পোস্টগুলি

জুলাই ১১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৮২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১৮২ এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা মমতা রায়চৌধুরী হেড এক্সামিনারের কাছে খাতা জমা দিয়ে সদ্য লু'তে ঝলসানো শরীরটাকে মনোজ ও রেখা টেনে টেনে বাড়িতে এনেছে। দরজাটা খুলতে যাবে ঠিক তখনই রেখার ফোনটা বেজে উঠলো। ব্যাগ হাতরে ফোনটা বের করবে সে মানসিকতাও নেই। অন্যদিকে দীর্ঘক্ষন মনোজ ও রেখাকে দেখতে না পেয়ে আদরের বাচ্চারা ঘিরে ধরেছে। রেখা জানতো বাড়ি ফিরে ওদের আদর-ভালোবাসা কে উপেক্ষা করে কখনোই ভেতরে যাওয়া সম্ভব নয় শুধু তাই নয় ওদের ভালোবাসার পরশ রেখাও মনে প্রানে মেখে নিতে চায় তাইতো ওদের জন্য  কিছু উপহার হিসেবে খাবার দেয়া র জন্য বিস্কুট কিনে এনেছিল। প্রথমে ওদেরকে আদর করে তারপর বিস্কিটগুলো খাইয়ে রেখা ভেতরে  ঢোকে। তখন ও  ফোন বেজে যাচ্ছে। মনোজ তো  তার আগেই ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে গেছে। ততক্ষণ রেখা ড্রইংরুমের সোফার উপর নিজের গা টাকে এলিয়ে দিয়েছে।   মনোজ এসে দেখছে রেখা চোখ বুজে আছে আর ঠিক তার পায়ের কাছে  তুতু বসে আছে। মনোজ বলল" কি গো? ওঠো  যাও ফ্রেশ হয়ে এসো।" রেখা বলল " হ্যাঁ ,যাবো,। একটু না বসেই ফ্রেস হয়ে চলে এলে,ঘামটা বসে গেছে না ,একটু শুকিয়ে নিয়ে যেতে পারতে। এই

Bdbbd

LOVE

Hhshsh

LOVE

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "সুখ"

ছবি
সুখ গোলাম মোস্তফা সুখেরা খুব দ্রুত সরে সরে যায় সরে সরে যায় ধরাশায়ী  সুখ খুব তাড়াতাড়ি সরে সরে যায়। সুখ পেলে শরীরটা আরো সুখ চায় অনেক বেশি সুখ পরাশ্রয়ী সুখের কামনা কেবল বেড়ে বেড়ে যায় সুখ পেলে শরীরটা আরো সুখ চায়। সুখ পেলে মনটা নদী হয়ে যায় সুখে সংগা বদলায় কচুরীপানা সুখ পেলে মনটা খরস্রোতা নদী হয়ে যায়। সুখ কেবল ফস্কে ফস্কে বাইরে যেতে থাকে, সুখ পেতে পেতে লোভ শরীর মন লোভী হয়ে ওঠে। অনেক অনেক লোভ অন্যর সুখ কেঁড়ে নিতে উদ্যত হয় লোক দেখানো স্বার্থপর সুখ পেতে পেতে শরীর মন লোভী হয়ে যায়। সুখ পেলে অবিরাম সুখের অসুখ দানা বাঁধে  অনেক অনেক অসুক মারনব্যাধি সুখের সব আয়োজন নষ্ট করে অসুখ আসে। সুখের আশাতে সব উপাদান নেই হয়ে যায় সুখের আশা তাই ভাল সুখের অসুখ বেশি সুখ সুখের আস্বাদ আস্বাদনে গিরে দিয়ে রাখে। বেশি বেশি সুখ অনেক বেশি অসুখের যোগানদার, অভাবে অভাবে সুখ আস্বাদন অভাবে অভাবে সুখের আস্বাদন অনেক অর্থবহ হয়।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান এর মুক্তগদ্য " সুপ্ত বাসনা"

ছবি
সুপ্ত বাসনা মোঃ হা‌বিবুর রহমান মানু‌ষের সারাজীব‌নের জমাকৃত সকল অতৃপ্ত ও অপূর্ণ ইচ্ছা বা বাসনার যে শত শত সুপ্ত পাহাড় পুঞ্জীভূত থা‌কে সেইগু‌লো বু‌ঝি পৌঢ় বয়‌সে এ‌সে মানু‌ষের ম‌নি‌কোঠায় বার বার কড়া নাড়‌তে থা‌কে।  অপূর্ণ এ ম‌নোবাসনাগু‌লি মানু‌ষের মানসপ‌টে আঠার মত ক‌রে সদা লে‌গে থা‌কে।  আবার মা‌ঝে মা‌ঝে এসব পর্বতপ্রমাণ সুপ্ত বাসনাগু‌লো বু‌ঝি হঠাৎ হঠাৎ-ই মাথাচাড়া দি‌য়ে উ‌ঠে ব‌লে 'হে মনটা তু‌মি কি জা‌নো না যে, তোমার অপূর্ণ বাসনাগু‌লো কিন্তু তোমার জীবদ্দশায়ই পু‌রা হ‌বেই হ‌বে ?  ম‌নের এ মা‌লিক এক বিশাল আশায় বুক বেঁ‌ধে তাই সাম‌য়িকভা‌বে য‌দিও তৃপ্ত হয় আর যারপরনাই পুল‌কিত হয় কিন্তু ভাল ক‌রেই সে শতভাগ নি‌শ্চিৎ হয় যে, এই পর্বতপ্রমাণ অপূর্ণ সমস্ত অতৃপ্ত বাসনাগু‌লোর সেলগু‌লো ই‌তোম‌ধ্যেই ম‌রে গে‌ছে এ‌বং এগু‌লো‌কে আর ক‌স্মিনকা‌লেও জীবন্ত করা সম্ভব নয়; ফ‌লে এই সকল অতৃপ্ত বাসনা তার জীবদ্দশায় তা আর পূরণ হওয়া কোন‌দিনই সম্ভব নয়। মানুষের জীবনকাল অ‌তীব ছোট হ‌লেও মানু‌ষের যে সকল আশাগু‌লো তা‌দের জীবদ্দশায় পূর‌ণ কর‌তে যে‌য়ে হঠাৎ ক‌রেই আশাহত হ‌য়ে‌ছে; সেই বুক ভরা সুপ্ত আশাগু‌লি পূর‌ণের কথা আজীবন