পোস্টগুলি

জুলাই ১৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি রুহানিয়াত জামান কাজরী এর কবিতা "সাতদুয়ারী সংসার"

ছবি
সাতদুয়ারী সংসার হয়তে কোনো  বৃষ্টিবেলায়, আকাশ কালো আঁধার ছুঁয়ে, আসবো ফিরে। আসবো আবার উঠোন জুড়ে  পুঁইমাচা বা রঙ্গনফুলে,শিউলি ডালে, আসবো ফিরে।  কোনো এক তপ্ত দুপুর ভীষণ তৃষায় বুকের বাগান খুড়তে গিয়ে, চাতক চোখের আকুল চাওয়ায় দিক হারাবে, ঠিক তখনই আমায় 'তাহার'পড়বে মনে, এই ই শুধু গোপন কথা কেউ জানেনা! চাতক চোখের তৃষ্ণা যেন আয়নামহল! তোমার আগে কেউ জানেনি,কেউ জানেনা।  তাইতো আমার ফিরে আসার ইচ্ছে জাগে, বৃষ্টি হয়ে ডাক পাঠানোর ইচ্ছে জাগে, ফুলের সভায় সোহাগ স্নান ইচ্ছে মাগে। হয়তো কোন সন্ধ্যা বেলায়,  ঘরের মায়ায় আসবো আবার, তখন কি  আর মানুষ হবো? আলু,পটল,পেঁয়াজ কিংবা পোস্তদানায়? সংসার যার সাতদুয়ারী,তাকেই বুঝি পায়  বাহানায় সেই বাহানার আঁচল গিঁটে আসবো ফিরে  আসবো আবার,ফিরবো জেনো জুঁই  ছলনায় সজনে শাখে কিংবা ধরো ছায়ারমতো থাকবো সাথে আসবো ফিরে......

কবি জামিল জাহাঙ্গীর এর কবিতা "কথাবিস্ফোরণ"

ছবি
কথাবিস্ফোরণ জামিল জাহাঙ্গীর  অনেকদিন দাঁতে চেপে চেপে রেখে কথারা এখন ভীষণ শক্ত পাথর হয়ে গেছে ইচ্ছে করলেই বলতে পারছি না জমি খুঁড়ে খুঁড়ে পুঁতে রাখছি বীজ শস্যসবুজ হয়ে উঠুক মাটি ভেদ করে কিছু কিছু কথা নিশ্চিত গ্রেনেড কোন কোন কথা ক্ষেপণাস্ত্র গেরিলার আক্রমণ হার মানে কথার কাছে এমন অনেক কথা চাপা পড়ে আছে অনেক দিন বুকে পুষে কিছু কথা এখন পাখির সাজে উড়ছে আকাশে হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে উদ্ভবে উদ্ভাসে অযুত নিযুত কথা সঙ্গোপন চাষে... কথা আছে নগ্ন সাধুর মুখে কাকের কণ্ঠ চেরা কোকিলের স্বরনালী কথা আছে ফিরোজিয়া ঝিলিমিলি প্রিয়নদী সোনাধান হাসিমুখো রূপশালী পারমাণবিক বোমার চাইতে বিধ্বংসী লক্ষ নাগাসাকি ধ্বংস করার মতো তেজস্ক্রিয় প্রমত্ত সিডরের চেয়ে কোটিগুন প্রলয়ঙ্করী শাদা শিমুল কথাগুলো এখন বলতে পারছি না ঠোঁটে আশ্চর্য ফেভিকল আঙুলে আঙ্গুলে শেকল নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে করারোপ বর্ণে বর্ণে বর্ণিল শোষণ পুঁতে রাখছি কথার করলিপি অক্ষরের মাইন তোমার পদাঘাত থেকেই শুরু হবে বিস্ফোরণ...

