পোস্টগুলি

জানুয়ারী ২৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব ( ইংল্যান্ড)

ছবি
তোমাদেরকেও ঘৃণা  তোমাদের ঘৃণা থেকে শিখেছি  বেঁচে থাকার জন্য নতুন এক সংগ্রাম   তোমরা চেয়ে ছিলে তোমাদের ঘৃণা  আমাকে ময়লা নর্দমায় নিয়ে যাবে না, কখনো না-- এটা নিতান্তই ছিল তোমাদের ভুল ধারণা  তোমাদের ঘৃণা আমাকে নষ্ট করতে পারেনি  বরং আমার কলম শক্তিশালী করে তুলেছে। তোমাদের ফেলে দেওয়া থু থু থেকে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি তোমরা চেয়ে ছিলে তোমাদের থু থু  আমার শরীর, দুর্গন্ধে ভরে যাবে না,কখনো না---- এটা ছিল তোমাদের ভুল সিদ্ধান্ত  তোমাদের ফেলে দেওয়া থু থু  আমার শরীর স্পর্শ করেনি--- বরং আমার কলমকে সাহসী করে তুলেছে । তোমাদের পেতে রাখা কাঁটা থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি  তোমরা চেয়ে ছিলে --- তোমাদের পেতে রাখা কাঁটা  আমার বুকটা রক্তাক্ত করে দেবে না,কখনো না--- এটা ছিল তোমাদের ভুল হিসাব তোমাদের পেতে রাখা কাঁটায় আঘাত লাগেনি বরং কলমের বুক আরো শক্তিশালী করেছে।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
২৬শে জানুয়ারী বহু শহীদের রক্ত ঝরিয়ে, দূর করেছি ব্রিটিশ অধীনতা, প্রায় দু-শতকের লাঞ্ছনা,অত্যাচার এর, পরে পেয়েছি স্বাধীনতা। স্বাধীন হয়েই গড়তে পারিনি মোরা, নিজেদের শাসনব্যবস্থা, বাধ্য হয়েই শাসিত হচ্ছিলাম, ব্রিটিশ প্রবর্তিত ব্যবস্থায়। ১৯৫০ এর ২৬শে জানুয়ারীতে, শপথ নিয়েছি "আমরা, ভারতীয় জনগণ", গড়েছি দেশ সার্বভৌম, মানবো না কারো বারণ। নিজেদের শাসন নিজেরাই করবো, থাকবে না কোন ভেদাভেদ, প্রতিষ্ঠা করবো সাম্যের অধিকার, থাকবে সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ। ঐ দিনেতেই আমরা রচেছি ভারতীয় সংবিধান, সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে, আজ ও তা অম্লান। আধুনিক যুগের বিশ্ববাসী, বিস্ময়ে হতবাক, কৌতুহলী দৃষ্টি সর্বদাই তাদের, করেছে নির্বাক। শপথের সেই দিনটিকে মোরা, হৃদয়ে করেছি ধারণ, গণ প্রজাতন্ত্র দিবস রুপে পালন করি, "আমরা, ভারতীয় জনগণ"।

সঞ্জয় আচার্য

ছবি
অবয়বহীন হয়ে যাচ্ছি অবয়বহীন হয়ে যাচ্ছি আমি, অবয়বহীন হয়ে যাচ্ছে সবকিছু, খুব তাড়াতাড়ি মেঘের আড়াল থেকে সুপক্ক জ্যোৎস্নার মতো অবসরও। বাঁশির সুর বেয়ে হওয়ায় ঠেস দেওয়া রাখাল রোদভাঙা সকালের যৌথজীবন টুকু নিয়ে যাবে বলে দুটো গঞ্জের পাখিকে দিয়েছিল আমাদের শীতকাল। সেও নাকি শরীর ছাড়তে ছাড়তে ক্রমশঃ বিলীয়মান। ওখানে তাই ফাগুনের নিটোল দেহ বৃন্তে মিশে যাচ্ছে  মাঘের বোঁটায় চুপি চুপি রেখে যাওয়া আইবুড়ি টকস্বাদ, অথবা যে লাজুকি ভাষা শরীর ডুবিয়ে নিয়ে হেঁটে যাওয়া ভিজে বসনের মতো আদ্র করে রেখেছিল  রুদ্র জীবন। আবছায়া চোখে সেও দেখে গতকাল-- ক্ষীণ হতে হতে অবয়বহীন হয়ে গেল আমাদের এ পাড়ার ছোটো নদীটি আমাদের এ পাড়ার মেলামেশা শীতকাল টুকু।

