পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সানি সরকার

ছবি
  কবির বারান্দা   মুক ও বধির হয়ে থাকি...  যেমন ওই গাছ, ওই শীতল  প্রাচীর,  ঠাণ্ডা জলের মতন অতল ছুঁয়ে আছি  আর কী নেবে  খুব শান্ত ও ধীর আমাদের চাষাবাদ খাদানের ভেতর নেমে আসি  ওই আমাদের শস্যবীজ ওই আমাদের অনন্ত কাঁচা মাটির গন্ধ ওই আমার শস্যদেবী পাথর হয়ে গিয়েছে  এখন মাঠের মধ্যিখানে খেলা করছে সার্কাস বালক রিং নিয়ে, ঘোড়া নিয়ে, প্রাচীণ দড়ির ওপর আর কুচকুচে কালো বুক ফুলে আছে হাসি লেগে আছে ঠোঁটের সমস্তটায় এতটাই চঞ্চল সে, পৃথিবীটিকে হাতের ওপর নিয়ে ঘুমন্ত মানুষের মতো ক'য়েকবার ঘুরিয়ে দিল  এইসব তোমার গোচরে আসে না তবলার স্থির তালের ভেতর আস্তে-আস্তে চাঁদের দু'পিঠ পরিক্রমণ করলে এক্ষুণি এতটা-ই আস্তে, যেন মাথা থেকে পা-বেয়ে  একটি-একটি করে সরীসৃপ যাতায়াত করল এবং তুমি কিছুই টের পেলে না মুহূর্তের জন্যেও  মুক ও বধির এই বিদ্যানিকেতনে কেন যে কোনও ব্ল্যাকবোর্ড নেই, নৌকো নেই… শুধু একটি ব্ল্যাকহোল, যে-যেমন আসে আর তেমনি চলে যায়  কবিতার মুক্তির পথের দিকে কবির তর্জনী নির্দেশ করা...  এইভাবে কবির কলঙ্ক জমা হয় আত্মা ও পরমাত্মার মাঝের বারান্দায়  কবির সার্কাস বালক ঘুমকে সিলিংয়ে টাঙিয়ে ট্রেনের হুইশেল আর দেয়াল ঘড়ির শব্

আয়শা সিদ্দিকা

ছবি
তুই নেই বলে  তুই নেই বলে অসময়ে বৃষ্টি এলে আজ ভিজতে যায় চলে  তুই নেই বলে পুরোনো কিছু স্মৃতি আর তোর মুখখানা আজও আমায় সমানভাবে  করে বিচলিত তুই নেই বলে  এখন কেউ মায়া দেখাতে এলে আমি অনেকটাই থাকি অাড়ালে  তুই নেই বলে বসন্ত এসেও বসন্ত মুখ ফিরিয়ে গেলো  তুই নেই বলে  কবিতার ছন্দগুলোও আজ বেশ এলোমেলো  তুই নেই বলে কেউ আর শাসন করে না, বকে না আমায় হাসি ঠাট্টার ছলে  তুই নেই বলে জানিস আজকাল কথা বলতে খুব জড়তা হয়  তুই নেই বলে  বালিশটা এখন রোজই ভিজে  চোখের কিছু জলে তুই নেই বলে  সুখ পাখি এসে দূরে গেল চলে তুই নেই বলে  শ্রাবণ ধারার মেঘে,আবেগেরা আছে মুখ ঢেকে তুই নেই বলে  এ শহর আজ চলে মিথ‍্যে কাব‍্যের ছলে। 

প্রমি জান্নাত

ছবি
  যদি এমন হয় ধরুন কোনো এক ভোরে ঘুম ভাঙতেই জানলেন আমি নেই! তারপর?  আমি হীনা সকাল গুলো কেমন কাটবে আপনার? কোনো এক মধ্যদুপুরে হঠাৎ আমার কথা মনে পড়ল ভীষণ  কিন্তু তপ্ত দহনে পুড়াবার জন্য আমাকে আর খুঁজে পেলেন না ; আমি নেই আর, কেমন লাগবে তখন? কোনো এক বরষায় হঠাৎ যদি আমার সাথে গল্প মাখতে ইচ্ছে হয়। আমি তখন ইহলোকের গল্পের উর্ধ্বে হারিয়ে গিয়েছি ; কি করবেন তখন? কোনো এক গোধূলি বেলায় আমাকে নিয়ে হারিয়ে যাওয়ার কথা দেয়া ছিল হয়তো তবে নির্দিষ্ট সেই গোধূলি আলো আসবার আগেই আমি সন্ধ্যার ঠিকানায় নাম লিখালাম।  আমার সাথে হারিয়ে যাওয়া হলো না আর। আমার অপেক্ষায় সময় কাটাবেন তখন? নাকি অন্য কোনো স্পর্শ আপনাকে আমার স্মৃতি টুকু থেকে ও নিয়ে যাবে দূরত্বে! আসবেন বলে বলে কাছে আসার তারিখ টা কেবল পিছিয়ে দিলেন অথচ ভুলে গেলেন মৃত্যু অপেক্ষার ধার ধারে না। আপনার অবহেলা, অপেক্ষা টুকু উপেক্ষায় ফেলে যদি মৃত্যু নামক অতিথি আমাকে ডেকে নিয়ে যায়!!  জানেন তো আপনাকে মনে পড়লেই আমি আজকাল আকাশ দেখি। আপনাকে বলতে না পারা কথা গুলো, আক্ষেপ, অভিযোগের কাব্য গুলো কেবল মেঘেদের ঠিকানায় উড়িয়ে দেই। মন খারাপ হলেই শূণ্যতা দেখি। আমার আর তখন নিজেকে শূন্য মনে

হা‌বিবুর রহমান হা‌বিব

ছবি
দগ্ধ দীর্ঘশ্বাসঃ দীর্ঘশ্বা‌সের অ‌তি দীর্ঘ দগ্ধ গু‌লো, যতই কা‌ছে যাই,ততই দূ‌রে পাই, দি‌কে দি‌কে শুধু ভরা হাহাকার , নাই শুধু নাই । চৈ‌ত্রের দ্বা‌হে পোড়া শুস্ক কান‌ণে, বিরস ক‌ন্ঠে শুধু পা‌খির ডা‌কের আর্তনাদ । তৃ‌ষিত বুক ফাটা পিপাসায় চে‌য়ে থাকা, অ‌গ্নি আকা‌শের পা‌নে আর পা‌নে ।।।

