পোস্টগুলি

জুলাই ২৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৭ সুমিতার জীবন মমতা রায় চৌধুরী এমনটা কখনো ভেবেছিল কি সুমিতা ,জীবনটা সেই কোঠীঘরের মতোই আবার হয়ে যাবে? সেই জীবনের দগদগে ঘা শুকানোর আগেই একি হয়ে গেল। আজ মাটির ঘরে বসে বসে সেটাই ভাবছে। আজ সমস্ত মুখখানা যেন সিদ্ধ করা ডিমের মতোন ফ্যাকাশে। কি ভেবেছিল আর কি হলো ?বিয়ের দু'বছরের মধ্যেই তার জীবনের সমস্ত রস নিংড়ে ছোবড়া করে দিয়ে চলে গেছিল জীবন। অন্য কোন মাধবি লতা বা সুমিতার খোঁজে। তাকে রেখে গেছিল অন্ধকারে। তাতে আর সুখ নেই ,স্বাদ নেই ,তার সবকিছুতেই যেন অরুচি ধরে গেছে।  হঠাৎ করেই একদিন ফাগুনের রাত ।সেই রাত তার কাছে অনেক মধুর মিষ্টি রসে টইটুম্বুর হওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু না, তাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু'মাসের মধ্যে ফিরে আসার কথা বলে সেই  যে গেছে ,তার আর কোন পাত্তা  নেই। ঠিক দুমাস পরে বনোয়ারি তার জীবনে এসেছে ।এর মধ্যে দু বছরে তার সন্তানও হয়েছে। বনোয়ারিলাল এর কাছে শোনা যায় যে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। সে এক মরদ বটে তার কো ঠী ঘরেও এরকম মরদ জোটেনি। প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি  বনোয়ারিলাল এর মতলব। সকালে বাসি উঠোনটা ঝাঁট দিচ্ছে তার আগেই মেয়েটাকে সাবু ফুটিয়ে  খাইয়

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৬ অস্তিত্বের লড়াই মমতা রায় চৌধুরী বিদ্যালয়ে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী উৎসব মোটামুটি ভালোভাবেই পালিত হয়েছে ।যদিও সেই দিনটা ছিল ঝড়ো মেঘলা দিন। ঝোড়োমেঘলা দিনের গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য গুরুদেবের গান  দিয়েই "আজ ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে"স্নিগ্ধা"অপূর্ব গাইল। রাজশ্রী কবিতা আবৃত্তি করল "আফ্রিকা'। 'অনবদ্য কবিতা আবৃত্তি। সোহিনী তার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রবি ঠাকুরের অনবদ্য রচনা "গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে…।' নৃত্যের মধ্যে দিয়ে । আরো যারা ছিল মিত্রা ,দেবাংশী প্রত্যেকে খুব সুন্দর পারফর্ম করেছে। সবার শেষে বিদ্যালয়ের সিনিয়ার দিদি ঘোষণা করলেন আমার নাম। তিনি বললেন একজন লেখিকা আর তার নিজের স্বরচিত  কবিতা আবৃত্তি না শুনলে আজকের দিনটার আনন্দঘন শ্রদ্ধার্ঘ্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।তাই শুনবো না এটা কখনো হতেই পারে না ।সত্যিই দিনটা এমন ছিল মনের ভেতরে গুনগুনাচ্ছিল রবি ঠাকুরের প্রতি আমার প্রাণপ্রিয় গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব। তাই রেখা আর কালবিলম্ব না করে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনাল "অপেক্ষার বৃষ্টি হয়ে ফিরে এসো রবি ঠাকুর। "অনবদ্য কবিত

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৫ অভিনয় মমতা রায় চৌধুরী নারী যেন নদীর মত আপন বেগে প্রবাহিত হতে চায় কিন্তু তার গতি রুদ্ধ করে দেয়া হয় ।একদিকে যদি ভরাট হয়, অন্যদিকে ভাঙ্গন  ।তাই দুই কুলকে  সযত্নে রক্ষা করে চলতে হয়  নারীকে ,আর সংসার প্রবেশ করলে তো কথাই নেই ।একদিকে সংসার অন্যদিকে তার নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই। এই দুটো দিক সযত্নে যখন ব্যালেন্স করে রাখা যায় বা চলা যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই নারী সংসারে তত বেশি প্রতিষ্ঠা, প্রতিপত্তি, সুনাম। মাধুরী বরাবর এটা ব্যালেন্স করে চলেছে। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে তা নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যেতে বসেছে ,কখনো স্বামীর মন রক্ষা করা ,সেখানে তার অভিনয়টা খুব পাকাপোক্তভাবে করতে হয় ।কখনো বা সন্তানদের ক্ষেত্রে কখনো বা   শাশুড়ির সঙ্গে। তবে এ ক্ষেত্রে তার নিজের শাশুড়ি নেই । এখন সবই পিসি শাশুড়িদের সঙ্গে। এই তো শিখার বিয়ের পর থেকে মেজো পিসি শাশুড়ি রয়েছেন ,তার আবার শরীর খারাপ একটুতেই অভিমান।  সব দিকে মাধুকে নজর রাখতে হয় ,বিরক্ত হলেও সে বিরক্তিভাব প্রকাশ থাকে না ।সব সময় হাসিমুখে চলে, সর মাধুর্যে একটা আলাদা চমক আছে। এইতো গত পরশুদিন শিখা ফোন করেছিল বলেছিল বৌদি

