পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"১ম পর্ব

ছবি
 আজ থেকে শুরু  হলো নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।      উদাসী মেঘের ডানায়                                                             ( ১ ম  পর্ব)   ভিঁজে বালুচরে উদাসী মেঘের পড়ন্ত বিকেলে একহাত শাড়ির কুচি আলগোছে একটু উচু করে ধরে দাঁড়িয়ে অগনিত ঢেউয়ের জলরঙে চোখ মেলে দিলো। আরও কিছুটা সময় থেকে মৃদু পায়ে এগিয়ে গেলো আর একটু সামনে। মনটা কেন জানি ঐ জলতরঙ্গের ঢেউয়ের মতোন একরাশ কান্না গুমরে উঠতেই, থমকে গেলো ডাক শুনে ঃ তৃষ্ণা তুমি এখানে? তৃষ্ণা কিছুটা সময় তাকিয়ে থাকলো, চোখে চোখ পড়তেই চোখ নামিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো ঃ হুম দেখতেই পাচ্ছো     তুমি এখানে অপু?  ঃ আমি ও কিছুটা সময় কাটাতে এসছি,একা এসেছো। ঃ একা আসা যায়না বুঝি।  ঃ বেশ ভালো লাগছে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার ফিরে দেখা তুমি তেমনই আছো ,শুধু  ভ্রমর কেশে কাশঁফুলের ছোঁয়ায় বেশ লাগছে।  ঃএই সেরেছে অপু, এই বয়সে ও কাব্য ভাণ্ডার   আছে দেখছি।  ঃ বয়স হয়তো সময়ের হিসেবে

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস"৪

ছবি
  নতুন  ধারাবাহিক " কালো ক্যনভাস  " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                         কালো ক্যনভাস                                                                                           ( ৪ র্থ পর্ব) ক্ষনিকের জন্য নীলার দৃস্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিলো।  পনেরো বছর আগের সময়টা  মনে হলো তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।  তের বছর বয়সের এক মিষ্টি কিশোরী।  জীবনের কোন জটিলতা  তাঁকে তখনো স্পর্শ করেনি । রঙিন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে। সপ্তম  শ্রেনীতে পড়ে।  এমন সময় তাঁদের বাসায় গৃহশিক্ষক  হয়ে আসে  এই  ইশতিয়াক আহমেদ। লম্বা  ছিপছিপে গড়নের যুবক। ইউনিভার্সিটি তে পড়ে। নীলা আর  ছোট ভাই নয়ন কে পড়ানোর  জন্য  ইশতিয়াক স্যারকে  নিয়োগ দেয়া হয়।  পড়ানোর ফাঁকে মাঝে মাঝেই  নানান ছু্ঁতোয়  নীলার হাত ধরত  ইশতিয়াক। - বাহ্ !  তোমার হাতটা তো খুব সুন্দর আর খুব নরম। নিজের হাত টেনে ছাড়িয়ে নিয়ে  জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকতো নীলা।  তখন ইশতিয়াক হেসে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলত - কি হয়

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "৬

ছবি
স্বমহিমায় লিখে চলেছেন নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার  ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত  "  মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান।  ক্ষনিক বসন্ত  ( ৬ ষষ্ঠ পর্ব )    দেশে দিনগুলি মোটামুটি কেটে যাচ্ছিল, কিন্তু কোথায় কেন যেন একটা শুন্যতা অনুভব করি, কি যেন কি নেই। বুলার সাথে প্রতিদিন কথা হয়, ও অনেক কথার মাঝে একটি কথা প্রতিদিনই বলে __ শরীরের যত্ন নেবেন।  কিছুদিন যাবৎ বুলা বেশ আনমনা,  কোন প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথে পাইনা। বুলা কি হয়েছে,  আপনি এত অন্যমনস্ক কেন, আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করল কবে আসবেন ?  আপনি বললে আমি কালই চলে আসবো। কালই আসার দরকার নেই তবে তারাতারী আসুন। চারদিন পর চলে গেলাম। বুলা এয়ারপোর্টে এল, কিন্তু ওর মুখে সেই হাসি নেই, ওকে খুব বিষণ্ণ লাগছিল। কি হয়েছে বুলা ? উত্তর দিলনা বলল__ চলুন যাওয়া যাক। যাবার পথেও খুব কম কথা বললো। তারপরও জিজ্ঞেস করলাম__ বুলা কি হয়েছে ? উত্তর দিলনা। কাল আপনার সময় হবে? কেন বুলা ? আমাকে একটু নদীর পাড়ে ও পার্কে নিয়ে যাবেন ? অবশ্যই নিয়ে যাব, কখন যাবেন। সকাল থেকে সারাদিনের জন্য।  আমরা নদীর পাড়ে হাটছি, কিন্তু বুলা আগের মত ক