কবি শহিদ মিয়া বাহার এর কাবিতা "শ্রম ঘাম স্লোগান"

ছবি
শ্রম ঘাম স্লোগান শহিদ মিয়া বাহার একটি সাইরেন বাজলেই লুটেরা বাজিকর গিলে খায় ঘাম, ঘামের ভেতর লুকানো মেঘাতুর ভালবাসা-কাব‍্য, কমলামতি শ্রমের ক‍্যামেলিয়া, গোলাপ! হাতুড়ীকে চাঁদ ভেবে কিছু মানুষ-  জোৎস্নার কুঁড়ি ফোটায় চাঁদ-জোৎস্নার কুঁড়ি থেকে জন্ম নেয় বেগেনভিলার মত সুগন্ধি পূর্ণিমা---                      লোবান, বাসমতি প্রহর--! এভাবেই ঘাম থেকে ফুল, ফুল থেকে বিস্ত‍ৃত হয় গজমতি আলোর শিল্প-মূর্ছনা--- এভাবেই তারা ঘামের ফুল দিয়ে সরাদিন আলোর মালা গাঁথে  শ্রমভুক মেশিনের  বৈঠকখানায়--! বেলা শেষে একদল বাজিকর বণিক  সৌহার্দের অছিলায়  শরাবি ঠোটের ভাঁজে ঘামের গোলাপ ঢেলে দিয়ে পূর্ণিমার রোশনাই চেটেপুটে খায়! দারীদ্রতা তখন-  মুঠো-মুঠো প্রশ্নের জটিল প্রত্ন সাজিয়ে গোপন ঝর্ণার মত অলখ‍্যে ঝরায়  প্রিয়তম চোখেের ব‍্যাথামগ্ন বৃষ্টি -ঝুমুর! দু:খ-নিবিড় কর্নিয়া-রেটিনায়                   বিলাপ-সিক্ত মৃদঙ্গ হয়ে বাজে বারুদের মত মেটালিক স্লোগান!!!

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন 187

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৮৭ সমাধান মমতা রায় চৌধুরী রেখা রান্না ঘরের জানলা দিয়ে চৈতিদের বাড়িটা দেখছিল ,লোক না থাকলে বাড়িঘর এরকমই হয় কেমন খাঁ খাঁ করছে যেন ।হ্যাঁ ঐতো  ছাদে লম্বা করে দড়ি টানানো ,জামাকাপড় মিলানোর। ঝরে বাঁশের খুঁটি দুটো ভেঙে গেছে দড়ি ঝুলে পড়েছে। চৈতির মা বাড়ি থাকলে এরকম হতো? কোথা থেকে বাঁশ জোগাড় করে সঙ্গে সঙ্গে টানটান করে দড়ি টানানো  হয়ে যেত। তারপর সার সার লাইন দিয়ে জামাকাপড়ে মেলানো থাকতো  লোকজন কম থাকলেও কোথা থেকে খুঁজে খুঁজে জামা কাপড় বের করত কে জানে? রোজ জামাকাপড় কেচে পরিস্কার করার একটা বাতিক ছিল । পরিস্কারের বাতিক না শুচিবাই বলতে পারবো  না । রেখা এসব ভাবছে এমন সময় মনোজ হাঁক দেয় ', রেখা,রেখা, রেখা আ.আ.আ। রেখার  হঠাৎ চমক ভাঙ্গে, রান্নাঘরের জানালা থেকে সরে এসে দরজার কাছে এসে উঁকি  দিয়ে বলে" কি হয়েছে ?কি বলছ?" মনোজ তখন বেসিনের কাছে দাঁড়িয়ে  দাড়ি কাটছিল। তারপর সেভিং ব্রাশে আরেকটু সাবান লাগানোর সময় বলল' বলছি আমি তো অফিসে যাব। খাবার রেডি করেছো?" "খাবার তৈরি কিন্তু অফিস যাবে তুমি তো বলনি আমায় একবারও।" "অফিসে তো যাবই এ

কবি গুলজার হোসেন গরিব এর কবিতা "অবক্ষয়"

ছবি
অবক্ষয় গুলজার হোসেন গরিব  আমাদের অবক্ষয় রাস্তায় স্লোগানে জনসভা মজলিশে নেতা নেতৃত্ব বক্তায় সোশাল মিডিয়া জুড়ে সমাজের আয়নায়।  আমাদের অবক্ষয় রাষ্ট্রযন্ত্রে রাষ্ট্রিয় বিধানে  নৈতিক দায়িত্বে চিন্তায় সৃজনশীলতায় চলনে বলনে বিশ্বাসে উৎসব উদ্দীপনায়।  আমাদের অবক্ষয় ঘুমে ও জাগরণে আদেশ উপদেশ বোধে নীতি নৈতিকতায়  পারিবারিক শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যায়।  আমাদের অবক্ষয় কর্মে ধর্মে জ্ঞানে দিন দিন বেড়ে ওঠা যত্ন প্রেম ভালোবাসায়  সম্প্রীতির বাঁধনে কর্তাদের পরিকল্পনায়।