পোস্টগুলি

এপ্রিল ১১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫০

ছবি
লেখকের এই ধারাবাহিকতাকে কুর্নিশ জানাই । স্বপ্নসিঁড়   সাহিত্য পত্রিকা 'র পক্ষ হতে আপনাকে হার্দিক অভিনন্দন ।  ১৫০ তম দিন  । উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫০ টান মমতা রায় চৌধুরী রেখার হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায় কোনরকমে হাত ঘড়িটা হাতরে হাতরে নিয়ে টাইম টা দেখে সাড়ে চারটে বাজে । মনে মনে ভাবছে, মনোজকে কি ডাকবে? না ,ডেকেও কোন লাভ নেই। ওর ঘুম হচ্ছে কুম্ভ কর্ণের ঘুম। অসময়ের ডাকে আরো কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। বরং ও একটু ঘুমোক তারপরে নয় ডাকব। এই বলে রেখাও পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ" জয় গনেশ, জয় গনেশ, জয় গনেশ দেবা। রেখার কানে আওয়াজটা গেল কিন্তু গুরুত্ব দিলো না তারপর আবার কলিং বেল বেজে ওঠে, জয় গনেশ জয় গনেশ জয় গনেশ দেবা ।প্রথমে রেখা ভাবছিল স্বপ্ন দেখছে। পরে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে , কান খাড়া করে শুনছে, না এ তো বাস্তব স্বপ্ন নয়   ।এ বাবা মাসি এসে গেছে। কত বেলা হয়ে গেছে ।মনোজকে ধাক্কা দিয়ে দু চারটে কিল মেরে দিল। মনোজ তো বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলল' কি করছো তুমি?' "কি করছি মানে ?তোমার জন্য আজকে আমার দেরি হয়ে গেছে?' 'মানে?' "মানে মাসি এসে গ

কবি শেখ রাসেল এর কবিতা "বলি শোন"

ছবি
বলি শোন  শেখ রাসেল  বলি ঐ শোনরে জালিম               দম্ভ মিছে বক্ষ জুড়ে,  যদি চায় ফেলবে তোকে              স্রষ্টা তবে গগণ ফুঁড়ে।  মুখে যাঁর ঈমান তব            আল্লাহ নাম শক্তি ভরা, যাবে কি দমন কথায়             অগ্নি নামের দগ্ধ খরা। বলি ঐ শোনরে কাফের            ঈমান ভিতে রক্ত তাজা, দলি তোর কপাল জুড়ে         নেশায় গিলা তিক্ত গাঁজা।  কেন তোর হুঁশ থাকিতে               এই ধরাতে রুষ্ঠ বীণা, চেয়ে দেখ বিশ্ব বাসির                কন্ঠে তব তিক্ত ঘৃণা।  বলি ঐ শোনরে বেকুব              তুচ্ছ কেন বাক্যে নারী, তবে তোর জন্ম মিছে         গর্ভে যেজন ধরছে তারি। চোখে তোর নগ্ন ধূলায়                মূর্তি আঁকা প্রতিচ্ছবি,  দেখে মন আঁতকে উঠাস             আল্লাহু নাম দীপ্ত রবী।

