পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৩

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                              টানাপোড়েন (৩৩)                                         অজানা আতঙ্ক                                                     আ জ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। সকলে ঘরে ঘরে  মা লক্ষ্মীর আরাধনা করবে ,যাতে গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি শান্তি বজায় থাকে । রেখা গতকাল স্কুল থেকে ফেরার সময় একটু বৃষ্টিতে ভিজেছিল। মনে হচ্ছে গা টা সকাল থেকেই একটু ম্যাচ ম্যাচ করছে ,মাথা যন্ত্রণা করছে, জ্বর জ্বর ভাব। এসব উপেক্ষা করে লক্ষ্মী পূজার জোগাড়ে মেতে উঠেছে ।সকাল থেকে কাজ গুছিয়ে নিয়ে ,স্নান করে মা লক্ষ্মীর ভোগ রান্না করে ,তারপর পুজোয় বসেছে ।এর মধ্যে একবারও মনোজ কোন খোঁজ খবর নেয় নি। সারাক্ষণ ভেতরে ভেতরে দুশ্চিন্তা 'যেন একলা আকাশ থমকে গেছে কোন এক....।' পুজোর জোগাড় করছে বটে ,কিন্তু মনোজের জন্য খুব টেনশন হচ্ছে ।আজকাল ঘনঘন মনোজের ফোন আসে। যদিও কোনো কালে রেখা ফোনের ব্যাপারে কৌতুহলী হয় নি ।তবে আজকে একটা কথাতে রেখার মনে খটকা লেগেছে ।কি হতে পারে?  ম

সাফিয়া খন্দকার রেখা

ছবি
বাজপাখি ছুটে আসছে  ( কৃতজ্ঞতা রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, একটি লাইন কবিতার প্রয়োজনে ব্যবহার করেছি এই কবির )  ল্যাম্পপোস্টর মতো অনাদর আর হাহাকারে কাঁদছে উৎসবের বর্ণীল আয়োজন।  এখানে ওখানে বর্ণহীন নিষ্প্রভ সময় এখন। ঘুমন্ত মানুষ নয় বিপ্লবীর খুব প্রয়োজন আজ। মৃত্যুর মিছিলের পথ আগলে যে দাঁড়াতে পারেনা  সে আমৃত্যু ঘুমিয়ে থাকুক।  অন্ধকার ঠেলে দাঁড়ানো পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটির পোড়া গন্ধে কাঁদছে দূর্বাদল,  ওদের কান্না অবিকল তোমার আমার মতো। গনতন্ত্রের ভণ্ডামিতে সংবিধান ফিরে যেতে চাইছে বাহাত্তরে।  সেদিন আর দূরে নেই  বাজপাখির মতো ছুটে আসবে নতুন প্রজন্ম। ঘুমিয়ে থাকা মানুষেরা জড়ায়ু ঠেলে ভূমিষ্ঠ হবে অন্ধ সময় তাড়াতে।  গাঢ় সে সন্ধ্যায় জোৎস্না লুটোপুটি খাবে দ্রোহের উত্তাপে,  আমাদের কবর কিংবা চিতায় অলৌকিক মায়া ফেলবে  মানবতার দীর্ঘ মিছিলের ছায়া।  আদিগন্ত ফসলের ক্ষেত ছেড়ে পালাবে মাজড়া পোকার মতো জ্যান্ত মালিকানা।  মায়েরা পড়াতে ভুলে যাবে শিশুদের  " ভোর হলো দোর খোল  খুকুমণি ওঠোরে" শিশুরা তখন পড়ছে... আমাদের ধর্ম হবে ফসলের সুষম বণ্টন,  আমরা ফিরিয়ে এনেছি পৃথিবীর ভারসাম্য,  আমরা ছিড়েখুঁড়ে ফেলেছি ধর্ম নামের ম

