পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা

ছবি
   এ কটা পাখির জন্য এই রাত   একটা পাখির জন্য এই রাত এই মাত্র হুইসেল বাজিয়ে যে বাসটি বেরিয়ে গেল অন্ধ দাঁড়কাক, অর্ধমৃত কাচের সিঁদুর আর নোংরা গলির খানাখন্দে পড়ে থাকা পানের পিক তার তোয়াক্কা করে না আসলে সব আলো কুরেকুরে  অন্ধকার গিলতে থাকে আর প্রতিটা অন্ধকারের গভীরে সকাল বিকেল সন্ধ্যে নিয়ম করে ফুঁসে ওঠে                 চিরন্তন দোজখ।

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
রক্তিম সূর্যের দেশ ধরেত্রির বুকে বিশ্ব মানচিত্রে আঁকা স্বাধীন এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। উন্নত শির লক্ষ প্রাণের স্মৃতিসৌধের স্বাধীন এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। বীর শহিদের আত্মত্যাগের শহিত মিনারের স্মৃতিস্তম্ভের এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। অমুর একুশ,৭১-এর ফাগুন রাঙা ফুল শিমুলের, শাপলা ঝিলের সজ্জিত এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। ইলশে মজা পান্তা ভাতের, বর্ষবরণ হাল খাতার, নবান্ন উৎসবের এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। মুক্ত বাতাসে উড়ন্ত লাল সবুজ পতাকার এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। ময়ুর পঙ্খী হাওয়ার পাল তোলার নৌকার নদীর দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। দোয়েলের মুখে মিষ্টি সুরের গানের এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। পূব আকাশে উদিত রক্তিম সূর্যের উজ্জ্বল রঙের এই দেশ, আমার প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

শামরুজ জবা

ছবি
দীর্ঘশ্বাস   পড়ে আছে আকাশ একা সীমানাহীন অন্ধকার, নীরব-নিথর মাটির বুকে শব্দবিহীন হাহাকার।  ব্যথার ফাঁদে বন্দিনী চাঁদ বুকের ভাঁজে দীর্ঘশ্বাস, সবুজ ঘিরে ফুল- ফসলে কুহেলিকার উপহাস।  ঝরছে পাতা শাখা থেকে কেউ রাখে সেই খবর, কত হাসি চোখের পাতায় কান্না জলে দেয় কবর।  এই পৃথিবী চলছে শুধুই স্বার্থবাদের ব্যঞ্জনায়, মহাকালটা সাঁতার কাটে রক্ত নদীর মোহনায়। যাচ্ছে তবু কালের চাকায় সময় ছুটে ঊর্ধ্বশ্বাস, নিঃসঙ্গতায় বুকের ভেতর আমার জমে দীর্ঘশ্বাস।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...   টানাপোড়েন ( ৫৫ ) সমানুভূতি 'আ.আ.আ. মেরে ফেলল'-পাশের বুলু জেঠিমাদের বাড়ি থেকে  চিৎকারটা আসছে। রেখা ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল। হন্তদন্ত হয়ে ছাদ থেকে নেমে এসে ডাকতে শুরু করলো,  'কাকিমা, কাকিমা ও কাকিমা?' কাকিমা রান্নাঘর থেকে গলা বাড়িয়ে বলল  'কি হল রে ননী।' রেখা বলল 'তুমি এখনো রান্নাঘরে?' কাকিমা বললেন  'আর বলিস না সাড়ে তিনটে বাজে। এখনো তো লক্ষী আসলো না?' রেখা বলল'তাই বলে তুমি এখন বাসন মাজতে বসবে?' কাকিমা বললেন'না মেজে উপায় আছে? সকাল হোলেই তো বাসনের দরকার হবে।' রেখা বলল ' তাহলে তুমি আমাকে বলতে পারতে?' কাকিমা বললেন'না ননী ,তোরা শ্বশুর বাড়িতে কত কাজ করিস। বাপের বাড়িতে এসে একটু রেস্ট নিবি না।' রেখা বলল  'যদি মেয়েরা বড় হয়ে মায়েদের কাজেই না লাগে ,তাহলে কি ভালো দেখায়?' কাকিমা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে  চিবুক  ধরে আদর করে বললেন  'লক্ষী মেয

