আছে কে জানে? রেখার খুব জল তেষ্টা পেয়েছে ।কোনরকমে উঠে দেখছে টেবিলের ওপর জলটা আছে ।গ্লাস টেনে নিয়ে ঢকঢক করে জল খেয়ে নিল। শরীরটা প্রচন্ড উইক লাগছে। বাথরুমে যেতে হবে। কোনরকমে উঠল রেখা ।উঠে বাথরুমে গেল। এসে আবার খাটের উপর বসে পড়লো ।বসে বসে ভাবতে লাগল  'মনোজ কোথায় গেল,?রাতে কি তবে এই ঘরে শুতে আসে নি। ' রেখা ভাবতে ভাবতে আবার শুয়ে পড়লো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল পাঁচটা বাজে। ভোর হয়ে গেছে। রাস্তা দিয়ে মর্নিংওয়াক করা পথচারীরা কথা বলতে বলতে যাচ্ছে।  তাহলে মনোজ কোথায় গেল? না ,সত্যি কালকে রেখার ফোন ধরাটা উচিত হয় নি। মনোজ সাধারণত রাগ করে না কিন্তু এবার যে কি হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। ৫ .৩০তে কলিংবেল বেজে উঠল&q

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২০

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায় ( পর্ব ২০ ) রাস্তার ঘটনাটা তৃষ্ণাকে খুব ভাবিয়ে তুললো কি হচ্ছে এসব,সামান্য এক ড্রাইভার এতোটা সাহস কোথা থেকে পায়, কারা ওরা? হঠাৎ মায়ের ডাকে ভাবনা ছুটে গেলো - তৃষ্ণা খাবিনা মা রাগ প্রায় দশটা বাজতে চললো তখন থেকে দেখছি বাসায় ফিরে কি ভাবছিস তৃষ্ণ- চলো খাবো কিছু ভাবছিনা মা, অযথা চিন্তা করোনা। খাওয়া শেষ করে দেখে সারে দশটা বাজে অপু এখনো ফোন করছেনা আজ নিজেই কল করে অপুকে সারপ্রাইজ দেবে এই ভেবে ফোন করলো। অপু- সরি তৃষ্ণা একটু রাত হয়ে গেলো জানি প্রতিক্ষায় ছিলে। তৃষ্ণা- মোটেই তা নয়, এমনি ফোন দিলাম আজ। অপু- সত্যি বলতে লজ্জা পাচ্ছো,তাহলে রেখে দেই। তৃষ্ণা- না রেখোনা, অপেক্ষা করিতো, রাত হয়ে গিয়েছে ফোন করছোনা, শরীর খারাপ হলো কিনা জানার জন্য। অপু-আমি দিব্যি ভালো আছি, যাক তাহলে আমার জন্য তোমার চিন্তা হয়। তৃষ্ণা- এবার কিন্ত আমি লাইন কেটে দিবো। অপু- না মহারানী

নওশাদ আলম

ছবি
মানবপূজা মানবপূজার সেরা মন্দিরে ঢুকছে মানুষ দলে-দলে, চামচামি আর চাটুকার হয়ে ঈমান হারায় ছলেবলে। জানোয়ার রূপে সম্মান পেতে সামনের সারি করে ভারী, কুলষের নীড়ে শিরক জমিয়ে বিবেক করছে মনোহারি। সবখানে দেখি ব্যক্তির পূজো শিরক হচ্ছে ছড়াছড়ি, খাদ্য জ্বালায় মরছে মানুষ ধূলোর বিছানায় গড়াগড়ি। মানবপূজারি তারাতো কখনো দেখায় না কেউ মানবতা, স্বার্থের দোর দিবানিশি খুঁড়ে গরিবের বুকে দেয় ব্যথা কুর্ণিশে তার নেই সংকোচ পদোন্নতির পেলে চিঠি, পায়ের ময়লা চেটেপুটে খায় ভেবে অমৃত মাখা পিঠি। স্কুল-কলেজ অফিস কাছারি সবখানে দেখি একরেশ স্বাধীনতা সব করেছে হরণ, পশুতে চালায় যেই দেশ। স্বার্থপ্রেমিক আমলার কাছে প্রতারিত হয় দেশবাসী, বংশের ছাঁইয়ে মাখন মাখিয়ে "দিবস" তৈরি করে রাশি। রাজস্বখাতে লালবাতি জেলে মানবপূজাকে করে জয়, দেশের কপালে দুর্দশা দেখে দেশবাসী মনে পোষে ভয়। মুসলিম দেশে মানবপূজারি তারাকি পড়েনি কোরআন? কুরআনহীন মানব শরীরে বসত করে যে শয়তান। মানবপূজারি শয়তান থেকে মুক্তির রাহে পথধরো কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে শিরকমুক্ত জীবন গড়ো।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১৬