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
অসুস্থ‍্য  পৃথিবী মাটির নীচেজল কমছে ডাঙায় জলোচ্ছৃস আর কটাদিন পরে মানুষ চাঁদে করবে বাস।               বারে বারে নিম্মচাপ                       প্রকৃতির কি খেলা                    হরকা বানে ঘরবাড়ি  ভাসে                          গাঙে যেন ভেলা। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি কোথাও     যেখানে সেখানে ধস্ কোথাও আবার দাবানল       মাটিতে নেই রস।                       হিমালয় পড়ছে গলে                               সূর্যের বেড়েছে তাপ                          সমূদ্র থেকে উঠেআসে                                   গভীর নিম্মচাপ। গাছ গাছালী হচ্ছে কাটা         বাড়ছে গাড়ী বাড়ি পৃথিবীর ভারসাম্য এবার দেবে আকাশ পাড়ি।। 

নাজনীন নাহার

ছবি
 প্রিয়_স্বাধীনতা  প্রিয় স্বাধীনতা,  তোমাকে নিয়ে লেখার সাহস আমার বরাবরই কম। সকলে কত শত ভালোবাসায় আদৃত করে, তোমাকে নিয়ে লিখে যায়। আমার কেবল মনে হয়, তোমায় নিয়ে লেখার সুযোগ্য আমি নই।  তবুও সকলের ভালোবাসায় লেখার দুঃসাহস করি আমি। আজ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ ২৬ শে মার্চ। কত আয়োজন কত উদযাপন, কত কত গল্প, গান,  কবিতা তোমাকে নিয়ে। তুমি আমাদের  পরিতৃপ্তির এক মহা প্রণয়, তুমি আমার ও আমাদের ভালোবাসা। আমাদের সম্মান আর গৌরবের আনন্দ তুমি।  হে প্রিয় স্বাধীনতা , তুমি আমাদেরকে একখানা বাংলাদেশ দিয়েছ। দিয়েছ লাল সবুজের পতাকার উজ্জীবন। দিয়েছ বিশ্বের মানচিত্রে নাম, মান আর সম্মান।  আমি জানি, ত্রিশ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে, অগুনতি মা বোনদের ইজ্জত ও আব্রুর বিনিময়ে ; আমরা তোমাকে পেয়েছি। আমরা তা ভুলিনি। আমরা তা ভুলব না কোনদিন প্রিয় স্বাধীনতা।  তবুও তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো যখন তারিখ হীন দুঃসময় হয়ে সময় কাটায়,  সময় কাটায় বেকার যুবকের হতাশার আতঙ্ক নেশায়। ধর্ষিতার আজন্মের গ্লানিময় বিভীষিকায়, আর দুর্নীতির ক্যাসিনো নিশীথের কাব্যে। তখন তোমার অভিতাপের আগুনে পুড়ে, নিঃশেষ হতে হতে পরাধীনতায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে জাতীয়

মিতা নুর

ছবি
আমার কিছু স্বপ্ন আছে কেবল জানি            তোমায় নিয়ে,  আমার কিছু                স্বপ্ন আছে; প্রাপ্য আছে            বিনিদ্র রাত,  কাটিয়ে দেবার                গল্প আছে,    হাজারো হাজার  তোমার জন্যে           ব্যাকুল  হৃদয়; একটুখানি          পুরোপুরি, শর্তবিহীন          তোমায়   কাছে পাবার !! 

আসাদুল্লাহ গালিব

ছবি
অভিসাপ আমাকে ভুল ভেবে কতকাল আর অভিসাপ দিবে,রোদের উত্তাপ আর মরুভূমির তৃণলতাহীন খসখসে মরণফাঁদ অম্লান তোমার অভিসাপে৷ আর কতকাল? কলমের ডগায় খুচাখুচি, নিমগ্ন রাতের গভীরে নির্ঘুমদের সারিতে উদ্দাম দেহে হজম করি সব৷ আমাকে ভুল ভেবে আর কত বাক্য সৃষ্টি করবে মেঘেরা সূর্যকে লুকানোর অবয়ব দেখে সন্ধা ভেবে নেওয়া অবিচার৷ আর কত অস্পৃশ্যা থেকে নিজেকে মিটাতে চাও না পাওয়ার মাঝে৷ উদোম গায়ে আমাকে খুটিয়ে দেখো নির্মল গঠন কৌতুহলী হৃদয় ছাড়া কিছুই পাবে না আর তবে আর কত অভিসাপের বাণী উচ্ছারিত তোমার যবানিকা থেকে৷ অপেক্ষায় আগামি প্রভাতের নতুন অভিসাপের প্রীতির ডোরে আগলিয়ে আছে শতাব্দির সেরা চরিত৷ 

মমতা রায় চৌধুরী 'র গল্প - অপত্য স্নেহ

ছবি
  অপত্য স্নেহ বুলু কাকিমা পুলিশ অফিসারের মেয়ে, নার্সিংহোম মালিকের স্ত্রী ,ঝকঝকে গাড়ি  করে যাতায়াত। আমি জয়িতা যখন প্রথম বউ হয়ে মল্লিকবাড়িতে ঢুকি। আমাকে দেখতে এসে একগাল হেসে বলেছিলেন -'বাঙাল ঘরের মাইয়া আনছো, একটু মানাইয়া, গোছাইয়া লইও কল্যাণী'।কথাটার মানে সেদিন বুঝতে পারি নি। আজ হারে হারে টের পাচ্ছি। আসলে আমি শাশুড়ি মার যতই আপন হবার চেষ্টা করেছি ১৪বছরে একটুও সক্ষম হই নি। ভেবেছিলাম এ বাড়িতে নতুন করে মাকে পাব। মেয়ের মত তিনি আমাকে কাছে টেনে নেবেন। ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি মায়ের স্নেহ তো কপালে জুটল না। অনেক প্রত্যাশা ছিল মনের ভেতর। বড়লোক বাড়ি বিয়ে হয়েছিল। ঝি চাকরাই সব কাজ করে। তবে আমার ভাগ্য অতটা সুপ্রসন্ন ছিল না। সব কাজ আমাকে করতে হতো। তাতে অবশ্য আমার কখনো কষ্ট হয়নি। কষ্ট হতো যখন বাবা-মা বা আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমাকে যখন তখন অপমান করা হতো ,অসম্মান করা হত। আসলে 'এই জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি'-এই কথাটা আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে আমার শশুর -শাশুড়ি মার ক্ষেত্রে। ছেলেটি হুট করে বিয়ে করে ফেলবে ,তা তাদের স্বপ্নের ও কল্পনার অতীত ছিল। ভেবে

