পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা "স্বাধীনতা"

ছবি
স্বাধীনতা   আমিনা তাবাসসুম আমরা প্রতিদিন এগিয়ে চলেছি অন্ধকার থেকে আলোর উৎসে নাকি আলো থেকে অন্ধকারে জল খাবার অপরাধে যে শিশু মৃত্যুশয্যায় সে দলিত আমরা স্বাধীনতার 75তম বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন করি ঠোঁটে এবং চোখের ইশারায় নিরাসক্ত অন্ধকার নয় উচ্চ মর্যাদা আমাদের শিরায় শিরায়  পেছনে পড়ে থাকে চাপ রক্ত, শহীদের বীরত্ব বুকে জড়িয়ে রাখি পতাকার ভেতর আগুন বুকের ভেতরে থাকে জাতিভেদের অস্পৃশ্যতা আমি ক্ষুধার্ত, তুমি গান গাও জয় হিন্দ আর বন্দে মাতরম যে নারীর হৃদয় খুঁড়ে ছিঁড়ে খায় ধর্ষক আর দেশের নেতা মানবতা রাখে লুকিয়ে আদর্শ সেখানে ছুটে ছুটে যায় বাইরে স্বপ্ন কাঁদে চার দেওয়াল থেকে শূন্যে স্বাধীনতা বিলাস কী তবে! মনের ভেতর অস্থির এক উন্মাদ যে পতাকা বিপ্লবীর রঙে সুন্দর আজ দেখি সেই মুখোশের এক রক্ষিতা

কবি মমতা রায় চৌধুরীর কবিতা " সূর্যমুখী ভোরের স্বাধীনতা"

ছবি
সূর্যমুখী ভোরের স্বাধীনতা মমতা রায় চৌধুরী আজ ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস কত মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার  শত বিপ্লবীর রক্তে রাঙানো  মহার্ঘ দিন।  দিকে দিকে তেরাঙ্গা পতাকা  আর বন্দে মাতরম ধ্বনিতে   সরগরম গোটা দেশ। তবুও  স্বাধীনতা অপ্রাপ্তির এক দুঃসহ যন্ত্রণা  রয়েছে   সমাজের প্রতিটি কোণে। নিরক্ষরতা, অশিক্ষা,,বেকারত্ব, পণপ্রথা যৌন নিগ্রহ , শিশুধর্ষণ ,নারী পাচার, সমাজে বাসা বাঁধছে নিরন্ত র। শিক্ষা স্বাস্থ্য নিয়েও   অসাধু ব্যবসা, হাজারো শিশুর স্বপ্ন কাড়ে রাজনৈতিক নেতা। তখনই প্রশ্ন ওঠে এ কেমন স্বাধীনতা? তবে কি.. স্বাধীনতা প্রাপ্তি রাত্রের সেই ক্ষত  এখন আরো  দগদগে। ধর্মান্ধতা, জাতিভেদ  , বিচ্ছিন্নতাবাদ ,অস্পৃশ্যতা  জাতির  আজও রন্ধে রন্ধ্রে।  স্বাধীনতার ছিয়াত্তর বছরে  এখনো  শিশু  খাটে চায়ের দোকানে। নয়তো  শিশু মনিবের বাড়িতে  মায়ের সঙ্গে ঝিয়ের কাজে। এ কোন বিষে আজ জর্জরিত দেশ? তাই , প্রশ্ন জাগে এই কি স্বাধীনতা? ছিয়াত্তর বছরে এই আমাদের প্রাপ্তি? এই স্বাধীনতাই কি চেয়েছিল  মৃত্যুঞ্জয়ী  বীর বিপ্লবী? এ প্রশ্ন সকলের কাছে। এ যন্ত্রনা সকলের যন্ত্রণা। এর থেকে কি তবে মুক্তি নেই? আছে… ছিয়াত্তর বছর স্বাধীনতা

কবি সানি সরকার এর কবিতা "ড্যানিয়েল"