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "  বনফুল                              ( ১৬ তম পর্ব )  জুঁই ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে কতো কি ভাবছে,প্রথম দিনের হঠাৎ দেখা, তারপর থেকে আজকে রেস্টুরেন্টের বিল মেটানো।  পলাশের পরিক্ষার দিনগুলোর কথা। ঐ দিকে পলাশও জুঁইয়ের কথা ভাবছে পড়ার টেবিলে। তারই ফাঁকে তিথিও শিমুলের পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিল সে। এমন সময় পলাশের ফোন বেজে উঠল, পলাশ বন্ধু সৈকতের ফোনে আনন্দে আত্মহারা.... রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সৈকত," দোস্ত কেমন আছিস? "  উত্তরে পলাশ বললো ভালো, দোস্ত তুই কেমন আছিস?  ভালো, কিন্তু পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সময় কাটছে না।  পলাশ বললো দোস্ত এক কাজ করতে পারিস, তুই ঢাকা চলে আয় মজা করে সময় কাটানো যাবে। সৈকতের বাড়িও ঢাকায় বাড্ডা তে। স্কুল থেকে কলেজ এক সাথে পড়াশোনা... সৈকতের বাবার বদলি হয়ে যাওয়ায় সৈকতে আর ঢাকা ভার্সিটিতে পড়তে পারেনি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে পড়তে হলো। সৈকত বাবা-মার একমাত্র ছেলে।  যেই কথা সেই কাজ ব্যাগে কিছু জানা কাপড় গুছিয়ে সকালের ট্রেন ধরে চলে এলো সৈকত।  পলাশের

নূরুজ্জামান হালিম

ছবি
অপেক্ষা  প্রজার স্বপ্ন ভঙ্গের পরেও বিশ্বাসঘাতক রাজা পাশাতেই ব্যস্ত। নিরুপায় মধ্যবিত্ত  আলু, পটল অথবা ধান গমে নিরাশ বারোমাস,  স্বচ্ছলতা নেই কোথাও কানাকড়ি।  প্রেমে একলা চল নীতি একেবারেই মূল্যহীন  ন্যূনতম দুজনকে চলতে হয় হাতে হাত রেখে। কেউ কেউ পা চাটা কুকুর পোষে কেউ কেউ পা চাটা কুকুরও হতে চায় উচ্ছিষ্ট ক্ষমতার লোভে। উন্নয়ন অনেক হয়েছে,  উন্নয়নের রোশনাই ঝলমল করছে চতুর্দিকে,  তবুও বৃদ্ধ বাবা- মা অবহেলায়  বীতশ্রদ্ধ হয়ে চলে যাচ্ছে অসীম আকাশে। প্রজারা কাতর রাষ্ট্রীয় অ্যাজমায়। একটি ঘুড়ি হাতে অবোধ বালক বসে আছে মৃয়মান সবুজ দিগন্তে আকাশে বাতাসের বালাই নেই তবুও নিরন্তর অপেক্ষা রোজ।

কাউসার আলী ( সিডনি অষ্ট্রেলিয়া )

ছবি
অনুভবের অনল  কত দুরের পথ, তবুও পথ চলা, শ্রান্ত নয়নে চেয়ে থাকা । আঁকা বাঁকা মেঠো পথ, মস্তিস্কের কুটিলতায় বিরামহীন অপেক্ষা ! আঁটসাঁট বাঁধি মন, যৌবনের ঝাউবন জৌলসতার। আবৃত্তে ঝলসানো সাটার খুলে অপলক, দেখি তেল চিটচিটে গহীন সুখ রুদ্ধ!! ফুল ফোটাবো সন্তে মার্চের হানাদার, কালো আঁধারের প্লাবিত শুষ্ক কপল।  তবুও ভাঙে না বাঁধ- দুকূলের পাঁড় বেশ পুরু! এলোবাতাসে উড়ছে পরাজল, চুষে নিয়ে হয় ঝিঙ্গেল। কায়ার মাঝে হিয়া, হিয়ার মাঝে পাষাণ, জল বিনে জানি নিভেনা অনল; জল অনলে হৃদয় দহন!! রবি শসির খেলার মাঝে চোখ ধাঁধানো, রঙিন চশমা বিহনে- অদ্য উন্মোচিত ভূ-মন্ডলের মরিচিকার থুপ্পা।। যতকাল বুনিছে হৃদয় বাবুই পাখির বাসা, অতি যত্নে লালিত পরক্ষণে ঠুনকো নিগুড় ভালোবাসা ফুরাবে না পথ জানি, দিতে হবে দিগন্ত পাড়ি । বটমূলের শীতল ছায়ায় অবসাদের সুখ পেতে- নীলিমার নীলপরী স্বপ্নের বারতায় বুলি দ্ব্যর্থহীন, সময়ের চাহিদা যেখানে মূখ্য !! পবিত্র ভালোবাসা, স্বতীত্ব সেখানে অর্থহীন।