এপার ওপার ইছামতী

ছবি
২৮ নভেম্বর  ২০২১ মহাবোধি সোসাইটি হলে  উদযাপিত হলো এপার ওপার ইছামতী পত্রিকা  শঙখ ঘোষ  সংখ্যার প্রকাশ অনুষ্ঠান।  প্রধান অতিথি ছিলেন কলকাতা  বিশ্ববিদ্যালয়ের  স্বনামধন্য  অধ্যাপক  ড. সনৎকুমার  নস্কর।  সভাপতিত্বে ছিলেন লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির  প্রতিষ্ঠাতা  চালক শ্রী সন্দীপ দত্ত  মহাশয়।  এবারের পত্রিকা  সংখ্যাটি ২০২১ বৈশাখ  ও শারদ যুগ্ম সংখ্যা। কবি শঙখ ঘোষ  সম্পর্কিত অজস্র  প্রবন্ধ এবং গল্প কবিতা আনমনে পর্যায়ের লেখায় সমৃদ্ধ। অনুষ্ঠান টিও অত্যন্ত মনোজ্ঞ ছিলো। মুখ্য সম্পাদক শ্রীমতী চৈতালী ব্রহ্মের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে  কবিতাপাঠ  আবৃত্তি গানে ভরে উঠেছিলো এই সন্ধ্যাটি।  পত্রিকাটি এরপর পাওয়া যাবে ধ্যানবিন্দু কলেজ স্ট্রীটে। এছাড়া এই ফোন নম্বরে ফোন করলে কলকাতা ও কলকাতার বাইরে কুরিয়ার ও হবে। 

আইরিন মনীষা

ছবি
নিঃসঙ্গতা  আজ কতদিন হয়ে গেলো  একাকীত্বের সাথে আমার নির্লিপ্ত বসবাস যেখানে ধুসর বিবর্ণ আকাশের হাতছানি  এভাবেই বেদনায় আশাহত অন্যায্য সহবাস।  রঙ্ধনুর সাত রঙ আজ বড়ই ফিকে যেখানে আর রাঙেনা আমার অধরা স্বপ্নের পালক, একসাথে পথ চলার সেই আকাঙখিত আশার প্রতীক্ষায় নিঃসঙ্গতার পথ চলায় আমিই আমার চালক।  নগ্ন পায়ে শিশিরের সাথে স্পর্শ  যেখানে ছিলে তোমার অবাধ বিচরণ,  বিমুগ্ধ নয়নে আমার হাত দুটি ধরে হাঁটতে শিহরণে যেথায় তোমাতেই চাইতাম বাঁচতে।  বাদল দিনের রিমঝিম ছান্দিক বারিধারায়  কি দারুণ এক সুখানুভুতি হাতছানি দিতো, যেথায় আমার আরাধ্য হারানো দিনের গান বাজতো গ্রামোফোনে যেথায় আমার মন কেড়ে নিতো। বসন্তের মাতাল সমীরণে সেই উদ্দীপনা  এখনো আমায় কাছে টানে একান্ত একাকীত্বে ভুলা কি যায় তারে মধুময় স্মৃতি মাখা ক্ষণ আমার নিঃসঙ্গতার সঙ্গী তব বিরহী বিস্মৃতির   সম্ভিতে।

bxcv

LOVE

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৩২

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"    বনফুল ৩২ পর্ব জুঁই বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মায়ের  সাথে ঘন্টা খানেক বসে কথাবার্তা বললো। ওয়াজেদ সাহেব মেয়ের খুশি দেখে ভিতরে ভিতরে নিজেও খুব খুশি হলেন । ঘড়িতে দশটা বাজতেই জুঁই ময়নাকে ডেকে বললো খাবার পরিবেশন কর।ময়না ওভেনে সব খাবার গরম করে পরিবেশন করে বললো আপা, খালাম্মা খালুকে নিয়ে টেবিলে আসেন।বাবা-মার সঙ্গে খাওয়া শেষ করে গুডনাইট বলে জুঁই উপরে উঠে গেলো।  নিজের কিছু কাজকর্ম সেরে পলাশকে ফোন করলো জুঁই। ওপাশ থেকে পলাশ বললো আই মিস ইউ..... জুঁই।  সেম টু ইউ...বলে  জুঁই বললো আজ আর বেশি কথা বলবো না, ঘুমাবো....।  আমি ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তুমি চিন্তা করতে তাই ভাবলাম ফোন দিয়ে ঘুমাতে যাই।  পলাশ বললো থ্যাংকস জুঁই, গুডনাইট। জুঁই ও বললো গুডনাইট।  ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে সৈকত। সব বন্ধু বান্ধবরা এসে ভীড়  করে মিষ্টি এবং অন্যান খাবার খেয়ে যে যার বাড়িতে চলে গেলো। বাড়িতে মেহমানরা থাকার কারনে সৈকত আর ফোন দিতে পারেনি অহনাকে। ভীড়  কমার সাথে সাথেই সৈকত নিজেন রুমে ঢুকে অহনাকে ফোন দিলো। স্য

