রাত প্রহরীর কয়েকটি প্রশ্ন
অনুভূতির আঁচলে মুড়ে তুলোট অন্ধকার, সোনার পালঙ্কে কাঁদে সুপ্ত সকাল।
মেঘলা আকাশের এলোকেশি দুরন্ত মেঘবালিকার চুলে লেগেছে বৈশাখী আয়োজন।
ইলশেগুঁড়ি আলোর মাঝে হিমেল পরশ,
মনের কালিমায় লাগে স্বপ্নপাপ মোচনের আগুন।
যায় বুঝি বেলা, বর্ষার আলতো ছোঁয়ার......
সে কেনো বোঝেনি?
হিমাদ্রীর বনবাসী মন, বিশ্রামহীন লাঙ্গল কাঁদে মাঠে।আহা,ফসলের গান,মুচকি হাসির ঘোমটা মাখা মুখ,
ভেজা পদ্যের গালে লেপটে থাকা একবিন্দু বর্ষাজল!
সকাল গড়িয়ে দুপুর, মুক্তোর মতো জ্বলজ্বলে সাতরঙ.....
--সে আসেনি বলে ভিজবো না?
বিকেল হাসে ভেজা ঘাসের রঙে, বোধহীন সময়টাকে বাঁধতে ঘড়ির কাঁটায়
মনের আকালে কষ্টের বালিয়াড়ি.....
একাকী কাঁদছে সদ্য ফোটা কদম;
মোহনায় বুদবুদ তোলে ইলশে স্বপ্ন। নীল টিপ ভিজে যায় অশ্রুজলে....
--সে খোঁজে নাকি, হিসাবের খাতা?
পোয়াতি জোছনায় সেরে স্নান, বর্ষার আদলে অবগাহন, অরাত্রিকার চোখে!কোথাকার বৈরাগী সুর হারিয়ে যায় --তাল,লয়,স্বপ্ন ছাড়িয়ে।
মেঘের মতো মন, চোখ মুখ গুজে বালিশে
খোঁজে জোছনার রঙ।
কালবেলা বুঝি ভোর হয় ;সুর্যের ডাকে পাখিরা ওঠে এখনো ঘুম থেকে....
--সে বুঝি দেখিনি জোছনার রঙ?
ইকুয়েশন গুলো খুঁজে ফেরে জটিল ব্যাখ্যা।
ফাইল বন্দি লেখনির ভিড়ে ধুলোপড়া সমাধান!
রাতের আঁধারে ফাঁসি হয় বোধের প্রহরীর
মিথ্যার জয়ে হাসে ফণা তোলা বাস্তব.....
--সে চোখ কি অন্ধ হয়ে গেছে?
ডাস্টবিনে শুকনো মুখ, সুখের অসুখে জটিল জন্ডিস।
হলদেটে চোখ, ভাসা-ভাসা মুখ---বন্ধ বিবেকের বাসি ভবিষ্যৎ....ফেলে আসা রাত
কেটে যাওয়া দিন
গড়াচ্ছে হালের বলদ
ফেরিওয়ালার কাঁধে.....
---সে বোধ অনুভবহীন?
মায়াবী আলো, স্বপ্নের গোটা গোটা অক্ষরে প্রেমের চিঠি।
মৃত স্বপ্নের মতো এক শিশি ড্রাগ!তুমি নেই তাই পৃথিবীটা কালো,প্রেমের নদীতে আজ হাঙরের চাষাবাদ!
নীল কষ্টের আঁচলে কাঁদে টুকরো সুখ.....
--সে ভাসেনি স্বপ্নের নোনাজলে?
নির্বাক গন্ধ ওড়ে হাওয়ায়, মর্গের ষ্ট্রেচার থেকে।
চোখের কোণে লেগে থাকা শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুজল!
বেওয়ারিশ হয়ে শুয়ে থাকা ওয়ারিশের সাদা কাপনে
বুকের ক্যানভাসে আঁকা তার মানুষ নামের সার্টিফিকেট।
ছোট ছোপ ছোপ রক্ত কণিকা ;
পাজড় মগজ আর স্মৃতি....
--সে কি শ্রেণীহীন সমাজের বুকে?