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"১১তম পর্ব (ধারাবাহিক মুক্তগদ্য)

ছবি
                                                     সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা                                                                                ( ১১ তম পর্ব) মানুষ সামা‌জিক জীব অার সে সব সময় সঙ্গ চায়। একজন স্বামীর সব‌চে‌য়ে ভাল সঙ্গী হ‌লো তার সহধ‌র্মিণী আর স্ত্রীর সব‌চে‌য়ে ভাল ও কা‌ছের সঙ্গদাতা বা বন্ধু হ‌লো তার প্রিয়তম স্বামী। সৃ‌ষ্টির সেরা জীব- মানু‌ষের বি‌বেক-বু‌দ্ধি আ‌ছে ব‌লেই তারা নি‌জের ভালমন্দ অ‌তি সহ‌জেই বুঝ‌তে পা‌রে এবং অ‌ন্য প্রাণী‌দের ভালমন্দের বিষয়‌টিও অনুধাবন কর‌তে পা‌রে বা অান্দাজ কর‌তে সক্ষম হয়। ‌বি‌য়ে জি‌নিস‌টি হ‌লো স্বামী স্ত্রীর ম‌ধ্যে সারা জীব‌নের আত্মার বন্ধন। তাই এর গুরুত্ব অপ‌রিসীম। এটা বাঙ্গালী সমা‌জের মানুষ‌দের জন‌্য বি‌শেষভা‌বে প্রযোজ‌্য। পাশ্চা‌ত্যের অ‌নেক দে‌শেই আজকাল ঘন ঘন জীবনসঙ্গী প‌রিবর্তনের একটা রেওয়াজ সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। একবার ভাবুন‌তো-একজন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার বু‌ড়ো বয়‌সের কথা। এমন একটা বয়সে মানুষ উপনীত হয় যখন প্রতি‌টি মানুষই বেশ কিছুটা বোধ শ‌ক্তি হা‌রি‌য়ে ফে‌লে অ‌নেকটা ছোট্ট মাসুম শিশুর মত হ‌য়ে যায়। এ সময় নিজ সন্তা‌নেরাও তা‌দের তেমন

সজল কুমার মাইতি'র দুটি কবিতা

ছবি
নিশ্চিহ্ন আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তায়  রোজ একটা কুকুর মাঝরাতে রাস্তার মধ্যিখানে ঘুমিয়ে থাকে। আগে আবছা আলোয় দেখা যেত কেমন এক স্বপ্নালু মায়াবী দৃশ্য মনে হোত। এখন স্ট্রিটল্যাম্পের আলোগুলো বদলে দিয়েছে  উজ্জ্বল দিনের মতো। এখনো সে ঘুমিয়ে থাকে ঠিক মাঝরাতে রাস্তার মাঝখানে। বড়ই নিশ্চিন্ত, বড়ই সহজ সরল হয়তো কোনো দিন কোনো মত্ত নেশাগ্রস্ত গাড়িচালক চাকার তলায় পিষে দিয়ে যাবে  ধীরে ধীরে রক্তের দাগ  চাকার থেকে ও নিশ্চিহ্ন হবে একদিন। সুখের পায়রা কয়েকটা পায়রা রোজ পাশের বাড়ির চারতলায়  ভাঙা জানালায় বসে বকম বকম করে। কখনো সখনো ভাঙা জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকে যায় ভেতরে হয়তো বাসা বাঁধে, ডিম পাড়ে, বাচ্চা হয়। কোন একদিন ভাড়াটে আসবে ঐ ঘর পরিষ্কার হবে  ওদের তাড়িয়ে দেবে। সুখের পায়রা ঘরছাড়া হবে  পায়রা সত্যি সুখের খোঁজ দিতে পারে?

