পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৮, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নীলাচল চট্টরাজ

ছবি
সূক্ষ্ম শরীর   অনুভূতি -চৈতন্যস্পর্শেই পায় চেতনা  অতি সূক্ষ্ম অনুভূতি করে অনুপ্রবেশ  আকাশ থেকে প্রাণে  প্রাণ থেকে দেহে l  সত্তা ও জ্ঞান-আলোকিত হয় প্রাণ স্পন্দনে  পঞ্চভূতে উত্পত্তি হয় মায়াজাল l  উদ্ভাসিত হয় হয় -স্বতন্ত্র অস্তিত্ব l  উনিশ অবয়বে অনুগত সেই চৈতন্য জ্ঞানেন্দ্রিয় হয় অপরাজেয় -সৃষ্টির অলক্ষ্যে  সূক্ষ্ম শরীরে হয় প্রতিবিম্বিত  বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রতিচিত্রিত মহারূপ  মহা প্রলয়ের সৃষ্টি লীলা l  বিজ্ঞানময় , মনোময় ,প্রাণময়  বাসনাময় - জৈবিক আঁধারে - ওম্ ধ্বনি হয় - অনুরণিত l  পরমায়ু ভূতির উপাসনাস্থল l  মহা বিশ্বের অগোচরে - সৃষ্টিতেই লয় ;

ফাতেমা ইসরাত রেখা এর বিজয় দিবস উপলক্ষে লেখা গল্প

ছবি
  ছোটগল্প                            লাল সবুজের অন্তরালে                     দশ-এগারো বছরের কিশোর আদিব। মায়ের আঁচলের ছায়ায় বেড়ে উঠছিলো , বাবার ভালোবাসায় মুখরিত জীবন তার। হঠাৎ একদিন বাবা চলে গেলেন গভীর রাতে। ঘুম থেকে জেগে আদিব বাবাকে খুঁজে হয়রান।  মা বাবা কোথায়? আমাকে না বলে বাবা কোথায় গেলো?  তোমার বাবা মুক্তি আনতে গেছে সোনা, এত অবুঝ হইও না, মুক্তি নিয়ে ঠিক চলে আসবে।  মুক্তি কি মা? ওটা দিয়ে কি করে?  বাবা,তুমি এখনো ছোট ,অত কিছু বুঝবা না। তবে মুক্তি এলে আমরা আমাদের মতো চলতে পারবো, নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারবো, আমরা আর কারো হুকুমের গোলাম হয়ে থাকবো না। আমাদের অর্জিত সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।  এসব তুমি কি বলো মা? আমি তো কিছুই বুঝি না।  এখন তুমি এসব বুঝবে না। দেশ স্বাধীন হোক, তোমার বাবা ফিরে আসুক, তখন তোমাকে বাবা বুঝিয়ে বলবে, বলবে এই মুক্তির আন্দোলনের সব ইতিহাস।  দেশে মুক্তিযুদ্ধ বেঁধে গেছে। চারিদিকে থমথমে ভাব, যেন সব মানুষ হাসতে ভুলে গেছে, পাক বাহিনীর ভয়ে কাঁদতেও ভুলে গেছে। কিশোরী যুবতী মেয়েছেলে, বৌদের মধ্যে অন্যরকম এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। আস্তে আস্তে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে হানাদা

রীনা দাস

ছবি
এখন এখন প্রকৃতি তার রূপ,রং দিন দিন পাল্টায় সময় ও সময়ের সাথে  দিন,মাস বদলায় ৷ এখন বাতাস ভারী হয়  বোমা বারুদের গন্ধে দিনের আলো না নিভতেই নেমে আসে সন্ধ্যে ৷ এখন দূষণের দুঃসহ স্পর্দ্ধা বিস্মিত করে ধরণীকে সবুজের মিছিল থমকে দাঁড়ায় সন্ত্রাসীদের চাবুকে ৷ এখন প্রতিবাদ মাথা কুটে মরে প্রতিদিন প্রতি ঘরে তরুণ তরুণীরা স্বপ্নে বিভোর আক্রান্ত মোবাইল জ্বরে ৷ এখন সংকীর্ণতার ঘূর্ণীঝড়ে হাবুডুবু খায় মানবতা হৃদয় ভেঙে চুরমার হয় আঁতকে ওঠে নিরবতা ৷ এখন সভ্যতা প্রতি বছর দ্রুত গতিতে এগিয়ে উদ্ভিদ জগৎ দিন দিন যাচ্ছে নিরবে হারিয়ে ৷

