পোস্টগুলি

এপ্রিল ১০, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪৯

ছবি
উপন্যাস  টানা পড়েন ১৪৯ খুশির হাওয়ায় লাগল নাচন মমতা রায় চৌধুরী ২৫.৩.২২ রাত্রি ৮ ২৩. গতকাল এত রাত হয়ে গেছিল শুতে, যে ভোরবেলা আর উঠতে ইচ্ছে করছে না কিন্তু উঠতে তো হবেই আজকে তো দেশের বাড়িতে যেতে হবে। ঘুমের চোখে হাতরে হাতরে মোবাইলটা বের করল টাইম টা দেখলো। ভোর ৪:৩০ বাজে। একবার রেখা মনে মনে ভাবল মনোজকে ডেকে তুলবে? পরক্ষণে ভাবল না ,না ওকে ডাকলেও কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙবে না। বরং অকালে ঘুম থেকে তুলে সমস্ত কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। থাক ও ঘুমাক। কিন্তু এটা তো শিওর হতে হবে আদপে  যাবে কিনা? দোমনা করে মনোজকে গায়ে হাত দিয়ে একটু ধাক্কা দিয়ে ডাকলো'কি গো, অ্যা ই  আজ যাবে তো কাকু কাকিমার ওখানে।" "হু'। কিন্তু ঘুমের ঘোরে কথা তো বিশ্বাস করাও যায় না। সকালে উঠেই হয়তো মত পাল্টে দেবে। রেখা আবার মনোজকে ধাক্কা দিল আবার ডাকলো" কি গো শুনতে পাচ্ছ? আজ যাবে তো কাকু কাকিমার ওখানে? ঠিক করে বলো, তাহলে তো আমাকে উঠে সেভাবে কাজ গোছাতে হবে। হু। এ বাবা আবার ঘুমিয়ে পড়ল ।তারপর ভোস ভোস করে নাক ডাকতে শুরু করল। একে জাগানো সম্ভব নয়। ঘুম থেকে উঠলে তবেই একে বলতে হবে। রেখাও আর একটু ঘুমানোর চেষ্টা করল। এ ব

কবি দীনবন্ধু ঘোষ এর কবিতা "চিড়িয়াখানা"

ছবি
চিড়িয়াখানা দীনবন্ধু ঘোষ                     ‌ চিড়িয়াখানা  চিড়িয়াখানা‌  কলকাতার ই   চিড়িয়াখানা , সকাল থেকেই চলতে থাকে  কত লোকের আনাগোনা । শিশু থেকে  বড়ো সবাই ছুটে আসে চিড়িয়াখানায়  খা‌ঁচাবন্দি  বন‍্য দেখে  জুড়াই  যদি জীবনখানাই। হঁংস থেকে হস্তি দেখি বাঘ ভল্লুক নানান পাখি জেব্রা জিরাফ হরিণ কুমির দেখছে সবাই ভরিয়ে আঁখি। ওদের দেখে খিলখিলিয়ে কেবল হাসে সবে, কি মজাই না আজ পেয়েছি আনন্দ এই ভবে! দূর হতে আকাশ হয়ে অতি হতাশ  বর্ষায় অশ্রু নিশীথে নিরবে। কেউ জানেনা কষ্ট ওদের , বোঝে শুধু আমোদ নিজের বিনা দোষেই বদ্ধ ওরা জেলখানার  ঐ   নামান্তরে স্বপ্নে ওরা আমায় বলে,"আমরা সুখী বনের দ্বারে"।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮৫

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮৫) শামীমা আহমেদ  শিহাব মোবাইলে কথা বলা শেষ  করে উৎকণ্ঠিত রাহাতের দিকে তাকালো। শিহাবের চোখে মুখে বেদনার ছাপ স্পষ্ট হয়ে আছে । তার সামনে রাহাতের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি!  শিহাব যেন কিছু বলবার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। এমনিতেই শিহাবের ভেতরে শায়লাকে পাওয়া না পাওয়ার দ্বিধান্বিত ভাবনা আবার এর সাথে যোগ হলো শিহাবের হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ। ফোন কলটি যেন শিহাবের জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে এলো। রাহাত শিহাবকে ভাবনার জগৎ থেকে বের করে আনতে প্রশ্ন করলো, কী হয়েছে শিহাব ভাইয়া ? কোন খারাপ খবর ? আপনার বাসার  সবাই ভালোতো ? শিহাব এবার একটু স্বাভাবিকে এলো, বিড়বিড় করে বললো, ভাবীর কল এসেছিলো।আমার ছোট্ট আরাফ সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। কপালে কেটে গেছে। খুব রক্ত ঝরছে। সবাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে।সে বাবা বাবা বলে কাঁদছে। কথাগুলো বলতে গিয়ে শিহাবের ভেতরে  কান্নার ঢেউ এলেও এমন খোলা যায়গায় সে নিজেকে খুব কষ্ট করে সংযত রাখলো। তাহলে তো আপনার এখুনি যাওয়া উচিত শিহাব ভাইয়া। দেরি করবেন না। শিহাব কথাটি ঠিক শুনলো কিনা! সে মোবাইলে কিছু টাইপ করছে যেন। শিহাব শায়লাকে মেসেজ পাঠিয়ে দ

