ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা
সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা
(৯ম পর্ব)
স্বামী ও স্ত্রী দুটি বিপরীত লিঙ্গের মানুষ যারা আলাদা আলাদা সামাজিক পরিবেশ থেকে এসে ঘর বাঁধে এবং যাদের পারিবারিক পটভূমিও ভিন্ন থাকে। বলা বাহুল্য যে, স্বামী স্ত্রী উভয়ই মানুষ হলেও সৃষ্টিকর্তা দুটি পৃথক লিঙ্গের অধিকারী করে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তাই তাদের উভয়ের মধ্যে শারীরিক গঠনের ভিন্নতা ছাড়াও চিন্তা চেতনার মধ্যেও ভিন্নতা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ও যুক্তিসঙ্গত।
বিবাহ নামক ধর্মীয় চুক্তির মাধ্যমে একজন মানব ও অপর এক মানবী আজন্ম একসাথে ঘরসংসার করে একসময় এ দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়ে পরকালের অজানা ও অচেনা এক জগতে তাদেরকে পাড়ি জমাতে হলে উভয়ের মধ্যে পরস্পর হৃদ্যতা বিদ্যমান থাকার পাশাপাশি কারণে অকারণে ছাড় দেবার মন মানসিকতার বিশেষ প্রয়োজন হবে। আর এমন মন মানসিকতার অভাব থাকলে দীর্ঘ দুটি জীবন একসাথে একই ছাদের নিচে কাটানো কোনক্রমেই সম্ভব নয়।
কোথাকার কোন এক ছেলে অচেনা এক মেয়ের সাথে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আজীবন কাটিয়ে দেয়। এটা তাদের নিজেদের সদিচ্ছা, সংকল্পে দৃঢ়তা ও সর্বোপরী সৃষ্টিকর্তার একান্ত ইচ্ছে ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।
সহধর্মিণীগণ ঘরসংসার সামলান ও সন্তান প্রতিপালন করেন। আবার কেউ কেউ চাকুরী বাকুরীও যে করেন না সেটা বলবো না তবে আমাদের বাঙালী সমাজে সচারাচর ছেলেরাই চাষাবাদ, চাকুরী কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের সকলের ভরণ পোষণ সহ উত্তরোত্তর আয় উন্নতির দায়িত্বে ন্যস্ত থাকেন।
সুতরাং, এসবকিছু বিশ্লেষণ করলে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, আসলে স্বামী বা সহধর্মিণী কেউ কারো চেয়ে কম নয়। সংসারে উভয়ের অবদান সমান সমান। পরিবারের জন্য সহধর্মিণীর অবদান যেমন মূখ্য তেমনি একজন স্বামীর অবদানও অনস্বীকার্য। একজন সুশিক্ষিত ও বিবেকবান স্বামী তার স্ত্রীকে যেমন বুঝতে পারেন অতি দ্রুততার সাথে তেমনি সুন্দর মনের পরিপক্ক একজন রমনী তার স্বামীকে জানতে বা চিনতে পারেন খুব অনায়াসেই।
তবে সবচেয়ে যে বিষয়টি না বললেই নয় সেটি হলো-দুটি মনের মাঝে অবশ্যই বিশ্বাস থাকতে হবে অগাধ নইলে দৈবাৎ একটি ঝড় এসে সংসার নামক ঘরটি কাঁচের ঘরের মত সহসাই ভেঙে খান খান করে ফেলবে যা আর কোনদিনই জোড়া লাগানো সম্ভব হবে না।
ক্রমশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much