চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
৩২ পর্ব
জুঁই বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মায়ের সাথে ঘন্টা খানেক বসে কথাবার্তা বললো।
ওয়াজেদ সাহেব মেয়ের খুশি দেখে ভিতরে ভিতরে নিজেও খুব খুশি হলেন । ঘড়িতে দশটা বাজতেই জুঁই ময়নাকে ডেকে বললো খাবার পরিবেশন কর।ময়না ওভেনে সব খাবার গরম করে পরিবেশন করে বললো আপা, খালাম্মা খালুকে নিয়ে টেবিলে আসেন।বাবা-মার সঙ্গে খাওয়া শেষ করে গুডনাইট বলে জুঁই উপরে উঠে গেলো।
নিজের কিছু কাজকর্ম সেরে পলাশকে ফোন করলো জুঁই। ওপাশ থেকে পলাশ বললো আই মিস ইউ..... জুঁই।
সেম টু ইউ...বলে জুঁই বললো আজ আর বেশি কথা বলবো না, ঘুমাবো....।
আমি ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তুমি চিন্তা করতে তাই ভাবলাম ফোন দিয়ে ঘুমাতে যাই।
পলাশ বললো থ্যাংকস জুঁই, গুডনাইট।
জুঁই ও বললো গুডনাইট।
ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে সৈকত। সব বন্ধু বান্ধবরা এসে ভীড় করে মিষ্টি এবং অন্যান খাবার খেয়ে যে যার বাড়িতে চলে গেলো। বাড়িতে মেহমানরা থাকার কারনে সৈকত আর ফোন দিতে পারেনি অহনাকে। ভীড় কমার সাথে সাথেই সৈকত নিজেন রুমে ঢুকে অহনাকে ফোন দিলো। স্যরি অহনা, অনেকটা সময় ব্যস্ত থাকায় তোমাকে ফোন দিতে পারিনি।এইমাত্র বন্ধু বান্ধবরা গেছে, তাই তোমাকে ফোন দিতে পারছি।
অহনা বললো স্যরি বলার কিছু নেই।
সৈকত বললো দ্যাটস লাইকে এ গুডগার্ল।
অহনা বললো সারাদিন তোমার উপর অনেক ধকল গেছে এখন ঘুমাও। কালকে কথা হবে , গুডনাইট।
সৈকতেও গুডনাইট বলে ফোন কাটলো।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much