প্রেমাংশু শ্রাবণ

ছবি
  রাত প্রহরীর কয়েকটি প্রশ্ন অনুভূতির আঁচলে মুড়ে তুলোট অন্ধকার, সোনার পালঙ্কে কাঁদে সুপ্ত সকাল।  মেঘলা আকাশের এলোকেশি দুরন্ত মেঘবালিকার চুলে লেগেছে বৈশাখী আয়োজন।  ইলশেগুঁড়ি আলোর মাঝে হিমেল পরশ,  মনের কালিমায় লাগে স্বপ্নপাপ মোচনের আগুন।  যায় বুঝি বেলা, বর্ষার আলতো ছোঁয়ার......  সে কেনো বোঝেনি?  হিমাদ্রীর বনবাসী মন, বিশ্রামহীন লাঙ্গল কাঁদে মাঠে।আহা,ফসলের গান,মুচকি হাসির ঘোমটা মাখা মুখ,  ভেজা পদ্যের গালে লেপটে থাকা একবিন্দু বর্ষাজল! সকাল গড়িয়ে দুপুর, মুক্তোর মতো জ্বলজ্বলে সাতরঙ..... --সে আসেনি বলে ভিজবো না? বিকেল হাসে ভেজা ঘাসের রঙে, বোধহীন সময়টাকে বাঁধতে ঘড়ির কাঁটায়  মনের আকালে কষ্টের বালিয়াড়ি.....  একাকী কাঁদছে সদ্য ফোটা কদম; মোহনায় বুদবুদ তোলে ইলশে স্বপ্ন। নীল টিপ ভিজে যায় অশ্রুজলে.... --সে খোঁজে নাকি, হিসাবের খাতা?  পোয়াতি জোছনায় সেরে স্নান, বর্ষার আদলে অবগাহন, অরাত্রিকার চোখে!কোথাকার বৈরাগী সুর হারিয়ে যায় --তাল,লয়,স্বপ্ন ছাড়িয়ে। মেঘের মতো মন, চোখ মুখ গুজে বালিশে  খোঁজে জোছনার রঙ।  কালবেলা বুঝি ভোর হয় ;সুর্যের ডাকে পাখিরা ওঠে এখনো ঘুম থেকে....  --সে বুঝি দেখিনি জোছনার রঙ?  ইকুয়েশন গুলো

সাবা সাবরিন

ছবি
  অসভ্যতার চারাগাছ সভ্যতার চাষ করতে গিয়ে, প্রকৃতির রাজ্য ধ্বংস করে, এ জনপদে লাগিয়েছ তোমরা অসভ্যতার চারাগাছ। প্রাকৃতিক থেকে হয়েছ তোমরা যান্ত্রিক। তোমাদের যান্ত্রিক পদচারণায় এ জনপদ এখন মুখরিত। এ জনপদে এখন শুধুই যান্ত্রিক কোলাহল। প্রচন্ড কোলাহল। তোমাদের যান্ত্রিক কোলাহলে বিরক্ত হয়ে শীতের পাখিরা এখন আর এ জনপদে আসে না। শকুনের দলও এ জনপদ ছেড়ে চলে গেছে অনেক দূরে। এ জনপদে এখন আর শৃগালের হুকা হুয়া ডাক শোনা যায় না। জোনাকিরাও এ জনপদ ছেড়ে চলে গেছে সুদূরে। মানুষের কোলাহলে এ জনপদ এখন আর মুখরিত হয় না। এ জনপদে এখন শুধুই যান্ত্রিক কোলাহল। প্রচন্ড কোলাহল। প্রকৃতির মাঝে, প্রকৃতির সাজে, প্রকৃতির রাজ্যে নারীর ছিল অবাধ বিচরণ। সেই নারীর স্বাধীনতা হরণ করে প্রকৃতি থেকে সৌন্দর্য কেড়ে নিয়েছ। নারীর পায়ে শৃঙ্খল পরিয়ে বিজয়ীর হাসি হেসেছ, অথচ তোমাদের দৃষ্টিতে শৃঙ্খল পরাতে ব্যর্থ হয়েছ। সভ্যতার আশায় অন্তরে অসভ্যতার চাষ করে তোমরা যে সমাজ পেয়েছ সেখানে মানুষ নেই সবাই যন্ত্র। এ জনপদে এখন শুধুই যান্ত্রিক কোলাহল। প্রচন্ড কোলাহল। সভ্যতার চাষ করতে গিয়ে, শত- সহস্র নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে, তোমরা কি পেয়েছ

