পোস্টগুলি

জানুয়ারী ১১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী 'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৯০

ছবি
উ পন্যাস  টানাপোড়েন ৯০ খেয়ালী নদী মমতা রায় চৌধুরী ঘুম ভাঙার পর অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে ছিল রুপসা। আজকাল এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ চোখ বুজে শুয়ে  নিজেকে একটু আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। কেমন যেন সব এলোমেলো হয়ে গেল কিছুই মাথায় ঢুকতে চায় না ।কোথাও কিছু ফাঁকা আছে কিনা সেই মন পাখিটাকে ধরে নিয়ে কল্পনায় নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা করছিল। হঠাৎই ভেতরের ঘরে ফোনটা বেজে ওঠে। বাজতে বাজতে কেটে গেলো ।আবার বাজতে শুরু করলো। বেজেই চলেছে। একটু বিরক্তই হলো এত সকালে কে ফোন করেছে! শব্দটা ক্রমশ তীক্ষ্ণ হচ্ছে ।ফোনটা তুলছে না কেউ। ঝর্ণা কোথায় গেল? বিরক্তি নিয়ে রুপসা বিছানা থেকে উঠে বসল। নিজের অজান্তেই দেয়াল ঘড়িটার দিকে গেল ।ঘড়িতে তখন ৬.১০। ঝরনাটা তাহলে কোথায় গেল? ও কি  কোন কাজে বাইরে গেছে? ওদিকে নদীও ফোন ধরছে না।' হাউসকোটটা গায়ে চাপিয়ে বিরস মুখে ফোনটা তুলে বলল 'হ্যালো।' ও প্রান্ত মুহূর্তের জন্য নীরব। তারপর বলল'আমি সমুদ্র বলছি।' রুপসা বলল' ও তো এখনও ঘুম থেকে ওঠে নি। কিছু প্রয়োজন আছে?' সমুদ্র নদীর বন্ধু। বেশ কয়েকবার বাড়িতে এসেছে। খারাপ লাগেনি। ছেলেটি সহজ-সরল। সব সময় চেষ্টা কর

কবি মনোয়ারুল ইসলাম এর কবিতা

ছবি
গেরিলা মনোয়ারুল ইসলাম  আঁধারের বুক চিরে  দূর পাল্লার ট্রেন ঝিক-ঝাক, ঝিক-ঝাক চলে ট্রেন সাথে যায় প্রকৃতি জানালায় মুখ রাখে উদাস যুবক ।  দৃষ্টির প্রান্তরে কাশবন, বাঁশঝাড়  শীর্ণ নদী, ফসলের মাঠ হয়ে যায়  গেরিলা যুদ্ধের স্বর্গ ভূমি । আকাশের চাঁদ  প্রেয়সীর চাঁদ মুখ রণাঙ্গনে মৃত্যুতে ঢলে পড়া  সহযোদ্ধা ...... দূর আকাশে জ্বল জ্বল করে জ্বলে দূর নক্ষত্র । মেঘ গুর গুর চমকানো বিদ্যুৎ  ঝলসে উঠা বিমান বিধ্বংসী কামান দূরে কোথাও বাজ পড়ে  শব্দে  সশব্দে ফেটে পড়া মর্টারের  শেল । দূর পাল্লার ট্রেন চলে  ঝিক ঝাক, ঝিক-ঝাক শব্দে শব্দ মিলে  হয়ে যায়  যুদ্ধ-যুদ্ধ বিপ্লব বিপ্লব উদাস যাত্রী যুবক  ফিরে যায় ছেড়ে আসা রণাঙ্গনে ।

কবি রাবেয়া সুলতানা'র কবিতা

ছবি
প্রেম বিলাস রাবেয়া সুলতানা একখন্ড নির্মোহ নির্ভেজাল প্রেমের তেষ্টা হৃদয়ে ভীষনভাবে ঘন্টা বাজিয়ে চলে, প্রেম বিলাসি এ তনুমনে ক্ষণেক্ষণে। বসন্তে মাতাল আমি, লিখি যতো অব্যক্ত পদাবলী ; মুখ আর মুখোশের আড়ালে চলে প্রেম-অপ্রেমের দিশাহীন টানাটানি। প্রতিটি জীবনই অপূর্নতায় পূর্ন, পরতে পরতে সাজানো চৈত্রের দহন ; ভোগের লীলায় মত্ত বহুরুপীজন। গোধূলির মায়ায় সাজানো উদ্যানে মিশে যাওয়া আমার জন্ম জন্মান্তরের অভিলাষ। চরম ব্যাকুলতায় ভালোবাসার নীলবেদনায়, দূরে চলে যাওয়াও কল্পনাহীন প্রেম বিলাস।