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৬

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                 উপন্যাস টানাপোড়েন                                                                                                                             পর্ব ( ১৬ )                                                                            লোভ                                                                            অ নেক দিন টানা বৃষ্টির পর রোদ উঠেছে।গতরাতে পার্থ ও  সোমদত্তার চিন্তায় ঘুম হয় নি। সকালে একবার পার্থর খবর নেবে বলে সমদত্তাকে ফোন করলো।রিং হলে ওপারের গলা এলো 'হ্যালো'। রেখা বলল  'পার্থ কেমন আছে  রে?' সমু বলল ' ভালো।' রেখা আর কথা না বাড়িয়ে ঠিক আছে বলে ফোন ছেড়ে দিল। এমনিতেই রেখার অস্বস্তি হচ্ছিল সোমদত্তা সঙ্গে কথা বলতে। কারণ সকাল-সকাল রেখা তার মেজাজটাকে বিগড়াতে   চায় নি। ফোন কেটে দিল। আজকে রেখাকে স্কুলে যেতে হবে। রিম্পা দির সঙ্গে এ কটা দিন সেভাবে ভালো করে কথা বল

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা

ছবি
যোগচিহ্ন    বিয়োগ বলে কিছু নেই সবই যুক্ত আমাদের দিন আনা দিন খাওয়া                           নুন তেল মশলার জীবনে যাকে তুমি বিয়োগ বলছো  তা আসলে ঋনাত্মক যোগ  (a-b)  এ শুধু দেখার ভুল, অন্যভাবে লেখা বিভ্রম মেশানো কিছু আধখেঁচড়া অলীক প্রলাপ  আসলে এটাই সত্য  a+(-b)  যে প্রেম ভেঙে গেছে  যে বন্ধু চলে গেছে দূরে  যে মানুষের ছায়া পৃথিবীতে আর বেচে নেই এ কেন বিয়োগ হবে ? এ সকলই অভিজ্ঞতা যুক্ত হওয়া নতুন অধ্যায়।  উচ্ছেদতন্ত্র এমন উড়ন্ত দিনে নিজেকেই তুলে ফেলি শেকড়ের থেকে   পকেটে সূর্যের আভা নিভে গেছে উদ্বাস্তু বিকেলে  হাততালি দিয়ে উঠল পুরোনো চিঠির মোহ  বাক্সের প্রাচীরে সেই সোঁদাগন্ধ রঙিন কবিতা সমুহ উত্তাপ নিয়ে একান্ত হাতের কাছে উল্লাস চেয়েছে  বাঁশি,  তুমি কতটুকু সুর গুঁজে দাও এই বৈভবের হারানো সন্ন্যাসে। হালখাতা  ধার থাক যত খুশি   কিছুতেই হরগিজ  এই ক্ষত শুকোবার নয়  নিজেই নিজের কাছে প্রতিদিন কেনা বেচা করি           থেকে যায়  নিজেরই ঘামের কিছু দেনা  চুপি চুপি লেখা থাকে গোপন খাতার নিচে অ-গণিত  সংখ্যাচিহ্ন, মুদ্রাদুষ্ট অঙ্কের সীমানা  নতুন বছর এলে স্পর্শ করি ধার বাকি অপরিশোধ্য এই  ঋণ  জানি ফুরোবে না। 

মাধুরী বিশ্বাস

ছবি
স্বপ্ন প্রেত                   তুমি কী এখনও স্বপ্ন দেখো ? স্বপ্ন ...  গলিত চাঁদের জোৎস্না মাখার  জলপরি আর পদ্মপাতার। এখনও কী রাত জাগো রূপকথার দেশে ?  স্বপ্নে দেখো.... এলোকেশ, ডাগর চোখ, ঠোঁট, শুভ্র-দেহ, আমন্ত্রণ.... আর স্পর্শ ?? আমি নবীন স্বপ্ন দেখি না বহুদিন  নিদ্রাহীন রাত জাগা চোখ দেখে-- কবেকার প্রিয় এক স্বপ্ন-প্রেত। বার বার....

সানি সরকার

ছবি
চিরন্তন  প্রতিটি অক্ষর শেষে কোনও যতিচিহ্ন রাখতে নেই  ভালবাসার জন্যে দ্বন্দ্ব নয়, ধোঁয়া নয়  একটি প্রাণ আর হাসিই যথেষ্ট অবাক হব না তোমার কাছে সবই আছে  আমি তো জানি

দেবব্রত সরকার

ছবি
হেরাফেরি   কিছুটা আঘাত এসে খেলা করে মনে আমি তো মনের বালক কিন্তু পরে পরে  এই দেখ ভুলে আছি তোমাদের থেকে নিয়ে আছি বেশ কিছু ভালোবাসা থেকে আর বাকি মায়া দিয়ে নিয়ে আসি জল নোনতা জলের মাঝে চোখ টলটল কি আর বলি কাকে আমার যা আছে তোমাদের কথা মতো চলেছি  বিরাজে কিছুটা ঘরানা হলেও কিছুটা বদলাবে কিছুটা সময় মতো পিছে পিছে যাবে রাতের আধার থেকে নিয়ে আসি ভয় মাটির কাছের থেকে জেগে মনময় বোঝার উপায় নেই কোনো কাজ ফেলে সব্বাইকে ছেড়ে দিয়ে একা একা এলে এই ধর আর বেশি কথা নয় দেরি এই খানে যা কিছুই করি হেরাফেরি