সামসুজ জামান

ছবি
নেতাজীর গান  নেতাজী, নেতাজী, নেতাজী,  ছিলে সবার প্রিয় তুমি নেতাজী।  শিশুর মনে স্বপ্ন দিলে,  ভীরু মানুষকে তুমি  জাগালে,  প্রকৃত বীর তুমিই ছিলে,  নেতাজী।।  ভারতবাসীর চোখের জল মুছাতে,  অত্যাচারের চিহ্ন তাদের ঘোঁচাতে,  যে পথ নিলে কাটায় সে পথ ভরানো,  মুখে তবুও হাসি ছিল জড়ানো।  এগিয়ে গেলে বীরের মতো ধরলে মরণ বাজি।।  দিল্লি চলো, দিল্লি চলো-র মন্ত্রে ওই,  জনগণের মুখে দেখো ফুটছে খই। স্বাধীনতার বাণী দিয়ে আনলে বল  ভারতবাসী গাইল সুখে এগিয়ে চল।  দুর্বলতার আগল ঠেলে ছুটতে মানুষ রাজি।  স্বাধীনতার  ফুলে ফুলে ভরল দেশের সাজি।।                        ---------------

মনি জামান

ছবি
 এবার মানুষ হও পুরুষ   খুচরা পেটের ক্ষুধা নেই এবার পাইকাবী রেটে ছেড়ে দাও তোমার স্থুল পেটের দাবীর সবটুকু,সময়ের স্রোত অবিরাম চলছে স্বার্থ সংলাপ। বিবাহ নামের মলম চুক্তিতে বারবার আসতে হয় পোড়ামুখির,জানি কবুল খপ্পরে মায়ের অপমৃত্যুর দিন শেষ হবে না কোন দিন। আর কত যৌন সুখ নিয়ে বাঁচবে হে অসুর,ধর্মের নামে নরকযজ্ঞ চিতার  আগুন আর কত জ্বালবে। এখন গল্পের সময় নেই এবার এসো চুক্তিতে আমাকে কি ভাবে চাও,প্রেম ভালোবাসায় নাকি নির্যাতন যৌতুক অনুরাগ সম্পুরকে? নাকি শুধু প্রজন্ম চুক্তির দেন মোহরে। জীবন সংসার নামে বেশ্যার বেশভুষায় ছোট্ট ঘরটিতে আর কত সন্তর্পণে বিচরণ করবে,আর কত নির্যাতন মোহড়ায়। এবার মানুষ হও পুরুষ তুমি,এসো সংবিধান ধারায় একটি পাকা চুক্তির কাবিন নামা হোক। যেখানে আমি সর্বপরি তোমার "মা, আর একবার এসো মা মাটির দামেই আর একবার কেনো আমায় হে পুরুষ।

