
জেনারেশন
অপূর্ব বিশ্লেষণ, এতো আমার জীবনের কথা, হ্যাঁ, কলেজ পাশ কোরে হটাৎ প্রফেসর দেখা দিলে রাস্তায়, সিগারেট অমনি মুখ থেকে পড়ে যেতো, ছেলে মেয়ে একসঙ্গে গুলি খেলেছি, ভাইবোন হারিকেনের আলোয় চিৎকার কোরে পড়াশুনা করেছি, পাঠশালাতে মাস্টারমশাই বেত দিয়ে মারতো যদি অঙ্ক ভুল হতো, বাড়ি এসে কিছুই বলতাম না, পাড়ার দাদারা কিছু অন্যায় করলে মারতো, বাড়িতে বলতাম না, বেশি সময় মাঠে খেলতাম, আজ আর মাঠটা নেই, দশতলা বাড়ি হোয়ে গেছে, পুকুরে ছিপ ফেলতাম, অনেক মাছ ধরতাম, পুকুরের মালিক এলে, জামা প্যান্ট সমেত পুকুরে জাপ মারতাম, ভোর চারটে উঠে দুই বন্ধু মিলে আম চুরি করতাম, মালিক বলতো কে? আমরা বলতাম তোর বাবারে, মালিক ভয়ে আলো নিভিয়ে দিতো, সেই গাছ ও মালিক ও নেই, বাড়ি হয়ে গেছে, পুকুরে বিনয় ও আমি দু ঘন্টা চান করতাম (বিনয় পাঁজা, মোহনবাগান ক্লাবের স্ট্রাইকার ছিলো ), বাড়ির পাশে জঙ্গল ছিলো, শিয়াল ডাকতো, স্কুল ছুটি দেবে না, এ কখনো হয়, সামান্য বৃষ্টি, সবাই মিলে সব বেঞ্চি জলে ভিজিয়ে দিতাম, হেডমাস্টার আসতো, মালি ঘন্টা বাজিয়ে দিতো, ছুটি ছুটি, আমাকে ভাড়া কোরে ক্রিকেট খেলতে নিয়ে যেতো অনেক ক্লাব, বন্ধুরা বাড়ি আসতো, চ আজ খেলা আছে, আমি হয়তো মাদুর পেতে পড়ছি, মাকে বল, মাসিমা আজ খেলা আছে, মাকে ভীষণ ভয় পেতাম, চার /পাঁচটা উইকেট বাঁধা ছিলো, কতো প্রাইজ, আজও আছে, হ্যাঁ, আমরাই শেষ জেনারেশন, বয়স্ক বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের সম্মান করেছি, আমরাই রেডিওতে BBC খবর ও গান শুনেছি, এখন আর ভেসে আসে না, আকাশবাণী, খবর বলছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, নমস্কার,