পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস ১১৪ পর্ব

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ১১৪ বি ব্লক এর ২৩ নম্বর মমতা রায় চৌধুরী সারারাত ছটফট করেছে রেখা ।কি যে ভেতরে একটা উত্তেজনা অনুভব করেছে ফোনটা আসার পর থেকে ।কে হতে পারে ?কে হতে পারে? এই ভাবনা বার বার মোচড় দিয়ে উঠেছে তার হৃদআকাশে । একবার এপাশ, একবার ও পাশ করেছে। একটু অবাক হল আবার মনোজ আজও এ ঘরে শুতে আসে নি। অথচ আগে বলতো রেখার পাশে না শুলে নাকি ওর ঘুমই আসে না।  চুলের গন্ধে ওকে নাকি আলাদা একটা মাদকতা এনে দিত। এসব অতীত রেখা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ।একটা সময় পর বোধহয়  এরকমই  হয়  ।দাম্পত্য জীবনের একঘেয়েমি দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। রেখার  ও মনোজের জীবনে তো আরও তাড়াতাড়ি চলে আসলো ।এর কারণ অবশ্যই আছে, তাদের মাঝে সেতুবন্ধন ঠিকঠাক হয়নি ।আজ যদি ওদের মাঝে এক নতুন অতিথি র আগমন হতো, তাহলে কি সব কিছু অন্যরকম হতো। নাকি তিথি এখনো মনোজের মন জুড়ে আছে ।কিছুটা সময় হয় তো রেখার সঙ্গে মোহাবিষ্ট হয়ে জড়িয়ে ছিল ।এজন্যই হয়তো তখন তিথি ছিল নিষ্ক্রিয় । আজ রেখা নিষ্ক্রিয় হতে  চলেছে ।এমনিতেও রেখাকে পছন্দ করে না শাশুড়ি, ননদ ।মনোজের একরাশ ভালোবাসা সবকিছু ভুলে গেছিল কিন্তু আজ যদি ও  মুখ ফিরিয়ে নেয় ,তাহলে রেখার ভালোবাসা

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১৩ স্বপ্নের জগত  মমতা রায়চৌধুরী ফোনটা বেশ কয়েকবার রিং হবার পরে ফোনটা ধরল রেখা। রিম্পা দি বলল'কোথায় থাকিস' জিনিয়াস'? রেখাকে উত্তর দেবার আগেই বলল শোন তোর সঙ্গে অনেক কথা আছে তবে যেটুকু বলার আগে সেটুকু বলি ,সেটা হল তোর লেখা গল্প পড়ে অন্য একজন সম্পাদক তোর ঠিকানা চাইছিল । তোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় লেখা পাঠানোর জন্য।  আসলে প্রথম লেখাটা তো আমার ঠিকানা থেকেই পাঠানো হয়েছিল ওই জন্য বোধহয় আমাকেই ফোনটা করেছেন।আমি কিন্তু হ্যাঁ বলে দিয়েছি। তুই কিন্তু না করতে পারবি না? 'সে তো বুঝতে পারলাম কিন্তু তুমি আমার নামটা হঠাৎ করে জিনিয়াস রাখলে কবে থেকে?' 'বা,বা তোকে জিনিয়াস না বলে উপায় আছে। তাই এই নামটা আমি খুব খুঁজে বুদ্ধি খাটিয়ে  পেলাম ।তোর সঙ্গে এখন এটা খুব যায় ।একগাল হেসে রিম্পা দি বলল। রেখার হাসিতে যেন জোছনা ঝরে পড়ে যত কালিমা সব ধুয়েমুছে চলে যায় কোথায়। 'তা বেশ বেশ জিনিয়াস নাম নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আরেকটা নাম হল সে তো ভালো কথা। তবে নামকরণটা সার্থক হবে  কিনা সেটা একবার ভেবে দেখতে পারতে? শেষ পর্যন্ত দেখো কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন এর মত