গোলাম কিবরিয়া শরীফ

ছবি
নূপুর হাতে মেহেদী, পায়েতে নূপুর - কাঁদিছে নতুন বৌ,  ঘোমটার আড়ালে ঝড় বয়ে যায় - জানিতে পারেনা কেউ।  দৃশ্যপট - সেদিন হঠাৎ বাবা ফিরিলেন - হাতে দুই হাড়ি দই,  হাসি হাসি মুখে, চেঁচামেচি করে,  "রূপসী" র মা যে কই?  "আরে বাপু, আসিতেছি আমি - শুনিবো সকল কথা ; হাতের কাজটা শেষ হতে দাও - মেয়েটা পেয়েছে ব্যাথা। " পানের কৌটা হাতে নিয়ে মা যে - সুধালো বাবাকে এসে; এইবার বলো হয়েছে কি তবে- তুমি- বরাবরই একপেশে।  আরে, খুশির খবর "রূপসী" র তরে- খুব করে দোয়া করো,  খুব ভালো ছেলে, নাম ডাক ও আছে, শিক্ষায়ও বেশ বড়।  প্রস্তাব দিলো শহরের ছেলে - ক'জনা এমন পায়?  বেশ  ভয়ে বাবা, পাছে ফিরে যায় - যদিও দিয়েছে সায়।  ওপাশ হইতে কান পেতে শোনে - ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে ; রূপসীর  মনে হারানোর ভয় - "পড়েছি এ কোন ফাঁদে! " অবশেষে এলো সেই শুভক্ষন - বিয়ের আসরে বর ; মনে মনে ভাবে,  জানিনা কি লাভে - বাবা যে করিলো পর।  পাড়া প্রতিবেশী,  আত্মীয় সব - আাসিলো অনেক সেজে,  ঘোমটার আড়ালে রূপসী কাঁদিছে - জ্বলছে দ্বিগুন তেজে।  আয়োজন শেষে, জমাবে যে পাড়ি- শহরের পানে কনে,  এইবার বাবা দিশা ফিরে পায় - চোখ মোছে ক্ষনে ক

ফরমান সেখ

ছবি
হে আমার ভারতবর্ষ হে আমার ভারতবর্ষ হে আমার জন্মভূমি তোমার বুকে যারা, নৃশংস ভাবে কেটেছে আঁচড় নিকৃষ্ট হিংসু জানোয়ারের মত  বসিয়েছে থাবা তোমার বুকে অনর্গল চালিয়েছে গুলি বহিয়েছে রক্তের স্রোত, হা-পিত্যেসের মত যারা, তোমার ইজ্জত নিয়ে খেলেছে রঙের খেলা  কেড়েছে গাঁয়ের আঁচল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে  তোমার করেছে কলঙ্কিত আবর্জনা দিয়ে ভরিয়েছে আঁচল যারা তোমার রক্ত কণিকায় জ্বালিয়েছে হোমানল  ঝরিয়েছে অশ্রুজল আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো, প্রতিবাদী কণ্ঠে ভরিয়ে দেবো সর্বত্র প্রাণ দিয়েও ছিনিয়ে নেবো তাদের কাছ হতে তোমাকে আসবে নতুন প্রজন্ম, নতুন স্বাধীনতা তোমাকে পরিয়ে দেবো- রানীর ভূষণ আমরা ফিরিয়ে আনবো তোমার সুখের এক নতুন সকাল মুখের একগুচ্ছ স্বচ্ছ হাঁসি সম্পদে ভরিয়ে দেবো তোমার আঁচল- শান্তি বিরাজ করবে তোমার ছায়ায় আর বেশির দেরি নয় আসবে খুব শিগগির, খুব শিগগির.....

