শ্রম ঘাম স্লোগান
শহিদ মিয়া বাহার
একটি সাইরেন বাজলেই লুটেরা বাজিকর গিলে খায় ঘাম,
ঘামের ভেতর লুকানো মেঘাতুর ভালবাসা-কাব্য,
কমলামতি শ্রমের ক্যামেলিয়া, গোলাপ!
হাতুড়ীকে চাঁদ ভেবে কিছু মানুষ-
জোৎস্নার কুঁড়ি ফোটায়
চাঁদ-জোৎস্নার কুঁড়ি থেকে জন্ম নেয় বেগেনভিলার মত সুগন্ধি পূর্ণিমা---
লোবান, বাসমতি প্রহর--!
এভাবেই ঘাম থেকে ফুল,
ফুল থেকে বিস্তৃত হয় গজমতি আলোর শিল্প-মূর্ছনা---
এভাবেই তারা ঘামের ফুল দিয়ে সরাদিন আলোর মালা গাঁথে
শ্রমভুক মেশিনের বৈঠকখানায়--!
বেলা শেষে একদল বাজিকর বণিক
সৌহার্দের অছিলায়
শরাবি ঠোটের ভাঁজে ঘামের গোলাপ ঢেলে দিয়ে
পূর্ণিমার রোশনাই চেটেপুটে খায়!
দারীদ্রতা তখন-
মুঠো-মুঠো প্রশ্নের জটিল প্রত্ন সাজিয়ে
গোপন ঝর্ণার মত অলখ্যে ঝরায়
প্রিয়তম চোখেের ব্যাথামগ্ন বৃষ্টি -ঝুমুর!
দু:খ-নিবিড় কর্নিয়া-রেটিনায়
বিলাপ-সিক্ত মৃদঙ্গ হয়ে বাজে
বারুদের মত মেটালিক স্লোগান!!!
অসাধারণ লেখা।
উত্তরমুছুনঅনবদ্য।
উত্তরমুছুনবাহ! কী চমৎকার শব্দবিন্যাস
উত্তরমুছুনঅসাাধারণ...ভাষাহীন আমি
উত্তরমুছুন.