কবি শহিদ মিয়া বাহার এর কবিতা

ছবি
ওফেলিয়া গঙ্গা নিতল শহিদ মিয়া বাহার ওফেলিয়া হাতে, বল্লরী রাতে বেঁধেছ বাধন  হ‍্যামলেট নই তবু অকারণ মৌ- শিহরণ, জলে-আলোড়ন  পরিযায়ী চোখে চেয়ে চেয়ে দেখি  বসন্ত -ছায়ার বয়লার দহন।  আকাশ-কুঞ্জে কার  চারু চারু মুখে তার শালবন সঙ্গীত দোলে বাতাসের পলে পলে, ভৈরবী রাগ তুলে  বেজে উঠে বিকেলের একতারা মন হায় উচাটন--- নর্তকী চুলে চুলে  হাওয়ায় হাওয়ায় দোলে মৌতালী চোখের চৈতালী বন। কঙ্কন হাতে, নির্ঝর রাতে  বাজাও তোমার ভায়োলিন সুর কতদূর-- আর কতদূর--- আকাশ মেঘের সীমানা তাহার ? আঁধার যাহার  আরন‍্যক পথে, হেটে যেতে যেতে বন্ধ কপাট খুলে, মন্দিরা চোখ তুলে  কত তারে দেখাবো,কত তারে শেখাবো মেগাবাইট মনের সমুদ্র অতল,  আমি বার বার বহুবার  ছেঁকে ছেঁকে ছুঁয়েছি   তাহার গঙ্গা মোহনা নিতল ।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১৩ তম পর্ব  মনি জামান সন্ধ্যার একটু আগে গাড়ি জিকুদের বাড়ির গেটের সামনে এসে দাঁড়ালো,সবাই গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো।শুধু সাংবাদিক ফিরোজ নিজ বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলো,জিকু ডাকলো ফিরোজকে কোথায় যাচ্ছিস তুই,ফিরোজ বলল,আমার অনেক কাজ আছে জিকু এখন যায় কালকে এসে কথা বলবো বলেই ফিরোজ হাঁটতে শুরু করলো বাড়ির পথে। আজ ফিরোজের কেন জানি আসমার কথা বার বার মনে পড়ছে মোমেনা বেগমের অহঙ্কারী মনোভাব ফিরোজকে কেন জানি খুব ভাবাচ্ছে,প্রশ্ন জাগছে মনে আসমা মেয়েটা ভাল থাকবেতো?আবার এটাও ভাবছে ফিরোজ আসমাকে নিয়ে ভাবনা তার বোধহয় ঠিক হচ্ছেনা কারণ আসমা পরস্ত্রী। সকাল হলো আসমার মা বাবা এসেছে জামাইয়ের বাড়ি নাতি ছেলে দেখতে,কিন্তু বেয়াইন মোমেনা বেগম একবারও ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলো না এমন কি তাদের বসতেও বললো না।আসমা তার মা ও বাবাকে ডেকে ঘরে নিয়ে বসালো,নয়নকে এনে মায়ের কোলে দিয়ে বলল,মা তোমার নাতি,জিকু এসে শশুর শাশুড়িকে দেখে খুব খুশি হলো তারপর শশুর শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলো মা এবং আব্বা আপনারা কেমন আছেন,শশুর শাশুড়ি বলল,ভালো আছি বাবা তুমি কেমন আছো,জিকু বলল,ভালো আছি আমরা।  জিকুর শ