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব ( ইংল্যান্ড )

ছবি
কুলষিত  তাজা ফুলে গাঁজার গন্ধ কেউ পারেনা বলতে ভালো মন্দ বলতে গেলে দেয়না কভু চলতে। সমাজ করে খুব কুলষিত হর হামেশা নিত্যে সত‍্যে কথার ধার ধারেনা থাকে নির্ভীক চিত্তে। লুটতে গিয়ে পয়সা  কড়ি  হয়ে যায় হন্য ভাতের জন‍্য জাত মারিয়া  নিজে হয় ধন‍্য। গলায় ধরে মারে টিপা বুকে পাথর চাপা কষ্ট গুলো যায়না দেখা যায়না কভু মাপা।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৭

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                    (পর্ব ৭ ) শামীমা আহমেদ                                                     আ জকাল মোবাইলের কল্যাণে অনলাইন শপিংয়ের মত অনলাইন বন্ধুও  বেছে নেয়া যায়।তা সে চেহারা দেখে,বা  না দেখেও বন্ধু হবার অনুরোধ পাঠানো যায়, তারপর চলে চেনা জানা, দেখাশুনা, চাই কি তা অনেকের অনেকদূর পর্যন্তও  গড়ায়। তবে শায়লার জীবনে তেমন কোন মিরাকল কিছু ঘটবে না সে ব্যাপারে শায়লা নিশ্চিত। কারণ শায়লা কোন কিছুই সহজে পায়নি। তেমন কোন বন্ধুও পাওয়া হয়নি আজ পর্যন্ত । শায়লাতো তার স্বাভাবিক জীবন থেকে দলছুট হয়ে গেছে।সবার জীবনের মত তার প্রতিটি ধাপ  মেনে চলেনি। আগের যুগের মানুষের, শুরুতে দেখাশুনা হতো,চেনা জানা চলাফেরা তারপর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা। এখন সবই পালটে গেছে।তবে আগের দিনে যে পত্রমিতালী হতো,আজকাল তার ডিজিটাল ভার্সন হচ্ছে টেক্সট, মেসেজ, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ,ভাইবার! বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার কী মানুষের আবেগ বাড়িয়েছে নাকি কমিয়েছে?নাকি ভার্চুয়াল জগতে  মিথ্যের চর্চা চলছে, নাকি অচেনাকে চিনে নিতে সহজ করে দিয়েছে! শায়লার মনের ভেতরের নানান দ্বিধাদ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সেই ছবিটায় "সততা

শান্তা কামালী

ছবি
বনফুল  ( ১৫ তম পর্ব )  দুজনেই বেশ চুটিয়ে গল্প করছে, পলাশ মাঝে মাঝে গভীর ভাবে জুঁইয়ের দিকে তাকাচ্ছে, তবে এই তাকানোতে কোনো পাপ নেই, আছে একে-অপরকে জানা, বুঝার নিবিড় ভালোবাসা।  এরইমধ্যে খাবার চলে এলো, ওয়েটার  খাবার পরিবেশন করতেই জুঁই আশ্চর্য!   এতো সব জুঁইয়ের পছন্দের খাবার অর্ডার করেছে......  পলাশ একটু মুচকি হেসে বললো জুঁই আমি তোমার কিছু কিছু পছন্দ জেনে গেছি।  জুঁই বললো হুম তাইতো দেখছি......  দুজনেই খেতে শুরু করলো, পলাশ বললো জুঁই এখনতো বলো, কি সুখবর দেবে বলেছিলে? জুঁই বললো আগামী শুক্রবার তুমি আমাদের বাসায় আসছো, বাবা-মা'কে  তোমার কথা বলাতে ওনারা তোমাকে আসতে বলেছেন।  এবার পলাশ বুকে হাত রেখে বললো জুঁই এখন আমার সত্যি সত্যিই ভয় লাগছে, আমাকে ডেকে নিয়ে না জানি কি অপমান করবে..........  জুঁই বললো তুমি না পুরুষ মানুষ?  পুরুষেরা এতো ভিতু হয় জানতাম না!  পলাশ বললো জুঁই তুমি বুঝতে পারছনা,  জুঁই বললো আমার এতো বুঝে কাজ নেই, তুমি শুধু শুক্রবারে আসবে। ব্যাস, বাকী সব কিছু আমি বুঝে নেবো।  পলাশ বললো জোহুকুম রানী সাহেবা.....  কথা বলতে বলতে খাওয়া শেষ হলো,  পলাশ ওয়েটারকে ডেকে বিল নিয়ে আসতে বললো। পলাশ বললো জুঁ