কবি মিতা নূর এর কবিতা "মা'গো তোমার হাসিতে জান্নাত

ছবি
মা'গো তোমার হাসিতে জান্নাত    মিতা নূর  স্বার্থপর এই পৃথিবীতে, সবাই সবাইকে ছেড়ে চলে যায়,  সবাই সবাই'কে  যায় ভুলে। শত আঘাত শত ব্যথা পেয়েও  শুধু একজনই আঁকড়ে ধরে রাখে  পাঁজরের পাঁজর করে,দেয়না ছুড়ে ফেলে। মৃত্যু'কে করে জয় যে দিয়েছে জান।   সে তো আমার মা, আমার জননী,  এই ভুবনে মাগো  অসীম তোমার  দান। যতই দুঃখ আসুন, আসুক  তুফান,  মা'গো বলে জড়িয়ে ধরলে জুড়ায় আমার প্রাণ। মা'গো গুটি গুটি হাত ধরে শিখিয়েছ পথ চলতে। শিখিয়েছ হোটচ খেয়েও উঠে দাঁড়াতে,  শিখিয়েছো দুঃখ পেলেও হাসি মুখে কথা বলতে। মা'গো তুমিই আমার বড়ো শিক্ষক,  শিখিয়েছ আমায় কঠিন জীবন গড়তে।  মা আমার মা- কতো মধুর ডাক,  তুমিই আমার সব, অল্প থেকে অনেক।  মা'গো খোদার পরে  তোমার আসন,  আসমানের সমান। মা'গো পাপী আমি,করিও আমায় ক্ষমা। তুমি আমার মা'জননী, তুমি আমার-মা, অজান্তে,কতই না দিয়েছি তোমায় আঘাত।  তোমার কান্নায় মা'গো আরশ উঠে কেঁপে,  মা'গো- তোমার হাসিতে জান্নাত। ১০/০৪/২০২২--ইং-- রাতঃ--১০ঃ৩৪,

শামীমা আহমেদএর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮৬

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮৬) শামীমা আহমেদ   শিহাব তার বাইক ছুটিয়ে ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালের দিকে চলছে। উত্তরা থেকে চার চারটি ট্রাফিক সিগন্যাল পেরিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে তার প্রায় দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। ব্যস্ত শহরের ব্যস্ততায় চলাচল করা গাড়িগুলোর ট্রাফিক সিগন্যালে বসে থাকা যেন এক ভয়াবহ শাস্তি। ভেতরে উৎকন্ঠা  নিয়ে শিহাব হাসপাতালের গেটে এসে বাইক থামালো।বাইক পার্কিংএর জায়গায়  শিহাবের  জন্য তার বাবা দাঁড়িয়ে আছে।শিহাব দেখলো,বাবার চোখে মুখে থমথমে ভাব।প্রায় কেঁদে দেয়া অবস্থা। যেন সে তার কোন ভুলের জন্য ছেলের কাছে ক্ষমা চাইছে। শিহাব খুব ভালো করেই জানে, আরাফ এই পরিবারের সবচেয়ে মূল্যবান  সম্পদ।শিহাবের বাবা মা ভাই ভাবী সবাই আরাফকে অতি যত্নে আদর ভালোবাসায় বড় করে তুলছে। দূরে থেকেও শিহাব যেন নিশ্চিন্ত থাকতে পারে সে ব্যাপারে সবার সজাগ দৃষ্টি ছিল।কিন্তু কিভাবে কি হয়ে গেলো!  সবাই যেন অপরাধ বোধে ভুগছে।শিহাব  তার বাবাকে সান্ত্বনা  দিয়ে বাবার হাত ধরে লিফটে তিনতলায় উঠে গেলো।তিনশ চার নম্বর কেবিনে আরাফকে রাখা হয়েছে। কেবিনে ঢুকতেই দেখা গেলো মা ভাবী আরাফের বিছানায় ওর মাথার পাশে

কবি শক্তি অধিকারী এর কবিতা "এলোমেলো আজকে ভীষণ তুই"

ছবি
এলোমেলো আজকে ভীষণ তুই শক্তি অধিকারী           এলোমেলো আজকে ভীষণ তুই... হয়তো মনে বইছে ঝোড়ো হাওয়া ! পারবি কি তুই ভিরতে খেয়াঘাটে ? উজানস্রোত কঠিন বড়ো বাওয়া! মনের কোনে তুফান সেদিন ছিলো.. ঝড় হবে তা, বুঝবো কেমন করে ! আজ যদি সে সর্বনাশী হয়... পারবি তাকে রাখতে বুকে ধরে ? ইচ্ছেগুলো ঘুর্ণি হয়ে নয়- যাক ভেসে আজ মিথ্যে বাঁধন ছিঁড়ে.. তটের পরশ লাগবে তবু গায়- মিশবি যখন, সাগর ফেলে তীরে... তাণ্ডবে তার, অতীত হবে সব পড়বে ছিঁড়ে স্বাধের খোলসখানি... পিছনফিরে তাকাসনা আর তুই বইবে চোখে, অশ্রু তোরও জানি!