আফসানা মিমি

ছবি
বাবা আব্বু আমি তোমার মুখের মিষ্টি আম্মু ডাকটা আজও অনুভব করি। আব্বু আমি তোমার মুখের মিষ্টি মৃদু হাসিটা আজও অনুভব করি। আব্বু তোমার মনে পড়ে, তুমি ভালবেসে ডাকতে আমায় "মিতু" আম্মু কোথায় রে?  আমি বলতাম এইতো আব্বু তোমার পাশে। ফজর ও মাগরিবের ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বলতে আমায়,আম্মু একটু চা বানাতে পারবি কি? বলতাম আমি,বসো তুমি আনছি আমি চায়ের সাথে সরিষা তেল আর লবনের মুড়ি মাখাটি। মুচকি হাসি তুমি দিয়ে, এইতো আমার লক্ষ্মী আম্মুটি। আব্বু তোমার মনে পড়ে, টেবিলে খাবার খেতে বসে আমার আচল দিয়ে তোমার মুখের ঘাম মুছিয়ে দেওয়ার স্মৃতি!! মনে পড়ে তোমার,হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে কতবার আমার হাত থেকে পাখাটা পরে গেছে,তুমি তখন বলতে আম্মু আর লাগবে না। আমি তখন,মুখে হাসি নিয়ে একটুও থামতাম না... আব্বু তোমার মনে পড়ে, পড়াশোনা করতে করতে কখনো ঘুমিয়ে পরলে আম্মুকে ডেকে বলতে ওর দ্বারা পড়াশোনা হবে না, আরও বলতে লেখাপড়ায় এতো আরাম চলে না, অনেক সাধনা করতে হয়,অনেক কষ্ট করতে হয়।  সময় আছে মেয়েকে বোঝাও!! আর আমি তখন,আহারে কি ঘুম হা হা... আব্বু তোমার মনে পড়ে, তোমার চশমা,জামাকাপড়,পান সুপারি,মেডিসিন ইত্যাদি সবকিছুর দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম

মুন চক্রবর্তী

ছবি
ধ্বস্ত পৃথিবী  ছায়াপথ ধরে হাঁটছে বিস্ফোরণ  রেখে ছিলাম মল্লিকা বনের ঠিকানা তবে কি রাস্তা ভুল করেছে ভূলুণ্ঠিত উড়ানা? ধর্মের আস্ফালনে জ্বলছে কোমল শরীর ব্যর্থতা নিয়ে ঘরে বসে আছে কৌশলী কারিগর  মৃত্যুর পৃথিবী দেখার আগে, ভূমিকম্প আগ্নেয়গিরি উল্কাপাত সুনামি আসুক। তবুও তো বেঁচে যাবে কোনো বাবার দেওয়া শাড়ির সম্মান বেঁচে যাবে দেশ ছাড়ার যন্ত্রণা,নরক ভোগের দাসত্ব  কোটি কোটি মৃত্যুতে লেখা থাকবে না ধর্ষন। ধ্বস্ত পৃথিবীর জন্য প্রার্থনা করি একবার পশু হও মানুষ শব্দটি পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন না হলে বনানীর উৎসব দেখবে না কোনো গ্রহ তারা কত আর্তনাদের কান্না ঝরে পরলে নদী শুকিয়ে যায়। ছুটির আয়োজন কর প্রকৃতি তোমার মৃত্যুতে দাঁড়াব নির্ভয়ে বাবার শাড়ি উপহারে।

দুর্গাদাস মিদ্যা

ছবি
  দোদুল্যমানতা   উড়ন্ত পর্দার মতো দুলতে থাকা এই জীবন কখন যে ঝুপ করে ঝরে পড়ে মাটিতে!  আত্মানুসন্ধানে রত থাকা মানুষ যদি চলে যায় মাটির মায়া ছেড়ে তবে বড় ভয় হয়।  তবে কি মাটি এতই বিষময় হয়েছে দিনে দিনে।  নাকি চিনে নিতে ভুল হয়েছে জীবনের ধারা তাই এতো হাহাকার শোনা যায় মাটির দাওয়ায়।  কী ভীষণ দোদুল্যমান মনে হয় এ জীবন!

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
     স্বাধীনতা কি? স্বপ্ন আমাদের পূর্বপুরুষেরা দেখেছিল তাই ১৯৪৭সালে ১৫ই আগষ্ট অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ত্রনেছিলেন তারা স্বাধীনতা।স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ ও হয়েছিল।কিন্তু স্বপ্ন ভাঙার চর জাগেনি সর্বত্র।মুক্তি হয়নি কলমের ভাষার।বাংলা ভাষা মুক্তি পেলেও মুখের ভাষা,মনের ভাব প্রকাশে মানুষ পিছিয়ে পড়েছে।মানুষ কার্বনে ঢাকা যে কাগজে স্বাধীনতা কথাটি লিপিবদ্ধ করেছিল তার অনুরুপ কাগজে ধরা দেয়নি। ধরা দিয়েছে শুধু মানুষের মুখে।ধরা দিয়েছে শুধু মানুষের ইচ্ছায়।মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে।সার্বভৌমত্ব পেয়েছে।তবে অর্থপূর্ন স্বাধীনতা পায়নি।আমরা মুক্তির অর্থ বুঝেই মুক্তি চেয়েছিলাম। তবে অর্থপূর্ন মুক্তি পায়নি।স্বাধীনতা শব্দের অর্থ যদি শুধু একটা পরিচয় হয়,তাহলে জাতির কাছে আমাদের নতুন কোনো প্রত‍্যাশা নেই।কিন্তু স্বাধীনতার স্বাদ বলতে যদি মানুষের মৌলিক চাহিদার অধিকার আদায়ের অর্থ হয়,তাহলে বলতে চাই ঘুষবিহীন চাকরি চাই,চাঁদা না দিয়ে শান্তিতে ব‍্যবসা করতে চাই।আমার যে রোগ হয়েছে শুধু সেই রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে চাই।শাহবাগে গলা উঁচিয়ে ক‍্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ পরাধীদের ফাঁসি চাই এবং ত্রকথা বলার পরও বেঁচে থাকার নিশ্চয়