রুকসানা রহমান

ছবি
উদাসী মেঘের ডানায়  ( ১৯ তম পর্ব )     তৃষ্ণা তৈরী,হয়ে,বিকেলের দিকে মাকে বললো - মা,আমি একটু রাাইফল স্কয়ারে যাচ্ছি,মজিদ,কেন বলো,ও যেনো ছয়টার আগে ময়নাকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে,আনে। মা,- তুই কিসে যাবি?  তৃষ্ণা- এখান থেকে কাছেই রিকসায় যাবো। তুই নিয়ে,যা,গাড়ি তষ্ণা -আজ,ড্রাইভ করতে,ইচ্ছে হচ্ছেনা,কতকাল রিকসায় উঠিনা। এই বলে বের,হয়ে গেলো। টুকটাক কেনাকাটা,করে বের হয়ে,বাসার গলির কাছে  এসে রিকসা ছেড়ে দিয়ে কিছু ফল কিনে হাঁটতে থাকলো।  কোচিং সেন্টারের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখলো একটা উঠতি বয়সি মেয়েকে একটি প্রাইভেট গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে উত্তেজক ভাষায় কথা বলছে মেয়টির সাথে। তৃষ্ণা চলে যেতে চেয়েও কি মনে করে গাড়িটির সামনে দাঁড়াতেই মেয়েটি ছুটে এসে তৃষ্ণার পাশে দাঁড়ালো। তৃষ্ণা বললো - কি হয়েছে, গাড়ি কি তোমার? মেয়েটি মাথা নেড়ে বললো না। তৃষ্ণা- তাহলে কি হয়ছে। মেয়েটি বললো - আধাঘণ্টা ধরে আমাকে আটকিয়ে রেখেছে, যেতে দিচ্ছেনা। তৃষ্ণা- কেন? -আমি ওড়না পড়িনি কেন  তাকে কথা দিতে হবে আমি এখন থেকে ওড়না পরবো তারপর আমাকে যেতে দিবে। তৃষ্ণাএবার লোকটির দিকে তাকিয়ে বললো- আপনি কি গাড়ির মালিক ? - জ্বি না আমি ড্রাইবার। তৃষ্ণা-কোথায় পেলিএতো

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬)  শামীমা আহমেদ  ---শায়লার মা ভাই বোন আত্মীয়স্বজনেরা অপেক্ষায়, কবে শায়লার ভিসার কাগজপত্র আসবে আর শায়লা কানাডায় পাড়ি জমাবে।শায়লা কাউকে বলতে পারছে না তার জীবনে কি ঘটে গেছে!যে আত্মীয়রা এতদিন নিশ্চুপ ছিল আজ সেই মামী চাচীরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। যেন শায়লার জন্য তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে । মেয়েকে বিয়ে দিয়ে উদ্ধার করেছে, এবার স্বামীর ঘরে পাঠিয়ে পিতৃহারা মেয়ের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছে। সবার দৃষ্টি এখন এমন বিদেশি পাত্রের দিকে। সবার ঘরেইতো মেয়ে আছে।ইতিমধ্যে শায়লাকেও জানিয়ে রেখেছে, কানাডা গিয়ে ছোট বোনদের কথা যেন ভুলে যেও না। তোমার কাছাকাছি রেখো।যেন শায়লা কানাডা গিয়ে ফ্যাক্টরি থেকে পাত্র বানিয়ে বানিয়ে সাপ্লাই দিবে।শায়লার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় রুহি খালাকে জিজ্ঞেস করতে কেন এমন প্রতারনা করলেন আমাদের সাথে!কেন সব কিছু জেনেও,, পরক্ষণেই নায়লা,মা আর রাহাতের কথা মনে পড়ে যায়।সবার জন্য তাকেই তো ভাবতেই হতো! রুহি খালা পুরান ঢাকার মেয়ে।ঢাকাইয়া বাপের একমাত্র মেয়ে।বাপের যত প্লাস্টিক আর চুড়ির কারখানা  সবই পেয়েছেএই  মেয়ে ।যেমন অগাধ টাকা রুহি খালা আর তার বাপের, মনও তেম