ছবি
ড্যানিয়েল   সানি সরকার  পাথরটির দিকে লক্ষ্য করো ড্যানিয়েল  অতঃপর নিজের দিকে আরেকবার  রাত্রির কলকাতায় আলো এবং গাড়ির হর্ণ ব্যতীত কোনও শব্দ নেই  এত দ্রুত তুমি ঘুমিয়ে পড়বে না  অবশ্য তেমন কথাও নেই  এখন ঠিক সামনের পাখিটিকে লক্ষ্য করো  ছবির ওপর বসে যে মোহ ছড়িয়ে দিচ্ছে  ভালো করে লক্ষ্য করে দ্যাখো, ওঁর  পা'য়ে  ঘুঙুর পরানো, বাইরে চাকচিক্য, কাচের মতন, আর ধোঁয়া  হরিণেরও খিদে পায় একথা সত্যি-  প্রতিটি মুহূর্তে দলদল হরিণ  তৃণের খোঁজে অরণ্যাঞ্চল তোলপাড় করে তছনছ করে  পাখিটি ঘুঙুরের শব্দ তোলে পায়ে  তখন তৃণ নয়, হরিণের দল  আরও ক্ষুদার্ত, দৌড়য় ঘুঙুরের শব্দের দিকে  এমনি নির্মম...  ড্যানিয়েল, তাই বলে তুমি কী পাখিটির পা'য়ের ঘুঙুর  কেড়ে নেবে  না...  সময় তো এমনি, সময় হলেই বলে  ওটা সাদা, ওটা কালো, ওটা সবুজ, ওটা পীতবর্ণ...  ড্যানিয়েল, দেখতে থাকো ও এবং হাসো

কবি কাব্য রাসেল এর কবিতা "সেই এলোকেশ! ""

ছবি
সেই এলোকেশ!  কাব্য রাসেল  তুমি হেঁটে যাও ফুটপাত মাড়িয়ে আমার দুরন্ত দৃষ্টি  চেয়ে থাকে রবীন্দ্রনাথের মতো। আর নজরুলের মতো আমার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের উচ্চারণগুলো তোমার এলোকেশী গন্ধের মাদকতায় আরও বেশি স্বতঃস্ফূর্ত  হয়ে ওঠে।  আমার কন্ঠ আরও ঝাঁঝালো, আরও বিমূর্ত হয়ে ওঠে স্লোগান। তোমার এলোকেশী বৈশাখী ঝড়ের মতো আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর করে আমাকে শীতল আরও শীতল করে দেয়।  আমার চারপাশে সঙ্গতিপূর্ণ সমস্ত অসঙ্গতিই   আমাকে শৃঙ্খলিত করে রাখে,আর শৃঙ্খল ভেঙে ভেঙে আমিও এক ঐন্দ্রজালিক অলৌকিক অদৃশ্য মোহনীয়তায় বেরিয়ে আসি তোমার এলোকেশী দীর্ঘ কালো চুলের অসামান্য অরণ্যে।

কবি শাকিল সারোয়ার এর কবিতা "ক্রশবিদ্ধ একটি সময়"

ছবি
ক্রশবিদ্ধ একটি সময়   শাকিল সারোয়ার   তোমাকে ছুঁলেই বিবর্তনের জল  গড়িয়ে গড়িয়ে বরফ-বাস্প  বিশ্বাসের দর্পণে সমর্পণের প্রতিবিম্ব  একটি সময় ক্রুশবিদ্ধ চোখে ...  স্মরণে মরণে পূর্ণাভা রাত্রীর আলো তোমাকে ছুঁলেই আবর্তনে ষোলকলা  নির্জলা ছুঁই ছুঁই তৃষ্ণা,  দাহ  দাউ দাউ  দগ্ধ দরিয়া...

কবি নীলা রহমান এর কবিতা "শান্তি বালা"

ছবি
শান্তি বালা নীলা রহমান বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো? মেঘ ছিঁড়ে একরাশ বিদুৎ খড় কুটো শুষ্ক ঘরে  মাটির  পাঁচিলে পড়ে সব দগ্ধিত ছেঁড়া খেতা।  বৃষ্টি হয়নি সেদিন। সাত কোটি জনতার স্তব্ধ নয়নে অস্থির ভাষায় স্পষ্ট ছিলো  স্বাধীনতার তৃপ্ত স্বাদ। বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো? দগ্ধ ভিটে মাটির অন্তরে দাঁড়িয়ে দূর নীলিমায় লাল সবুজ পাখির হলুদ ঠোঁটে শুভ্র শিসে শুনতে পেরেছো বিজয় ইমন সুর। ঐ দেখো ভৈরবী সুরে পুষ্পিত স্বাধীন চন্দ্র ফুল।। বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো?  দগ্ধ অন্ত চাঁদোয়ার ভ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিন্দু বিন্দু নীল কুয়াশায় সিক্ত মনে জানান দেয় বীরাঙ্গনার নির্মম চিৎকার।  তবুও  ছিদ্র শুষ্ক মনে স্মরণ করিয়ে দেয় লাখো  শহীদের আত্মত্যাগ।।  বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো?  দগ্ধ কুটিরে অন্ত ভিটেই এখনো হায়ানার তীব্র থাবা একটু একটু করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। তবুও লাল সবুজ নিঃশ্বাসে ঘ্রাণ পায় জয়োৎসব ।।  বলতে পারো শান্তি বালা,   তুমি কেমন...... আছো....?