দিলারা রুমা ( ইংল্যান্ড )

ছবি
যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  ততোক্ষণ কাজের শেষ নেই শেষ নেই ব্যস্ততার।  যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  ডান ডাকে বাম ডাকে  বাঁকে বাঁকে অস্থির! অস্থির! যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  স্বজনের অভাব নেই সুহৃদের অভাব নেই অভাব নেই বিরহ অসুখের  আবছানি মায়াজাল দিয়ে থাকে  এইতো সময়। যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  কতজনেই ডাকে দুনিয়ার মৌচাকে  সুর তুলে গায় গান  মান আর অভিমান।  যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  ভাবনারাও জড়িয়ে রাখে  গ্রীষ্ম বর্ষা বৈশাখে।  যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে  ধান শালিকের মাঠ সবুজের হাট  কাছে টানে  নদী সাগরের জল জ্যোৎস্নার সিঁথানে।  চোখ বুঁজে গেলেই সব দূরে যায়  দূরে যায় সব, হায়! অস্তবেলা উড়ে যায় উড়ে যায় থেমে যায় রব।

মাসুদ রানা

ছবি
বরণ  কোন দিন খুব ভোরে দরোজার কলিংবেল টিপে আমাকে জাগিয়ে দেয় তোমার পিয়ন তার হাতে থাকে  আমার সারা রাতের মধুর স্বপ্ন মাখা তারকা খচিত নীল খাম আমি তার গলায়  শিশির ভেজা শিউলি ফুলের মালা দিয়ে  তোমার হাতের লেখা চিঠি  বরণ করি কোন দিন ঠিক মাঝ রাতে  তুমি সারা গায়ে জোছনা মেখে অন্ধকারে এসে আমার বারান্দায় দাঁড়াও  আমার দিকে অপলক চেয়ে চেয়ে  মিটি মিটি হাসো অনন্ত কাল আমি চাঁদের বুকে চুমু খেয়ে  শার্টের বোতাম খুলে  তোমাকে বরণ করি 

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
শরৎ-এর পরশ   এসেছে শরৎ ভাদ্র মাসে   শিউলী ফুলের গন্ধ পাকাতাল পড়ছে ঝড়ে নেচেছে তাই নন্দ।              আশ্বিনে পূজোর আনন্দ                      কচি ধানের দোলা               দিনরাত্রি চলছে শুধু                       মেঘ বৃষ্ঠি খেলা। দক্ষিণ হাওয়ায় দোলা দেয়             মুকুট পরা কাশ সাদা মেঘ ঢেকে দেয়         ঐ নীল আকাশ।               বিকেল বেলা সোনালী রোদে                      মেঘের পাহার ভাষে               শরৎ এলো বোঝা গেলা                        ভাদ্র আশ্বিন মাসে।।

আপনারা সরাসরি ফেসবুক পেজে পৌঁছে যান লাইক করুন ,ফলো করুন

https://www.facebook.com/111857043746381/posts/374568980808518/   লাইভ কবি ও কবিতা গল্প পাঠে আপনি আসুন ।

প্রেম ও কিছু কথা / সজিব আল হাসান

ছবি
প্রেম ও কিছু কথা                             প্রে ম করতে কে না চায়। মনের মত মন খুঁজে সত্যিকারের প্রেম করা এক ধরণের শিল্প। যদিও প্রেম করলেও জ্বালা প্রেম না করলেও জ্বালা। মুখে বললেও প্রেমের মানে বুঝতে সারা জীবন লেগে যায়। তাই প্রেমের কোনও নিদিষ্ট বয়স হয় না। পদার্থ বিজ্ঞানে যা আকর্ষণ মানবিক বিদ্যায় তাই প্রেম। পদার্থ বিজ্ঞানে যা বিকর্ষণ মানবিক বিদ্যায় তাই ঘৃনা। আগের চেয়ে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। আবার অহরহ সম্পর্ক ভেঙেও যাচ্ছে। প্রেম মানেই ভালবাসা, অবেগ ও মায়ার সম্পর্ক। প্রেম মানুষকে তার ভেতরের সুপ্ত বৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। সত্যি প্রেমের অনুভূতি অনেক আনন্দের। প্রেম কাকে বলে কোন ব্যক্তি বা জিনিসের উপর মায়া, ভালোবাসা ও আসক্তি বেড়ে যাওয়াই হলো প্রেম। একজন নারী বা একজন পুরুষ তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে যখন একে অপরকে জানার জন্য খুব কাছাকাছি আসে কোনো রকম শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া, তখন তাকে প্রেম বলে। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের দুজনের মধ্যে একে অপরকে ছাড় দেবার মন মানসিকতা থাকতে হবে। সাইকোলজিস্ট রবার্ট স্টেনবার্গ প্রেমকে তিনটি উ

রেবেকা সুলতানা ( রেবা )

ছবি
  গুরুত্ব দিতে শেখ  জীবনের আন্ধকারে             হারিয়েছো বারে বারে, মনেরি সেই এলোমেলো টাকে    কেউ আসেনি গুছিয়ে নিতে          চাওয়া পাওয়ার হিসাব গুলো মেলানো থাক না বন্ধ।  যে যেমন ভাবে ভাবছে তোমায়  ভাবতে দাও, তুমি খুঁজে নিও বাঁচার মানে      দেখে নিও ধীরে ধীরে         বদলাবে জীবন   না  মিলুক ছন্দ। জীবন টা থাকুক অগোছালো এক জীবনে সবার আশা পূরন হয় না। লোকের কথার গুরুত্ব দাও  কম অনেক মূল্যবান সময় তুমি  নষ্ট  করেছো লোকে কি ভাববে এই ভেবে, অন্যের ভাবনার গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ভাবনা ভাবো শুধু তুমি তোমার মতো করে  থাকতে শিখে নাও। সময় করে  উল্টেপাল্টে  নেও নিজের  ভাবনা গুলো, জীবন টা  খুব ছোট নিজের ভাবনার গুরুত্ব দিতে শেখ।

গোলাম কিবরিয়া ( শরীফ)