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৪ মনোজের মৌউল নেশা মমতা রায়চৌধুরী মনোজ আজ অফিস থেকে বাড়ি ফিরল প্রায় রাত্রি নটার পরে।  ক্লান্ত শ্রান্ত মন নিয়ে যখন সে তার কলাপসিপল গেট খুলে ঘরে ঢুকলো তখন মনে হল সে বেশি বড্ড ক্লান্ত হয়ে  পড়েছে ।তাড়াতাড়ি কোনরকমে আলোটা জ্বাললো । জোরালো আলো আরও বেশি ক্লান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে , তাই মৃদু আলো জ্বাললো।ওদিকে পুবের জানালার শার্সি দেয়া ছিল তার ভেতরে প্রচুর চাঁদের আলো এসে পড়েছে ঘরের  মধ্যে ,ঘরের প্রায় সবকিছুই আবছা দেখা  যাচ্ছে কোন অসুবিধাই হচ্ছে না দেখতে lনিজের প্যান্ট, শার্টটা খুলে আলনায় টাঙিয়ে রাখল তারপর এক এক করে ঘরের জানলাগুলো  খুলে মনে মনে ভাবছে  "কি ব্যাপার আজকের জানলা গুলো বন্ধ? রেখা কি এখনো বাড়ি ফেরেনি ?কি হতে পারে? কোথায় গেল ভাবতে ভাবতেই সোফায় গিয়ে নিজের শরীরটাকে এলিয়ে দিলো। "এইসময় রেখা থাকলে, এক কাপ কফি হলে মনটা ফুরফুরে হয়ে যেত ।আজকে এত ক্লান্ত লাগছে কেন ?মনে মনে ভাবছে  তারপর চোখটা বুজে আসলো। এরমধ্যে দেখা গেল তুতু এসে মনোজের পাশটাতে বসে" কিউ কিউ" আওয়াজ করছে ।মনোজ চোখ বন্ধ করেই বললো " কি ব্যাপার ,তোর আবার কি হলো ?তোর মালক

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৩ উন্মত্ত খেলা মমতা রায়চৌধুরী আজ ছুটির দিন এইমাত্র সূর্য অস্ত গেল । পশ্চিম দিক জানলার সামনে দাঁড়িয়ে মনোজ সিগারেটের পর সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে আর সন্ধ্যারানীর লজ্জা বনত রক্তিম মায়াটুকু দেখার জন্য উৎসুক  । কিছুক্ষণ আগেও রেখা মনোজের পাশে ছিল রেখা আর আকাশের এই অস্থিয়মান সূর্য। দু'জনকেই   যেন অস্পষ্ট মনে হচ্ছে ।সমস্ত রং যেন আকাশের চোখ  থেকে মুছে যাচ্ছে। কেমন যেন একটা বিবর্ণ চেহারা এত আকাশের। তবুও অস্পষ্ট বেড়াজাল অতিক্রম করে মনোজের মনে স্মৃতির অ্যালবাম থেকে বেরিয়ে আসে কিছু অজানা তথ্য ।সেদিনও এভাবেই তারা দুজন পাশাপাশি বসেছিল । শুধু পাত্রী পাল্টে গেছে জায়গা পাল্টে গেছে, পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।সেদিন কারো  মুখে কোন কথা ছিল না। শুধু পরস্পরের সান্নিধ্য আর অন্ধকার রাত্রিতে তারার চাকচিক্য যেন মনে হচ্ছে রঙের খেলা চলছে আকাশের বুকে ।যখন এই রঙের খেলা চলে তখন তো অপূর্ব লাগে। তখন মনোজের হৃদয় আকাশে শুধু তিথি সবই ভালো লাগে। মনোজের চোখ যখন তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে নিমিলেষ নেত্রে। তখনও মনোজ চোখের ভাষা বোঝেনি । তাছাড়া কখনো বুঝে উঠতে পারেও নি ।তিথি যেন ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। কখনো ম