dafda

LOVE

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                         টানাপোড়েন ( ১৫ )                                  সুখের মাঝে চোরা দুঃখ সারা রাস্তা রেখা শুধুমাত্র সোমদত্তার কার্যকলাপ নিয়ে ভেবে আসছিল, আরো ভেবে একসার হচ্ছিল পার্থ এমন কি করেছে ,যার জন্য তাদের সাত বছরের সংসার ভেঙে চুরমার হয়ে গেল, তাসের ঘরের মতো। মেয়েরা তো সবকিছু মানিয়ে নেয়। সোমদত্তা অন্তত ছেলেটির কথা চিন্তা করে তো পারতো ,সংসার টিকিয়ে রাখতে। পার্থর চোখের জল দেখে তো মনে হচ্ছে না ,যে পার্থর ভেতরে এমন কিছু অপরাধবোধ আছে; যার জন্য সোমদত্তা ওকে ছেড়ে দিচ্ছে। ওর চোখের অভিব্যক্তি দেখে তো বোঝা যাচ্ছে সোমদত্তাকে  কতটা ভালবাসে। চোখ বুজে এই ভাবনাগুলোই রেখাকে কুকুর তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। মনোজ রেখাকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে বলল  'রেখা নাও নেমে পড়ো  ।বাড়ি এসে গেছ।'  রেখা বলল  'ও এসে গেছি ।চলো।' মনোজ বলল ''তুমি যাও। তোমাকে আজ খাবার করতে হবে না ।আমি হোম ডেলিভারি অর্ডার দিচ্ছি ।এসে দিয়ে যাবে। কি খাবে বল

আমিনা তাবাসসুম

ছবি
মায়া চাদর    আস্কারা নিয়ে যায় ভুল পথে যেখানে ভূমিষ্ঠ হয় মিথ্যে শব্দ কল্পনার দূষিত বাহুডোর! অথচ এ অন্ধকার নিবিড়তা ডাকে লুব্ধ চাতকের মতো... বেলাশেষে জন্ম নেওয়া এ চাঁদের সব আলো জীবন দেয় না যেটুকু নিঃশেষিত যেটুকু ছুটে আসে ভোর তাতে মিশে থাক কোনো লালদীঘি কোনো মায়া দীঘল চাদর।      অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 

সুবর্ণ রায়

ছবি
সম্পর্ক  সম্পর্ক অহেতুক এক মাত্রা--  মায়া আর বিস্তারেই সব ঘনত্ব।  ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেখানে যেখানে  আমি হ্রস্ব আর দীর্ঘ নিঃশ্বাসে  কাটিয়ে গেলাম সম্পর্কহীন এক গরমিলের বেঁচে থাকা।                অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস" ৩য় পর্ব

ছবি
  নতুন  ধারাবাহিক " ক্যানভাস  " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।    কাল ক্যানভাস / ( ৩ য় পর্ব)                                         নী লার মনে হচ্ছিল  পায়ের নীচে মাটি  দুলছে। এই সেই লোকটা, নীলা ঠিক চিনে ফেলেছে। চেহারাটা একটুও বদলায়নি।  শুধু মোটা হয়েছে আর কপালের  দু পাশে চুলে পাক ধরেছে। চোখে মোটা ফ্রেমের  চশমা।  অধ্যক্ষ সাহেব পরিচয় দিলেন। - ইনি  জনাব ইশতিয়াক  আহমেদ,  রসায়ন পড়ান। নীলার তীর্যক দৃস্টির সামনে বিব্রত বোধ করলেন ইশতিয়াক সাহেব। থতমত খেয়ে বললেন, - আপনি বসুন নীলা। নীলা  পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রইল। খুব অবাক হয়েছেন অন্যান্য  শিক্ষকেরা  একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। নীলার  ডানদিকের চেয়ারে বসা  অধ্যাপিকা নাজনীন আক্তার  তিনি হাত ধরে টান দিয়ে নীলাকে চেয়ারে বসিয়ে দিলেন। -বসুন তো  এখানে।  আপনার কি শরীরটা খারাপ ? ইশ্ !  ঘেমে  গেছেন দেখছি। তারপর তিনি উচ্চকন্ঠে  পিয়ন কে ডাকলেন - এই তাজুল। একগ্লাস পানি নিয়ে এস। পিয়ন পানি নিয়ে এলে গ্লাসটা 

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "৫

ছবি
      স্বমহিমায় লিখে চলেছেন নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার  ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত  "  মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান।                    ক্ষণিক বসন্ত                                                                                     ৫ম    পর্ব                  ফো নের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো, বুলার ফোন।  বললাম আমিই কল দিতাম ভাবলাম আপনি হয়তো ব্যাস্ত তাই আর দেইনি। -- তেমন ব্যাস্ত না, রান্না শেষ করে  দেশে মায়ের সাথে কথা বলছিলাম, আপনার ঘুমের প্রয়োজন তাই কল । এখন কেমন লাগছে ?  -- আগের চেয়ে অনেক ভালো। -- সকালে অফিসে যাবার সময় দেখে যাব। খাবার সব সাজিয়ে রেখেছি শুধু ওভেনে গরম করে নেবেন। খাওয়ার পর সাইড টেবিলে যে ট্যাবলেট রেখে এসেছি সেটা খাবেন তারপর দুধ।  -- বুলা এতো অত্যাচার কেন ?  -- হেসে বললো, অত্যাচার!   অত্যাচার তো এখনো শুরু হয়নি। আর কোন কথা নয় এবার খেতে যান, বুলা ফোন রাখলো না, কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো একটা প্রশ্ন করি ?  -- করুন। -- আপনার শরীর যে এতো খারাপ  আমাকে জানাননি কেন ?  - কাউকে কষ্ট দিতে আমার ভালো লাগে না বুলা, অনেকটা অভিমানী কণ্ঠে বল,  আমি কে