ছবি
  চাকর পেটের তাগিদে তোমার প্রাসাদ - মুছি আমি দুই হাতে ; মায়ের আদর আমি ও তো চাই,  কোল খুঁজি প্রতি রাতে। তোমার মত আমারও তো বোন  আঁচলে নয়ন মোছে ; পথ চেয়ে থাকে ভাইয়ের আশায়- তাকায় যে আলগোছে। ছোট্টবেলায় মা বলিতেন - খোকা বেশ বড় হবে ; রোজ তোমাদের বকুনিতে সব - ভুলে গেছি সেই কবে!  সারাদিন বাবা সাহস দিতেন - "পড়াশোনা করো বাবা, " বৈশাখী ঝড়ে বাবা চলে গেলো - এলো অভাবের থাবা। মায়ের কান্না, লুকোচুরি খেলা - সইতে পারিনি আমি ; পড়াশোনা তাই "বিলাসিতা" হলো, জীবনের চেয়ে দামী। ছোট্ট বোনের অবুঝ আবদার  ফিরাতে পারি নি তাই ; তোমার কথায় কষ্ট পেয়ে ও- নিরবে-ই  সয়ে যাই।  সেদিন সাহেব বলিলেন এসে - বাড়ি যেতে হবে তোর ; মায়ের হয়েছে বড্ড অসুখ,  তোকে ডেকে রাত ভোর। মেম সাহেবের বাঁকা চাহুনিতে - সাহেব গেলেন থেমে,  আড়াল করিলো আসল খবর,  আদর করিলো নেমে।  বলিলেন, সব ঠিক হয়ে যাবে - মনযোগে কাজ করো ; বাড়ি যদি যাও, মেম সাহেবের - বিপদ হবে যে বড়। নিশ্চিত খোকা কাজে মজেছিলো,  অসুখ যাবে যে কমে; সুস্থ হয়ে ই জননী আবার - কাজে যাবে পুরোদমে।  গতকাল রাতে অভাগিনী বোন - কান্না জড়ানো চোখে ; আসিয়া বলিলো,  "মা" তো আর নেই

ইকবাল বাহার সুহেল ( ইংল্যান্ড )

ছবি
ব্যর্থতার পদাবী  বলতে পারো ছবি যে আঁকব, রং কই একা একা শব্দ গুলো বিড়বিড় করে কবিতা লিখবো .. দেবদূত আমাকে একটি কলম দাও চিৎকার করে কান্নার ভাষা বলে যাবো ! কবিতার প্রতি অক্ষরের সঙ্গে মিশিয়ে দিব জীবনের আয়ু খানিকটা দীর্ঘশ্বাস, কয়েক ফোঁটা অশ্রু আর স্বপ্ন থেকে নিংড়ে আনা রং .. বলতে পারো ছবি যে আঁকব, রং কই ! রোদের রংটুকু, শিশিরের শব্দটুকু আমার পরিত্রাণ, আমার নির্বাণ .. শিরোধার্য করে রেখেছি দেবদূত ! কবি হওয়া মানেই ব্যর্থ হওয়া, আর কবিতা মাত্রই ব্যর্থতার বশংবদ .. বেদনাময় প্রতিটি ইট আর কংক্রিটের দেওয়াল নির্মাণ !!

ইয়াছমিন রহমান শিউলি

ছবি
 স্বপ্ন  এ কেমন ভালোবাসা কুয়াশার মতো  রোদের স্পর্শে কোথায় হারায় ? এ কেমন ভালোবাসা জোৎস্না  আলোয় স্বপ্ন বিলায় ? এ কেমন ভালোবাসা হৃদয় গভীরে  থাকে সে চোখ মেললে কোথা পালায় ? এ কেমন ভালোবাসা কাছে ডাকলে  আসেনা সে কপট  লোচনে হৃদয় নাচায় ? এ কেমন ভালোবাসা আলিঙ্গনে ডাকি তাঁরে মিষ্টি হাসিতে মুক্ত ঝড়ায় ? এ কেমন ভালোবাসা যতোই ডাকি  আসেনা সে বিভোর স্বপ্নে ছবি আঁকায় ?

মহুয়া দাস

ছবি
  আজকাল রোজ মধ্যরাত পেরোলেই, যখন কুকুরগুলো তাদের ঘর গেরস্থালির কথা আদান-প্রদান শুরু করে, ঠিক তখনই রাতের নিঃশব্দ প্রহর হাতড়ে  বিপুল উচ্ছ্বাসে ফোনের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে তোমার লেখা। আমিও তখন গুণে চলেছি হয়ত প্রহর- মধ্যরাত ১, মধ্যরাত ২, মধ্যরাত ৩। রাত বাড়লেই কড়া নাড়েন রবীন্দ্রনাথ, শক্তি,সুনীল। আরও রাত ঘনালে,গ্রেগরি পার্ডলো কিংবা ম্যাগি নেলসন। তোমার অস্থির লেখারা ঠিক তখনই গ্রাস করে নিতে চায় আমাকে। আমি সেই আপাতনিরীহ লেখার পেছনে রাতের দ্রুত কড়া নাড়া টের পেয়ে যাই ঠিক। দরজা খুলতে ইচ্ছে করে না আজকাল, কারণ নীলাভ কবিতার গাঢ় ফেনা আমাকে ইতিমধ্যেই ডুবিয়ে নিয়ে গেছে হয়ত বা চাঁদের আলোয় ধুয়ে যাওয়া চরাচর থেকে হিমশীতল জলের অন্ধকারে। শীত শীত করে আজকাল রাতের দিকে। কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কি করব বলো?

মিতা নুর

ছবি
বর্ষার শেষ বৃষ্টিধারা                          মন কেমনের মধ্যরাত দাঁড়িয়ে আছি, দেখো হাত বাড়িয়ে...!            যায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জল,  স্মৃতি উড়িয়ে...!             হাসনাহেনার গন্ধে বিভোর,  রাতের আঁধার...         আজ না-হয় রইলে তুমি একটুখানি,    তন্দ্রাহারা...!         জোছনা ওযে পাগলপারা,  আমি ছড়িয়ে দিলাম শরীর জুড়ে,            আদর নিলাম,  গাল বাড়িয়ে...! আজ রাতের হাওয়া সঙ্গী এরা,               সবকিছুরই সাক্ষী রইলো,  বর্ষার শেষ বৃষ্টিধারা !! 