সনাতন চৈতন্য

ছবি
মাটির নিকট ভূমিষ্ট লেখাগুলো  চরিত্র শব্দের ভেতর শুধু তুলসীপাতা থাকে এমন নয়। আপেক্ষিক তত্ত্বের নিহিত শক্তির নিকট মানুষের তৈরী কিছু মনুবাদ অথবা আরো পিচ্ছিল সরীসৃপ কিছু মতবাদ ছাড়া আর কি। তাতেই লাফালাফি শেয়ালের টগবগে কৌতূহল। সকল যন্ত্রণা কিছু আবেগ থেকে উৎলে উঠে মিশে যায় তরঙ্গে।  তরঙ্গ মিলে যায় অসীমান্তে। সীমান্ত অতিক্রম করে এক-একটি ধাপ নামলে উঠলে পা পিছলে না পড়া হাতির পায়ের সংখ্যা শূন্য।  এমন মাটির নিকট ভূমিষ্ট লেখাগুলো  জীবনচক্রের সংকট মোচন কিংবা রাগ মোচনের অন্তিমকালেও উঠে যেতে পারে পরিকার জল। জলের আপাত এই নিম্নগতিই চমকে উঠে বিদ্যুৎ  চলকে উঠে বিশল্যকরণী।  লাগাতর ভুল বলতে বলতে ভুল শব্দের প্রতিশব্দ হয়তো শুদ্ধতর হয়ে যায় গড্ডালিকায়। মাটির নিকট নিজস্ব ভুল রেখে  ভূমিষ্ট পতাকা বুকে রাখি। বুকের কার্ণিশে সামান্য চড়ুই অবিরত কোশল কিচিরমিচির শব্দ চরিত্রপুরাণ লেখে। কারো চরিত্রই তুলসীপাতা নয়। সুচতুর সকল শব্দের মতো এটাও আপেক্ষিক এক সমীকরণ মাত্র।  তথাপি অদূরেই সাইনবোর্ড টাঙিয়ে বুড়োটা বুড়োরা  লেখে জেলাসি উপাখ্যান। বুড়োদের রতিবেগ যদিও ভীমরতি বলে মাফ শব্দ আরোপ করা আছে তাও বুড়োশালিকের ঘাঢ় থেকে একদিন  উত্তোরী

মাসুমা সুইটি

ছবি
জলকেলি   দীঘির জলে গা ভিজিয়ে বেণীর আগল খুলে দিয়ে পদ্মানুরাগ মালা গেঁথে পরাবো তোমার গলে।   টিপটিপিয়ে বৃষ্টি নেমে পলাশ ডাঙায় নাইতে যেয়ে যতই আড়াল হওনা কেন নিবো জারুল তলে। মেঘ গুড় গুড় মেঘলা ডাকে রুমঝুম ঝুম শব্দযোগে কেয়াপাতার নৌকো গড়ে খেলব দুজন জলে।

নীলাঞ্জন কুমার

ছবি
সৎকার   না হয় সৎকার হোক নীরবে  নিজস্ব পুরীষ আপন খেয়ালে,  তারপর একদিন ফিরে আসুক  পবিত্র পুরুষ । পান্ঞ্চজন্য বাজিয়ে জানিয়ে দাও  সে সমাচার,  মানুষ জানুক  কিভাবে অবতরণ হয় মাহেন্দ্রক্ষণ । অশ্লেষা মঘা পেরিয়ে পেরিয়ে  তবেই তো উঠে আসে সারাৎসার ।

দেবীকা সেনগুপ্ত

ছবি
  অনন্ত বসন্   দুরন্ত বসন্ত, জাগ্রত অনন্ত আহ্বানে।    নব গুন্জরনে , আজি ফাগুনে ,    হৃদয় জুড়িয়ে,মন ভুলিয়ে, দিশা হারিয়ে।    নিজ মাধুরী মিশিয়ে, বিশ্ব ভূবন মাঝারে।    সকরুণ নিবিড় বেদনা , বনমাঝে ।    ঝরিয়ে পল্লবে , করুন বেদনা বাজে ।    তবুও ব্যাকুল হয়ে আকূল, আগত সৌরভে ,    শাখায়-শাখায় , মুকুল সাজায় , গৌরবে ।    দখিনা পবনের , সুঘ্রানে তার,     মনের দুয়ারে, তোলে ঝঙ্কার ।    আজি বসন্ত, অনন্ত এই ফাগুনে ,    নিদারুণ ভালোলাগার , উষ্ণ বাতায়নে ।    কতো কল্পনায় জাল বোনে,  মধুর আশায়,     অনন্ত বসন্তের, আগুন জ্বালানো ভালোবাসায় ।

