২৬ অক্টোবর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"১৪

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল




                                                                বনফুল 
                                                                ( ১৪ তম পর্ব ) 


                                                জুঁই বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মার সাথে দুপুরের খাবার খেতে বসে অনেক গল্প করতে করতে ভাবলো এই সুযোগ, বাবা-মা দুজনেই আছে,এখনই প্রস্তাব টা....।
যেমনটা ভাবা তেমনটা কাজ,সে বললো -
 আমি আমার এক বন্ধুকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইছিলাম, তোমরা কি বলো?  
ওয়াজেদ সাহেব মেয়ের দিকে তাকিয়ে একঝলক দেখে নিয়ে স্ত্রী মোনোয়ারা বেগমের দিকে তাকালো,তারপর  জুঁইকে বললো ঠিক আছে আগামী শুক্রবারে আসতে বলো। এবার জুঁই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো, খাওয়া শেষ করে জুঁই উপরে উঠে গেলো, ওয়াজেদ সাহেব স্ত্রীকে বললেন অনেক দিন ধরেই কিছু বলবে বলবে করে বলতে পারছিলনা। 
ওর হাসি খুশি চলাফেরা দেখছিলাম তখনই আমার কিছু একটা মনে হচ্ছিল....,দেখা যাক, কি বলে! 
 মনোয়ারা বেগম ও বললেন আমারও তাই মনে হচ্ছিল,ও কিছু একটা বলতে চেয়েও পারছিলো না।
 জুঁই উপরে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে পলাশকে ফোন করলো।
 পলাশ হ্যালো বলতেই জুঁই বললো ভালো খবর আছে। পলাশ জুঁইকে প্রশ্ন করলো কি খবর? 
-না বলবো না, আগে বলো কি ট্রিট দিচ্ছো.....?

পলাশ বললো, বলো তারপরে দেখাা যাবে।
 জুঁই বললো আজ বিকেলে চলো কোথাও বসে কফি খেতে খেতে কথা বলা যাবে। পলাশ বললো আচ্ছা ঠিক আছে। 
জুঁই বললো আমি তোমাকে ফোন দেবো, পয়েন্টে চলে এসো। 
বিকাল চারটায় জুঁই ফ্রেস হয়ে এসে নেভিব্লু গোলাপি পাড়ের শাড়ির  সাথে সবকিছু ম্যাচিং করে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে সাজগোজ করে নিচে নেমে এলো। বাবা-মা দুজনেই খুব আশ্চর্য হয়ে জুঁইকে দেখছিলো, আর মনে মনে ভাবছিলো মেয়ে সত্যি সত্যিই বড় হয়েছে......। 
জুঁই বাবা-মাকে বললো আমি একটু বেরোচ্ছি।

জুঁইয়ের ফোন পেয়ে পলাশ যথা সময়ে পয়েন্টে এলো। তার মিনিট  পাচেঁক পরই জুঁইয়ের গাড়ি এসে দাঁড়ালো। পলাশ গাড়িতে উঠে বসলো, ফিসফিসিয়ে বললো  আজ তোমাকে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে জুঁই। 
জুঁই থ্যাংকস জানিয়ে  ড্রাইভারকে ভালো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে চলুন।
দুজনে পাশাপাশি বসে বেশ প্রেমলাপ হচ্ছিলো।
ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে  বললো মেমসাব, আমরা এসে গেছি। 
জুঁই আর পলাশ গাড়ি থেকে নেমে লিফটে করে পাঁচতলায় উঠে গেলো। রেস্টুরেন্টে ঢুকে একটা কর্ণারে টু-সিটার টেবিল দেখে নিয়ে  বসলো, জুঁই পলাশকে বললো আজ তোমার পছন্দের অর্ডার করে দাও। 
পলাশ ও জুঁইয়ের পছন্দ মতো অর্ডার করে দিলো।
জুঁই পলাশকে জিজ্ঞেস করলো দু-তিন মাসের মধ্যে তো তোমার  রেজাল্ট বেরোবে, তারপর কি করেবে কিছু ভেবেছো?  
- না কিছু ভাবিনি, আগে রেজাল্ট বের হোক তারপর দেখা যাবে। 

                                                             চলবে....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much