গীতা চক্রবর্তী

ছবি
 সময় সময়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চললাম, তবু ভিড়ের মধ্যে কখন কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি! রোদের দেওয়ালে ভিজে পাতা আকাশের নীলে মেঘলা ডানায় উড়ছে; ঈশ্বর দরদী হতে চাইছে অনন্ত বিশ্বাস। চারদেওয়াল ডাকে আমায় দ‍্যাখ চোখ মেলে, সময়ের অভাবে গুটিয়ে রাখা খোলস- রঙ বুনতে স্বাধীনতা মুল্যবান হয়  তবু অর্থ লাগে... ভিড়ের মাঝে কলমে নদী হোক কখনও।                            

আপেল মাহমুদ

ছবি
 ভালো নেই ভালোবাসা তুমি ভাল নেই  ভাল নেই আমিও আমার শহর ভিজেছে  তোমার কান্নার জলে আর্তচিৎকারে ভারী হয়েছে আমার প্রিয় গন্ধ মাখানো বাতাস তুমি ভাল নেই শুনে  কষ্টে ভরেছে আমার এ নষ্ট মন চেয়েছি কাছে যেতে চেয়েছি ভাঙ্গা বুকটা পেতে দিতে সমস্ত দুঃখ বেদনা আকন্ট পান করে সুখের ফুলগুলো কুড়োতে চেয়েছি নোংরা দু হাতে... তুমি ভাল নেই শুনেছি যখন চাপা কান্নায় ভিজেছে আমার স্বার্থপর চোখের দুটি কোন... ভেবোনা কষ্ট পায়নি...  তুমি বিশ্বাস করো... কিন্তু পারিনি.... বিচলিত মন, অস্থির হৃদয়,উৎকন্ঠিত নয়ন, থমকে গেছে মুহুর্তেই ভয়ংকর সে অতীত ভাবনায়.... পাছে যে আমি আবার হারিয়ে যাবো মহা মুল্যবান আত্বসম্মান,ব্যক্তিত্ব নামক ইগো আর নিদারুন সেই অ ব হে লা য়.....

জান্নাত সুইমী

ছবি
  সম্পর্কের তিক্ততা       একটা সম্পর্ক যখন ভেঙে যায় তখন সেই মানুষ দুটোকেই সবাই দোষ দেই, কখনো খুঁজে দেখে না কেন ভেঙে গেল? একটা সম্পর্ক যখন জন্ম নেই ভালোবাসায় জন্ম দেয় মায়া,টান,যত্ন,আদর,সোহাগ, এতো কিছু জন্ম দেয়ার পরেও যখন আলাদা হয়ে যেতে হয় তখন সেই মানুষ দুটোই বোঝে তাদের ভেতরের যন্ত্রণা। আসলে সম্পর্কে যখন তিক্ততা চলে আসে ঠিক তখনি বিচ্ছেদের ঘন্টা বাজে, যতক্ষন পর্যন্ত তিক্ততা জন্ম না আসে ততক্ষন বিচ্ছেদের মত বিষয়টা ও আসেনা। কিন্তু কেন এই তিক্ততার জন্ম?? অবিশ্বাস,সন্দেহ,কেউ কাউকে সম্মান না দেয়া, কথায় কথায় গালিগালাজ করা, অযথায় হাতাহাতিমার সুইসাইড নাটক।  একে অন্যকে মেরে ফেলার চেষ্টা,  আরও কত কত কারণ তিক্ততার জন্ম দেয়, ফুলসজ্জার বিছানা থেকে শুরু করে ভালবাসার জন্ম। সেই বিছানা যখন আলাদা হতে বাধ্য করে তিক্ত কথার ভাজে থাকে ঘ্রিণার জোয়ার সেই তিক্ত সম্পর্ক আকড়ে ধরে কতক্ষন অভিনয় করে যাওয়া যায়?? সব সম্পর্ক কি অন্য একটা সম্পর্ককে আকড়ে ধরে বিচ্ছেদের কারন ঘটায়? কিন্তু না - সেটা শুধুই সন্দেহ থেকেই জন্ম নেয় সন্দেহের লেশ ধরেই অসম্মান অমর্যাদা অবহেলা গালিগালাজ মারধর মুর্খের মত আচরন, কালো যাদুর খেলা শুরু করা তী

মাহবুবা আখতার

ছবি
 চিন্ময়ী  এসো চিন্ময়ী, জোছনা কুড়িয়ে নিই দু'হাত ভরে,  জোছনার অলংকারে সাজিয়ে দেবো তোমাকে ভালোবেসে।  খোঁপায় দেবো রঙধনুর রঙ ঝলমলিয়ে উঠবে তোমার পৃথিবী।  চিন্ময়ী কোনো কালের সীমাবদ্ধতাকে মিলিয়ে নিয়োনা প্রিয়, ছোপ ছোপ কষ্টের দাগে ক্ষত-বিক্ষত হয়োনা, তাচ্ছিল্যে মাড়িয়ে দিয়ো অপূর্ণতার গোপন বাঁশির লয়। এসো চিন্ময়ী, শ্রাবণ আকাশকে ভালোবেসো ধুয়ে দেবে কষ্ট, হৃদয় পোড়ানো গন্ধ,অব্যক্ত ব্যথা। চিন্ময়ী প্রয়োজনে পুড়িয়ে তছনছ করে দেবে তাবৎ জল,স্থলভাগ,ঝলসে দেবেনা কখনো।  এসো চিন্ময়ী, সব পাখি ঘরে ফিরুক,সব পথ হোক অচেনা ক্লান্ত, নক্ষত্রেরা জ্বলে উঠুক নীল চাঁদোয়ায়,হোক জোছনার প্লাবন, শ্রাবণাকাশ প্রলয়ের তাণ্ডব খেলুক,  রাশিরাশি ফুল ফুটুক, সুবাস উন্মাতাল হোক।  নানন্দিকতায় ভরে উঠুক পুরো বসন্ত, বাতাস থেমে যাক, এসো চিন্ময়ী, এসো ভালোবাসার নৈবেদ্যে যজ্ঞ রাখি। তুমি হবে  হিরন্ময়ী প্রেম। আমি শুধু ব্যাকুল ভাঙচুরে তোমাকে ছুঁয়ে দেবো,তুমি  ভালোবাসার মোহন মোহরে সুশোভন শুশ্রূষায় ঋদ্ধ হও শর্তহীন সখ্যতায় তুমি নির্লোভ যোগী।