দেবব্রত ভট্টাচার্য্য

ছবি
না পাওয়ার খতিয়ান    রদ্দুর নয় নয় তারাদের আলো  থাক  না নিকষ কালো  থাক না ব্যথার দিন - থাক না আমার তার ছিঁড়ে যাওয়া বীন।  থাক না নিথর প্রাণ  থাক না বিবশ হৃদয়ে ব্যথার গান।  অশ্রু না হয় থাক না দু চোখ ভরে  আগল থাকুক আমার আঁধার ঘরে  থাকুক তমসা নিশা  থাকুক সমুখে অসীম গহন দিশা।  ছিঁড়ুক পালের রশি  থাকুক কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী  থাকুক না ঝরা ফুল  থাক না পেছনে জীবন ভরানো ভুল।  থাকুক ভাটার টান  থাকুক জীবনে ক্ষতি ভরা ক্ষতিয়ান।  থাকুক সমুখে সঙ্গী বিহীন পথ  স্বপ্নে থাকুক দিবসের মহরত।  থাক না থাক না জীবনে জমাট কালো  রদ্দুর নয়, আঁধারই আমার ভালো।

সুশান্ত কুমার পাল

ছবি
রুমাল            রুমালের চতুর্দিকে ভরানো ছিল -কারুকার্যে,  প্রতিটি নকশায় ফুটে উঠেছিল  দেশীয়  শিক্ষা- সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট ---' রুমাল থেকে এক অদ্ভূত সুবাস ছড়িয়ে পরতো বিশ্বের কোনায় কোনায়- এই ঘ্রান নিতে এসেছে মৌমাছি ,প্রজাপতি------    তারপর যখন এল সারি সারি লাল পিঁপড়ের দল  -   রুমালের বিভিন্ন স্থানে- কারুকার্য  কেটে ছিঁড়ে    করে দিল একাকার- সংস্কৃতির সৌন্দর্য হল চূর্ণবিচূর্ণ ।    রুমালের বিভিন্ন স্থানে - এলোমেলো ভাবে কেটে-  কয়েকটা টুকরো বানিয়ে দিল।   শিক্ষা সংস্কৃতির কাটাছেঁড়া রূপ- বিচ্ছিন্ন টুকরোর বিভিন্ন-  স্থানে বিরাজমান।  সুন্দর সুবাসের পরিবর্তে -   রুমালের ছেঁড়া অংশ থেকে- বার হয় দুর্গন্ধ,    বিচ্ছিন্ন  রুমালে আজও  হানা দেয় লাল পিঁপড়ের দল।    আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়-  আরও টুকরো টুকরো করতে,   সংস্কৃতি মনস্ক মানবিকতা -       রুখে দেয় এই কু-প্রয়াস ।

রোজিনা রোজি

ছবি
স্বপ্নচারিনী আঁধার রাতে এক কাপ চা সাথে কিছুটা আবেগের ফোঁটা  খুব ঘন হচ্ছে বজ্রপাত, বৃষ্টির সাথে এসেছে প্রভাত ।  স্বপ্নের সাথে হয়েছে আলাপ, ভাল বাসায় বাসায় কেটে গেছে রাত ।  'স্বপ্নচারিণী তোমার ছোঁয়ায়  রঙিন স্বপ্ন বেঁধেছে আমায়'। বেঁধেছে আমায়  কাজল কালো আঁখি তোর  বেঁধেছে আমায় কিছুটা উত্তাপ যদি চলে আসে ভোর । সূর্যটা ঠিক উঠবে এখন  রাতকে জানানো হয়েছে বিদায়  সকালের সূর্য আমার হৃদয়টা কুঁড়েকুঁড়ে খায়  ভালবাসা এই বুঝি আমার জীবন থেকে  যায় হারিয়ে যায়।