কবি রজেশ কবিরাজ এর কবিতা "প্রতিজ্ঞা"

ছবি
প্রতিজ্ঞা রজেশ কবিরাজ আমাকে দুর্বল করে না প্রবল ঝড় যবে ছেড়ে এসেছি ঘর। নিয়েছি কতজনকে আপন করে  সবাই ভেবেছে আমাকে পর। নেইকো আমার ক্ষুধার জ্বালা  নিভৃতে কাটিয়েছি কত বেলা, খেলেছি কতজনের সাথে কত খেলা ! তবুও আমাকে কেউ পরায়নি প্রেমের মালা। আমার অন্ধকার প্রতিটা রাত  কাটে স্বজনহারা বিষাদে ; মনে হয় আমি ফিরে যাই - আবার আমার আপন স্বদেশে। আমি হেঁটে যাই নিঃশব্দে  কাঠফাটা রোদ্দুর দুপুরে কিংবা রাত্রে, কত জনকে ভিক্ষা দিয়েছি সযত্নে ; তবুও মনে হয় আমি কি - ভুল করছি প্রতিটা ক্ষেত্রে ?! এই আলোয় ভরা ধরার মাঝে সেজেছি কতভাবে কত সাজে ! তবুও ভুলিনা কত শত আঘাতের ক্ষত ভেসে ওঠে সেই ক্ষত মাঝে মাঝে। দেখেছি চোখের সামনে কত মানুষ বলেছে এসে মধুর কথা, তাদের ভালোবেসে দেখেছি আমি  তারাই দিয়েছে আগে শত শত ব্যথা। চোখ মেলে দেখেছি এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে পড়েছে লাশের পরে লাশ, তবুও একজন কেউ দেখিনি  কাউকে ভালবেসে নিতে মনুষত্বের শ্বাস। যতদিন আছি পৃথিবীতে বেঁচে  পারব কি দেখে যেতে মানবতার বিকাশ ! প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো আজ, যতই পাই যত ব্যথা করে যাব মানুষের জন্য কাজ। আমি চাই আপন হতে সবার, চাইনা হতে ইতিহাসের পাতায় অমর।

কবি ইসলাম'রবি এর কবিতা "অদৃশ্য গোপন চিঠি"

ছবি
অদৃশ্য গোপন চিঠি ইসলাম'রবি সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে  ক্লান্ত দেহ নিয়ে বাসায় ফিরে , খাবার আর তারা দেখে বিছানার চাদরে  শরীল যখন এলিয়ে দেই , একটি শূন্যতা তোমায় মনে পড়ে বহুদূরে আম্মা তবুও আছো মনের ঘরে , অবশেষে রাতের আকাশকে প্রশ্ন করি  আম্মা তুমি কেমন আছো বিধাতার কাছে ? জাগতিক সব স্মৃতি জেগে ওঠে তখনই  এক বুক হাহাকার সাধ্য কার সান্তনা দেওয়ার , সবার কাছে অনেক বড় মানুষ আমি তুমি একমাত্র এখনো ছোট মনে করেছ  তোমার ছোট্ট রাগের জাহাজকে , যেখানে আছি যেভাবে আছি  আম্মা তুমি আছো মস্তিষ্কের অলিগলিতে  এই জগত সংসারে ছায়া তরু হয়ে , আম্মা তোমার মত আর কেউ হয় না তোমার তরে চিঠি লিখি আমার সময়ে সুখের সব মূহূর্ত এসে হাজির হয় বসলে , চিঠিকে বলি উড়ে যা অদৃশ্য হয়ে আম্মার কাছে  আর আমার সালাম দিস আম্মার তরে, আম্মা তোমার সাথে আমার প্রেমের রচনা নাই  কিন্তু তোমার সাথে আমার আত্মার আত্মার সম্পর্ক !