রেহানা রেখা

ছবি
ভাবনা দু'চোখ বেয়ে জল নেমে আসে যখন বিজনে ভাবি!  মিটাইনি আমি জীবনের যত শখ মিটাইনি কারো দাবী। বনে বনে বাদলের নিঝুম দুপুর কেনো তোলে  অবেলায় এই হৃদয়ে,বেদনার সুর। আমিতো চেয়েছি যেতে দ্বিধাহীন মনে সমুদ্রের পাড়েএক দেবদারু বনে, যেখানে নিবিড় শান্তির ছায়ার শয্যায়, কেনো যে বারবার  বাধা দেয় মোর হৃদয়ের আঙিনায়। আকাশ বাতাস ডাকে আমায় পখিরা বলে  ছুটে আয়, আমি চাই ছুটে যেতে কেবলই  মুক্ত সীমানায়। পাতাঝরা দিন বলেছে আমারে চেতনার জ্বলে অমৃত সূর্য আলো আবিরে নাচি, যতই আধাঁর ঢাকুন আমারে!  আমি আছি কেবল আমারই কাছাকাছি। অনেক গধূলি-ধুলো উড়ে যেতে দেখেছি বাতাসে, ঝরা পাতা, আরো কতো পাখি!  সেই পাখি আর ফিরে আসে নাই তবু কেনো স্মৃতি ভাই, ফিরে ফেরে আসে, পালক উড়ে পড়ে মোর হৃদয়ের ঘাসে।

হাবিবুর রহমান হাবিব

ছবি
ক‌বিতার আলাপন কাব‌্যময় জীবন এ এক অ‌বিচল প্রবচন, যে শব্দ পথ দেখা‌তে শেখায় না, তা কখ‌নো কাব‌্য হ‌তে পা‌রে না । তবু ব‌য়ে চ‌লে মেঘ রৌ‌দ্রের খেলা, এরই মা‌ঝে অ‌বিরাম চ‌লে ক‌বিতার আলাপন । এরা ম‌নে হয় মায়াভ‌স্কি ও নজরু‌লের ক‌বিতা প‌ড়ে না, শে‌ষের ক‌বিতা প‌ড়ে কিন্তু শর‌তের শ্রীকান্ত প‌ড়ে নাই, এখা‌নেই র‌বি ঠাকু‌রের ট্রে‌জে‌ডি, জাত,ধর্ম,শ্রেণি মারা‌তে পা‌রে নাই । জীবন‌কে খু‌জে পাওয়া যায় ম‌্যা‌ক্সিম গোর্কী‌তে, সুকান্ত জ্বে‌লে‌ছে ক‌বিতার মি‌ছি‌লে অ‌গ্নি‌শিখা, আমরা মে‌নে নি‌য়ে‌ছি ম‌্যা‌কেয়াভ‌্যা‌লির, আধু‌নিক রাজত‌ন্ত্রের রাষ্ট্র চিন্তা । ক‌বিরা যখন হ‌য়ে যায় বু‌দ্ধিজী‌বি, তখন শ্রেণিহীন বু‌দ্ধিজী‌বি হ‌য়ে যায় রা‌ষ্ট্রের দালাল । ক‌বিতা,শিল্প, সা‌হিত‌্য প‌ড়ে থাক ময়লার চৌবাচ্চায়, পদক,পুরস্কার,শ্রেষ্ঠত্ব আমা‌দের চাই -ই-চাই ।

ফরমান সেখ

ছবি
বন্ধু মানেই বন্ধু মানেই,   দুয়ার খোলা     মনের থেকে মন, বন্ধ মানেই,   নাইকো বিপদ       মস্ত আপনজন। বন্ধু মানেই,   ভালোবাসা      অন্তরে অন্তরে, বন্ধু মানেই,   মাদাত পাওয়া       সকল প্রান্তরে। বন্ধু মানেই,   হাসি-খুশী     ব্যাথা ভুলার যন্ত্র, বন্ধু মানেই,    সকল কাজে        পরামর্শের মন্ত্র। বন্ধু মানেই,   এক্কাগাড়ি     মুক্ত মনের পথিক, বন্ধু মানেই,   হাজার বায়না       নানা রকম গতিক। বন্ধু মানেই,   বুকের সাহস       আস্ত মনের বল। বন্ধু মানেই,   পাগলামি আর-       গোপাল ভাঁড়ের দল। বন্ধু মানেই,  গল্প-আড্ডা   সকাল-বিকাল-সাঁঝে, বন্ধু মানেই,  মুক্ত ভাষা     যুক্ত সকল কাজে। বন্ধু মানেই,   আকাশ-পাতাল        সুখ নদীর ঢেও-- বন্ধু মানেই,   পাগলা-হাওয়া      মনের মানুষ কেও।।