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"১০

ছবি
ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর  অসাধারন  সৃষ্টি।  লিখতে সহোযোগিতা করুন  লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা                                                                                                ( ১০ ম পর্ব) স্বামী স্ত্রীর দম্পতি সম্পর্ক নিয়ে কবি সাহিত্যিকগণ যে কত ধরনের মজার মজার বাণী ও উ‌ক্তি উপহার দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই। বিশ্বক‌বি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব‌লে‌ছেন, "যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম"। সুনীল গঙ্গপাধ্যায় ব‌লেন, "স্ত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না" । ‌বি‌দ্রোহী ক‌বি কাজী নজরুল ইসলাম উ‌ক্তি করেন, "সেই কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি"। আবার সত‌্যজিৎ রায় ব‌লেন যে, "প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে ”আমি তোমাকে ভালোবাসি” বললে মাথার সব দুশ্চিন

রুকসানা রহমান

ছবি
সতী দাহ  উত্তুরে হাওয়া তখনো যৌবন ছোঁয়নি তবু লাল বেনারশি আর সিঁথীতে সিঁদুর পড়ে চলে যেতে হলো অচেনা সংসারে। যৌবনের কড়া নাড়তেই, সাদাথান আর ঘটি ভর্তি জলের ধারায় ধুয়ে দিলো সব সিঁদুর। তারপর প্রস্তুতি নিতে হলো সহপমরণের। ধর্মের নামে চলে নারী হত্যার মহাজজ্ঞ সতীত্ব রক্ষার নামে জীবন্ত তুলে দেয় জলন্ত চিতায়। মানুষ তো নই ছিলাম যেন পুরুহিত তন্ত্রের দাসী  ওরা মানুষ হওয়ার আগেই পুরুষ হয়ে ওঠে, ধার্মিক হওয়ার আগে পুরুহিত সাজে। নিষ্ঠুর-নির্মম প্রথার বলি হতে সাজালো বিধবাকে লালশাড়ি আর সিঁদুর পড়িয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেলো গঙ্গার পাড়ে, যেখানে সাজানো চিতায় স্বামীর মরদেহ, ওখানে ছুঁড়ে ফেলা হবে লেলিহান আগুনের কুন্ডে জীবন্ত শরীর। তখনই তোমাকে খুব মনে পড়ছিলো মা, আর চিৎকার করে ডাকছিলাম তোমায়,  মা দেখো, তোমার আদরের মেয়ে বিয়ে নামক দাসত্বের বলি, জীবন্ত পুড়ছি আমি আর আমার নারীত্ব। বাচঁতে বড় ইচ্ছে করে মা, এখনো হয়নি যাওয়া মল্লিকা বনে, মেঘচুলে জড়াইনি শিউলির মালা। তুমি শুনবে না জানি, পৌঁছুবেনা অস্ফুট স্বর, তবু তোমার নামের জপ করি। হয়তো,সেদিন ঈশ্বরের চোখে ছিলো জল। তাইতো নির্মম-নির্দয় আর নিষ্ঠুর প্রথার অবসান করতে ঈশ্বর পাঠালেন এক মান

মিঠুন চক্রবর্তী

ছবি
স্মৃতি ঘর নেই, পাশাপাশি মাথাউঁচু ইটের দেয়াল প্রতিটি একাকী শ্বাস অরণ্য মাড়িয়ে যেন চলে যায় দীর্ঘ শীতকাল চাঁদ নেই, চাঁদোয়ায় পরিপাটি ডানা ভেতরে বিষণ্ণ দ্বীপ, ছাদে দীপাবলি তবু, এসো, দেখে যেও ভীষণ কুয়াশা চিরে উঠোনের মাঝে এখনো দাঁড়িয়ে আছে পাখির কূজন জানা গাছ