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন  ফোন বিভ্রাট রেখার শরীরটা ভালো নেই। প্রচন্ড জ্বর ভুলভাল বকছে। কিন্তু মনোজ কোথায়? মনোজ একবার এসে রুমে দেখে -রেখা শুয়ে আছে ।প্রথমদিকে অতটা গা করে নি। পরে যখন আবার রুমে ঢোকে ,তখন দেখে রেখা একইভাবে কাতরাচ্ছে ।গায়ে হাত দিয়ে দেখে প্রচন্ড জ্বর। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার কে ফোন করে। 'হ্যালো'। নমস্কার আমি মনোজ বলছি ডাক্তারবাবু। আসলে আমার স্ত্রীর প্রচন্ড জ্বর ওকে কি নিয়ে যাবো ,না আপনি ফোনেতে ওষুধ বলবেন?' ডাক্তারবাবু ' আমি ওষুধ বলছি লিখে নাও। মনোজ বলল 'এক মিনিট একটু হোল্ড করুন ডাক্তারবাবু ,পেনটা নিচ্ছি।(পেন নিয়ে আর একটা প্যাড নিয়ে)। হ্যাঁ বলুন।' ডাক্তারবাবু বললেন cifran500,paracetamol 650,ambrolite -s,syrup মনোজ বলল  'কিভাবে খাওয়াবো?' ডাক্তারবাবু বললেন 'cifran 500 দিনে দুবার খাবার পর। Paracetamol ,650 এখনি একটা খাইয়ে দাও। জ্বর থাকলে পরে আর একটা খাইয়ে দেবে। Ambrolite-s,syrup দিনে ৩ বার খাবার পর।'

DCXZC

LOVE

dfsd

LOVE

vczdx

LOVE

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৩

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                              টানাপোড়েন (৩৩)                                         অজানা আতঙ্ক                                                     আ জ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। সকলে ঘরে ঘরে  মা লক্ষ্মীর আরাধনা করবে ,যাতে গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি শান্তি বজায় থাকে । রেখা গতকাল স্কুল থেকে ফেরার সময় একটু বৃষ্টিতে ভিজেছিল। মনে হচ্ছে গা টা সকাল থেকেই একটু ম্যাচ ম্যাচ করছে ,মাথা যন্ত্রণা করছে, জ্বর জ্বর ভাব। এসব উপেক্ষা করে লক্ষ্মী পূজার জোগাড়ে মেতে উঠেছে ।সকাল থেকে কাজ গুছিয়ে নিয়ে ,স্নান করে মা লক্ষ্মীর ভোগ রান্না করে ,তারপর পুজোয় বসেছে ।এর মধ্যে একবারও মনোজ কোন খোঁজ খবর নেয় নি। সারাক্ষণ ভেতরে ভেতরে দুশ্চিন্তা 'যেন একলা আকাশ থমকে গেছে কোন এক....।' পুজোর জোগাড় করছে বটে ,কিন্তু মনোজের জন্য খুব টেনশন হচ্ছে ।আজকাল ঘনঘন মনোজের ফোন আসে। যদিও কোনো কালে রেখা ফোনের ব্যাপারে কৌতুহলী হয় নি ।তবে আজকে একটা কথাতে রেখার মনে খটকা লেগেছে ।কি হতে পারে?  ম

সাফিয়া খন্দকার রেখা

ছবি
বাজপাখি ছুটে আসছে  ( কৃতজ্ঞতা রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, একটি লাইন কবিতার প্রয়োজনে ব্যবহার করেছি এই কবির )  ল্যাম্পপোস্টর মতো অনাদর আর হাহাকারে কাঁদছে উৎসবের বর্ণীল আয়োজন।  এখানে ওখানে বর্ণহীন নিষ্প্রভ সময় এখন। ঘুমন্ত মানুষ নয় বিপ্লবীর খুব প্রয়োজন আজ। মৃত্যুর মিছিলের পথ আগলে যে দাঁড়াতে পারেনা  সে আমৃত্যু ঘুমিয়ে থাকুক।  অন্ধকার ঠেলে দাঁড়ানো পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটির পোড়া গন্ধে কাঁদছে দূর্বাদল,  ওদের কান্না অবিকল তোমার আমার মতো। গনতন্ত্রের ভণ্ডামিতে সংবিধান ফিরে যেতে চাইছে বাহাত্তরে।  সেদিন আর দূরে নেই  বাজপাখির মতো ছুটে আসবে নতুন প্রজন্ম। ঘুমিয়ে থাকা মানুষেরা জড়ায়ু ঠেলে ভূমিষ্ঠ হবে অন্ধ সময় তাড়াতে।  গাঢ় সে সন্ধ্যায় জোৎস্না লুটোপুটি খাবে দ্রোহের উত্তাপে,  আমাদের কবর কিংবা চিতায় অলৌকিক মায়া ফেলবে  মানবতার দীর্ঘ মিছিলের ছায়া।  আদিগন্ত ফসলের ক্ষেত ছেড়ে পালাবে মাজড়া পোকার মতো জ্যান্ত মালিকানা।  মায়েরা পড়াতে ভুলে যাবে শিশুদের  " ভোর হলো দোর খোল  খুকুমণি ওঠোরে" শিশুরা তখন পড়ছে... আমাদের ধর্ম হবে ফসলের সুষম বণ্টন,  আমরা ফিরিয়ে এনেছি পৃথিবীর ভারসাম্য,  আমরা ছিড়েখুঁড়ে ফেলেছি ধর্ম নামের ম