স্ত্রী কি শুধুই একজন স্ত্রী,

ছবি
স্ত্রী কি শুধুই একজন স্ত্রী ( প্রবন্ধ )   মোঃ হা‌বিবুর রহমান এ যেন এক অপূর্ব লীলা‌খেলা সৃ‌ষ্টিকর্তার। কোথাকার এক ছে‌লে আর কোথাকার এক মে‌য়ে জোড়া দি‌য়ে গ‌ড়ে‌ছে সংসার। হ‌'য়ে গে‌ছে যেন দুজ‌নে দুজনার। এ সম্পর্ক বা বন্ধন স‌ত্যিই মধুর ও স্বর্গীয়ও ব‌টে। পশু পা‌খি‌দের সংসার আনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে খুব একটা দৃশ্যমান না হ‌লেও কিন্তু সৃ‌ষ্টির সেরা জীব না‌মে খ্যাত মানু‌ষদের স্বামী-স্ত্রীদের ম‌ধ্যে এই সম্পর্ক বা স্বর্গীয় বন্ধনটি সারা বি‌শ্বেই ‌কিন্তু কম‌বেশী চালু বা বিদ্যমান আ‌ছে। আল্লাহ্পা‌কের কি এক অপূর্ব ম‌হিমায় এই বন্ধন‌টি টি‌কে থা‌কে একটানা বছ‌রের পর বছর, যু‌গের পর যুগ এমন‌কি আজীবন ও একদম আমৃত্যু পর্যন্ত। ‌ কি যেন এক অদ্ভূত আর অভূতপূর্ব এক মায়া আর মো‌হে দু‌টি ভিন্ন আর বিপরীত লি‌ঙ্গের স্বত্মা‌ধিকারী মানব-মানবী জু‌টি ক‌'রে ঘর বেঁধে সুন্দর সংসার সাজায়। আর অতঃপর তা‌দের উভ‌য়ের রক্ত দ্বারা সন্তান-সন্তানা‌দি ক‌লিজার টুকরার মত অ‌তি আদ‌রের পরম ধন জন্ম গ্রহ‌ণের পরপরই তা‌দের সম্প‌র্কের সেতুবন্ধন আরও দৃঢ় থে‌কে দৃঢ়তর হ‌য়। সৃ‌ষ্টিকর্তার এই দেওয়া বিধান স‌ত্যিই অপূর্ব!  অথচ, প‌রের ঘ‌রের মে‌য়ে এ‌সে‌ছে সম্

মিতা নুর

ছবি
  এক টুকরো নিশ্চুপ পাথর                        কি সুখ পেলে তুমি এমন করে...? আমি যে প্রতি মুহূর্তে পুড়ে ছাই হচ্ছি তোমার জন্য,  তবুও কোনোদিন তোমাকে অভিশাপ দেবোনা।  আমার প্রাণের ঘরে যে আগুন তুমি  জ্বালিয়ে দিলে!  ঐ আগুনে পুড়ে ছারখার হচ্ছে আমার কলিজা, যে কলিজায় তোমায় রেখেছি.....!  আমার খুব  ইচ্ছে ছিল !  তোমার আমার  স্বপ্নে  ঘেরা সংসার হবে,  সেখানে থাকবে ভালোবাসা পরিপূর্ণ...  আমার অধিক বিলাসিতার  ইচ্ছে ছিলো না,   ছিলো না টাকা পয়সার লোভ, আমি চেয়েছিলাম ভালোবেসে সুখী হতে। আজ সব আবেগের  কৌটা বন্ধ ঘরে  আটক হলো,  ভালোবাসা   জানালা দিয়ে পালিয়ে গেল,  আজ নিজেকে মনে হচ্ছে....  যেন হাজারো অভিযোগের ভীড়ে,আমি' এক টুকরো নিশ্চুপ পাথর !!

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
প্রতীপদর্শিনী নির্ভরতার আশ্রয়ে,  বিভীষিকাময় তপ্ত হৃদয়ে, সভ্যতার শৃঙ্খলে, বিমূর্ত এক নাম "নারী" ধ্বংসস্তপের মিছিলে,  ছেঁড়া মানচিত্রের বীরাঙ্গনা বেশে, কখনো তমু,কখনো বা নুসরাতের পাঁজর ভাঙ্গা আর্তনাদে অভিমানি এক প্রতিচ্ছবির নাম " নারী" প্রত্যাখানের বিষাদ অনুরাগে, ব্যাকরণের জটিল সমীকরণে, হত্যাযজ্ঞের তান্ডবলীলায়, ঘাত-প্রতিঘাতের বিচূর্ণ এক নাম "নারী" অসীম ব্যবধানে, সংকটের কংক্রিটে, মূমুর্ষু শহরের নাগরিক কোলাহলে, পুতুলরুপী আলোকসজ্জার নাম "নারী"। মিথ্যামায়াজালের গার্হস্থ্যনীতিতে, অবহেলিত কঙ্কাল মূর্তি অবয়বের আরেক নাম"নারী।  তীব্র দহনে দগ্ধ হয়েও যে জ্বলে উঠেছো দীপ্ত আহ্বানে, পুষ্পিত ভালোবাসায় সিক্ত ও ত্যাগের মহীমায় আলোকিত করেছো এই জগৎ সংসার,,,, সেই হলো মহীয়সী এক নারী। সমস্ত ব্যবধান  ভোলে আজ প্রজন্ম হোক সমতার,অধিকার পাক সমস্ত প্রতীপদর্শিনী।

নাসিমা জোহা চৌধুরী

ছবি
উৎকণ্ঠা     প্রিয়তম, মরুগোলাপ পামিরা পাঁপড়িশূন্য হয়ে —  মরাডালে লটকে আছে,  প্রজাপতিরা আজ পামিরা বিমুখ!  তুমিও কি পামিরার ভাগ্যবরন করতে যাচ্ছো? পামিরার পাখিরা ফেরেনি আর ; তুমিও কি পাখিশূন্য হতে যাচ্ছো?  বাজপাখি উড়ছে চক্রাকারে — সোল্লাসে মেতে ওঠে শকুন, শেয়াল।  বিহ্বল চিত্তে দিকবিদিক ছুটা হরিণশাবকের মতো ; তুমিও কি কেবল হারাচ্ছো পথ? প্রিয়তম,  'সময় গেলেে সাধন হয় না '