জি,এম,লিটন

ছবি
কষ্টের জীবন হাজার সুখের পশরা সাজাই, দুঃখেই কাটে দিন। আঁধার,কালো পথেই দেখি, শুধু স্বপ্নগুলোই রঙ্গিন।  জীবন কাটে যুদ্ধ করে, বাস্তবতার সাথে--- সুখের ফেরিওয়ালা সাজি আমি, হাজার কষ্টের মাঝে। দিন চলে যায়,মাস চলে যায়, বছর আসে ঘুরে।  সুখ পাখিটা দেয়না দেখা--- থাকে অচিন পুরে।  জীবন চলার পথে আমার  আসে শুধু বাঁধা, যতই সামনে যাই এগিয়ে --- দেখি গোলকধাঁধা।  জীবন সংগ্রামে,মাঝেমাঝে --- পথ হারিয়ে ফেলি। তবুও,কষ্টটাকে বুকে চেপে, হাসি মুখেই চলি। জীবনের দুঃখ, দেখলে অনেকেই-- সামনে, আড়ালে হাসে সান্ত্বনাতো দেয় না কেউ, কেউ থাকেনা পাশে। তবুও জীবন যায়না থেমে, চলে অবিরাম।  কষ্টের জীবন কেটেই চলে--- পাইনা কোন দাম। তবুও জীবন সবার কাছে--- অমুল্য এক সম্পদ, জীবন ঘড়ির জং আসিলে, বাড়ে যে বিপদ।1 দেহের মাঝে থাকবে যতক্ষণ--- প্রাণেরই স্পন্দন।  প্রভুর মতে সাজিয়ে নিও--- তোমারই জীবন।  পাঁচ স্তম্ভে সাজালে কেউ--- আপনও ভুবন। সার্থক সদা জেন তুমি, মহিমান্বিত সেই জীবন।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"১৮

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                                                      উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                ( পর্ব ১৮ )  পরদিন সকাল থেকে সামিয়া একভাবে বমি করছে। বড় আপাকে কল করতেই চলে এলো বাসায় সৈকত কে বললো ডাক্তারের কথা সৈকত বললো- আমার আজ ভীষণ কাজের চাপ আপা আপনি যখন এসেছেন আপনিই বরং নিয়ে যান। বড় আপা বিকেলে নিয়ে গেলো ডাক্তারের চেম্বারে ডাক্তার দেখেই বললো জন্ডিস খুব বেশি  বিলোরবিন টেষ্ট করিয়ে ভর্তি করুন এখনই স্যালাাইন দিতে হবে। ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে,সৈকত কে সব বললো সৈকত-জন্ডিস হলে আা্বার ভর্তি হতে হয় নাকি আপা কিযে করেন আপনারা আমার বাসার রান্নাবান্না কে করবে। বড়আপা- বুয়া আছেনা আপাতত বুয়ার হাতে খাও আমি রাখছি। এভাবে তিনদিন গেলো বিলোরবিন এখনো তেমন একটা কমেনি সৈকত রাতে বাসায় ফিরে যাবার সময় দেখে যায় আর কা

শাহিদা ফেন্সী

ছবি
কবি কি তবে সত্য বলেছেন   বাঙলার মানচিত্র জুড়ে আজ নৃশংসতার দাবানল পুড়ে খাক হচ্ছে হরিকেল বঙ্গ পুন্ড্র গৌড় সমতট  নীল খুনে রঞ্জিত পলিমাটি থেকে রাজপথ  ফিরে এসেছে চেঙ্গিস বখতিয়ার পাবলো,গারাভিতোর দল  মানুষের ভয়ে মানুষ হবে বুঝি আবার গুহাবাসী  বিস্মিত ঘৃণায় তাকিয়ে দেখবে অবাক প্রাণীকুল!  আমার সাধের মাতৃভূমি আজ মাতৃহারা পিতৃত্বের পৌরুষ আজ বেহিসেবি উদ্ধত একরোখা  দিকে দিকে রাক্ষস-খোক্ষসের নখ দন্ত জ্বলজ্বলে জ্বলন্ত আজ রাষ্ট্রের অপর নাম হতাশা বিষাদ শোষণ ভয় আতংক ত্রিশ লক্ষ শহীদের ষাট লক্ষ চক্ষু হতে ঝরছে আক্ষেপাশ্রু  সাধের জীবন মোরা করেছি দান এ কোন সন্তানের জন্য।  নয় ড্রোন যুদ্ধ বিমান পারমাণবিক অস্ত্র ভূমিকম্প, চীন ভারত আমেরিকা রাশিয়া হামলা করেনি কোন জঙ্গিরা ঘটায় সিরিজ বোমা, আগুনে পুড়ে ছাঁই হয় গৃহ মানুষের ‘হাতে’ মানুষ মরছে সান্ত্বনা পাবো কেন?! অন্যায়ের এক হাত উঠলে কেন দশ হাত এক হয় প্রতিবাদের কণ্ঠ কেন তোমায় আমায় সাথে না পেয়ে  মাঠেই মারা যায়! মিথ্যা কেন অট্ট হাসে সত্য গুমরে মরে কবি কি তবে সত্য বলেছেন,সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে ?