জি,এম,লিটন

ছবি
কষ্টের জীবন হাজার সুখের পশরা সাজাই, দুঃখেই কাটে দিন। আঁধার,কালো পথেই দেখি, শুধু স্বপ্নগুলোই রঙ্গিন।  জীবন কাটে যুদ্ধ করে, বাস্তবতার সাথে--- সুখের ফেরিওয়ালা সাজি আমি, হাজার কষ্টের মাঝে। দিন চলে যায়,মাস চলে যায়, বছর আসে ঘুরে।  সুখ পাখিটা দেয়না দেখা--- থাকে অচিন পুরে।  জীবন চলার পথে আমার  আসে শুধু বাঁধা, যতই সামনে যাই এগিয়ে --- দেখি গোলকধাঁধা।  জীবন সংগ্রামে,মাঝেমাঝে --- পথ হারিয়ে ফেলি। তবুও,কষ্টটাকে বুকে চেপে, হাসি মুখেই চলি। জীবনের দুঃখ, দেখলে অনেকেই-- সামনে, আড়ালে হাসে সান্ত্বনাতো দেয় না কেউ, কেউ থাকেনা পাশে। তবুও জীবন যায়না থেমে, চলে অবিরাম।  কষ্টের জীবন কেটেই চলে--- পাইনা কোন দাম। তবুও জীবন সবার কাছে--- অমুল্য এক সম্পদ, জীবন ঘড়ির জং আসিলে, বাড়ে যে বিপদ।1 দেহের মাঝে থাকবে যতক্ষণ--- প্রাণেরই স্পন্দন।  প্রভুর মতে সাজিয়ে নিও--- তোমারই জীবন।  পাঁচ স্তম্ভে সাজালে কেউ--- আপনও ভুবন। সার্থক সদা জেন তুমি, মহিমান্বিত সেই জীবন।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"১৮

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                                                      উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                ( পর্ব ১৮ )  পরদিন সকাল থেকে সামিয়া একভাবে বমি করছে। বড় আপাকে কল করতেই চলে এলো বাসায় সৈকত কে বললো ডাক্তারের কথা সৈকত বললো- আমার আজ ভীষণ কাজের চাপ আপা আপনি যখন এসেছেন আপনিই বরং নিয়ে যান। বড় আপা বিকেলে নিয়ে গেলো ডাক্তারের চেম্বারে ডাক্তার দেখেই বললো জন্ডিস খুব বেশি  বিলোরবিন টেষ্ট করিয়ে ভর্তি করুন এখনই স্যালাাইন দিতে হবে। ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে,সৈকত কে সব বললো সৈকত-জন্ডিস হলে আা্বার ভর্তি হতে হয় নাকি আপা কিযে করেন আপনারা আমার বাসার রান্নাবান্না কে করবে। বড়আপা- বুয়া আছেনা আপাতত বুয়ার হাতে খাও আমি রাখছি। এভাবে তিনদিন গেলো বিলোরবিন এখনো তেমন একটা কমেনি সৈকত রাতে বাসায় ফিরে যাবার সময় দেখে যায় আর কা

শাহিদা ফেন্সী

ছবি
কবি কি তবে সত্য বলেছেন   বাঙলার মানচিত্র জুড়ে আজ নৃশংসতার দাবানল পুড়ে খাক হচ্ছে হরিকেল বঙ্গ পুন্ড্র গৌড় সমতট  নীল খুনে রঞ্জিত পলিমাটি থেকে রাজপথ  ফিরে এসেছে চেঙ্গিস বখতিয়ার পাবলো,গারাভিতোর দল  মানুষের ভয়ে মানুষ হবে বুঝি আবার গুহাবাসী  বিস্মিত ঘৃণায় তাকিয়ে দেখবে অবাক প্রাণীকুল!  আমার সাধের মাতৃভূমি আজ মাতৃহারা পিতৃত্বের পৌরুষ আজ বেহিসেবি উদ্ধত একরোখা  দিকে দিকে রাক্ষস-খোক্ষসের নখ দন্ত জ্বলজ্বলে জ্বলন্ত আজ রাষ্ট্রের অপর নাম হতাশা বিষাদ শোষণ ভয় আতংক ত্রিশ লক্ষ শহীদের ষাট লক্ষ চক্ষু হতে ঝরছে আক্ষেপাশ্রু  সাধের জীবন মোরা করেছি দান এ কোন সন্তানের জন্য।  নয় ড্রোন যুদ্ধ বিমান পারমাণবিক অস্ত্র ভূমিকম্প, চীন ভারত আমেরিকা রাশিয়া হামলা করেনি কোন জঙ্গিরা ঘটায় সিরিজ বোমা, আগুনে পুড়ে ছাঁই হয় গৃহ মানুষের ‘হাতে’ মানুষ মরছে সান্ত্বনা পাবো কেন?! অন্যায়ের এক হাত উঠলে কেন দশ হাত এক হয় প্রতিবাদের কণ্ঠ কেন তোমায় আমায় সাথে না পেয়ে  মাঠেই মারা যায়! মিথ্যা কেন অট্ট হাসে সত্য গুমরে মরে কবি কি তবে সত্য বলেছেন,সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে ?