মাসুদ করিম

ছবি
ইতি    আর নয় অপেক্ষা নয় পথ চেয়ে থাকা,         আর নয় ভালোবাসা         নয় মিছে স্বপ্ন দেখা। আর নয় প্রেমের কথা নয় কোন মিছে আশা।         আর নয় রাত জাগা         নয় নিরবে অশ্রু ঝরা, আর নয় কবিতা নয় কোন গান শুনা।         আর নয় কাছে আশা         নয় আর ছবি আঁকা, ইতি টানলাম আজি হলাম শুন্য সব ঝেড়ে।         মিছে সব প্রেম,         মিছে ভালোবাসা।

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
গোলাপি মানুষ    হে ত্রিভুবনের মানুষ  ভাবিয়া করছোটা কি! দাঁড়িয়ে যাও একটু খানি দাঁড়িয়ে আছো যে ত্রিভুবনে। ভাববার সময় কি নি,তাকে নিয়ে, কি অপরাধ এই ত্রিভুবনের! ভাববার সময় কি নি তাকে নিয়ে? জীবনকে গড়ে তুলুন গোলাপের মতো সৌন্দর্য করে।।

মমতা রায় চৌধুরী'র

ছবি
  গল্প ' পরশপাথর' ( পবিত্র শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লেখা ) আজ দিশার মনটা চৈত্র মাসের মাটির মতো বুকফাটা চৌচির হয়ে গেছে। সে ভাবতে পারে নি তার সাথে এমনটি  হবে। আজকের দিনটা এমনিতেই দিশার কাছে ছিল খুবই স্পেশাল। আজ ৫ ই সেপ্টেম্বর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন। পবিত্র শিক্ষক দিবস। ভুলবেই বা কি করে? আজ তার জীবনে যা কিছু সবকিছুর মূলে রয়েছে তার সেই প্রাণপ্রিয়া শিক্ষিকার হাত। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে দিশা মাতৃত্বের স্বাদ খুঁজে পেয়েছে তার শিক্ষিকার মধ্যে। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে তার বাবা মেধাবী মেয়েটির পড়াশোনার জন্য খুবই আগ্রহী কিন্তু যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখনই তার বাবা মারা যায়। জেঠিমা জ্যাঠামশাই এর দয়া-দাক্ষিণ্যে লাথি-ঝাটা খেয়ে সে বড় হতে থাকে। তাই যেদিন অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য বিদ্যালয়ে আসে তখন তার কাছে বেশি টাকা ছিল না। জ্যাঠামশাই বলেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি কিছু কম করেন তাহলে মেয়েটি পড়াশোনা করতে পারে।  ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষিকারা শুনে বললেন -'পুরো টাকা না দিতে পারলে তো ভর্তি নেয়া যাবে না। তাছাড়া আজ বড়দি আসেন নি। তাই ভর্তি নেয়া হবে না। 'কথা শুনে জ্

সিদ্ধান্ত খুকু

ছবি
চেতাবনী ফাঁদ দূরের পাহাড় আমায় ডাকছে আবার-- চলো যাই আকাশের উচ্চতায়, কুয়াশার মতো মেঘ যেন ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায় ! চারপাশে বৃষ্টিস্নাত সবুজের হাতছানি, সময়ের বাঁশি বাজে চিরচেনা সুরে ! ভয় হয়---বেঁচে ফেরা হবে তো আবার ? জানো তো , ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘেও ডরায় ! ঝরনার উচ্ছলতা বিবাগী মন ছুঁয়ে দেয়, ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কোন সুখের মোহনায় ! তবুও আশায় বাঁচি-- সব প্রেমে তো আর তঞ্চকতা নেই ! দুচোখ স্বপন; ঢাকাই শাড়ি ললাটে সূর্য !

ফারজানা আফরোজ

ছবি
ক্ষনিকের অতিথি সৃষ্টি যেন স্রষ্টার পুতুল খেলা রাজ্যে,দেশে দুনিয়া জুড়ে পৃথিবীর এই রঙের মেলায় অভিনয় করি নতুন সব চিত্রনাট্যে। নাটাই বিহীন ঘুড়ির মত উড়ছি পৃথিবীর পথিক হয়ে হাঁটছি সবে অনেক হেঁটেও পথগুলো যেন অচেনা। কভু আশঙ্কায় কাটে জীবনের প্রতি ক্ষণ নিস্তব্ধতার ছন্দে,অদ্ভূত নীরবতায়, বাঁশরী সুর শোনা যায় সমীরনে। অতৃপ্ত মন নিয়ে হেঁটেছি ভ্রমের পথে জীবন পর্দায় কত যে ছবি অঙ্কিত। হঠাৎ স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায় নতুন স্বপ্নে হই পুনরায় বিভোর- তীর হারা তরীর মত ঘুরি হঠাৎ কখনো পেয়ে যাই কিনারা। ধূসর বর্ন  ফিরে পায় তার রং সময় বয়ে চলে আপন ধারায়। অতীত নীরবে বলে অচল হয়েছি আজ ভুলে গেছে সবে আমাকে অনেক দূরে আছি না ফেরার দেশে এ ভূবনে সৃষ্টির আশা যাওয়া চলে বারো মাস। আজকে যা স্মৃতি কালকে হবে তা ইতিহাস জোয়ার ভাটার নিত্য খেলা ধরনী মাঝে জীবনের রহস্যের চাবিকাঠি বিধাতার হাতে আমরা হলাম ক্ষনিকের অতিথি পৃথিবীর তরে।

রায়হান চৌধুরী

ছবি
  কাঠপেন্সিল আমি তো জানি এখানে বেশিদিন নয় মায়ার হিসাবনিকাশ, ভালোবাসার লেনদেন মুছে যাবে সব, হবে নিঃশেষ যেদিন আসবে জীবনের শেষ ট্রেন।  আমি জানি আমি এখানের নয় পথ হারিয়ে ফেলা পতিত মুসাফির, আমাকে ফিরতে হবে শেষ ট্রেনে যেখানে যাওয়ার কথা, যা চিরস্থির।  যাত্রাকালে মেখে দিও সুগন্ধি পরাগ জমা রেখো অযাচিত চোখের জল, যে মায়া আমি পাই নি কোনোকালে তা দেখাবে না যখন আমি নিষ্প্রাণ অচল।  কেউ নয় আপন, কেউ নয় পর যে আছে যেমন, যত প্রিয়জন জীবনের গল্পে দাঁড়ি বসলে, সব কিছু থেকে যাবে, সব কথা লেখা থাকবে শুধু আমার স্থান হবে অন্ধকার কবর।