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"১৪

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "                                                                  বনফুল                                                                  ( ১৪ তম পর্ব )                                                  জুঁ ই বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মার সাথে দুপুরের খাবার খেতে বসে অনেক গল্প করতে করতে ভাবলো এই সুযোগ, বাবা-মা দুজনেই আছে,এখনই প্রস্তাব টা....। যেমনটা ভাবা তেমনটা কাজ,সে বললো -  আমি আমার এক বন্ধুকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইছিলাম, তোমরা কি বলো?   ওয়াজেদ সাহেব মেয়ের দিকে তাকিয়ে একঝলক দেখে নিয়ে স্ত্রী মোনোয়ারা বেগমের দিকে তাকালো,তারপর  জুঁইকে বললো ঠিক আছে আগামী শুক্রবারে আসতে বলো। এবার জুঁই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো, খাওয়া শেষ করে জুঁই উপরে উঠে গেলো, ওয়াজেদ সাহেব স্ত্রীকে বললেন অনেক দিন ধরেই কিছু বলবে বলবে করে বলতে পারছিলনা।  ওর হাসি খুশি চলাফেরা দেখছিলাম তখনই আমার কিছু একটা মনে হচ্ছিল....,দেখা যাক, কি বলে!   মনোয়ারা বেগম ও বললেন আমারও তাই মনে হচ্ছিল,ও কিছু একটা

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৫

ছবি
                                                                  অলিখিত শর্ত  ( ৫ম পর্ব)                                                                        শায়লা শিহাব কথন                                                                         শামীমা আহমেদ                                          নী চতলার রুহি খালাম্মা এসেছেন।আজ বোধহয় একটু সুস্থ বোধ করছেন।নানান ধরণের রোগের বসতি নিয়েছে তার দেহে। রোগের নাম জানতে হলে ডাক্তারী পড়ুয়ারা শুধু তাকে জিজ্ঞেস করলেই অন্তত দশটা রোগের নাম অনুভুতি,উপসর্গ সহকারে বিস্তারিতভাবে জেনে যাবে, যা সে বহন করে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। ---ধরতে গেলে সম্পর্কে তিনি এখন শায়লার চাচী শাশুড়ি।সে নিজের দুই মেয়েকে সেই কোনকালে  বিয়ে দিয়ে বিদেশি জীবনে পাঠিয়ে  নিজেকে শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ মনে করছেন।এই বাড়িতেই একে একে দুটো মেয়ের বিয়ে দেয়া। পিঠাপিঠি দুটো বোন সবেমাত্র স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে।দু'বেণী ঝুলিয়ে শায়লাদের ছাদে তখনো এক্কাদোক্কা খেলে।শায়লার থেকে বয়সে  অনেক ছোট। ওদের মায়ের ধারণায় মেয়েদের বিয়ে দিতে দেরি করলে তাদের চোখমুখ  ফুটে যায়।কি হতে কি হয়! আবার কোন পছন্দের ছেলে

ফাহমিদা ইয়াসমিন ( ইংল্যান্ড )

ছবি
প্রীতির ঘুড়ি ডানে-বামে উড়ছে কতো নানা রঙের ফানুস এ সব কিছু দেখছি আমি কারণ আমি মানুষ দেখতে হবে চোখের সামনে বাবার নিথর লাশ একটু পরেই খাবার খেতে ফিরতে হবে পাশ চোখের সামনে ঘটবে কতো বাহারি ঘটনা আমায় নিয়ে কাছের মানুষও ছড়াবে রটনা তবুও ভালোবেসে উড়াতে হবে প্রীতিরঘুড়ি এই ভাবে ঠিক বাঁচতে হবে, গড়তে স্বপ্নপুরি।