কবি রাজেশ কবিরাজ এর কবিতা

ছবি
আবার তুমি  রাজেশ কবিরাজ আজ এই সন্ধ্যার আঁধারে, আমি  যদি  আবার দেখতে পাই তোমারে সেই পুরাতন গলিটির ধারে ; তুমি কি আবার চলে যাবে ! সেই  প্রথম - দেখা হওয়ার মতো না-দেখার অভিনয়  করে ? তুমি কি দেখবে না আমায় ? এই সন্ধ্যার কুয়াশায় ! একদিন আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম এই রাস্তায় তোমার আশায় । তুমি আসতে অনেকটা পথ  অতিক্রম - করে, তোমাকে দেখে আমার দু-চোখ যেত  ভরে । হয়তো যদি আমি কোনদিন কোন রাতে দেখি তোমায় স্বপ্নে আবার ! সেই দিন যদি আবার - মন চায় তোমায় কাছে পাবার ! সেদিনও  কি  তুমি চলে যাবে, শুনবে'না কথা  আমার ?! আমার যে কথা ছিল মনে, হয়তো পড়ে  রবে এই গলিটির কোণে ! এত ভালোবাসার পরও তুমি - চিনতে পারোনি আমারে,তবুও তোমারে  রাখবো আমার এই অন্তরে ; দেখব হাজার বছর  ধ'রে ।

মনি জামান/২য় পর্ব

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল (২য় পর্ব) মনি জামান নিলয়ের কয়েকটা রাত কেটেছে এক প্রকার ঘুমহীন কি একটা অনুভূতি তাকে জাগিয়ে রেখেছে কয়েক রাত ধরে, হয়তো এই জেগে থাকাকে ভালবাসার নির্ঘুমতা বলে। প্রেমিক প্রেমিকাকে প্রেম এমনি ভাবে নির্ঘুম করে দেয়, শূক্রবার রাত্রি শেষে এলো সেই ক্ষাংকিত শনিবার নুতন ভালো লাগার একটি ভোর নিলয় হয়তো এই ভোরটার জন্য এই কয়দিন ধরে অপেক্ষা করেছে। নিলয় ভোরে উঠলো উঠেই ওয়াস রূমে গিয়ে ব্রাস আর জেল নিয়ে দাঁত ব্রাস করে ফ্রেস হলো তারপর ক্লীন সেভ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পরখ করে দেখে নিচ্ছে,নিলয় আজ নিজেকে দেখলো আয়নার ভিতর অন্য রকম এক নিলয়কে। নিজেকে এভাবে পরখ করে আর কখনো দেখা হয়নি, রূমে ফিরে ফোনটা হাতে নিয়ে বাটন টিপলো মেবিনের ফোন নাম্বারে,রিং হচ্ছে একটু পর মেবিন ফোনটা রিসিভ করলো,নিলয় বলল,কি করছো কাক পাখি। মেবিন বলল,এইতো উঠলাম ফ্রেস হলাম এখন ব্যাগ পত্র সব গুছিয়ে নিচ্ছি শোন তুমিও সব গুছিয়ে নাও নিলয়,এখন বাজে আটটা আর মাত্র দুই ঘন্টা সময় আছে আমাদের হাতে দ্রুত সেরে নাও সব কাজ। নিলয় বলল,ঠিক আছে কাক পাখি আমি এখুনি সব গুছিয়ে নিচ্ছি বলে ফোনটা কেটে দিয়ে রেখে দিলো,নিলয় সব গুছি

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৫২

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৫২) শামীমা আহমেদ  খুব সকাল সকালই রাহাত অফিসের উদ্দেশ্যে  বেরিয়ে গেলো। যাবার সময় চোখের ভাষায় শায়লাকে বুঝিয়ে গেলো আজ অফিসে গিয়েই শিহাব ভাইয়ার সাথে কথা বলবে।শায়লা একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে স্বস্তির সম্মতি প্রকাশ ঘটালো।ডাইনিংয়ে মায়ের সাথে শায়লা নাস্তা সেরে নিলো।মায়ের অভিব্যক্তিতে বেশ বুঝা যায় মনের ভেতর  অনেক প্রশ্ন জমা।কিন্তু শায়লার কাছে তার কিছুই জানতে চাইল না। শায়লাও আগ বাড়িয়ে কিছুই বলছে না।সবকিছু রাহাত, শিহাব আর সময়ের উপর ছেড়ে দিয়েছে।  শিহাব তাকে বিশ্বাস রাখতে বলেছে আর রাহাত তাকে আস্বস্ত করেছে।এখন সময়ই সব ফায়সালা করবে। শায়লা পারতপক্ষে মায়ের মুখোমুখি হয় না।পাছে মা আবার কি শুনতে কি শুনবে, বয়স হয়েছে, এতটা কঠিন সিদ্ধান্ত মা মানতে পারবে কিনা আর এর সাথে তো রুহি খালাকে মোকাবেল করাও বিশাল এক  ভাবনার ব্যাপার! দরজায় কলিংবেল হলো।শায়লা এগিয়ে গেলো।বুয়ার আগমন।পেছনে ইন্টারনেট বিল নেয়ার জন্য ছেলেটি দাঁড়িয়ে। ছেলেটির নাম মাসুদ।প্রতিমাসেই বিল নিয়ে যায়। খুবই ভদ্র গোছের ছেলেটি,স্কুল পড়ুয়া বয়সী,তবুও এই বয়সে কাজ করছে।বুঝা যায় ভালো ঘরের সন্তান নিশ্চয়ই অর্থাভাবে এই কাজ করা।শায়লা ঘ