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা-শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ২২) শামীমা আহমেদ  শায়লার সাথে পরিচয়ের পর থেকেই শিহাবের মনে কেমন যেন একটা পরিবর্তন হয়ে যায়।কোলাহল হৈ চৈ বন্ধু আড্ডা পার্টি কিছুতেই আর ভাললাগাটা আসেনা। নীরবতাই বেশি উপভোগ করে। কেমন যেন সঙ্গীহীন জীবনে একাকীত্বের কষ্টটা পেয়ে বসেছে।একটা না পাওয়া বোধের অনুভুতি সারাক্ষন  ভেতরে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। শিহাব বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে।হঠাৎ করে শায়লা যেন তার হৃদয়ের শান্ত দীঘিতে কিসের আলোড়ন তুলে দিলো! ঘুমন্ত মনটাকে জাগিয়ে তুললো। সে তো ছিল একরকম।সব স্মৃতি ঢেকে রেখে স্বাভাবিক জীবনে চলছিল। কিন্তু আজকাল ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলোও মনের অনুমতির কাছে ঘুরপাক খেতে থাকে।কতদিনের অভ্যস্ত জীবনযাপনে কেমন যেন পাল্টে যাওয়ার হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। দিনরাত্রি  অন্যরকম একটাভাবনায় ডুবে থাকা। যেখানে বারবার শায়লার মুখটাই ভেসে উঠে! ঘুরে ফিরে শায়লার কথাগুলোই কানে বাজে। রিশতিনার সাথে হাতে গোনা কিছু দিনের জীবনযাপন। রিশতিনার সবটুকু বুঝে উঠার আগেই সে হারিয়ে যায়।তারপর বহুদিন আর কোন মেয়েই তার ভাবনায় আসেনি।জীবনের উপর এমন ঝড় বয়ে যাবে তা কখনো শিহাব ভাবেনি।মা, ভাবীর শত চেষ্টাও তার মনকে ভুলাতে পারেনি।কিন্তু শায়লার

রাবেয়া পারভীন

ছবি
স্মৃতির জানালায়  ( ৫ ম পর্ব) মেয়েটি উচ্চকন্ঠে ডাকল, - বাবলু এই বাবলু ডাক শুনে একটি আট নয় বছরের ছেলে এসে ঘরে ঢুকল।ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বোঝা গেল ছেলেটি  মেয়েটির ভাই। কাছে এসে ছেলেটি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল   - কেন ডেকেছো আপা ? - কাজেম কো বলো আমাদের কে চা নাস্তা দিতে। -আচ্ছা বলে বলে ছেলেটি বেরিয়ে গেল। মাহতাবের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলল - আব্বা এলে যে আপনার কথা বলব,  আপনার নামটাই তো জানা হলোনা। আবার ঢোক গিলে মাহতাব -আমার নাম মাহতাব উদ্দীন।  - আমার নাম শবনম।  আপনি কোথায় থাকেন ?   -বকসীবাজার  মেসে থাকি। -গ্রাম থেকে এসেছেন বুঝি ? -হ্যাঁ  - কে কে আছেন  বাড়ীতে ? - বাবা  আর দুই বোন। -আর মা ?   - মা নেই ,  অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বলতে গিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো মাহতাবের। এতক্ষনে তাঁর মনে হলো বুকও বুঝি শুকিয়ে  যাচ্ছে। আস্তে  করে বলল -আমাকে  এক গ্লাস  পানি দিবেন ?  - এক্ষুনি আনছি। শবনম উঠে পানি আনতে গেল  এবং ফিরে এলো কাজের ছেলেটিকে সাথে  নিয়ে। ছেলেটির হাতে নাস্তার ট্রে। শবনম  ট্রে  টা নিজের হাতে নিয়ে মাহতাবের সামনে  টি টেবলের উপর রাখলো। কাজেম কে বলল  - কাজেম তুই শিপলু বাবলু কে  ডেকে নিয়ে  আয়