কবি সৈয়দ আহম্মদ আশেকী

ছবি
প্রথম প্রেমের শিরোনাম সৈয়দ আহম্মদ আশেকী বিরহের একেকটি সময়  কতো মহাকাল দীর্ঘ হয় সে টুকুন বিরহানলে প্রজ্জ্বলিত প্রেমিক জানে। সুখ সময়ের সজ্ঞা খুবই ছোট্র হয়, আঁভা ও সুবাস ছড়ায়ে যে ফুল ফোঁটে; কালো ভ্রমর ও রঙিন প্রজাপতির ডানার কম্পনে মাতুয়ারা করে কানন। ফুলের কোমল পাঁপড়িগুলো মনলোভা হারালে একদিন সুখ-মোহের গুঞ্জন ভাঙে,  আনন্দের মন্থন ফুরায়ে যায়। আমার কাননে তুমি মৌসুমী  ফাগুণ হয়ে এসেছিলে। অনিন্দ ভালোবাসার পরশে পরশে মৃদু-মৃদঙ্গে ছুঁয়েছিলে পাঁপড়িদ্বয়, এতো ভাবাবেগ! এতো মায়া-ব্যাকুলতায় আমার হৃদয় কমলে জাগালে চৈতন্য। কম্পন উঠেছিলো প্রতিটি লোমকূপে, দেহের আপাদমস্তক আরশিনগরে, মাইকোকন্ড্রিয়ার উষ্ণাঞ্চলে প্রাণানুভুতির কেতনে পুলকে পুলকে দোল উঠে। ভালোবাসার জন্য বহমান স্রোতধারায় স্নায়ূর প্রতিটি কোষে বিদ্যুতায়িত হয়, স্বর্গানুভুতির বিভোরে সুখের মলাটে আমি শিরোনামে লিখে দিলাম তোমার নাম। সময় গড়িয়ে যায় দিবস-যামির প্রহরে প্রহরে, কতকাল কতদিন চলে গেলো তুমিহীনা সে টুকুন আমি টের পাই ক্ষণে ক্ষণে, জীবনের অনেকটা পথ পার হয়েও হৃদয়ের একাকীত্বে আজও খুঁজি তোমাকে। পঁটে আঁকা ছবিটা শুধুই তোমার, তোমাকে কি করে ভুলবো বলো? তুমি ভালোবে

শামীমা আহমেদ  এর ধারাবাহিক উপন্যাস পার্ব ৬৩

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৬৩) শামীমা আহমেদ  সন্ধ্যার চা পর্ব শেষ করে গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে শায়লা নিজের ঘরে চলে এলো।নানান রকম খবরে কেমন যেন  মন বিষন্ন করা অনুভবে বিছানায় বসলো। ভাবনায় দুই বিপরীতমুখী মনের চলন! সারাদিন যেমন একটা অনন্য সুখের আবেশে ভেসেছিল এখন যেন ঠিক ততটাই  বেদনার সাগরে ভেসে চলা।সে জানে না এই ভেসে যাওয়া তাকে কতদূর নিবে।প্রতিটা মূহুর্তে শিহাবের অনুভুতি অনুভব তাকে আবেগী করে তুলছে আবার নোমান সাহেবের পিছুটান আশংকা হয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কেন জীবন আজ দুই দিকে দাঁড় করালো।নোমান সাহেব কেন এতদিন নীরব রইলেন?কেনইবা শায়লাকে আপন করে নেয়ার কোন আগ্রহই দেখাননি? শায়লাতো বয়সের ব্যবধানকে তুচ্ছ করেছিল।ভেবে ছিল মনটাই আসল। যদি তার সাথে মনের বন্ধন হয়ে যায় তবে আর বয়স কোন বাধা হবে না। তবে শায়লাকে নোমান সাহেবের বিয়ে করার প্রকৃত কারন যখন সে জেনেছে তখন তার প্রতি একরাশ ঘৃনাই জন্মেছে।মিথ্যে দিয়ে ঢেকেছে তার উদ্দেশ্য। দুজনার জীবনের শুরুটাই যদি এমন হয় তবে সেখানে আর কোন বিশ্বাস অবশিষ্ট থাকে না। বিয়ের পর তিনটি রাত তাদের একসাথে কাটলেও নোমান সাহেব কোন কিছুতেই এগিয়ে আসেননি। শায়লা বিছানার এক কোনায় একপাশ হয়ে