কবি বন্ধু তুহিন এর কবিতা"চুলচেরা হিসাব"

ছবি
চুলচেরা হিসাব বন্ধু তুহিন তোমাদের চুলচেরা বিচারে অর্ধেকটা সময় অধিবাস্তব পংক্তি, বাকি অধের্কের পিচ ঢালা রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। থক থকে নাভিশ্বাসের পালাবদলে হাতবদল নর্দমা, ব্রহ্মতালুর পাশ ঘেঁষে  বিচারক, উল্টো পথে। লোভের চারপাশে যখন অনবদ্য গ্লানি কাজ করে, তখন সুসময়ের হিসেব কসে একে একে ধসে পরে দেয়াল। স্বপ্ন দেখতে দেখতে চোয়ালের ভেতর চোয়াল, হারের ভেতর মাংস; শুকিয়ে যায় শুটকির গন্ধ, বুকের ভেতর এখনও নোনা জল। উড়তে উড়তে পরতে থাকা নিছক যুবকের লোমকূপ লজ্জিত রেটিনায় ভাগ্যের গণনা, নাকের ভেতর সুড়সুড়ি, পেটে ক্ষুধা। ওহে সনাতন, বোঝ এখন কি করে মানুষ বেঁচে যায়;   কাপড়,আতর,বিজ্ঞাপনে অবিন্যস্ত  ঢেকে যায় শহর রাস্তা। ছায়ার ঘুরন্ত বৃত্ত বড় হতে হতে ব্ল্যাক হোল হবে একদিন, তখন আধভাঙ্গা সড়কে ফ্লাইওভার কিংবা কংক্রিটে তেতে উঠা অস্তিত্বে  আমি ঢেলে দেব মৌন মন ...

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ২০৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০৪ প্রতীক্ষার মূল্যদান মমতা রায় চৌধুরী প্রত্যেক মানুষই প্রতীক্ষা করে জীবনের যত ব্যর্থতা আছে সেগুলো কে সার্থক করে তুলবার আশায়। তাইতো মনের ভেতরে আগুন ওঠে আগুনের তাপে ব্যর্থতা যন্ত্রণা জ্বালা সবকিছু পুড়িয়ে পরিণত করতে। তারপর আস্তে আস্তে হয়ত সে আগুন নিভে যায় সেও বছরের পর বছর প্রতীক্ষারত অবস্থায় জীর্ণ মলিন হয়ে যায় সংসারের ধুলোয়। প্রতীক্ষা তো আর সার্থক হয় না সার্থক হয়নি বিপাশার প্রতীক্ষা সার্থক হয়নি রেখার প্রতীক্ষা ,সার্থক হয়নি মনোজের প্রতীক্ষা , সার্থক হয়নি শিখার প্রতীক্ষা, সার্থক হয়নি কল্যাণের প্রতীক্ষা, সার্থক হয়নি তিথির প্রতীক্ষা, সুমিতার প্রতীক্ষা, সার্থক হয়নি নদীর প্রতীক্ষা, মীনাক্ষী দেবী প্রতীক্ষা আরো এরকম কতজনের প্রতীক্ষা সার্থক হয়নি। সব প্রতীক্ষাগুলো যেন পথহীন অরণ্যে সকলের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। আলাদা হওয়াটা পুরো টাই অদৃষ্ট বা নিয়তির লিখন হয়েছে তা নয় ,কিছুটা নিজেদেরও হাত  থাকে। প্রতিটা চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের প্রতীক্ষায় একটা আলাদা মাত্রা আছে ,একটা আলাদা ধরন আছে। প্রত্যেককে এক ধাঁচে ফেললে চলবে না। নইলে কে জানতো  নীল  রেখার জীবনটা আলাদা হ

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ২০৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০৩ রেখার স্বপ্নের পরমায়ু মমতা রায় চৌধুরী রেখা আজ বেশ কয়েকটা লেখা কমপ্লিট করল পত্রিকায় দেবার জন্য।'সিড়ি' পত্রিকার সম্পাদকের তাড়া আছে। গতকালকেই ফোন করে রিমাইন্ডার দিয়েছেন। ওই পত্রিকার লেখাটা কমপ্লিট করতে না পারলে সত্যিই রেখা মুখ দেখাতে পারবে না। অলরেডি দুটো উপন্যাস ওনার পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ।" বার্তা" পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে গল্প। ওই পত্রিকার সম্পাদক অলরেডি ফোন করে জানিয়েছেন আরেকটি গল্প রেডি করতে দর্শকরা নাকি খুব খাচ্ছেন  ।ফলে রেখার চাপ আছে। লেখা কমপ্লিট করে রেখা দাঁড়াল জানলার কাছে। আকাশটার যে মাঝে মাঝে কি হয় মানুষের মতো কখনো মুখ ভার কখনোবা প্রসন্ন হাসির উজ্জ্বল ছটা । রাতের নিস্তব্ধতা রেখাকে মাঝে মাঝে টানে।সে নিস্তব্ধতা রেখার দুচোখে যেন মায়া কাজল পরিয়ে দেয়। হঠাৎই এই নিস্তব্ধতাকে ভেঙে দিল বিদ্যুতের ঝলকানি। রেখা দেখল না আর জেগে থাকলে হবে না ।এবার দু'চোখের পাতা এক করতে ই হবে। কালকে আবার যেতে হবে কলেজের মেয়েদের পুরস্কার নেওয়ার আছে। এসব ভাবতে ভাবতেই রেখা এবার বিছানায় নিজের শরীরটাকে ছেড়ে দিল কখন যে ঘু

