০৮ ডিসেম্বর ২০২০

সনাতন চৈতন্য



মাটির নিকট ভূমিষ্ট লেখাগুলো 

চরিত্র শব্দের ভেতর শুধু তুলসীপাতা থাকে এমন নয়।

আপেক্ষিক তত্ত্বের নিহিত শক্তির নিকট

মানুষের তৈরী কিছু মনুবাদ অথবা আরো পিচ্ছিল সরীসৃপ কিছু মতবাদ ছাড়া আর কি।

তাতেই লাফালাফি শেয়ালের টগবগে কৌতূহল।

সকল যন্ত্রণা কিছু আবেগ থেকে উৎলে উঠে

মিশে যায় তরঙ্গে। 

তরঙ্গ মিলে যায় অসীমান্তে।

সীমান্ত অতিক্রম করে এক-একটি ধাপ নামলে উঠলে

পা পিছলে না পড়া হাতির পায়ের সংখ্যা শূন্য। 

এমন মাটির নিকট ভূমিষ্ট লেখাগুলো 

জীবনচক্রের সংকট মোচন কিংবা রাগ মোচনের অন্তিমকালেও

উঠে যেতে পারে পরিকার জল।

জলের আপাত এই নিম্নগতিই চমকে উঠে বিদ্যুৎ 

চলকে উঠে বিশল্যকরণী। 

লাগাতর ভুল বলতে বলতে

ভুল শব্দের প্রতিশব্দ হয়তো শুদ্ধতর হয়ে যায় গড্ডালিকায়।

মাটির নিকট নিজস্ব ভুল রেখে 

ভূমিষ্ট পতাকা বুকে রাখি।

বুকের কার্ণিশে সামান্য চড়ুই

অবিরত কোশল কিচিরমিচির শব্দ চরিত্রপুরাণ লেখে।

কারো চরিত্রই তুলসীপাতা নয়।

সুচতুর সকল শব্দের মতো এটাও

আপেক্ষিক এক সমীকরণ মাত্র। 

তথাপি অদূরেই সাইনবোর্ড টাঙিয়ে বুড়োটা বুড়োরা 

লেখে জেলাসি উপাখ্যান।

বুড়োদের রতিবেগ যদিও ভীমরতি বলে মাফ শব্দ আরোপ করা আছে

তাও বুড়োশালিকের ঘাঢ় থেকে একদিন 

উত্তোরীয় কেড়ে নিতে

আসছে নতুন ধারাপাত। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much