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"১৪

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "                                                                  বনফুল                                                                  ( ১৪ তম পর্ব )                                                  জুঁ ই বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মার সাথে দুপুরের খাবার খেতে বসে অনেক গল্প করতে করতে ভাবলো এই সুযোগ, বাবা-মা দুজনেই আছে,এখনই প্রস্তাব টা....। যেমনটা ভাবা তেমনটা কাজ,সে বললো -  আমি আমার এক বন্ধুকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইছিলাম, তোমরা কি বলো?   ওয়াজেদ সাহেব মেয়ের দিকে তাকিয়ে একঝলক দেখে নিয়ে স্ত্রী মোনোয়ারা বেগমের দিকে তাকালো,তারপর  জুঁইকে বললো ঠিক আছে আগামী শুক্রবারে আসতে বলো। এবার জুঁই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো, খাওয়া শেষ করে জুঁই উপরে উঠে গেলো, ওয়াজেদ সাহেব স্ত্রীকে বললেন অনেক দিন ধরেই কিছু বলবে বলবে করে বলতে পারছিলনা।  ওর হাসি খুশি চলাফেরা দেখছিলাম তখনই আমার কিছু একটা মনে হচ্ছিল....,দেখা যাক, কি বলে!   মনোয়ারা বেগম ও বললেন আমারও তাই মনে হচ্ছিল,ও কিছু একটা

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৫

ছবি
                                                                  অলিখিত শর্ত  ( ৫ম পর্ব)                                                                        শায়লা শিহাব কথন                                                                         শামীমা আহমেদ                                          নী চতলার রুহি খালাম্মা এসেছেন।আজ বোধহয় একটু সুস্থ বোধ করছেন।নানান ধরণের রোগের বসতি নিয়েছে তার দেহে। রোগের নাম জানতে হলে ডাক্তারী পড়ুয়ারা শুধু তাকে জিজ্ঞেস করলেই অন্তত দশটা রোগের নাম অনুভুতি,উপসর্গ সহকারে বিস্তারিতভাবে জেনে যাবে, যা সে বহন করে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। ---ধরতে গেলে সম্পর্কে তিনি এখন শায়লার চাচী শাশুড়ি।সে নিজের দুই মেয়েকে সেই কোনকালে  বিয়ে দিয়ে বিদেশি জীবনে পাঠিয়ে  নিজেকে শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ মনে করছেন।এই বাড়িতেই একে একে দুটো মেয়ের বিয়ে দেয়া। পিঠাপিঠি দুটো বোন সবেমাত্র স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে।দু'বেণী ঝুলিয়ে শায়লাদের ছাদে তখনো এক্কাদোক্কা খেলে।শায়লার থেকে বয়সে  অনেক ছোট। ওদের মায়ের ধারণায় মেয়েদের বিয়ে দিতে দেরি করলে তাদের চোখমুখ  ফুটে যায়।কি হতে কি হয়! আবার কোন পছন্দের ছেলে

ফাহমিদা ইয়াসমিন ( ইংল্যান্ড )

ছবি
প্রীতির ঘুড়ি ডানে-বামে উড়ছে কতো নানা রঙের ফানুস এ সব কিছু দেখছি আমি কারণ আমি মানুষ দেখতে হবে চোখের সামনে বাবার নিথর লাশ একটু পরেই খাবার খেতে ফিরতে হবে পাশ চোখের সামনে ঘটবে কতো বাহারি ঘটনা আমায় নিয়ে কাছের মানুষও ছড়াবে রটনা তবুও ভালোবেসে উড়াতে হবে প্রীতিরঘুড়ি এই ভাবে ঠিক বাঁচতে হবে, গড়তে স্বপ্নপুরি।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়" ১৭

