সুপ্ত বাসনা
মোঃ হাবিবুর রহমান
মানুষের সারাজীবনের জমাকৃত সকল অতৃপ্ত ও অপূর্ণ ইচ্ছা বা বাসনার যে শত শত সুপ্ত পাহাড় পুঞ্জীভূত থাকে সেইগুলো বুঝি পৌঢ় বয়সে এসে মানুষের মনিকোঠায় বার বার কড়া নাড়তে থাকে।
অপূর্ণ এ মনোবাসনাগুলি মানুষের মানসপটে আঠার মত করে সদা লেগে থাকে।
আবার মাঝে মাঝে এসব পর্বতপ্রমাণ সুপ্ত বাসনাগুলো বুঝি হঠাৎ হঠাৎ-ই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে বলে 'হে মনটা তুমি কি জানো না যে, তোমার অপূর্ণ বাসনাগুলো কিন্তু তোমার জীবদ্দশায়ই পুরা হবেই হবে ?
মনের এ মালিক এক বিশাল আশায় বুক বেঁধে তাই সাময়িকভাবে যদিও তৃপ্ত হয় আর যারপরনাই পুলকিত হয় কিন্তু ভাল করেই সে শতভাগ নিশ্চিৎ হয় যে, এই পর্বতপ্রমাণ অপূর্ণ সমস্ত অতৃপ্ত বাসনাগুলোর সেলগুলো ইতোমধ্যেই মরে গেছে এবং এগুলোকে আর কস্মিনকালেও জীবন্ত করা সম্ভব নয়; ফলে এই সকল অতৃপ্ত বাসনা তার জীবদ্দশায় তা আর পূরণ হওয়া কোনদিনই সম্ভব নয়।
মানুষের জীবনকাল অতীব ছোট হলেও মানুষের যে সকল আশাগুলো তাদের জীবদ্দশায় পূরণ করতে যেয়ে হঠাৎ করেই আশাহত হয়েছে; সেই বুক ভরা সুপ্ত আশাগুলি পূরণের কথা আজীবন কখনই তা ভোলে না বরং সেই অপূর্ণ আশাগুলোকে সত্ত্বর বাস্তবে রূপায়িত করার লক্ষ্যে তারা আজীবন মিথ্যা স্বপ্ন দেখতে দেখতে হয়ত একদিন অবলীলায় ওপারে পাড়ি জমিয়েই ক্ষান্ত হয়।
এভাবে হয়তবা পড়ন্তবেলার মানুষেরা এই অলীক স্বপ্ন নিয়ে খেলতে থাকে আর এই খেলাতেই শেষ জীবনের দিনগুলো তাদের মহাআনন্দে কেটে যায় আর সাঙ্গ হয় তাদের লীলাখেলা একদিন নিজের একদম অজান্তেই !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much