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ২০২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০২   পিসিমার কষ্ট মমতা রায়চৌধুরী মাধু ঘুম থেকে উঠে টুকিটাকি বাসি কাজ করে নিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঠাকুর ঘরে ঢুকেছে। সবেমাত্র ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে দু "হাত জড়ো করে "হে ভগবান ,সবাইকে ভালো রেখো ।আমার স্বামীকেও ভালো রেখো। ইদানিং ওর যেন কি হয়েছে ,কিছু বলছে না । মনটা ভাল নেই। ভগবান ওর মনের কষ্ট ,দুঃখ যাই হোক না কেন? সব লাঘব ক'রো।' হঠাৎই মাধু একটু অন্যমনস্ক হয়ে যায় "মাধু ও মাধু ও মাধু মরে গেলাম গো ,এসো গো ,আমাকে বাঁচাও গো?"এ ধরনের আওয়াজ শুনে। কান পেতে শোনার চেষ্টা করে কোন দিক থেকে আওয়াজ  আসছে। "হ্যাঁ ,এতো পিসিমার আ ওয়াজ।" মাধু কোনরকমে ঠাকুরকে ভোগ  নিবেদন করে আওয়াজের উৎসের দিকে ছুটল। তখনো ডেকে যাচ্ছে 'ও মাধু ,ও সুরো আয়রে আমাকে  বাঁচা রে ,আমার কি হলো?" মাধুর মাথার উপর দিয়ে তখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে" নে বাবা ,কি হলো? কালকে রাত্রে তো দিব্যি খাবার-দাবার খেলেন ।আজকে সকালের মধ্যে কি হলো পিসিমার ?'ভাবতে ভাবতে ছুটল পিসিমার ঘরের দিকে।  "পিসি মা তো ঘরে নেই ।তাহলে কোথায়?  পিসিমা কি তাহলে কোথাও গিয়ে পড়ে গেলে ন।"

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস টানাপোড়েন ২০১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০১ নানা চিন্তা মমতা রায়চৌধুরী মনোজ অফিসে বেরোনোর পর রেখা ক্লান্ত মন নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বিছানায় শরীরটাকে এলিয়ে দিয়েছিল ,যেন বিছানা চাইছিল রেখার শরীরটা। কি আশ্চর্য ব্যাপার ঘুম এসে  গেছিল ।হঠাৎই তুতুর কিউ কিউ আওয়াজে ঘুম ভাঙলো ।ঘুম থেকে উঠে দেখছে তুতু রেখার বালিশের কাছে এসে হাত দিয়ে ডাকছে আর আওয়াজ করছে ।সত্যি একটা অবলা জীব কথা বলতে পারে না কিন্তু কি সুন্দর অনুভূতি ।রেখা তাকাতেই এমনভাবে তাকাল তারপর উসখুস করতে লাগল ।তখন রেখা বুঝতে পারল 'ও বাইরে বেরোবে' । রেখা বললো "আহা মা ,আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সরি ,সরি ।চলো, চলো, চলো গেট খুলে দিচ্ছি। গেট খুলতেই তুতু দ্রুত ছুটে গেল বাইরে তারপরে ও বাথরুম করতে লাগল ।শুধু তাই নয় রেখা খেয়াল করলো বাথরুম শেষে ও কিছুটা দূরে গেল যেখানে  ও পটি করে।  রেখা বুঝল তার জন্য এত জোরে আওয়াজ করছিল  অন্যদিকে পাইলট ,মিলি সকলে রেখার কাছে এসে দাঁড়ালো। পাইলটের মুখটা তো একদম ইনোসেন্ট এত সুন্দর মায়াবী চোখ ঝোলা ঝোলা  কান ।ও যখন তাকায় রেখা যেন ওর মায়াবী চোখে বাঁধা পড়ে যায় কিছুতেই ওর চাউনিকে উপেক্ষা করতে পারে না রেখা বললো কটা বাজে ।ঘ