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
দু:খগুলো নুপুর হয়ে বাজে অনুগামি কিছু দু:খ নেমে গ‍্যাছে  কোন এক  যুবতির গাল বেয়ে পায়ের  নুপুরে তারপর বিরহ-ছন্দ,  ব‍‍্যথার আবহ রিদম-- দু:খ- নুপুর !  শুনতে কী পায় কেউ পৃথিবীর ছায়াপথে অকাশের দুয়ারে          এস্রাজ-রাগিণীর কান্নার মত  দু:খগুলো নুপুর হয়ে বাজে  ;  আমি মহুয়ার বনে শুনি ছন্দিত নুপুরের সাঁওতালি সুর পাখির আওয়াজ পাতার কাঁপনে।  অনাচারী কিছু লাল শরাবী গাঙচিল   কফির আলাপন নিয়ে এসেছে  শান্ত এ চরের বালু আর বনের প্রান্তিকে--- তারা সব মেতেছে দু:খ দাদনের উৎসব মিলনে!  কলমিলতার নরম ঠোটের তিরতির জৌলুস নিয়ে উৎসবে উৎসবে যুবতীরা চলে গ‍্যাছে হেঁটে হেঁটে বহুদূর--- শপিংমল, জনারণ‍্য আর বেদনার সাঁকো পেরিয়ে  সমুদ্রের কাছে নীল আর লবনের উন্মাদ গহীনে ঢেউয়ের অবাধ‍্য নাগরদোলার অনন্তে।  আলোর ইশারা নিয়ে কেউ আর ঘরে ফেরেনি।  এখনো সারারাত দু:খের খেয়াল দিয়ে নুপুরের ভাটিয়ালী বাজে ।

জাভেদ জাভেদ

ছবি
মায়ার কথা   পড়ে রইলো লম্বা নিশি- দীপক নিভু নিভু! স্বাধের সকাল মেঘাচ্ছন্ন!  কার প্রেমেতে মগ্ন মজনু!  লাইলি কি জানে তাঁর প্রেমের- মজনু হাই হাই,,,,,,,,! আগুন  ও নাই রৌদ্র ও নাই তনু মনে একি জ্বালা?  কোন্ খেলাতে কাদা মাখলাম- সারা গায়, যাবি যদি এই নিষ্ঠুর খেলাতে- জড়ালে কেন আমায় - প্রাণের মজনু ,  যাসনে তুই কালো করে আমার দিন,  দীপক নিভু নিভু,,,,,,,,  আমি ও দুর্বল প্রায়- ক্লান্ত রে তোর প্রেমে! বলে যা যাবি যদি- কি ছিল কমি! জানিনা তোর মন কেন- এত লোভী!  আমার চেয়ে কই পাবি- এত আপন   ক্ষণিকের সুখে হারালি অনন্ত প্রেম, ছলনা ভরা ছিলো তোর মন- তুই হতে পারবিনা কারো আপন কলংকিত মজনুরে তুই মধু পিয়াসী ভোমর যেমন।

adafdad

LOVE

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"৯

ছবি
ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর  অসাধারন  সৃষ্টি।  লিখতে সহোযোগিতা করুন  লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা                                                                                 ( ৯ ম পর্ব)                                               স্বা মী ও স্ত্রী দু‌টি ‌বিপরীত লি‌ঙ্গের মানু‌ষ যারা আলাদা আলাদা সামা‌জিক প‌রি‌বেশ ‌থে‌কে এ‌সে‌ ঘর বাঁ‌ধে এবং যা‌দের পা‌রিবা‌রিক পটভূ‌মিও ভিন্ন থা‌কে। বলা বাহুল‌্য যে, স্বামী স্ত্রী উভয়ই মানুষ হ‌লেও সৃ‌ষ্টিকর্তা দু‌টি পৃথক লি‌ঙ্গের অ‌ধিকারী ক‌রে তা‌দেরকে সৃ‌ষ্টি ক‌রে‌ছেন। তাই তা‌দের উভ‌য়ের ম‌ধ্যে শারী‌রিক গঠনের ভিন্নতা ছাড়াও চিন্তা‌ চেতনার ম‌ধ্যেও ভিন্নতা থাকাটা খুবই স্বাভা‌বিক ও যু‌ক্তিসঙ্গত।  বিবাহ নামক ধর্মীয় চু‌ক্তির মাধ‌্যমে এক‌জন মানব ও অপর এক মানবী আজন্ম একসা‌থে ঘরসংসার ক‌রে একসময় এ দু‌নিয়া থে‌কে চিরবিদায় নি‌য়ে পরকা‌লের অজানা ও অ‌চেনা এক জগ‌তে তা‌দের‌কে পা‌ড়ি জমা‌তে হ‌লে উভ‌য়ের ম‌ধ্যে পরস্পর