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                        উদাসী ডানার মেঘ                                                                  (পর্ব ১৭ )                                         বা সায় এসে মাত্র সুস্থ হয়েছে সামিয়া ঘরের  গোছগাছ শেষ না হতেই সৈকত ফোন করে,বললো বাসায়,আজ সারারাত তাস খেলবে দুই বন্ধু ভাবিদের নিয়ে আসবে বাসায়,যেয়ে রান্না করো তাড়াতাড়ি  একটু পায়েস করো এই বলে ফোন রেখে দিলো। সামিয়ার কান্না পেলো  শরীরটাএখনো দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি  অফিসে যেতে হয়  ভাবছে   কি ভাবে কি করবে রান্না তৃষ্ণার টেবিলের কাছে যেয়ে বললে- তোর গুছানে শেষ? তাড়াতাড়ি চল চেকআপ করাতে হবে আবার সমিয়া - কিসের চেক আপ তৃষ্ণা- ডাক্তার দেখাবে চলো সামিয়া- মাথা খারাপ তোর একা ডাক্তারের কাছে গেলে আর রক্ষা আছে আমার। তৃষ্ণা- আমার সাথে চলো সামিয়া - না আরও বাজে কথা বলবে,বাসায় তাসের আড্ডা বসবে কাল পুজোর বন্ধ তাই বন্ধুরাও  ত

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১৩

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "                                                                        বনফুল                                                                          ( ১৩ তম পর্ব )  জুঁই পলাশের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে, এক ঘুমে সকাল আটটা বেজে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে জুঁই তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুম ঢুকে ফ্রেস হয়ে এসে ফোন দিলোপলাশ কে,হ্যালো গুডমর্নিং...  জবাবে পলাশ জুঁই কে বললো গুডমর্নিং ডিয়ার, আজ তোমার  এতো আর্লি ঘুম ভাঙ্গলো, ব্যাপার কি?  -কি করবো বলো তুমি তো আজ ফোন দাওনি।  পলাশ বললো ভেবেছিলাম ফোন দিই আবার ভাবলাম যদি তুমি ঘুমে থাকো তাহলে ঘুমটা ভেঙ্গে দেওয়া ঠিক হবে কি না,এই ভেবে ফোন দিইনি।আচ্ছা সুইট হার্ট আর ভুল হবে না। - এখন ছাড়ছি রেডি হতে হবে।  পলাশ বললো ঠিক আছে । জুঁই ফোন রেখে ড্রেস চেঞ্জ করে  চুল আঁচড়ে সুন্দর একটা ইযার রিং কানে পড়লো, ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক দিলো, সাজগোছ শেষ করে জুঁই নিচে নেমে এলো, টেবিলে নাস্তা পরিবেশেন করাই ছিলো , নাস্তা শেষ করতেই মা মনোয়ারা বেগম জুঁইকে জিজ্ঞেস করল তু

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩২

ছবি
                         টানাপোড়েন ( ৩২ )                                বৃষ্টিভেজা দুপুর                                       রে খা কত কিছু ভেবে রেখেছিল পুজোটা খুব এনজয় করবে। রিম্পাদির আসার কথা ছিল বাড়িতে। একদিনের জন্য এসেছিল।রিম্পাদি আসার  দিন টা আনন্দে কেটেছে এতসব বিশৃঙ্খলাতার মধ্যেও। বাড়িতে  তুমুল অশান্তি। একদিকে মিলি(স্ট্রীট ডগ) ওর বাচ্চা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। রেখা ও মনোজ এক চুলও বাড়ির এদিক ওদিক হতে পারে না। তাহলেই কপালে ওদের কষ্ট ।  সুরঞ্জন ফোন করেছিল পুজোতে যেতে । কিন্তু পারে নি। অন্যদিকে যৌথ সম্পত্তির  টানাপোড়েন। রেখার শ্বশুর মশাইকে ঠকিয়ে ,জ্যাঠাশ্বশুর সব নিজের  এবং তার সন্তানদের নামে যৌথ সম্পত্তি দখলে রেখেছেন। তাই রোজ অশান্তি। এরমধ্যে মিলির বেবি হওয়াতে ওদের কাজের লোকগুলোকে অব্দি এমনভাবে শেখানো হয়েছে, যাতে মিলিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় ।রেখা শুধু ভাবে এরা আর কত নীচে নামবে । মিলির সিঁড়ির নিচে বাচ্চাটা হওয়াতে । বাচ্চাগুলোর চোখ না ফোটায় সিঁড়ির নিচেই থাকবে। ।কিন্তু অজুহাত দেখিয়ে মিলিকে বের করে দেবার ওরা বাহানা‌ খুঁজছে। যেহেতু মিলি বাচ্চাগুলোকে আগলে রাখে ,কোন ব্