পোস্টগুলি

এপ্রিল ১৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫৫ প্রাপ্তি মমতা রায় চৌধুরী মনের ভেতরে তখন রেখার চলছে তোলপাড় "কিভাবে দেখবে, কি বেশে দেখবে ,কেমন আছে  ও ?ভালো আছে তো তার স্বপ্নের স্বপ্নীল?" বসে থাকতে থাকতেই প্রচণ্ড ঘাম দিচ্ছে শরীরে।  মনোজ এসে বলল 'এই দেখো ছবি তুলেছি।' তখন আর কোন কিছু রেখার  ভাল লাগছে না । "দেখ না ছবিগুলো দেখো?' রেখা এমনভাবে মনোজের দিকে তাকালো। মনোজ ঘাবড়ে গিয়ে বলল 'তোমার এত ঘাম হচ্ছে কেন? শরীর খারাপ লাগছে? ঠিক আছো তুমি?' রুমালটা ব্যাগ থেকে  রেখা হাতরে হাতরে বের করল। "প্রেসার বাড়ে নি তো?' "কে জানে?' ইতিমধ্যে আয়োজকরা অনুষ্ঠান সূচি ঘোষণা করছেন। মনোজ কাছেপিঠের আয়োজকদের দু একজনকে ডেকে বলল 'ঠান্ডা জল দিন না।' একজন এগিয়ে এসে বললেন 'কি হয়েছে ম্যাডাম? ঠিক আছেন?' অন্য একজন কথা বলছিলেন' আশা' পত্রিকার সম্পাদক কে এসে বললেন সাহিত্যিক স্বপ্নীল স্যার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই উনি আজ আসতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন উনার সেক্রেটারি।' 'রেখার কানে কথাটা যেতেই রেখা যেন আরো অস্থির হয়ে উঠলো।' মাথাটা বন বন করে ঘুর

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯১

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯১) শামীমা আহমেদ  বুবলীর কথা শুনে রাহাত বুঝে নিলো হয়তো  সবকিছু একটা সমাধানের দিকে যাচ্ছে। তবে   সে এখন খুব বুঝতে পারছে শিহাব ভাইয়ার সাথে তার এমনটা করা উচিত হইনি।শায়লা আপু আর শিহাব ভাইয়া তো তাকে সবই জানিয়েছিল। তখনই নোমান সাহেবকে রাহাতের ম্যানেজ করা উচিত ছিল। ছোট ভাই হয়ে আপুর জন্য এই কাজটি সে করেনি। আজ ঘটনাচক্রে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে রাহাত ভীষণ লজ্জায় পড়ে গেছে।  তার ভেতরে অপরাধবোধ কাজ করছে। কেমন করে সে শিহাব ভাইয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। রাহাত ভাবলো,তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর শায়লা আপুকে তা জানাতে হবে। শিহাব ভাইয়াকে সসন্মানে এই বাসায় আনতে হবে। শায়লা আপু শিহাব ভাইয়াকে বলে যেন  এই বিষয়টি সহজ করে দেয়। এখন রাহাতের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে রুহি খালার উপর। তার কথা শুনেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। সেতো সবসময়ই আপুর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল। আপুর সুখী হওয়াটাই যেখানে মূখ্য সেখানে অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া আপুর পুরো বিয়ের বিষয়টিই এক বিরাট ভুল ছিল। অনভিজ্ঞ রাহাত তা একেবারেই বুঝে উঠতে পারেনি। সবাই যা বুঝিয়েছে তাই মেনে নিয়েছে।রাহাত ভাবলো,অন্ত

কবি নওশাদ আলম এর কবিতা "জ্ঞান-ভিখারি"

ছবি
জ্ঞান-ভিখারি  নওশাদ আলম ভিখারির থালা হাতে নিয়ে ঘুরবো জ্ঞানীর তরে, জ্ঞান-ভিক্ষা চাইবো ভুবনে, জ্ঞানীজনদের ঘরে। লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিবো মনের অন্তিম তটে, সহানুভূতির ভিক্ষাগুলো ভরে নিবো নিজ ঘটে। জ্ঞানের আবাদ করে চাষী, সাবলম্বী হবে জাতি, আঁধারের হৃৎপিণ্ড চিবা'ত জ্ঞানের জ্বলন্ত বাতি। রাষ্ট্রের সম্মান পুনরুদ্ধারে, অতন্দ্র প্রহরী হবো, হৃৎপাত্রে সমীরণ জমিয়ে জ্ঞানীর সন্ধানে যাবো। জ্ঞানের ক্ষুধায় উন্মাদ যে, চলে এসো এই দলে, একমুঠো জ্ঞান চাইবো ভিক্ষা কতই'না কৌশলে। আত্মতৃপ্তির আকাঙ্ক্ষাতে উঠিনি'ত মেতে আমি, জ্ঞানশূন্যের হাতে স্বাধিকা হয়েছে বড় আসামি। সঞ্চিত সব জ্ঞানের স্তুপ, বিলাবো দেশের মাঝে, অজ্ঞের ঘটে জ্ঞান ঢুকাবো লাগাব উত্তম কাজে। অপছন্দ পরিচ্ছদ অংশ ,হোক না সবার কাছে, জ্ঞান উপার্জন চালু রাখি, ঘুরে জ্ঞানীদের পাছে।   জন্মভূমির আপদকালে, ভাসাবো সাহায্য তরী, জ্ঞান-ভিখারি হয়ে জগতে যাযাবরে নেই জুড়ি। জ্ঞান তৃষ্ণানায় কাতর হয়ে, পথে পথে যায় ঘুরে, জ্ঞানের থালাটা হস্তে নিয়ে যাবো যে অচীনপুরে।