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত " ৪

ছবি
স্বমহিমায় লিখে চলেছেন নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার  ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত  "  মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান।                     ক্ষণিক বসন্ত                                                                                  ৪ র্থ পর্ব                                      কি ছু ফল আর কি কি জানিনা এনে টেবিলে রাখল। আমার পাশে বসে বলল আমি বিকাল পর্যন্ত আছি, এখন কিছু খাবেন তারপর কোন কথা নয় শান্ত ছেলের মত ঘুম। বললাম আপনি কি করবেন, বললো আমার অনেক কাজ আছে, কি কাজ জানতে চাইলে বললোএমন মানুযের পাল্লায়ই পরেছি যে অপরের জন্য কাজ তৈরি করে রাখে। বুলা এত জঞ্জাল আপনি একা পরিস্কার করতে পারবেন না, আমি কালকের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাব, তারপর একসাথে মিলে সব গুছিয়ে নেব। বুলা কিছু না বলে রান্না ঘরে গিয়ে আপেল আংগুর নিয়ে আমার পাশে বসল। সব গুলো খেতে হবে। খেতে ইচ্ছা করছিলনা তবুও যতটা পারলাম খেলাম। কপালে হাত দিয়ে বলল আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি এবার ঘুমান। এমনেতেই আমার খুব দুর্বল  লাগছিল,  কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানিনা।  লম্বা ঘুম দিয়ে উঠলাম।  এটা কি আমার ঘর, এই দেশে এতো পরিপাটি সাজা

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস" ২

ছবি
  নতুন  ধারাবাহিক " ক্যানভাস  " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।      কালো ক্যানভাস                                                     ( ২ ম পর্ব)                                            নী লার দিকে তাকিয়ে মন ভরে গেল জালাল সাহেবের। বিগত দিনগুলিতে  কত কষ্টই না করেছে মেয়েটা। সব বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে এই পর্যন্ত যে আসতে পেরেছে সে জন্য  তিনি  মনে মনে আল্লার কাছে শুকরিয়া জানালেন। - কৈ আব্বু  তুমি তো বল্লেনা  আমাকে কেমন লাগছে ?   হেসে মেয়ের দিকে তাকালেন  জালাল সাহেব -খুব সুন্দর লাগছে,  আমার মা বলে কথা । আমার মা পৃথীবির সেরা সুন্দরী। - আব্বু !  বাড়িয়ে বলছো কেন ? -দুর কেন বাড়িয়ে বলব, যা সত্যি  তাই বলেছি। বাবা মেয়ে দুজলেই  হো হো করে হেসে উঠল। মেয়েকে কলেজ গেটে নামিয়ে দিয়ে  জালাল সাহেব  চলে গেলেন।  নীলা এসে অধ্যক্ষের  রুমে ঢুকল -আসবো স্যার।?   -আসুন নীলা ।  বসুন।  সালাম দিয়ে  অধ্যক্ষের  সামনে  বসলো নীলা। কুশল  বিনিময়ের পর  অধ্যক্ষ  নীলাকে সাথে নিয়ে 

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন " ।                                                 টানাপোড়েন ( ১৪ )                                                                       দংশন                                     সা রা রাত রেখা দু 'চোখের পাতা এক করতে পারে নি। এরইমধ্যে ফোনটা বেজে চলেছে। রেখা ক্লান্ত শরীর ,তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে ফোনটা কোনরকমে ধরল এবং বলল'হ্যালো'। ওপার থেকে সোমদত্তার কন্ঠে ভেসে এলো'দিদি, পার্থকে হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি । কেন কি হয়েছে ওর? হ্যালো হ্যালো।  ফোনটা কেটে দিলো ?' এবার রেখা কি করবে? এ দিকে মনোজও ‌ বাড়িতে নেই ।সঙ্গে সঙ্গে মনস্থ করলো , মনোজকে ফোন করবে। ভেবে রিং করল।ফোনটা ওপার থেকে রিসিভ করে বলল ' হ্যালো কি হয়েছে বল?' রেখা বলল  'কি করে জানলে কি হয়েছে? মনোজ বলল  'এত সকালে তো তুমি ফোন করবে না তোমার তো কাজে থাকার কথা।' রেখা বলল ' ঠিকই ধরেছো পার্থকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।এখন আমার কি করা উচিত ।এখন এই মুহূর্তে আ